শিবিরের নৃশংসতা নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। তারা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে, যা অন্যভাবে বলা যেতে পারে ইমপ্রোভাইজেশন অব পারভার্সন। একটি ঘটনা উল্লেখ করি, মেডিকেলে ভর্তি হওয়া প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের লাশ দেখেছিলাম ইমারজেনিসতে। শরীর অক্ষত, কিন্তু ভেতরে হাড়গোড় পুরোটাই গুড়োগুড়ো। জানা গেল, তাকে কম্বল পেচিয়ে রড দিয়ে পেটানো হয়েছে। তো বেজবল হাতে যখন পেটানোর হুমকি দেওয়া হয়, নিশ্চিত জানবেন পিঠে বস্তা বাধলেও কাজ হবে না।
তো তাদের পূর্বসূরীরা কী করেছিলেন। আলবদর নামক জঘন্য কিলার বাহিনীটির জন্ম শেরপুরে। এটি যার মস্তিষ্ক প্রসুত তিনি অতীব ধর্মপ্রাণ একজন মুসলমান। এতটাই যে যুদ্ধকালীন এক বিকেলে স্বাধীনতার স্বপক্ষের 60 জনকে জবাই করার দায়িত্ব নিলেন। চোখ বাধা, হাতও আড়মোড়া করে বাধা। উনি জবাই করে চলেছেন- চিকচিক করছে তার চোখ। শেষ জন যখন আসল, তখন মাগরিবের আজান দিচ্ছে। শিকারের ছটফটানি দেখে তার মুখ থেকে বেরিয়ে এল অমৃতবাণী- এত ঝামেলা করিস না বাবা, নামাজের সময় হইছে আমার কাজটা আমারে শেষ করতে দে।'
তার নাম মোঃ কামারুজ্জামান। পরিচয় দিতে হবে?
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০০৮ ভোর ৬:০৪