somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাদীছ শরীফ- তা ছিহাহ সিত্তাহ’র হোক অথবা অন্য কোন কিতাবের হোক তা অবশ্যই অনুসরণীয় ও গ্রহণযোগ্য।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেকে কোন বিষয় গ্রহন করা বা মানার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কুরআন শরীফ কিংবা বুখারী শরীফ অথবা ছিহাহ সিত্তাহ হাদীছ শরীফ-এর কিতাবের দলীল তলব করে থাকে। তারা মনে করে থাকে, এসব কিতাবের মধ্যে থাকলে তা গ্রহনযোগ্য; অন্যথায় তা গ্রহনযোগ্য নয়। অথচ শরীয়তের দলীল হলো, কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস। শুধু কুরআন শরীফ ও ছিহাহ সিত্তাহ বা বুখারী শরীফ শরীয়তের দলীল নয়। কেউ প্রমান করতে সক্ষম হবে না যে, শরীয়তের কোথাও ছিহাহ সিত্তাহ বা বুখারী শরীফকে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। বরং বলা হয়েছে, কুরআন শরীফ এবং হাদীছ শরীফকে অনুসরণ করার জন্য। সুতরাং, হাদীছ শরীফ- তা ছিহাহ সিত্তাহ’র হোক অথবা অন্য কোন কিতাবের হোক তা অবশ্যই অনুসরণীয় ও গ্রহণযোগ্য। কারণ শুধু ছিহাহ সিত্তাহই হাদীছ শরীফ-এর কিতাব নয়। ছিহাহ সিত্তাহ’র বাইরেও বহু হাদীছ শরীফ-এর কিতাব রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ আছে যে, হযরত ইমাম নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইবনুস সালাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রমুখ বিখ্যাত মুহাদ্দিছ উনারা বলেন যে, ছিহাহ সিত্তাহ ছাড়াও ৫০-এর অধিক ছহীহ বা বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ-এর কিতাব রয়েছে। নিম্নে ছহীহ বুখারী ও ছহীহ মুসলিম শরীফ-এর ন্যায় কতকগুলো ছহীহ হাদীছ শরীফ-এর কিতাবের নাম উল্লেখ করা হলো। যেমন-
(১) ছহীহ ইবনে খুযায়মা,
(২) ছহীহ ইবনে হাব্বান,
(৩) ছহীহ ইবনে উয়ায়না,
(৪) ছহীহ ইবনুস সাকান,
(৫) ছহীহ মুন্তাকা,
(৬) মুখতাসারেজিয়াহ,
(৭) ছহীহ যুরকানী,
(৮) ছহীহ ইসফেহানী,
(৯) ছহীহ ইসমাঈলী,
(১০) মুস্তাদরাক ইবনে হাকিম,
(১১) মুসনাদে ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি,
(১২) মুয়াত্তায়ে ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি,
(১৩) মুয়াত্তায়ে ইমাম মুহম্মদ,
(১৪) কিতাবুল আছার,
(১৫) কিতাবুল খিরাজ,
(১৬) কিতাবুল হিজাজ,
(১৭) কিতাবুল আ’মালী,
(১৮) মুসনাদে শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি,
(১৯) মুসনাদে আবূ ইয়ালী,
(২০) মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক,
(২২) মুসনাদে আব্দ ইবনে হুমায়িদ,
(২৩) মুসনাদে আবূ দাউদ তায়ালাসী,
(২৪) সুনানু দারে কুতনী,
(২৫) সুনানে দারিমী,
(২৬) সুনানে বায়হাক্বী,
(২৭) মা’রিফাতু সুনানে বায়হাক্বী,
(২৮) মা’য়ানিয়ুল আছার-তহাবী,
(২৯) মুশফিক্বিয়ুল আছার-তহাবী,
(৩০) মু’জামুল কবীর-তিবরানী,
(৩১) মু’জামুল আওসাত-তিবরানী,
(৩২) মু’জামুছ ছগীর-তিবরানী,
(৩৩) কিতাবুল ই’তিক্বাদ,
(৩৪) কিতাবুদ্ দোয়া,
(৩৫) মুসনাদে হারিস ইবনে উমামা,
(৩৬) মুসনাদে বাজ্জাজ,
(৩৭) সুনানে আবী মুসলিম,
(৩৮) সুনানে সাঈদ বিন মনছূর,
(৩৯) শরহুস্ সুন্নাহ,
(৪০) শিফা,
(৪১) হুলইয়া,
(৪২) তাহযীবুল আছার,
অতএব, প্রমাণিত হলো যে, ছিহাহ সিত্তাহর বাইরেও বহু ছহীহ হাদীছ শরীফ-এর কিতাব রয়েছে। তাছাড়া ছিহাহ সিত্তাহর সকল হাদীছ শরীফই ছহীহ নয় বরং তাতে দ্বয়ীফ এমনকি মওজূ হাদীছ শরীফও রয়েছে।
মূলকথা হলো- এমন কোন হাদীছ শরীফ-এর কিতাব নেই, যে কিতাবের সকল হাদীছ শরীফ ছহীহ বা বিশুদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে সকল মুহাদ্দিছগণ একমত হয়েছেন। বরং কোন একখানা হাদীছ শরীফকে কোন একজন ছহীহ বলেছেন, অন্য একজন সেটাকে দ্বয়ীফ বা হাসান বলেছেন। যেমন- ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা এমন বহু হাদীছ শরীফ ছহীহ নয় বলে ছেড়ে দিয়েছেন, অথচ সেগুলো হযরত ইমাম আবূ দাউদ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইমাম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইমাম নাসায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইমাম ইবনে মাজাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইমাম দারু কুতনী রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রমুখ ইমাম উনারা ছহীহ বলে গ্রহণ করেন। (সায়িকাতুল মুসলিমীন)
আবার এমন অনেক হাদীছ শরীফ রয়েছে, যেগুলো হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত ইমাম মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি ছহীহ বলে গ্রহণ করেন। কিন্তু ছিহাহ সিত্তাহর অন্যান্য ইমাম উনারা সেগুলো ছহীহ নয় বলে পরিত্যাগ করেন।
আর তাই বিখ্যাত মুহাদ্দিছ হযরত মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, হযরত ইমাম সাখাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি “আলফিয়া” কিতাবের হাশিয়ায় উল্লেখ করেন যে, “ছহীহ বুখারী শরীফ-এর ৮০ জন ও ছহীহ মুসলিম শরীফ-এর ১৬০ জন রাবীর বর্ণনাকৃত হাদীছ শরীফ দ্বয়ীফ বলে প্রমাণিত হয়েছে।” (নুযহাতুন্ নাজার)
হযরত ইমাম নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “হযরত ইমাম দারু কুতনী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আবূ আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত আবূ দাউদ দামেস্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা ছহীহ বুখারী শরীফ ও ছহীহ মুসলিম শরীফ-এর ২০০ হাদীছ শরীফকে দ্বয়ীফ বলে উল্লেখ করেন।” (মুক্বাদ্দিমায়ে শরহে মুসলিম)
হযরত ইমাম কুস্তলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “ছহীহ বুখারীতে এরূপ হাদীছ শরীফও রয়েছে, যা কারো মতে ছহীহ, আর কারো মতে দ্বয়ীফ।” (শরহে বুখারী)
কাশফুয যুনূন, মুক্বাদ্দিমায়ে ফাতহুল বারী ইত্যাদি কিতাবে ছহীহ বুখারী শরীফ-এর কিছু কিছু হাদীছ শরীফকে দ্বয়ীফ বলে প্রমাণ করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, ছহীহ বুখারী ও মুসলিম শরীফে ২০ জন মরজিয়া, ২৩ জন কদরিয়া, ২৮ জন শিয়া, ৪ জন রাফিজী, ৯ জন খারিজী, ৭ জন নাসিবী ও ১ জন জহমিয়া কর্তৃক হাদীছ শরীফ বর্ণিত হয়েছে। (সায়িকাতুল মুসলিমীন)
অতএব প্রমাণিত হলো যে, সকল ছহীহ হাদীছ শরীফ-এর কিতাবেই কারো কারো মতে কিছু সংখ্যক দ্বয়ীফ হাদীছ শরীফ রয়েছে। কাজেই, দ্বয়ীফ হাদীছ শরীফ মাত্রই পরিত্যাজ্য বা বাতিল নয়। কারণ কোন হাদীছ শরীফকে কেউ দ্বয়ীফ বলেছেন এবং অন্য আরেকজন সেটাকে ছহীহ বলেছেন। এ দ্বারা দু’টি বিষয় স্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হলো-
(১) ছিহাহ সিত্তাহই শুধু ছহীহ হাদীছ শরীফ-এর কিতাব নয় বরং ছিহাহ সিত্তাহর বাইরেও বহু ছহীহ হাদীছ শরীফ-এর কিতাব রয়েছে।
(২) ছিহাহ সিত্তাহর সকল হাদীছ শরীফ ছহীহ হওয়ার ব্যাপারে সকল মুহাদ্দিছীনে কিরাম একমত নন বরং কারো মতে ছিহাহ সিত্তাহসহ সকল ছহীহ হাদীছ শরীফের কিতাবেই দ্বয়ীফ হাদীছ শরীফ রয়েছে। কাজেই যারা বলে, ছিহাহ সিত্তাহ ব্যতীত অন্য কোন হাদীছ শরীফ-এর কিতাব ছহীহ বা নির্ভরযোগ্য নয়, তাদের এ কথা নিতান্তই অজ্ঞতার পরিচায়ক।
তবে একথা সত্য যে, তুলনামূলকভাবে অন্যান্য হাদীছ শরীফ-এর কিতাব হতে ছিহাহ সিত্তাহ’র মধ্যে এবং বিশেষ করে বুখারী শরীফ-এর মধ্যে ছহীহ হাদীছ শরীফ-এর সংখ্যা বেশি রয়েছে।
তাই বলে ছিহাহ সিত্তাহ বা বুখারী শরীফে শরীয়তের কোন বিষয় উল্লেখ না থাকলে যে তা পরিত্যাজ্য বা অশুদ্ধ হবে একথা আদৌ শুদ্ধ নয়। কারণ ছিহাহ সিত্তাহ’র মধ্যে শরীয়তের সকল বিষয়ের বর্ণনা নেই এবং না থাকাটাই স্বাভাবিক। কেননা ছিহাহ সিত্তাহ’র মধ্যে তাকরার বাদ দিয়ে সর্বমোট প্রায় দশ হাজার হাদীছ শরীফ রয়েছে। তবে কি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আনুষ্ঠানিক নুবুওওয়াত প্রকাশের ২৩ বৎসর দুনিয়াবী যিন্দিগী মুবারকে মাত্র দশ হাজার কথা বলেছেন? কস্মিনকালেও নয়।
উল্লেখ্য, যারা সর্বদা ছিহাহ সিত্তাহর দোহাই দেয়, তারাই আবার এমন অনেক আমল করছে, যার বর্ণনা ছিহাহ সিত্তাহ এ নেই। এর বহু প্রমাণ রয়েছে। কেননা শরীয়তের সকল বিষয়ের ফায়সালা ছিহাহ সিত্তাহ’র মধ্যে নেই। যেমন তারাবীহ নামায ২০ রাকায়াতই পড়তে হবে এ বর্ণনা ছিহাহ সিত্তাহ’র মধ্যে নেই। এ বর্ণনা অন্য ছহীহ হাদীছ শরীফ-এর কিতাবে রয়েছে।
সুতরাং, ছিহাহ সিত্তাহ বা বুখারী শরীফ-এর ছহীহ হাদীছ শরীফ-এর যেরূপ হুকুম, অন্যান্য কিতাবের ছহীহ হাদীছ শরীফেরও তদ্রুপ হুকুম। কারণ কেউ প্রমাণ করতে সক্ষম হবেনা যে, শরীয়তের কোথাও কোন নির্দিষ্ট হাদীছ শরীফের কিতাবকে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে বরং আম বা সাধারণভাবে সকল হাদীছ শরীফকেই অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
বহু সংখ্যক আলিম বলেছেন, ছহীহ বুখারী শরীফ ও ছহীহ মুসলিম শরীফ-এর হাদীছ শরীফগুলি যে নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাদীছ শরীফ এর কোন দলীল নেই। মুসাল্লাম কিতাবের টীকা ৪১১ পৃষ্ঠায় বর্ণিত রয়েছে, আল্লামা বাহরুল উলূম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, হযরত ইবনু ছালাহ ও কতক আলিম যে বলেছেন, ছহীহ বুখারী শরীফ ও ছহীহ মুসলিম শরীফ-এর হাদীছ শরীফগুলি নিশ্চয়ই ছহীহ; কিন্তু ইহা ভ্রান্তিমূলক মত। কারণ ছহীহ বুখারী শরীফ ও ছহীহ মুসলিম শরীফ-এ বহু বিপরীত হাদীছ শরীফ রয়েছে। এ ছাড়া কদরিয়া, খারিজী, রাফিজী, মরজিয়া ইত্যাদি বাতিল ফিরক্বার লোকদের বর্ণিত বহু হাদীছ শরীফ বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ-এ আছে। তাহলে এ দু’ কিতাবের সমস্ত হাদীছ শরীফ কি করে ছহীহ বলে গণ্য হতে পারে?
মূলকথা হলো, ছিহাহ সিত্তাহর বর্ণিত হাদীছ শরীফগুলি উক্ত ইমাম উনাদের স্ব স্ব ক্বিয়াস মতেই ছহীহ হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, অধিকাংশ আলিম বলেছেন, বুখারী শরীফ সর্বোত্তম ছহীহ কিতাব। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক কিংবা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা কেউই বলেননি বা আদেশ করেননি যে, ছহীহ বুখারী সর্বাপেক্ষা ছহীহ কিতাব। বরং খইরুল কুরূনের অনেক পরে অর্থাৎ তিনশ হিজরীর পরে অধিকাংশ আলিমগণের ইজমা হয়েছে, বুখারী শরীফ সর্বোত্তম ছহীহ কিতাব। যদিও তার মধ্যে অনেক দ্বয়ীফ হাদীছ শরীফ রয়েছে।
হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, কুরআন শরীফ-এর পরে হযরত ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুয়াত্তার তুল্য কোন ছহীহ কিতাব জগতে নেই। (জাফরুল আমানী)
হযরত ইমাম ইয়াহইয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, হযরত ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বর্ণিত হাদীছ শরীফ-এর তুল্য কোন ছহীহ হাদীছ শরীফ নেই। (ছহীহ তিরমিযী পৃষ্ঠা ২৩৮)
হযরত ইমাম নাসায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ছহীহ মুসলিম শরীফ-এর তুল্য কোন হাদীছ শরীফ-এর কিতাব নেই। ইমাম আবু আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আসমানের নীচে ছহীহ মুসলিম শরীফ-এর তুল্য কোন ছহীহ কিতাব নেই।
জনৈক মাগরিবি আলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, ছহীহ মুসলিম শরীফ ছহীহ বুখারী শরীফ অপেক্ষা অধিক ছহীহ।
হযরত ইমাম দারু কুতনী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম আবু দাউদ রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম নাসায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও ইমাম আবু আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি হাদীছ শরীফ বিশেষজ্ঞ উনারা ছহীহ বুখারী শরীফ-এর ৮০ জন রাবীকে এবং ছহীহ মুসলিম শরীফ-এর ১৬০ জন রাবীকে দ্বয়ীফ বলেছেন।
হযরত ইমাম দারু কুতনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিসহ আরো অনেকে ছহীহ বুখারী শরীফ-এর ৯৫টি এবং ছহীহ মুসলিম শরীফ-এর ১১৫টি হাদীছ শরীফ দ্বয়ীফ সাব্যস্ত করেছেন।
হাদীছ শরীফ বিশেষজ্ঞ আলিম উনারা ছহীহ আবু দাউদ, ছহীহ তিরমিযী ও ছহীহ নাসায়ী শরীফ-এর বহু হাদীছ শরীফকে দ্বয়ীফ বলেছেন।
হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা হযরত ইমাম আবু দাউদ রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও ইমাম নাসায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের বর্ণিত হাদীছ শরীফকে দ্বয়ীফ বলেছেন। পক্ষান্তরে উক্ত তিন ইমাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও ইমাম মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের বর্ণিত হাদীছ শরীফকে দ্বয়ীফ বলেছেন।
উপরের আলোচনা থেকে প্রতিভাত হলো যে, বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফসহ ছিহাহ সিত্তাহ’র সমস্ত হাদীছ শরীফই ছহীহ নয় বরং উক্ত প্রতিটি কিতাবে দ্বয়ীফ হাদীছ শরীফও রয়েছে। এছাড়া আরো প্রতিভাত হয়েছে যে, কেবল ছিহাহ সিত্তাহই হাদীছ শরীফ-এর ছহীহ কিতাব নয়। ছিহাহ সিত্তাহ ব্যতীত আরো ৫০টিরও বেশি ছহীহ কিতাব রয়েছে।
মূল কথা হলো, আমাদেরকে হাদীছ শরীফ মানতে হবে বা পালন করতে হবে। আমাদের জন্য তা ফরয ওয়াজিব। তা যেখানেই থাকুক না কেন। শুধু ছিহাহ সিত্তাহর মধ্যে থাকলে মানতে হবে; অন্য কোন কিতাবে থাকলে মানা যাবে না এটা সুস্পষ্ট গোমরাহী ব্যতীত কিছু নয়।

৮টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×