মহান দরবেশ শাহজালালের পবিত্র ধাম
পূণ্যভূমি জালালাবাদের নামে নাম
গত দেড়যুগ ধরে এ অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ
মানুষের হৃদয়ে সগৌরবে সমাসীন
যাদের যায়নি সে ছেড়ে, যাবেও না কোনদিন।
পত্রিকাতো দর্পন সমাজের
সাংবাদিকরা হলো জাতির বিবেক,
নির্ভীক, বস্তুনিষ্ট, সৎ সাংবাদিকতার
নীতি মেনে জালালাবাদের
সকল সাংবাদিক দৃঢ়চিত্ত, এক।জালালাবাদের দিন শুরু হয় ভোর থেকে
চলে গভীর রাত অবধি
দিনে তার নিস্তরঙ্গ শাস্তভাব দেখে
প্রাণবন্ত এ পত্রিকার চিত্রটি আসল
খুঁজে পাওয়া দায়, রাত্রে সে কর্মচঞ্চল।বার্তা বিভাগে বটবৃক্ষের মতো
আছেন ছায়া মেলে নির্বাহী সম্পাদক
আব্দুল কাদের তাপাদার,
আছেন সঙ্গী হয়ে আহবাব মোস্তফা খান চীফ রিপোর্টার,সিনিয়র সাংবাদিক মো: মুহিবুর রহমান
আইন আদালত রিপোর্টিংয়ে আছে অবদান,
একঝাঁক মেধাবী তরুণ সাংবাদিক
যাদের উদ্যম আর উচ্ছ্বলতায় চারদিক
একদিন হবে আলোকিত,
এই ভবিষ্যত বাণীতে আমি অতিশয় প্রীত।রিপোর্টারদের মধ্যে, অগ্রভাগে
যাদের নাম চলে আসে আগে
তারা জালালাবাদেরই অমূল্য সম্পদ,
অধ্যবসায়ী কামরুল ইসলাম,
সাহিত্যমনা মুনশী ইকবাল
সদ্য পুরস্কৃত খালেদ আহমদ
আরো আছেন পুরস্কারজয়ী আবু বকর সিদ্দিকী
যাদের মাঝে সম্ভাবনার শিখা জ্বলে ধিকি ধিকি।আছেন ফটোসাংবাদিক হুমায়ূন কবীর লিটন
ট্যুরিস্ট ক্লাব নিয়ে কম নয় তার প্রতিশ্রুতি, পণ।
প্রুফ রীডার দাইয়ান চৌধুরী, কাজে যার
জুড়ি মেলা সিলেটে ভার,
আগাগোড়া সজ্জন, কম্পোজে দক্ষ পান্না লাল রায়,
নিষ্ঠাবান জুনেদ আহমদ ইমরান আর আব্দুল লতিফ চৌধুরী
তাদের কারোরই অবদান কখনো কি অস্বীকার করা যায়?সকলের প্রিয় পেইস্টার ‘জানুভাই’ জানুমিয়া
পত্রিকার সাথে দীর্ঘকাল ধরে
বাঁধা যার অন্তরাত্মা, হিয়া।অসুস্থ হলেও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
সহৃদয় আজিজুল হক মানিক
জালালাবাদকে সময় দিচ্ছেন এসে আজো খানিক,
আর আমি নিজাম উদ্দীন সালেহ সহকারী সম্পাদক হয়ে
কাজ করছি দীর্ঘকাল সকলের আবেগ আর ভালোবাসা নিয়ে।সি এম মারূফ আর নাজমুল হাসানের স্মৃতি
জালালাবাদে আজো অম্লান
আকঙ্গিক মৃত্যু এসে কেড়ে নিয়েছে যে তাজা দু’টি প্রাণ।উপজেলা প্রতিনিধি, মফস্বল সাংবাদিকগণ
জালালাবাদের শক্তি, সংবাদের উৎস চিরন্তন।প্রসন্ন দৃষ্টি দিয়ে, দিয়ে মমতা ও উপদেশ
পরিচালকমণ্ডলী সবাইকে ঋণী রেখেছেন অসীম, অশেষ।
ম্যানেজিং ডাইরেক্টর বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান
পত্রিকার জন্য তিনি যেমন অবিচ্ছেদ্য, তেমনি অন্তপ্রাণ।তারই পাশে আছেন সহযোগিতায়
কর্মকর্তাদ্বয় শফিকুর রহমান আর রশিদ আহমদ
ভোর থেকে রাত্রি অবধি দেয়া
তাদের শ্রম ও দক্ষতা পত্রিকার বিশেষ সম্পদ।
আরেকজন জালালাবাদের সাথে যার
দীর্ঘ শ্রম জড়িয়ে আছে, তিনি আনোয়ার,
যাদের সময় কাটে নিরন্তর ছুটোছুটি করে, খেটে ফরমায়েশ
সেই প্রিয় মুখগুলো বেশ-
রুমন, আবু ফাত্তাহ আর যে সবুজ
মনটা খারাপ হয় তাদেরকে না দেখলে রোজ।এইভাবে যাচ্ছে কেটে সুখ-দুঃখে
আনন্দে, প্রতিকুলতায়
দৈনিক জালালাবাদের রাত্রিদিন,
সকল পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে
ভালোবাসার যে অফুরন্ত ঋণ,
কখনো কি তা শোধ করা যায়?