somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জামাত-শিবির কেন সন্ত্রাসী সংগঠন

০৭ ই অক্টোবর, ২০০৭ রাত ২:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সন্ত্রাস বা ভায়োলেন্সের আভিধানিক অর্থটা অভিধান ছাড়া বলতে পারছি না। তবে ছোট্ট জ্ঞানে যেটুকু বুঝি কাউকে সন্ত্রস্ত করার সঙ্গে এর যোগসাজস আছে। সন্ত্রস্ত করা মানে ভয় দেখানো। এটা নানা ভাবে করে দেখানো যায়। এক সরাসরি হুমকি দিয়ে- ভালো হয়ে যাও অথবা অফ যাও। পথের কাঁটা হয়ো না। আরেকটি হচ্ছে সরাসরি সরিয়ে দেওয়া। অর্থাত মেরে ফেলা। এটা অনেক সময় ঝিকে মেরে বউকে শেখানোর মত। প্রতিপক্ষ দলের একটা দুটো মাথা ফেলে দিলে বাকিরা সন্ত্রস্ত হবে, ভয় পাবে। আর এই সন্ত্রস্ত করার কাজটা জামাত-শিবির শুরু থেকেই করে আসছে। শেকড় শক্ত করতে এবং ডালপালা মেলতে।

বিভাজনে যাই। জামাত ও শিবিরের সম্পর্ক কি? জামাতের ছাত্র উইঙ হচ্ছে ইসলামী ছাত্র শিবির। ১৯৭৭ সালের আগ পর্যন্ত তা ইসলামী ছাত্র সংঘ নামেই পরিচিত ছিল। জামাতে ইসলামী নাম বদলায়নি, ছাত্র সংঘ নাম বদলেছে। কারণ জামাত মেইন স্ট্রিম রাজনীতিতে জড়িত, যেখানে টাকার খেলায় অনেক আপোষ নামাই সম্ভব। ছাত্র সংঘ নাম বদলেছে। কারণ ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের বুদ্ধিজীবি হত্যার নৃশংস নির্মমতা এখনো স্মৃতি থেকে বিলীন হয়নি সাধারণ বাঙালীর।

এই একাত্তরেই জামাতে ইসলামী স্বাধীনতাকামী বাঙালীদের জন্য ভয়াবহ এক আতঙ্ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। ২৫ মার্চের গণহত্যা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে জামাতে ইসলামী পূর্ব পাকিস্তানে নিজেদের প্রতিষ্টার জন্যই ভয়াবহ এক পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামে। আওয়ামী লীগের পর জনসমর্থন বিচারে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিগুলোর মধ্যে মুসলিম লিগ ও নেজামী ইসলামী ছিল জামাতের চেয়ে অনেক এগিয়ে। একই ভাবে প্রতিক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে এনএসএফ (ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ফ্রন্ট, মুসলিম লিগের) ধারে কাছেও ছিল না ছাত্র সংঘ।

তার মানে পশ্চিম পাকিস্তানে মওদুদী কাদিয়ানী দাঙার পর যেভাবে মিলিটেন্ট একটা দল হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন জেহাদী আফিম খাইয়ে, পূর্ব পাকিস্তানে সে মৌতাত পায়নি জামাত। আওয়ামী লীগের শুন্য স্থানে নিজেদের বসাতে তাই সেই মিলিটেন্সিরই শরণ নেয় তারা। পশ্চিম পাকিস্তানী প্রভু এবং এদেশে তাদের সামরিক প্রতিনিধিদের কাছে নিজেদের অধিকতর সাচ্চা মুসলমান ও পাকিস্তানপ্রেমী হিসেবে দেখিয়ে তাদের ল্যাপটপ হবার জন্য এর বিকল্প ছিল না কোনো। তাই নেজামী ইসলামী ও মুসলিম লীগের নেতারা যখন শান্তি কমিটি নিয়ে ব্যস্ত, তখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে মুক্তি নিধনে অধিকতর সহযোগিতার হাত বাড়াতেই জামাত সশস্ত্র পন্থায় গঠন করে রাজাকার। সেনাবাহিনীর কাজ কমাতেই তারা মাঠে নামে। স্বাধীনতার পক্ষশক্তি কিংবা তাদের সমর্থক নির্মূল থেকে শুরু করে মুক্তি বাহিনীর খোজে চৌকির তলা চষে ফেলা এই রাজাকাররা করেনি হেন কাজ নেই। তার পুল-কালভার্ট-সড়ক পাহারা দিয়েছে। সীমান্ত পার করে দেবে বলে পয়সা নিয়ে গুলি করে মেরেছে পলায়নপর বাস্তুহারাদের। হামলা করে লুটে নিয়েছে সহায়সম্পদ। দখল করেছে হিন্দুদের বসতভিটা। পুরোটাই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সংজ্ঞাভুক্ত। মেয়েদের তুলে নেয়া, পাকপ্রভু সেনা অফিসারদের ভেট দেয়া কিংবা মালি গণিমত হিসেবে তাদের এটো চাটায় ও পিছপা ছিল না তারা। এই ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের প্রতিদান তারা পেয়েছে স্বাধীনতার পর তাতক্ষণিক। এ কাজে তারা ধর্মের দোহাই দিয়ে এসেছে বরাবরের মতো। পাকিস্তানকে ভাঙার ভারতের চক্রান্ত ও তাদের চর শেখ মুজিবের নীলনক্সার বয়ান দিয়ে রিক্রুট করেছে আলাভোলা মানুষদের। এরা কেউ জামাত করত না। শেখ মুজিব ক্ষমা করেছিলেন এই শেষোক্তদের। কিন্তু রাজাকার প্রধান ও হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্তরা সাধারণ ক্ষমার আওতায় পড়েনি। প্রসঙ্গত রাজাকার প্রধান ছিলেন প্রতিটি জেলার ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতিরা।

যুদ্ধে যখন পরাজয় নিশ্চিত, তখন এই ছাত্র সংঘই মহানবী (দঃ) বিখ্যাত বিজয় আলবদর দিবসে গঠন করে স্বাধীনতা যুদ্ধের নৃশংসতম খুনী স্কোয়াড- আল বদর। দেশের সেরা বুদ্ধিজীবিদের তুলে নিয়ে নির্মমতম উপায়ে খুন করেছে তারা। জামাত তখন কি করছিল? রাজাকারি তত্ত্বাবধান তো আছেই, তারাই যে সেরা পাকিস্তানপ্রেমী এই প্রমাণ দিয়ে ইয়াহিয়ার সঙ্গে দরকষাকষি করছিল ক্ষমতার পিঠার সেরা ভাগটি পাওয়ার জন্য। মুসলিম লিগ ও নেজামী ইসলামী তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিরব দর্শক থেকে গেছে, কিংবা যোগ দিয়েছে সঙ্গে। কিন্তু সেখানেও ভিন্ন পলিটিক্স। পাকিস্তানের দালালীর নেতৃত্বটা নিজেদের হাতেই রেখে দিয়েছে জামাত।

স্বাধীনতার পর অন্য ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর চেয়ে তাই জামাত সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ। কারণ রাজাকার বলতে কেউ মুসলিম লীগ বোঝে না। জামাতকেই বোঝে। তাই গোলাম আযমের নামের আগে রাজাকার, নিজামী-মুজাহিদ-কামারুজ্জামানদের নামের আগে আলবদর বিশেষন জুটে যায়। এবং এটা ততদিন থাকবে যতদিন বাঙালীর শেষ রক্ত বিন্দুতে স্বাধীনতার চেতনা থাকবে। স্বাধীনতার পর তাই তারা পুরো দলটিই ছিল সাধারণ মানুষের চক্ষুশূল। শান্তি কমিটির অনেক নেতাই ছাড় পেয়েছে, রাজাকার নেতারা পায়নি। যারা পালিয়ে বেচেছে তারা ছাড়া।

স্বাধীনতা ঠেকানো যাচ্ছে না কিংবা রুখা যাচ্ছে না পাকিস্তানের ভাঙ্গন। এটা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর গো.আ.সহ জামাতের শীর্ষ নেতারা সবাই পালিয়েছে দেশ ছেড়ে। ছাত্রসংঘেরও একই অবস্থা। এলাকা বদলে, ভোল পাল্টে, মুক্তিযোদ্ধা সেজে কিছুদিন কাটানোর পর পগাড় পার হয়েছে তারাও। অনেকে ভিড়ে গেছে বিহারীদের সঙ্গে, সাময়িক আশ্রয় নিতে। তারপর পাকিস্তান হয়ে লন্ডন ও সৌদি আরবে সংগঠিত হয়েছে সবাই।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশে ফেরার সুযোগ পেয়ে যায় এসব ঘাতক-দালালেরা। যারা মুজিবের বিকল্প হতে পারতেন জেল হত্যায় বিনাশ করা হলো তাদেরও। খুনীদের বোড়ে মুশতাক প্রথম কাজ যেটি করলেন সেটা হলো দালাল আইন প্রত্যাহার। জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট হবার পর সব দলগুলো রাজনীতির সুযোগ পেল। ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানে ধর্মভিত্তিক দল নিষিদ্ধ ছিল। জিয়ার সংশোধনীতে ইসলামিক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের ছায়াতলে ফিরে এলো জামাত। পাকিস্তানের নাগরিকত্ব নিয়েও ফিরল ঘাতক শিরোমনি গোলাম আযম। জামাতের আমির হয়ে গেলেন এসেই। কি অদ্ভুত একটা ব্যাপার! ভীনদেশের পাসপোর্ট নিয়ে এদেশে একটি রাজনৈতিক দলের কর্ণধার হয়ে যাওয়াটা আমাদের রাজনৈতিক দুর্বত্ততার দারুণ একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে আজীবন।

এখন নিজেদের পায়ের নিচে মাটি শক্ত করার পালা। সে কাজে জামাত কাজে লাগাল তাদের ছাত্র ফ্রন্টকে। ইসলামী ছাত্রসংঘ ভোল পাল্টে হয়ে গেল ছাত্র শিবির। সভাপতি করা হলো একাত্তরের আলবদর কমান্ডার মীর কাশেম আলীকে। ধর্মভীরু বাঙালীদের মধ্যে ভারত বিরোধী প্রচারণা, একাত্তরে তাদের অবস্থান সঠিক ছিল নানা প্রপোগান্ডায় তা বোঝানো এবং মধ্যপ্রাচ্যের অনুদান দিয়ে গরীব জনগোষ্টীকে কিনে ফেলে জামাত তাদের ভিত গড়ছিল। আর বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে শেকড় প্রতিষ্ঠার কঠিন কাজটি দেয়া হলো শিবিরকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতার প্রশ্নে অন্যরকম এক চেতনা ধারণ করে। এখানে মতিউর রহমান নিজামী জুতাপেটা হয়, এখানে শিবির পেলে অপরাজেয় বাংলার সামনে কানে ধরে উঠবস করতে বাধ্য করা হয়। কাটাবন মসজিদ দখল ও আশেপাশের মার্কেটের প্রায় প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্টান কব্জা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে স্রেফ ঘেরের মধ্যে রাখতে পেরেছে শিবির। কিছুদিন আগে ছাত্রদলের সহায়তায় একটা মিছিলও নাকি করেছিল। ফাকা ক্যাম্পাসে সফল হলেও সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের চোখে পড়ার পর যথারীতি ধাওয়া।

ছাত্র শিবিরের গুরুত্বপূণ পদগুলোতে তখন সব বদর কমান্ডাররা। তারা জানে কিভাবে আঙুল বাকা করে ঘি ওঠাতে হয়। তারা এবার টার্গেট এরিয়া ঠিক করল অধিকতর ইসলাম ভীরু চট্টগ্রাম ও রাজশাহীকে। ভর্তি হওয়ার পর তাদের সদস্যরা নিয়মিত নামাজ কালাম ও আদাব সহবত দেখিয়ে নিতান্ত ভদ্র ইমেজ নিল। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পাশ্ববর্তী এলাকাগুলোয় বিয়ে করে আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরি করল। এরপর বের হলো গর্ত থেকে। মিছিল করলেই যখন আঘাত আসে তখন তাদের প্রতিশোধমূলক প্রতিঘাত। শুরুতেই টার্গেট করে ছাত্রনেতাদের পঙ্গু কিংবা খুন করে ফেলা হলো। চট্টগ্রাম কলেজে শাহাদত হত্যার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দিল শিবির। জাতীয় পার্টির কব্জায় থাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসমাজের নেতা হামিদের হাত কব্জি কেটে দিয়ে সন্ত্রাসের ধরণে বিপ্লব ঘটিয়ে দিল তারা। প্রতিপক্ষ অসংখ্য ছাত্রনেতার হাত ও পায়ের রগ কাটা হলো। চট্টগ্রামের প্রতিটি জেলায় ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতা স্রেফ গুম হয়ে গেলেন। ঠিক একইভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও দখল করল তারা। পরিকল্পনাটা পূর্ণতা পায়নি স্রেফ জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও সর্বশেষ একশনে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের মিলিত প্রতিরোধে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে তারা।

এতকিছুর পরও জামাত তাদের অতীত মুছে ফেলতে পারেনি। অতীত মানে স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের অমর পৈশাচিক কীর্তি। সে কারণেই গোলাম আযম বায়তুল মোকাররমে নামাজ পড়তে গিয়ে জুতাপেটা হয় সাধারণ মুসল্লীদের হাতে। কিন্তু এরপর তাদের পরিকল্পনা অনেকখানি সফল। প্রচুর পেট্রোডলার ছড়িয়ে এখনো তারা কিনে যাচ্ছে গরীবগুর্বাদের ভোট ও সন্তানদের। সেইসঙ্গে ইসলামের ভয়াবহ অপব্যবহার। কোরআন শরীফ নিয়ে নির্বাচনের আগে মহিলা জামাত কর্মীরা বাসায় বাসায় গিয়ে শপথ করিয়েছে দাড়িপাল্লায় ভোট দিতে। কোরান শরীফ ছুইয়ে শিবিরের রিক্রুটদের শপথ করানো হয় জেহাদের। এই জেহাদে রগকাটা ফরজ, ভারতের দালালদের খুন করা ফরজ। এই জেহাদ একাত্তরেও করেছিল তারা। প্রচুর ব্যবসা প্রতিষ্টান কিনে ফেলে বাঙলাদেশের সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে জামাত, মধ্যপ্রাচ্যের অনুদানের জন্য তাদের সুপারিশ লাগবেই। এবং যেহেতু ভোটব্যাংক বিশালায়তনে রূপ নিয়েছে, গদিতে বসতেও তাদের সমর্থন খুব জরুরী। সেই সমর্থনের বিনিময়ে নিজেদের শেকড়ের পাশে এখন রীতিমতো শানবাধানো ঘের দিয়ে দিয়েছে জামাত। আওয়ামী শাসনে নিজেদের নিরঙ্কুশ প্রাধান্য অক্ষুন্ন রেখেছে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে। কিছু হলে উপর মহল থেকে নির্দেশ ওদের কিছু বলো না, আমাদের মিত্র ওরা। বিএনপি শাসনেও তাই। সব শাসনেই তারাই উইনার। কারণ ওই যে ধর্মের আফিম। মাদ্রাসা ও মসজিদগুলো দখল করে ধর্মপ্রাণদের ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলিং করে জনসমর্থন আদায় করা তাদের বিভিন্ন ইস্যুতে। এবং তারপর সরকারী পর্যায়ে চাপপ্রয়োগ। পাকিস্তানী উর্দি থেকে বাংলাদেশী উর্দি সবাই তাদের ভক্তি করে। কারণ তাদের চটালে মুসলমানরা চটবে। মুসলমানদের চটাতে হয় কিভাবে উস্কাতে হয় কিভাবে তারা সেটা সবচেয়ে ভালো জানে। এক্ষেত্রে লেবাস একটি বড় বিষয়। নুরানী দাড়িওয়ালা, টুপি পাঞ্জাবী পড়া একজন মানুষ চরম খারাপ হতে পারে না। ছাগুলে দাড়ি, নিয়মিত নামাজ পড়া একজন ছাত্রের পক্ষে খুনী রগকাটা হওয়া একেবারেই অসম্ভব। উপরে পানি ঢেলে গোড়া কাটার চরম উদাহরণ এই জামাত এবং শিবির। পানি ঢালা মানে নিজেদের ভণ্ডাবরণে সত ভাবমূর্তি। গোড়া কাটা মানে সন্ত্রাস। জামাত-শিবিরের ইতিহাস। আগাগোড়া সন্ত্রাসী ইতিহাস। অবশ্যই তারা সন্ত্রাসী দল।

(এটি একটি পোস্টের জবাবী পোস্ট

কমরেড এস্কিমোর ব্লগে দারুণ একটা ছবি পেলাম। পবিত্র কোরআন ছুয়ে শপথ করানো হচ্ছে রাজাকারদের। পোস্টের প্রাসঙ্গিকতায় তার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করছি। এটি জামাতের ইসলাম ব্যবসার একটি বড় প্রমাণ
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:১৯
৭১টি মন্তব্য ৮টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিপ্লবের নিঃশব্দ মূল্য: অর্থনৈতিক বৈষম্য ও বাংলাদেশি ছাত্র আন্দোলন

লিখেছেন মুনতাসির, ১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:২৫

এ লেখাটি বেশ বড়ো। এখানে ছোট করে দেয়া হল। পুরো লেখাটি যদি কেও পড়তে চান, তবে নীচের লিঙ্ক থেকে পড়তে পারবেন।


সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন পর্যালোচনা চলছে। জাতিসংঘের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেঁচে থাকার প্রয়াস।

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৮




আমার ভেতরে জন্ম নেয়া বিভিন্ন চরিত্র আজন্ম যুদ্ধে লিপ্ত,যা বিশ্বযুদ্ধ থেকে ভয়াবহ। প্রতি সেকেন্ডে একজন মারছে,একজন উদযাপন করছে, এসব আটকানোর কোনো শান্তি চুক্তি নেই, নেই কোনো মোড়কে বেধে দেয়ে বিভিন্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিছু কিছু মানুষ বলার শুরু করেছে, "আমরা আগেই ভালো ছিলাম"।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:০২



একাধিক কারণে মানুষ ইহা বলার শুরু করেছেন: (১) সাধারণ মানুষ কোমলমতিদের ক্রমেই চিনতে পারছেন, ইহা ভীতি ও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করছে; কোমলমতিরা সরকারের গুরুত্বপুর্ণ অনেক পদে আছে ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি - একাল সেকাল

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮



টানা বৃষ্টির মধ্যে মরিচের দাম বেড়ে হয়েছে ৪০০ টাকা কেজি । অন্যদিকে ফার্মের মুরগির এক পিছ ডিমের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫ টাকা।শুধু মরিচ নয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কমলা যদি পরাজিত হয়, "দ্রব্যমুল্য"ই হবে ১ নম্বর কারণ

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭



দ্রব্যমুল্য হচ্ছে অর্থনৈতিক সুচকগুলোর মাঝে ১ টি বড় প্যারামিটার; ইহা দেশের অর্থনীতি ও চলমান ফাইন্যান্সের সাথে সামন্জস্য রেখে চলে; টাস্কফোর্স, মাস্কফোর্স ইহার মুল সমাধান নয়; ইহার মুল সমাধন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×