কবিদের ভালোবাসতে নেই,
ওরা অলীক কল্পনায় বাঁচা স্বার্থপরতম কীট,
উজাড় করে ধিক্কার জানাও প্রাণহীন তাদের
রাখো জাগতিক সবটুকু খারাপ লাগা ধরে,
দিও স্বার্থহীন দিয়ে পৃথিবীর সব কবি তরে!
ওদের দেখলে মুখ ফিরিয়ে নিও,
ওরা অভিশপ্ত প্রেতাত্মা ভয়াবহ, কান্নার গল্প
ছেড়ে যেও নীরবে, কোন ঘোরলাগা সন্ধ্যায়,
বাঁধনটুকু কেটে দিও নিঃশব্দে, যায় আসে না,
কাব্যময় চোরাবালির শব্দজটে মুখ গুঁজে,
বিদায় বলবে অশ্রুহীন, আবেগহীন, ভেবো না!
ওদের নিয়ে স্বপ্ন দেখতে নেই,
দুঃস্বপ্নের ডুবুরী তারা সুখস্বপ্নে করে না অবগাহন,
তারা কষ্ট আর কৃষ্ণের পুজারী, ছন্দময় আহাজারি,
হয়ো না কোন অশুভ প্রহরের প্রণয়ে আজ্ঞাবহ,
কবিত্বের বিমর্ষতা সুখ সব অধিকার করা দুর্বিষহ!
কালের প্রপাতে ঘৃণিত প্রাণ যত, কবিরা সিংহভাগ তার
অধিকার করে রাখে প্রাণবন্ততা নিঃস্পৃহতায়!
সে প্রাণ শুধু কলম কাগজের হিসেব মিলাতে উৎসর্গিত,
সম্ভব হলে তার কবিতা ছুঁয়ে দেখো একবার!
অনুভব করো কষ্ট নিমজ্জিত হৃদয়টি একবার!
অতঃপর ছুঁড়ে ফেলো দূর দিগন্তে ঘৃণার প্রচণ্ডতায়,
কবি তোমার বুকে বাঁচতে পারে নি, সে বাঁচে কবিতায়,
কবি তোমার বুকে মাথা রেখে মরে নি, সে মৃত কবিতায়।
তার তরে অসামান্য অশ্রুর দিওনা অকাতর বিসর্জন,
ছন্দময়তায় তাকে খুঁজতে যেও শতাব্দী পরে হয়ত,
সেদিন কবির ভালোবাসা প্রাপ্য রবে, ভালোবাসবে হয়ত।
এপিটাফখানিতে লেখা দু’টো লাইন হয়ত আওড়াবে বৃষ্টিস্নাত,
তবু কবিকে ভালবেসো না, যুগ-যুগান্তরে হয়ো জ্যোৎস্নাহত,
শুধু করুণার সামান্য স্পর্শ দিও শ্বেত ফলকে, নিমজ্জিত আলোকে,
কবি তৃপ্ত ঘুমায়, কবিরা অশ্রু ঝড়ায় ছন্দবদ্ধ পলকে!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২