প্রিয়,
সেই কবে থেকে তুমি বলছ প্রতিদিন যেন তোমাকে কিছু লিখি, জানিয়ে দেই কেমন আছি- কিন্তু আর লেখা হয় না তোমায়। যাও, আজ শুরু করে দিলাম। তোমাকে তো বলা হয়নি- আমি এখন আর বাসায় থাকি না। চলে এলাম হোষ্টেলে। কি? অবাক হয়েছ তাইনা? নাহ, ভয়ের কিছু নেই, আমি ভালো আছি এখানে। আমার পাশে বসে বসে এখন তোমাকে লেখা চিঠি পড়ে ফেলছে কেয়া। হা হা! ও অনেক ছোট কিন্তু দুস্টু বটে! কেয়া খুব ভালো রাঁধে, আমার অনেক হিংসে হয়, আমি তো কিছু পারি না। আর আমার রুমে আগুন আপা থাকে! ও খুব বেশি উপদেশ দিয়ে দিয়ে আমাদের সবার মাথায় আগুন ধরিয়ে দেয় বলে ওর এই নাম রেখেছি আমরা। আর সুইটি আপু আমাকে ইয়াম্মি একটা চকলেটও খাইয়েছে আজ। আমার পাশের ঘরটায় সাকি আপু থাকে। ও যখনই এরুম ওরুম ঘোরে আমার দিকে চোখ পড়লেই কি যে মিষ্টি হাসি দেয় কি বলবো! সব মিলিয়ে অনেক মজার কাটছে দিনগুলো। তুমি আবার ক্ষেপে গেলে নাতো? এতো ভালো আছি বলে ভাবছো তোমাকে ভুলে গেছি? একদম না। আমি গতকাল ”ব্যান্ড বাজা বারাত” দেখলাম। ভালো লেগেছে। কিন্তু ভালো লাগছে না অফিস। অফিসের খুব প্রিয় একটা মানুষ এখন আমার দু চোখের বিষ। ওই লোকটাকে রোজ সহ্য করতে হয় বলে ভালো লাগেনা অফিসটা। আর অফিসের তামান্নাকে আমার খুব ভালো লাগে। ওকে অফিসের অন্য মেয়েরাও পছন্দ করে সেটা আমার সহ্য হয়না। আমি অনেক হিংসুটে এখনো। কাল তোমাকে আবার লিখবো। আজ ঘুমিয়ে পড়ি? তুমিও ঘুমাও।
তোমারই-
আমি