সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে যত হারাম সংঘটিত হচ্ছে এর সাথে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িত ১ লক্ষের ও কমসংখ্যক লোক।
টিভি, সিনেমা, নাটক, যাত্রা, খেলা-ধুলা, মদের ব্যবসা, সুদ, চোরাচালান, মাদক, পাচারকারী, অবৈধ মজুদদার, অবৈধ হোটেল ব্যবসা ইত্যাদি হারাম কাজের মদদ যোগায় এ অল্পসংখ্যক লোক। এদের জন্য কোটি কোটি লোক হারামে নিমজ্জিত থাকবে তা কখনো হতে পারে না। কারণ এদেশ মুসলমান প্রধান দেশ। এদেশের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ইসলামী আবহ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। অথচ প্রায় সকলেই হারামের মধ্যে ডুবন্ত। নাউযুবিল্লাহ!
টি. ভি. চ্যানেল:
সংগৃহীত জরিপ অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি টি.ভি চ্যানেলের সাথে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে প্রায় ৭,১৩৮ জন লোক জড়িত। এদের মধ্যে পেশাদার-অপেশাদার অভিনেতা-অভিনেত্রী, নৃত্য শিল্পী, প্রযোজক, পরিচালক, সংগীত শিল্পী, সংগীত পরিচালক, ক্যামেরাম্যান ইত্যাদি এবং সহযোগী অন্যান্য গোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত।
উল্লেখ্য, সারা বাংলাদেশের পাড়ায়, মহল্লায়, বাড়িতে বাড়িতে এ হারাম টেলিভিশন প্রবেশ করেছে। জরিপে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন প্রায় ২৩টি চ্যানেল চালু রয়েছে। ভারতীয় চ্যানেলসহ অন্যান্য চ্যানেলগুলোও ডিশ কানেকশনের মাধ্যে সহজেই দেখতে পাচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ!
টি.ভি. চ্যানেলগুলোর কুফল ও কুপ্রভাব সমাজে এত বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, প্রত্যেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের নৈতিকতা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকিত।
আর টি.ভি. চ্যানেলের মূল ভিত্তি ছবি হওয়ার কারণে ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিকোণ থেকে এটা কেনা, বেচা, দেখা, রাখা সম্পূর্ণ হারাম ও নাজায়িয।
টি.ভি চ্যানেল থেকে শিশু, কিশোর থেকে শুরু করে সমাজের সর্বপর্যায়ে যা চর্চা হচ্ছে, তা হলো: বেপর্দ-বেহায়াপনা, বিজাতীয় এবং কুফরী পোশাক, চাল-চলন রপ্ত করা, হারাম গান-বাজনা চর্চা, ফ্যাশনের নামে অশ্লীলতা-অশালীনতা, খুন-ছিনতাই ইত্যাদির অভিনব অপকৌশল, নারী অপহরণের অপকৌশল, নারী টিজিং, পরকীয়া ইত্যাদি। এর ফলে একটা সামাজিক সঙ্কট তৈরি হচ্ছে। এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কথিত প্রগতিবাদীরা ইসলাম বাদ দিয়ে বিভিন্ন সভা, সেমিনার, আইন করে। কিন্তু মুক্তি তো খুঁজে পায় না। (চলবে ইনশাআল্লাহ)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




