somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার বন্ধু - শেষ পর্ব

১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ২:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(পূর্ব প্রকাশের পর - Click This Link)

ইচ্ছা ছিল সেতুকে নিয়ে আরও কিছু পর্ব লিখব, কিন্তু গতকাল সেতু সা.ই. এ ভিজিটর হিসাবে আমার সব পোষ্টসহ সংশ্লিষ্ট পোষ্ট ও কমেন্টগুলি দেখেছে এবং কয়েকটি মন্তব্য ওকে খুবই ক্ষুব্দ করেছে তাই ওর দেয়া অনুমতি প্রত্যাহার করে যাবতিয় পোষ্ট মুছে দিতে অনুরোধ করেছিল। দূর্ভাষীর অনেক চেষ্টার ফলে আপাতত পোষ্টগুলি থাকছে কিন্তু আজকের এই পোষ্টের পরে সেতুকে নিয়ে আর কোন পোষ্ট দেয়া যাবেনা বলে কথা দিতে হয়েছে। তাই সকল ব্লগারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থী। আজ এই শেষ পোষ্টে সেতুর পরিচয়টা দেয়ার চেষ্টা করবো।

সেতুর জন্ম ১৯৭৯ সালে, বাবা মার দ্বিতীয় সন্তান। ওরা দুই ভাই এক বোন, বোনটি সবার ছোট। বাবা ব্যবসায়ী ছিলেন, মা গৃহীনী, বড়ভাই পরবর্তীতে ব্যবসায়ী।

বাংলাদেশের একটি গ্রামে ওর জন্ম। শৈশব কেটেছে গ্রামে। গ্রামের আলো বাতাসে বেড়ে ওঠা সেতু গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায় এবং গ্রামের হাই স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেনীতে ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পাস করে। উপজেলা সদরের বেসরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তী হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় পড়াকালীন সময়ে একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে বাঁধা পড়ে এবং দু'জনেই এ সম্পর্ককে পড়াশুনার উন্নতির পথ হিসাবে বেছে নেয়। পড়াশুনার ব্যাপারে এক অপরকে আন্তরিকতার সাথে সহযোগীতা করতো, বিষয়টি ওদের দুই পরিবারই জানত এবং সেতুর জনপ্রিয়তা, ভবিষ্যত সম্ভবনা বিচার করে মেয়েটির পরিবার ওদের সম্পর্ককে সহজভাবে মেনে নেয় আর সেতুর পরিবার সেতুর মতামতকে খুব বেশী মূল্যায়ন করত।

কিন্তু ২০০৪ সালের দূর্ঘটনাটি ঘটে যাওয়ায় মেয়েটির পরিবারের কাছে সেতু রাতারাতি ভিলেন বনে গেল। কিন্তু মেয়েটি সেতুকে আরও বেশি সময় দিতে শুরু করে। মেয়েটির পড়াশুনা শেষ হলে সেতুর পরিবার থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব আসে ওদের বিয়ের, কিন্তু মেয়ের বাবা মা সেতুর াভিবাবকদের প্রচন্ড অপমান করে এবং মেয়েটি লুকিয়ে আমার মাধ্যমে সেতুর কাছে চলে আসে। কিন্তু মানুষ বাবে এক আর হয় আর এক, মেয়েটির চলে আসাতে আপত্তি করে বসে সেতু বরাবরের মত তার সেই যুক্তি - মা-বাবার মনে কষ্ট দিয়ে সে নতুন জীবন শুরু করবে না।

মেয়েটি এবং আমরা ওকে অনেক বুঝাই, কিন্তু সেতুর এক কথা, অবশেষে সেতু নিজে মেযেটিকে তার বাবা মায়ের কাছে দিয়ে আসে এবং মেয়েটির বাবা মা'র সামনে মেয়েটিকে বলে আসে যে সব কারনে তোমার বাবা-মা আমাকে তোমার অযোগ্য মনে করেছে সে সব কারন দূর করে যেদিন যোগ্য হয়ে আসতে পারবো সেদিন তোমার বাবা মার সামনে থেকে তোমার হাত ধরে তোমাকে নিয়ে যাবো, অবশ্য ততদিন যদি তুমি ধৈর্য ধরতে পারো। সেই থেকে মেয়েটি পথ চেয়ে বসে আছে সেতুর, আর সেতু কোন যন্ত্রনা ভোগ করছে তা বোধহয় পাঠক বুঝতে পারছেন।

না, সেতুর কোন রাজনৈতিক পরিচয় ছিলনা। সততা ও ন্যায় নিষ্ঠার পূজারী সেতু, মানুষ মাত্রেই ভূল আছে সেতুর ও আছে তবে সেটা খুব উল্লেখযোগ্য কিছু বলে মনে হয় না। আজ ও সেতু নিজেকে আরও যোগ্য করে তোলার সংগ্রামে লিপ্ত। ভালো পোষ্টে চাকুরী করছে, ভালো বেতন পাচ্ছে, কিন্তু ওর জ্ঞান পিপাসা আর ও বেড়ে চলেছে।

সর্বশেষ আসার সাথে যে কথা হয়েছে তা অনুযায়ী ও এখান থেকে মাস্টার্স করে তারপর বিয়ে করবে এবং তারপর স্বপরিবারে দেশ ছাড়বে বলে তার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।


ব্লগার বন্ধুরা, সেতু সম্পর্কে আর একটা কথাও লেখার অধিকার আমার নেই। আপনাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলাম না বলে দুঃখিত।

সেতু আমি জানি তুমি ব্লগে চোখ রাখছ, তোমাকে যদি ছোট করে থাকি তাহলে সেটা আমার প্রকাশ ভঙ্গির দূর্বলতা মাত্র, তুমি বন্ধু হিসাবে আমাদের কাছে অদ্বিতীয় এবং তোমার আসন আজীবন অমলিন। তারপর ও ভূল চুকের জন্য ক্ষমা প্রার্থী।

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০০৮ রাত ২:২৭
১২টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×