ডিজিটাল সময় সকাল ৭ টায় মোবাইলে এলার্ম বাজল। নামাজ যদিও সাড়ে আটটায় আগেই এলার্ম সেট করেছিলাম, উঠি উঠি করে উঠতে যে সময়টুকু লাগে সেটা হাতে রেখেই। ফির্নি জর্দা আর চা খেয়ে মসজিদে ঢুকে গেলাম। লম্বা খুতবা, তারপর নামাজ, তারপর দোয়া দূরুদও শেষ হল। খুতবা শুরুর সাথে সাথেই অল্পস্বল্প বৃষ্টি দেখা গেল। হালকা বৃষ্টির ঈদের দিন ভালই লাগে, তাই খুশিও হলাম। প্রায় আধঘন্টা পড়ে নামাজ মোনাজাত শেষ করে দেখি বৃষ্টি হালাকা নাই ভারী হয়ে গেছে। লোকজন মসজিদ থেকে বের হয় না, আমিও বসে থাকলাম। দশ মিনিট, বিশ মিনিট করে আধ ঘন্টা যায় বসেই আছি বৃষ্টি কমে না। ভাবলাম, মসজিদের পেছনের দিক হতে বের হয়ে দাড়াই রিক্সা নিয়ে বাসায় যাব। দাঁড়িয়ে আছি, আমি শুধু না আরো অনেকেই। রিক্সা খুব কম, যা আছে লোকসহই আছে। কি আর করা শুধু তীর্থের কাকের মত রিক্সা খোজা আর বৃষ্টি থেকে নতুন জামা কাপড় বাঁচানো। সময়ের সাথে বৃষ্টি আরো জোরেই ঝরছে।
আর কতক্ষণ!!! রিক্সাও পাব না, পেটেও ক্ষুধা, প্লাস বিরক্তি। অগ্যতা উপায় না দেখে পা বাড়িয়ে দিলাম। নিমিশেই চুপচুপা। গলির মুখে পৌছে দেখি, প্রবাহমান নদী। এভাবেই বাসায় পৌছানো। তারপর শুরু ডিজিটাল ঈদ। মোবাইলে, এসএমএসে, ফেসবুকে, মেসেঞ্জারে, টিভির রিমোট নিয়ে। বাসা থেকে বের হবার উপায় নাই। বিল্ডিংয়ের সিড়ি পর্যন্ত পানি। সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত নামবে না নিশ্চিত।
আজকের ডিজিটাল ঈদটা আসলেই জমছে না। দেখাযাক কাল কিছু করা যায় কি না!!!
আবারো সব্বাইকে য়ীড মুবারাক।