somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এপ্রিল ফুল কেন বর্জনীয়??

২৯ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চিন্তা-ভাবনা না করে পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণের উগ্র বাসনা আমাদের সমাজে যে সমস্ত প্রথার প্রচলন ঘটিয়েছে 'এপ্রিল ফুল' উদযাপন তার মধ্যে অন্যতম। এই প্রথা পালন করতে গিয়ে এপ্রিলের ১ তারিখে মিথ্যা বলে কারো সাথে প্রতারণা করা এবং প্রতারণার মাধ্যমে তাকে নির্বোধ বানানোকে শুধু বৈধই মনে করা হয় না,বরং একে রীতিমত একটি পারঙ্গমতা ও উৎকর্ষতা মনে করা হয়। যে যত বেশী চাতুরতারপূর্ণভাবে এবং নিরঙ্কুশভাবে অন্যকে যত বেশী প্রতারিত করতে পারবে, তাকে তত অধিক প্রশংসার যোগ্য এবং পহেলা এপ্রিলের ইতিহাস থেকে যথার্থ শিক্ষা লাভকারী ও বাস্তবায়নকারী বলে মনে করা হয়।

মানুষকে প্রতারিত করার এই রুচি-যাকে প্রকৃতপক্ষে 'কুরুচিই' বলা উচিৎ- বিনা কারণে কত লোকের জানমালের ক্ষতি সাধন করছে তার ইয়াত্তা নেই।অনেক সময় এর পরিণতিতে প্রাণনাশ পর্যন্ত হয়েছে। কারণ এমন ঘটনা ঘটেছে যে,একজনকে অনর্থক এমন মিথ্যা দুঃসংবাদ শোনানো হয়েছে, যা সহ্য করতে না পেরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।

যে প্রথার ভিত্তি মিথ্যা,প্রতারণা এবং নিষ্পাপ লোককে বিনা কারণে বোকা বানানোর উপর, তা নৈতিক দিক থেকে যে মারাত্মক ধৃষ্টতা ও অমার্জনীয় অপরাধ তাতো বলার অপেক্ষা রাখে না। উপরন্তু যারা হযরত ঈসা(আঃ) এর মর্যাদা ও পবিত্রতার উপর সামান্যতমও ঈমান রাখে, তাদের জন্য এর ঐতিহাসিক দিকটিও নিতান্ত লজ্জাজনক।

এ প্রথার সূচনা কিভাবে হলো, এ ব্যাপারে ঐতিহাসিক বর্ণনা নানারকম। কতক গ্রন্থকারের বক্তব্য এই যে, সপ্তদশ খ্রীঃ এর পূর্বে ফ্রান্সে বছর গণনা জানুয়ারীর পরিবর্তে এপ্রিল থেকে আরম্ভ হত। রোমনরা এই মাসকে তাদের দেবী Venus এর সাথে সম্পৃক্ত মনে করে একে সম্মানিত মাস মনে করত। গ্রীক ভাষায় ভেনাস(venus) শব্দের অর্থ করা হত Aphrodite আর সম্ভবত গ্রীক ভাষায় এই শব্দ থেকেই এপ্রিল শব্দটি উদ্ভাবন করে তা দ্বারা এই মাসের নামকরণ করা হয়েছে। ( ব্রিটেনিকা/ ১৫তম সংস্করণ/পৃঃ ২৯২/ খণ্ডঃ ৮)

কতক গ্রন্থকারের বক্তব্য এই যে, যেহেতু ১ লা এপ্রিল বছরের প্রথম তারিখ ছিল এবং তার সাথে মূর্তিপূজার ভক্তি-বিশ্বাসও জড়িত ছিল,তাই এই দিনকে মানুষ আনন্দ দিবসরূপে উদযাপন করত। হাসি-ঠাট্টা করাও ছিল সে আনন্দের একটি অংশ। যা ক্রমশ উন্নতি করতে করতে এপ্রিল ফুলের রূপ ধারণ করেছে। কেউ কেউ বলেন, আনন্দ উদযাপনের এই দিনে মানুষ পরস্পরকে উপঢৌকন দিত। একবার জৈনিক ব্যাক্তি উপঢৌকনের নামে ঠাট্টা করে। অবশেষে তা অন্যান্যদের মধ্যেও প্রচলিত হয়ে যায়।

বিটেনিকায় এ প্রথার আরেকটি কারণ বর্ণনা করা হয়েছে যে, মার্চের একুশ তারিখ হতে ঋতুর মধ্যে পরিবর্তন আসতে আরম্ভ করে। এই পরিবর্তনকে কতিপয় লোক এভাবে ব্যক্ত করে যে, প্রকৃতি আমাদের সাথে ঠাট্টা করে বেওকুব বানাচ্ছে। বিধায় মানুষও সে যুগে পরস্পরকে বেওকুব বানাতে আরম্ভ করে। ( ব্রিটেনিকা/পৃঃ ৪৯৬/ খণ্ডঃ ১)

তবে একথা এখনো অস্পষ্টই রয়ে গেছে যে, প্রকৃতির এই ঠাট্টার পরিণতিতে এ প্রথার প্রচলন ঘটানোর দ্বারা 'প্রকৃতির' অনুসরণ উদ্দেশ্য ছিল, নাকি তার থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করা উদ্দেশ্য ছিল?!

ঊনবিংশ খৃষ্ট শতাব্দীর নামকরা এনসাইক্লোপিডিয়া 'লারুস' এ তৃতীয় একটি কারণ বর্ণনা করেছে এবং সে এটিকেই এর যথার্থ কারণ বলে সাব্যস্ত করেছে। সে কারণটি এই যে, প্রকৃতপক্ষে ইহুদী ও খ্রীস্টানদের বর্ণনা অনুপাতে ১লা এপ্রিল সেই তারিখ,যেই তারিখে ইহুদী ও রোমানরা হযরত ঈসা(আঃ) কে ঠাট্টা ও বিদ্রুপের পাত্র বানায়। বর্তমানের নামসর্বস্ব ইঞ্জীলসমূহে এসব ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। এ সম্পর্কে লুকা- এর ইঞ্জিলের ভাষ্য এই-
" এবং যে ব্যক্তি তাঁকে (অর্থাৎ হযরত ঈসা আঃ কে) বন্দী করে রেখেছিল, সে তাঁর সঙ্গে উপহাস করত,তাঁকে প্রহার করত এবং তাঁকে এভাবে জিজ্ঞাসা করত যে,'নবুওয়াত (অর্থাৎ ইলহাম) দ্বারা বল তোকে কে মেরেছে?' এমনিভাবে বিদ্রুপ করে সে তাঁর বিরুদ্ধে অনেক কথা বলত।" (লুকাঃ ২২/৬৩-৬৫)

ইঞ্জিলসমূহের মধ্যে একথাও বর্ণনা করা হয়েছে যে, প্রথমে হযরত ঈসা(আ) কে ইহুদীদের সর্দার ও আইনবিদদের উচ্চ আদালতে পেশ করা হয়। তারপর তারা তাঁকে পিলাতিসের আদালতে এ উদ্দেশ্যে নিয়ে যায় যে , তাঁর ফয়সালা সেখানেই হবে। তারপর পিলাতিস তাঁকে হিরোডিসের আদালতে পাঠিয়ে দেয়। অবশেষে হিরোডিসও পুনরায় তাকে বিচারের উদ্দেশ্যে পিলাতিসের আদালতে পাঠিয়ে দেয়।
লারুসের বক্তব্য এই যে, হযরত ঈসা(আ) কে এক আদালত থেকে অন্য আদালতে পাঠানোর উদ্দেশ্য ছিল তাঁর সঙ্গে বিদ্রুপ করা এবং তাঁকে কষ্ট দেওয়া। এই ঘটনাটি ঘটেছিল ১লা এপ্রিলে বিধায় এপ্রিল দুলের প্রথা মূলত এই লজ্জাজনক ঘটনারই স্মৃতি।

এপ্রিল ফুল পালন করতে গিয়ে যে ব্যক্তিকে নির্বোধ বানানো হয় ফরাসী ভাষায় তাকে Poisson d'avril বলা হয়, যার ইংরেজী অর্থ হয় April fish অর্থাৎ এপ্রিল মৎস। ( ব্রিটেনিকা/পৃঃ ৪৯৬/ খণ্ডঃ ১)

এর অর্থ এই যে, পহেলা এপ্রিলে যে ব্যক্তিকে নির্বোধ বানানো হয়, সে যেন এপ্রিলের সূচনায় শিকারকৃত প্রথম মৎস। তবে লারুস তার উপরোক্ত বক্তব্যের স্বপক্ষে একথাও বলেছেন যে, Poisson শব্দটি- ইংরেজীতে যারা অর্থ fish তথা মাছ- মূলত তদসদৃশ অপর একটি ফরাসী শব্দ posion এর বিকৃত রূপ। যার অর্থ কষ্ট দেওয়া এবং শাস্তি দেওয়া। বিধায় এ প্রথাটি মূলত খৃষ্টানদের বর্ণনামতে হযরত ঈসা(আ) কে যে কষ্ট ও শাস্তি দেওয়া হয়েছিল, তারই স্মৃতিস্বরূপ উদযাপন করা হয়ে থাকে।

অপর এক ফরাসী লেখক বলেন,Poisson শব্দটি তার আসল রূপেই আছে। মূলত শব্দটি পাঁচটি শব্দের প্রথম বর্ণের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে। ফরাসী ভাষায় যথাক্রমে যার অর্থ হয় ঈসা,মাসীহ,আল্লাহ, বেটা এবং ফিদিয়া (প্রায়শ্চিত্য)। {বিস্তারিত বিবরণের জন্য ফরীদ ওয়াজেদীকৃত আরবী এনসাক্লোপিডিয়া 'দায়েরাতু মারারিফিল কুরআন' পৃঃ২১-২২, খণ্ডঃ১ দ্রষ্টব্য)
যেন এই লেখকের মতেও হযরত ঈসা(আ) এর সঙ্গে উপহাস করা ও তাঁকে কষ্ট দেওয়ার স্মৃতি উদযাপনই এপ্রিল ফুলের মূল উদ্দেশ্য।

তাদের একথা ঠিক হলে (লারুস প্রভৃতি অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে এই মতটি সঠিক আখ্যা দিয়েছেন এবং এতদসংক্রান্ত অনেক প্রমাণও পেশ করেছেন) প্রবল ধারণা এই যে, প্রথাটি ইহুদিরাই চালু করেছে। তাদের উদ্দেশ্য হযরত ঈসা(আ) কে বিদ্রুপ ও তাচ্ছিল্য করা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই যে, হযরত ঈসা(আ) এর সঙ্গে বিদ্রুপ করার উদ্দেশ্যে ইহুদীদের স্বারা প্রচলনকৃত এই প্রথাটিকে খৃষ্টানরা নির্বিবাদে যে শুধু গ্রহণ করেছে তাই নয়, বরং তারা নিজেরাও েটি উদযাপন করতে ও এর প্রচলন ঘটাতে অংশ নিয়েছে (নাউযুবিল্লাহ)। এর কারণ এও হতে পারে যে,খৃষ্টানরা এ প্রথার প্রকৃত উৎস সম্পর্কে অবগত না হয়ে এবং কোনরূপ চিন্তা-ভাবনা না করে এটি উদযাপন করা আরম্ভ করেছে।এর কারনও এও হতে পারে যে, এ বিষয়ে খৃষ্টানদের রুচি ও প্রকৃতি বিরল ও বিস্ময়কর। তাদের ধারনায় যেই ক্রশে হযরত ঈসা(আ) কে শূলীতে চড়ানো হয়েছে, বাহ্যিক নিয়মে তা তাদের চোখে ঘৃণ্য বস্তু হওয়ার কথা ছিল। কারণ, তার মাধ্যমে হযরত ঈসা(আ) কে কষ্ট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে, খৃষ্ট ধর্মের অনুসারীরা তাকে পবিত্র বস্তুর রূপ দিতে আরপম্ভ করেছে এবং বর্তমানে খৃষ্টধর্মে ক্রুশকে পবিত্রতার ও মর্যাদার সর্ববৃহৎ প্রতীক বলে ধারণা করা হয়।

কিন্তু উপরোক্ত বিস্তারিত বিবরণের দ্বারা এ বিষয়টি সুস্পষ্ট ভাস্বর হয়ে ওঠে যে, এপ্রিল ফুলের প্রথাটি ভেনাস নাম্নী দেবীর সাথে সম্পৃক্ত হোক, কিংবা তাকে প্রকৃতির রুচি পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া বলা হোক, (নাউযুবিল্লাহ) অথবা হযরত ঈসা(আ) এর সঙ্গে বিদ্রুপ করার স্মৃতি,সর্বাবস্থায় এই প্রথার সম্পর্কে কোন না কোন অলীক পূজা কিংবা ধৃষ্টতাপূর্ণ মতবাদ বা ঘটনার সাথে জড়িত। তাছাড়া মুসলমানদের দৃষ্টিকোন থেকে এ প্রথাটি নিম্নোক্ত পাপসমূহের সমষ্টি-

১)মিথ্যা বলা
আল্লাহ্‌ তা'আলা বলেন-
لَّعْنَتَ اللَّهِ عَلَى الْكَاذِبِينَ
তাদের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত করি যারা মিথ্যাবাদী। ( সূরা আল-ইমরানঃ৬১)।

হাদিসে আছে-
رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، يَقُولُ : " وَيْلٌ لِلَّذِي يُحَدِّثُ فَيَكْذِبُ لِيُضْحِكَ بِهِ الْقَوْمَ وَيْلٌ لَهُ وَيْلٌ لَهُ " (الراوي: معاوية بن حيدة
মুয়াবিয়া বিন হাইদা বলেন, আমি রাসূল সা. কে বলতে শোনেছি,‘ধ্বংস তার জন্য যে, লোক হাসানোর জন্য কথা বলে এবং তাতে সে মিথ্যার আশ্রয় নেয়। ধ্বংস তার জন্য, ধ্বংস তার জন্য।’ (তিরমিজি : ২৩৫, তিনি বলেছেন, আবুদাউদ : ৪৯৯০)

২) ধোঁকা দেওয়া।
আল্লাহ্‌ তা'আলা বলেন-
إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْخَائِنِينَ
নিশ্চয়ই আল্লাহ ধোকাবাজ, প্রতারককে পছন্দ করেন না। (সূরা আনফাল- ৫৮)

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا ، وَالْمَكْرُ وَالْخِدَاعُ فِي النَّارِ "
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ(রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের ধোঁকা দেয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়। আর ধোঁকা ও চক্রান্ত জাহান্নামের জিনিস { তাবরানী, আওসাত- ১০২৩৪}

৩)অন্যকে কষ্ট দেওয়া
আল্লাহ্‌ তা'আলা বলেন-
وَالَّذِينَ يُؤْذُونَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ بِغَيْرِ مَا اكْتَسَبُوا فَقَدِ احْتَمَلُوا بُهْتَانًا وَإِثْمًا مُّبِينًا
যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে। (সূরা আহযাবঃ ৫৮)

আর হাদিসে আছে-
عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِى لَيْلَى قَالَ حَدَّثَنَا أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ -صلى الله عليه وسلمَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم لاَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يُرَوِّعَ مُسْلِمًا
হযরত আবদুল্লাহ বিন আবু লায়লা বলেন, আমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের কাছ থেকে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,কোন মুসলিমের জন্য বৈধ নয় আপর মুসলিমকে ভীত-সন্ত্রস্ত করা। { সুনান আবু দাউদ-৫০০৪, মুসনাদে আহমাদঃ ৫/৩৬২}

৪)এমন ঘটনার স্মৃতি উদযাপন করা যা, মূত্তিপূজা,অলীক পূজা কিংবা একজন পয়গাম্বরের সাথে ধৃষ্টতামূলক ঠাট্টা যার মূল উৎস।
আল্লাহ্‌ তা'আলা বলেন-
فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْأَوْثَانِ وَاجْتَنِبُوا قَوْلَ الزُّورِ
সুতরাং তোমরা মূর্তিদের অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাক এবং মিথ্যা কথন থেকে দূরে সরে থাক; (সূরা হাজ্জঃ৩০)

আর হাদিসে এসেছে-
وعن ابنِ عُمرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُما قالَ: قالَ رسولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُو مِنْهُمْ
আবুদল্লাহ ইবনে উমর(রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করবে, সে তাদের মধ্যে গণ্য হবে। { সুনান আবু দাউদ-৪০৩১, মুসনাদে আহমাদঃ ২/৫, মাজমাউয যাওয়ায়েদ-১৭৯৫৯,মুসান্নাফ ইবনে আবু শাইবাহঃ ৪/২১২

এখন মুসলমানদের নিজেদেরকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ যে, এই প্রথা পালন করে মুসলমান সমাজে এর প্রচলন ঘটানো কি ঠিক?


[এটি শাইখুল ইসলাম আল্লামা তাকী উসমানী (দা বা) লিখিত ' এপ্রিল ফুল' প্রবন্ধের পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত রূপ]
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:৪০
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামহীন দুটি গল্প

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

গল্প ১।
এখন আর দুপুরে দামী হোটেলে খাই না, দাম এবং খাদ্যমানের জন্য। মোটামুটি এক/দেড়শ টাকা প্লাস বয়দের কিছু টিপস (এটা আমার জন্য ফিক্সড হয়েছে ১০টাকা, ঈদ চাদে বেশি হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×