মহামন্দার পূর্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই ছিল একমাত্র সুপার পাওয়ার। অস্ত্র আর অর্থের গরমে যা ইচ্ছা তাই ব্যবহার করেছে অন্য দেশসমূহের সাথে। তাদের তৈরি জাতিসংঘের নির্দেশ উপেক্ষা করে অন্যায়ভাবে একটি সার্বভৌম দেশের উপর নেকড়ে বাঘের ন্যায় ঝাঁপিয়ে পড়ে লুটতরাজ, হত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। দেশগুলো হলো আফগানিস্তান ও ইরাক। এই অপকর্মের সহযোগী ছিল অন্য সব ইহুদী-নাছারা ও মুশরিকদের দেশ। এটা কি সন্ত্রাস নয়। যে আল কায়েদা ও লাদেনের দোষ দিয়ে মুসলমানদের উপর যুলুম ও অত্যাচার চালায় সেই লাদেন ও আল কায়েদা কিংবা তালেবান কাদের সৃষ্টি? বিশ্ববাসীর জানা রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই তালেবান ও আল কায়েদা যুক্তরাষ্ট্র তৈরি করে এবং আজও তারাই এই বাহিনী সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করে। বাকি সব উঁচুমানের অভিনব অর্থ, অস্ত্র এবং ট্রেনিং দিয়ে এই বাহিনী তৈরি করা হয়। আজও এই বাহিনীর ট্রেনিং, অর্থ ও অস্ত্র মার্কিনিরাই দিয়ে থাকে। তা না হলে কি করে আল কায়েদা বিশ্বের তথাকথিত একমাত্র সুপার পাওয়ারের সাথে লড়ে যাচ্ছে। কোত্থেকে আসে যুদ্ধের ব্যয়ভার অথবা অস্ত্র। মিথ্যার উপর ওদের জন্ম ও জীবন-মৃত্যু। এটা ওদের পুরান কৌশল। সুতরাং বর্ণিত ঘটনা প্রবাহে কে সন্ত্রাস আল কায়েদা না তাদের পৃষ্ঠপোষক যুক্তরাষ্ট্র?
পাঠক! আপনাদের চিন্তার কিছু খোরাক দিতে চাই। নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ার ধ্বংসের সময় কোনো ইহুদী মারা যায়নি, এর রহস্যটা কি? ইরান ইরাক যুদ্ধের ৮ বছর কে বা কারা ইরানকে অস্ত্র বা অস্ত্রের যন্ত্রাংশ সরবরাহ করেছে? ইরানীরা আমেরিকার সরবরাহকৃত অস্ত্র দ্বারা এবং ইরাক রাশিয়ার অস্ত্র দ্বারা যুদ্ধ করেছে। এখন প্রশ্ন এই দীর্ঘ যুদ্ধের ইরানকে কে আমেরিকান অস্ত্র ও যন্ত্রাংশ সরবরাহ করেছে। অবাক হবেন না, অনেক চড়া দামে ইসরাইল এসব যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে বিপুল অর্থ কামিয়ে নেয়। পাশ্চত্যের এই শকুনদের কার্যকলাপ সহজে বুঝা যাবে না। তাই মুসলমানদের এই কাফিরদের কার্যকলাপ সঠিকভাবে নজরদারি করতে হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




