সকালের সোনালী রোদ্দুর আছড়ে পড়ে জানালার চৌহদ্দিতে
অগ্রাহায়নের কোমল শীতে রঙ্গিন হয় চারিপাশ ফসলের রঙে
চড়ুই শালিকের কানাকানিতে জেগে ওঠে বনেদী পাড়ার চিলেকোঠা
জমাট অন্ধকার গলে যায় স্বাপ্নিক অবগাহনে
নতুন চালের পিঠা তৈরী হয় কোন সুডৌল নিপুণতায় ।
কবে দেখা হবে জোছনা গাঙ্গে নাওয়ের গলুইয়ে বসে
সেঁতারায় বাঁজবে কি পুরনো সুর নতুন ঝংকারে ?
তবুও কিসের অমোঘ টানে টানে ছুটে চলি জোছনা বিহারে
দু একটা কথা, মৃদু হাসি উদ্যমী করে তোলে এক পৌরানিক মাঝিকে ।
লুপ্ত রাত্রির পেলবতায় না হারাক তোমার নাকছাবি, ঘর্মাক্ততা
বরং খুলে দিক অনন্ত অমিয়ধারা লোহিতের তীব্র আমন্ত্রণে
প্রকৃতি রচনা করুক অনাবিল সকালের পদধ্বনি !
নরম ঢেউ ভাঙ্গে গলুইয়ে, চুল ভাঙ্গে বিস্তৃর্ন কটিদেশে
ইশারায় খুন হয়ে যায় কত শত আরব্য রজনী
চিত্রকরের তুলি হাতে এঁকে যাই আগামীর সম্ভাবনা ।
শৈশবের হাতে এখনো বন্দী আজন্ম জীবন আমার
কৈশোরের কৌতুহলে সলাজ পিছনে তাকাই
প্রাচীন যৌবনের উত্তাল সেই দিনগুলি বুনে যায় যত স্বপ্নের বীজ ।।
স্বপ্নের বীজ /১৮।১১।১১ ( একটা পুরনো