পাঁচকড়ি হালদারের এখন ক্রাচের সাহায্য নিয়ে হাটতে হয়। আমরা যারা তাকে দেখি তারা তাকে ক্রাচে ভর দিয়েই হাটতে দেখি। আমরা তখন তার পা ভাঙ্গার রহস্য উদঘাটনে ব্যস্ত হয়ে পরি এবং আমরা অনুসন্ধানে থাকি।
তারপর একদিন আমরা জানতে পারি যে তার পা ভাঙ্গার পেছনে রয়েছে কুতকুত খেলা। ছোটবেলার কুতকুত খেলার স্মৃতি আমাদের তখন মনে পড়ে যায়। আমরা ভাবি আমরা সকলেই হয়তো ছোটবেলায় কুতকুত খেলেছি এবং আমাদের মনে পড়ে যে কুতকুত খেলতে গিয়ে অনেকরই পা মচকে গিয়েছে কিংবা ভেঙ্গে গিয়েছে তাই আমরা সাময়িকভাবে মানতে বাধ্য হই যে পাঁচকড়ি হালদারও ছোট বেলায় কুতকুত খেলেছে। হয়তো তিনকড়ি হালদার, পুরন্দর রায় কিংবা বাঢ়ই চাটুজ্যে তার নিত্যদিনের খেলার সাথী ছিলো এবং যথারীতি একদিন খেলতে গিয়ে তার পায়ের হাড্ডি তাদের নিজস্ব অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হলে তার পা ঠাস করে ভেঙে যায়। তখন আমরা বিশ্বাস করতে শুরু করি যে পাঁচকড়ি হালদারের পা সত্যি সত্যি কুতকুত খেলতে গিয়ে ভেঙ্গে গেছে। কিন্তু আমরা বেশীক্ষণ মানতে পারিনা অর্থাৎ আমাদের বিশ্বাস বেশী দিন টিকে না। আমাদের মনে হয় যে কুতকুত খেলতে গিয়ে পা ভাঙ্গলে এত serious injured হওয়ার কথানা। তখন আমরা আবার চিন্তা করতে থাকি এবং কোন একসময় আমরা সকলে মিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেই যে পাঁচকড়ি হালদারের পা ভাঙার পেছনের কাহিনী কুতকুত খেলাই তবে তা জীবনের কুতকুত খেলা।
সুদিপ বসু রায়
৪ ডিসেম্বর ২০১৪