somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ULAB ভার্সিটির ঘটনার কিছু তথ্য

১২ ই মে, ২০১২ রাত ১২:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমেই সর্বনাশা র ব্লগে করা আমার কমেন্ট
---------------------------------
ঘটনার সম্পূর্ণ স্বাক্ষী। আমি নারী কন্ঠের চিৎকার শুনে এগিয়ে যাই। দুজন কে দৌড়াতে দেখি। পিছনের জন ধরা পরে ULAB এর সামনে। সামনের জনকে আমিই মারতে মারতে নিয়ে আসি। খালি গায়ের ছেলেটার কাছে মারতে এসে দেখি সম্পূর্ণ ঘুরে গেছে। পিছন থেকে পিঠে খামচে ধরার পর দেখি সবাই তার পক্ষে কথা বলছে। আসলে আপনি এক্সাইটেড হয়ে গেছিলেন। কিছু না মনে করলে বলি , আরেকটা সমস্যা ছিল আপনার সঙ্গের ভদ্র মহিলাটি সম্ভবত চিতকার করে থামতে বলছিলেন আপনাকে।
পান দোকানদার ছেলেটাকে নিয়ে যাওয়ার সময় আমার সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। আসলে লোকজন আপনার পক্ষেই ছিল, দুই একজন, স্পেশালি ওই দোকানদার টা ঝামেলার মূল। মানুষ কিছু বুঝে ওঠার আগে সে তাকে নিয়ে যায়।
আমি এতটাই রেগে গিয়েছিলাম যে আপনার contact number নেয়ার জন্য আমি ফিরে আসি। এবং সঙ্গে কিছু 'পোলাপান' আনতেই আমার দেরি হয়। এসে আপনাকে বা চা দোকানদার কে কাউকেই পাইনি ।
----------------------------------------------

১। কিছু সংশোধনী - দোকানদার ছেলেটা পানের দোকানদার না, ULAB এর পাশেই (হাক্কানী মসজিদের গলিতে ) পুরি-পিয়াজুর দোকানদার। ছেলেটা শুকনা করে , মাথার মাঝখানে সিথি করা নেশাখোর দের মত দেখতে। সম্ভবত ঝিগাতলা ধোপা-পারার বাসিন্দা। আমি আজকে ওর খোজে ULAB এর সামনে তিনবার লোক পাঠিয়েছি যারা ওকে অন্তত চেহারায় চিনে। কিন্ত সম্ভবত আজকে সে আসেনি। নাম জানার অনেক চেস্টা করেছি , পারিনি।

২।ULAB কর্তৃপক্ষ আজকে খোজ-খবর নিয়েছে এ ব্যাপারে, আমি আজকে অফিস থেকে ফেরার পর পরিচিত দোকানদারদের কাছ থেকে জানতে পারলাম।

৩। যারা কোন action এ যেতে চান , আপনাদের প্রথম target হওয়া উচিত দোকানদার। ওকে ছারা খোজ বের করা অসম্ভব, আমি এই জায়গায় আড্ডা মারি যখন এখানে পিজ্জা ইন নামের দোকান ছিল তখন থেকে। আমি অন্তত ULAB এর কমন ছেলেদের চেহারায় চিনি। এই ছেলে এমন কেউ না। এমনকি সামনের যে ছেলেটা (কালো গেঞ্জি বা শার্ট পরা) দৌড়ে পালাচ্ছিল (ওকে আমিই মারতে মারতে নিয়ে আসি, সম্ভবত ও ই মার খেয়েছে সবচে বেশি অথচ আসল দোষী হয়ত বেচে গেছে) তাকেও কখনো আমার চোখে পরেনি।

৪| ঘটনা টা হয়ত সর্বনাশা ভাইয়ের পক্ষেই মোড় নিত, কিন্তু উনি একেত খুব এক্সাইটেড ছিলেন (এটাই স্বাভাবিক) আর উনি যখন বার বার কথা বলতে বা ছেলেটাকে ধরতে এগিয়ে আসছিলেন ততবার ওনার সাথের ভদ্রমহিলা ওনাকে থামানোর চেষ্টা করছিলেন। তৃতীয় পক্ষ হিসেবে দেখেলে মনে হবে এতে ঘটনার গুরুত্ব কমে গেছে। ফলে ঘটনাটা এমন হয়েছে যে সম্পুর্ন ঘটনা মানুষ বুঝে উঠার আগে ছেলেটাকে মাত্র দুই একজন সরিয়ে নিয়ে যায়। এমনকি সম্পুর্ণ ঘটনা আমি ওনার মুখ থেকে শুনি ঘটনার শেষ পর্যায়ে, (ভাই আপনি যখন হাত দিয়ে দেখাচ্ছিলেন, তখন আমি নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি) শোনামাত্র আমি এলাকার ছেলেদের নিয়ে আসি, কিন্তু তখন সর্বনাশা ভাই, দোকানদার বা ওই ছেলে কাউকেই পাইনি।

৫। ঘটনার শেষ পর্যায়ে আমার সাথে তার হাল্কা কথা কাট-কাটি হয়, তার কথার মর্মার্থ ছিল তার মত ULAB এর ৪র্থ বর্ষের (সে সেমিস্টার বলেনি, বলেছে 4th year) সভ্য সুশীল ছাত্র কে আমি কেন তুই তোকারি করছি। সে সময় ঐ দোকানদার ই তাকে সরিয়ে নিয়ে যায়।

৬। আমি যদিও খুব ব্যাস্ত মানুষ, গতমাসে আমাকে ১৫-১৬ দিন অফিসে থাকতে হয়েছে, কিন্তু আমি ইনশাল্লাহ সেই দোকানদার এর নাম এবং ছবি দেয়ার চেস্টা করব। যদি সে দোকানে নাই আসে তাহলে দোকানের মালিক কে চাপ দিতে হবে প্রশাসনিক ভাবে। এখানে ভুল এপ্রোচ করলে ঘটনা হিতে বিপরীত হতে পারে।

আমার কাছ থেকে কোন সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমি অবশ্যই করব, হয়ত কমেণ্ট এর উত্তর দেয়া সম্ভব হবে না ব্যাস্ততার কারনে, আমি আসা করব সর্বনাশা ভাই তার contact number আমাকে দিবেন। আর সর্বশেষে বানান ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
৪৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×