somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি'র রবী-বাউল ও কিছু কথা

১২ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৫:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



গল্পগুচ্ছের রবীন্দ্রনাথ নামে জমিদার । ছত্রধারী এক রাজপুত্র বলেও মনে হয় । ধারণা করা যেতেই পারে, লোকটি পাইক-পেয়াদা দ্বারা পরিবেষ্টিত । রাজস্ব আদায়ে খুব হিসেবি । রাজস্ব আদায়ে একটু হেরফের হলেই হিংস্র আর দয়ামায়াহীন হয়ে ওঠেন । পদ্য লেখা, গদ্যে হাত দেয়া এসব বুঝি গ্রাম জীবনের মুহূর্ত গুলোকে নির্বাসিত দেবার জন্য করা ! ঊনবিংশ শতাব্দীর জমিদারদের চরিত্র এমন-ই ছিল । খাজনা দিতে না পারলে কাচারিতে ডেকে সীমাহীন নির্যাতন করা । নারী-লোলুপতা, নর্তকী বিলাস, টাকা আদায় করে বাহিরে বাতাস খেতে বের হতে যাওয়া এসব ছিল জমিদারদের চাল-চরিত । কিন্তু শিলাইদহ আসার পর তো বটেই, কলকাতায় বসবাসকালীন রবীন্দ্রনাথ ছিলেন এসব জমিদার সুলভ আচরণ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একজন মানুষ, প্রকৃতপক্ষে তিনি জমিদার পরিবারে বেড়ে ওঠা একজন সন্ন্যাসী । ১৮৮৯ সালের শেষভাগে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে আসেন । রবীন্দ্রনাথ কেমন ছিলেন তার একটা বর্ণনা শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে পাওয়া যায়-

“ একজন রাজপুত্র জন্মেছিলেন এখানে । আমরা কেউ তাঁকে দেখি নি । শুনেছি তাঁর গায়ের রং কনক চাপার আভা । আর সে কি চেহারা ! ছ’ফুটেরও বেশি দীর্ঘ শরীর, হাতে কব্জি যেন পাঠানের । গায়ে আঙরাঙ্গা, শুভ্র দাড়ি যেন সূফী তাপসের ললাট কী দিব্য জ্যোতিষ্মান। ”


শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি রবীন্দ্র স্মৃতিবিজরিত একটি ঐতিহাসিক স্থান ও পর্যটন কেন্দ্র । কুষ্টিয়া শহর থেকে ১০-১২ কি.মি হবে হয়তো । ঐতিহাসিক পর্যটনকেন্দ্র বলা হলেও বাস্তবে তা সংরক্ষণে তেমন কিছু চোখে পড়ে নি, ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে বাঙ্গালির ভূমিকা লবডঙ্গা তাঁর প্রমাণ এখানেও পেয়েছি ।

বন্ধুদের সাথে মজা করতে যাবার কারণে কোন নোট নিতে পারি নি তবে হাতের মোবাইলটায় অনেক কিছু ধারন করতে সক্ষম হয়েছি মূলত ধারণকৃত বিষয়বস্তুই আমার এই লেখার উপজীব্য ।

শিলাইদহ নামটি আধুনিক পূর্বে এর নাম ছিল খোরশেদপুর । উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে কোলকাতা জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার এই গ্রামটি কেনার আগে এখানে একটি নীলকুঠি ছিল । শেলী নামের একজন নীলকর এটি নির্মাণ করেন বলে জানা যায় । গড়াই এবং পদ্মা নদীর মিলিত প্রবাহের ফলে সৃষ্ট গভীর একটি ‘দহ’ ( ঘূর্ণিস্রোত) থেকে গ্রামটি শেলী-দহ নামে পরিচিতি লাভ করেছিল । কালক্রমে তা শিলাইদহ-এ পরিণত হয় । ১৮০৭ সালে রামমোচন ঠাকুরের উইল মতে রবীন্দ্রনাথের পিতামহ দ্বারকানাথ ঠাকুর এ জমিদারির মালিক লাভ করেন এবং ১৮৮৯ সালের নভেম্বরে রবীন্দ্রনাথ জমিদারী দেখাশুনার জন্য শিলাইদহ আসেন ।

শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথ প্রথমেই গ্রামোন্নয়ন ও আধুনিক পদ্ধতির চাষাবাদ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন, পরে পতিসরে তিনি যার বাস্তব রূপ দেন । তিনি জমিদারী থেকে আসমানদারি করেছেন বেশি । জমিদারীর নিরস ও নিষ্ঠুর কাজগুলির চেয়ে সাধারণ মানুষের চিন্তন মননের সন্ধান করেছেন বেশি । শিলাইদহের প্রজাদের সাথে রবীন্দ্রনাথ কেমন ছিলেন তাঁর একটা নিদর্শন কুঠিবাড়ি পাওয়া যায়ঃ-

“পল্লীর সাধারণ মানুষ থেকে রবীন্দ্রনাথ দূরে ছিলেন-তাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে তিনি অজ্ঞ ছিলেন । নাগরিক জীবনে তিনি দূর থেকে দেখতেন- এদের কথা তিনি দূর থেকে শুনতেন । রবীন্দ্রনাথ কর্মযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়ে এদের কাছাকাছি এসে পড়েন- সাধারণ মানুষও তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায় । তিনি সাধারণ মানুষকে চোখ মেলে দেখতে পেলেন-অসহায় অজ্ঞ মানুষকে পর্যবেক্ষণ করে তাদের জীবন বৃত্তান্ত শুনে আকুতি জানালেন । ‘পৃথিবীর জল যখন শুকিয়ে যায় তখন এরা কেবল কাঁদতে জানে’ ।”

কবিগুরুর শিলাইদহ নিয়ে যখন লিখছি বাউল রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে না লিখলে এ লেখাটি একেবারেই নিরর্থক হয়ে যাবে । বাঙ্গালির জীবনের এমন কোন শাখা নেই সেখানে কবির পদধূলি পড়ে নি । কবির একান্ত চৈতন্যের মধ্যে তিনি বাঙ্গালির মননের সন্ধান করেছেন সেই অনুসন্ধানী দৃষ্টির মধ্যে বেশ বড় পরিসরে ধরা পড়েছে বাউলের জীবন ও সাধনা । বিশেষ করে তিনি নিরীক্ষণ করেছেন তাদের যাপিত জীবন । সেই সঙ্গে তাঁকে আকৃষ্ট করেছে বাউলের সাধন সঙ্গীত । কবির মধ্যে যে উদাসীনতা ভাব ছিল তা প্রতিনিয়ত তাঁকে তাড়িত করেছে বাউল গানে । আপ্লুত কবি বাউলদের সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন-

“বাউলের গান শিলাইদহে খাঁটি বাউলের মুখে শুনেছি ও তাদের পুরাতন খাতা দেখেছি , নিঃসন্দেহে জানি বাউলগানে একটা অকৃত্রিম বিশিষ্টতা আছে, যা চিরকেলে আধুনিক । আমার অনেক গান বাউলের ছাঁচের, কিন্তু জাল করতে চেষ্টাও করি নি , সেগুলি রবীন্দ্র-বাউলের রচনা । ”

কবি শিলাইদহে আসার পর থেকে বাউল ফকিরদের সাথে পরিচিত হতে থাকেন । প্রথমে তিনি শিলাইদহ পোস্ট অফিসের পিয়ন গগণ হরকরা (গগণ দাস) –এর গানের প্রতি আকৃষ্ট হন । তাঁর রচিত গাওয়া গান-

“কোথায় পাব তারে / আমার মনের মানুষ যেরে”

এই গানে মুগ্ধ হন । কেবল মুগ্ধ হয়েই ক্ষান্ত হননি । আমাদের জাতীয় সঙ্গীত “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি” এই বাণীর সাথে গগণের গানের সুর যোজনা করেন । গগণ ঠিক যেই সুরে তাঁর মনের মানুষের গান গেয়েছিলেন কবি ঠিক একই সুর দেন সোনার বাংলায় ।


কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৮৯ সাল থেকে প্রায় এক দশক শিলাইদহে অনিয়মিত ভাবে অবস্থান করেন । তাঁর অবস্থানকালে শিলাইদহে স্যার জগদীশচন্দ্র বসু, দিজেন্দ্রলাল রায়, প্রমথ চৌধুরী, মোহিতলাল মজুমদার সহ অনেক বিখ্যাত বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবী শিলাইদহে আসেন । এই কুঠিবাড়ি ও পদ্মা বোটে বসে রচিত হয় রবীন্দ্রসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফসল সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালি, কথা ও কাহিনী, ক্ষণিকা, নৈবেদ্য ও খেয়ার অধিকাংশ কবিতা, পদ্মাপর্বের গল্প, নাটক চিরকুমার সভ্য, অচলায়তন, চিত্রাঙ্গদা, উপন্যাস- চোখের বালি, ঘরে-বাইরে, চতুরঙ্গ, গোরা, পত্রাবলী , গীতাঞ্জলী ও গীতিমাল্যের গান উল্লেখযোগ্য ।

এখানে বসেই কবি গীতাঞ্জলীর ইংরেজি অনুবাদ শুরু করেন যা ১৯১৩ সালে তাঁকে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কারের সম্মান এনে দেন । শিলাইদহ ও পদ্মার প্রতি কবির ছিল গভীর অনুরাগ , ছিন্নপত্রাবলীতে যার প্রমাণ আছে । কবি জীবন সায়াহ্নে এক চিঠিতে লিখেছেন -

“আমার যৌবন ও প্রৌঢ় বয়সের সাহিত্যরস-সাধনার তীর্থস্থান ছিল পদ্মা প্রবাহচুম্বিত শিলাইদহ পল্লীতে ।”

“ বাস্তবিক, আমি পদ্মা নদীকে ভালোবাসি, আমি যখন শিলাইদহ বোটে থাকি, তখন পদ্মা আমার কাছে স্বতন্ত্র মানুষের মতো ।” [ছিন্নপত্র]

“আমি এখন বোটে । এ যেন আমার নিজের বাড়ি । এখানে আমিই একমাত্র কর্তা । এখানে আমার উপরে আমার সময়ের উপরে আর কারও কোন অধিকার নেই ।” [ছিন্নপত্র]

“ এই সর্বনাশী পদ্মার ডাকে খোকাবাবু যখন সাড়া দেয় তখন হতবুদ্ধি রাইচরনের অসহয়তাও তীব্রতর হয় ।” [খোকা বাবুর প্রত্যাবর্তন]


"বাস্তবিক আমি পদ্মাকে ভালোবাসি । এখন পদ্মার জল অনেক কমে গেছে । বেশ স্বচ্ছ কৃশকায়া হয়ে এসেছে,একটি পাণ্ডুবর্ণ ছিপিছিপে মেয়ের মতো, নরম শাড়িটি গায়ের সঙ্গে বেশ সংলগ্ন । সুন্দর ভঙ্গিতে চলে যাচ্ছে, আর শাড়িটি বেশ গায়ের সাথে বেঁকে বেঁকে যাচ্ছে ।”

পদ্মা কবিতায় কবি লিখেছেন-
“ হে পদ্মা আমার,
তোমায় আমায় দেখা শত শত বার ।”

রবীন্দ্র সাহিত্যের একটি বড় অংশ রচিত হয় শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিতে । গল্পগুচ্ছের রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্র বাউল, উপন্যাসিক রবীন্দ্রনাথ, নাট্যকার রবীন্দ্রনাথ কোন কিছুই থেমে থাকে নি জমিদারীর জন্য । কবিগুরুর স্ত্রী মৃণালিনীও শিলাইদহ কুঠি বাড়ি কে খুব ভালবাসতেন চারিদিকে ফুলের বাগান, আম-কাঁঠালের বাগান, পুকুর ঘাঁট তাঁর প্রমাণ রেখে গেছে । কবিগুরুর সাইজি প্রেম , সাইজির গানের খাতা সংরক্ষণ, তৎকালীন পত্রিকায় লালন সাইজির গান প্রকাশ সাহিত্য জগতে রবি বাউল কে আমাদের মাঝে নতুন করে নয় বরং অন্য এক রবীন্দ্রনাথকে পরিচয় করিয়ে দেয় । লেখাটি শেষ করতে ইচ্ছে করছে না মনে হচ্ছে আরও লিখি অনেক কিছু বাদ পড়ে যাচ্ছে । কবি গুরুর “অনন্ত জীবন” কবিতার চারটি লাইন দিয়ে আমার ভ্রমণ পর্ব শেষ করছি-

“অধিক করিনা আশা, কিসের বিষাদ,
জনমেছি দু দিনের তরে-
যাহা মনে আসে নেই আপনার মনে
গান গায় আনন্দের ভবে ।”







#মোহাঃ রাকিবুল ইসলাম
শিক্ষার্থী আইন বিভাগ,
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×