প্রশ্নঃ-৪ ১২ই রবিউল আওয়াল শরিফে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাতও হয়েছিল,কিন্ত সে কারনে ওই দিন দুঃখ কেন মানানো হয় না ?
উত্তরঃ- উম্মতদের জন্য হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন ও প্রস্থান দুই-ই এক,হযরত আব্দুল্লা বিন মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বনর্ণা করেছেন হুযুর ইরশাদ করেছেন “আমার প্রকাশ্য জিন্দেগী এবং আমার বিছাল দুই-ই তোমাদের জন্য উত্তম”।(শেফা শরীফ ২য় খন্ড ১৯ পৃঃ)
অপর স্থানে এর হিকমত প্রসঙ্গে বণীর্ত হয়েছে যখন আল্লাহ তায়ালা কোন উম্মতের উপর নিজের খাস করম করতে চান তখন সেই উম্মতের মধ্য থেকে নবীকে পৃথক করিয়ে নেন,এবং তিনি ওই উম্মাতের জন্য শাফায়াতের মাধ্যম হয়ে যান(মুসলিম শরীফ )।
তাছাড়া নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে সোমবার শরিফে রোযা রাখার কারন হিসেবে উনার বিলাদত শরিফ ও প্রথম ওহী নাযিলের কথা উল্লেখ করেছেন।কিন্তু দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহন উপলক্ষে শোক পালন করার কথা উল্লেখ করেননি।যদি করতেন,তাহলে আমরা তা পালন করতাম।সুতরাং একই দিনে ও একই তারিখে নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরিফ এবং বিছাল শরিফ হলেও ওফাত দিবস পালন করা যাবে না । এটাই কোরআন শরীফ-হাদীস শরীফ উনাদের শিক্ষা।
এ ছাড়াও উনার ওফাত শরীফ এমনটি নয় যে,উম্মতের সাথে উনার সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন হায়াতুন্নাবী । যেমন ভাবে মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বনর্না করেছেন “এখানে মওত বলা যাবে না, বরং এক অবস্থান থেকে অন্য অবস্থায় গমন” ।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উনার বিরোধীতাকারিদের কিছু প্রশ্নের দলিল ভিত্তিক জবাব -২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




