somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বলা হয়নি ভালবাসি (পর্ব ০২)

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রেস্তুরেন্টে প্রথমে মেয়েটা একটু ইতস্ততঃ করছিল । বললাম “প্লিজ বি ইজি । আপনার ক্ষুদা লেগেছে । আপনি খাওয়া শুরু করন ।“
অনেক খিদে লেগেছিল মনে হয় । খাওয়া শেষ করে মেয়েটা বলল “আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । আমার আসলেই অনেক ক্ষুদা লেগেছিল । লজ্জা আর সংকার কারনে কাউকে কিছু বল বলতেও পারছিলাম না ।“
“ আচ্ছা এবার আপনার গল্প বলুন । ব্যাগ হারালেন ।“
মেয়েটা তার নাম বলল লিয়ানা ।
লিয়ানা !! বেশ সুন্দর নাম ।
লিয়ানা বলল “আমি এদিকে থাকি না । গুলসান-২ এ থাকি । এদিকটা ঠিক মত চিনিও না আমি ।“
“ তাহলে এদিকে কেন এসেছেন ?”
লিয়ানার খানিকটা অন্ধকার হয়ে আসল । বলল “আজ সকালে আম্মুর সাথে রাগারাগি করে চলে এসেছি । আসা উচিত্ হয়নি । এখন বুঝতে পারছি ।“
“ হু উচিত্ তো হয়ই নি । যদি অন্য কোন বিপদে পড়তেন ।“
“ এজন্যতো কাউকে বলতে ভরসা পাচ্ছি লাম না ।“
আমি বললাম “আপনি পথ হারালেন কিভাবে ?”
“ আসলে আমি ঢাকায় নতুন । অল্প কয়দিন হয়েছে ঢাকায় এসেছি । আগে চট্টগ্রামে থাকতাম । পথ ঘাট কিছুই চিনি না । আর সব সময় গাড়িতে চলা ফেরা করিতো তাই কিছুই চেনা হয়ে ওঠেনি । আজ সকালে আম্মুর সাথে রাগারাগি করে যখন চলে আসি তখন কিছুই ভাবি নি । ক্যাব নিয়ে ছিলাম । কি মনে করে এদিকে চলে আসলাম জানি না । আর সব সময় ব্যাগ গাড়িতেই থাকতো । ব্যাগ না নিয়ে কখন যে ক্যাব থেকে নেমে পড়েছি বুঝতেই পারি নি ।“
“ বাসার নম্বর কি মনে আছে ?”
“ হ্যা রোড নম্বর বাসা নম্বর মনে আছে । কিন্তু কিভাবে যাবো বুঝতে পারছি না ।“
আগেই বলেছি সুন্দর মেয়েদের কে তো সাহায্য করতেই হয় ।
“আমি আপনাকে নিয়ে যেতে পারি তবে একশর্তে !”
লিয়ানার মুখ কালো হয়ে গেল । ও ভেবেছিল আমি কি না কি চেয়ে বসবো !
“আমি আপনাকে বাসা পর্যন্ত পৌছে দিবো কিন্তু আপনি আমাকে আপনার বাসায় যেতে বলতে পারবেন না ।“
লিয়ানার মুখ থেকে কালো ছায়াটা ঝট করে কেটে গেল । সেখানে একটু বিশ্ময় দেখলাম ।
“কেন ? আপনি আমার এতো উপকার করছেন । তাহলে ?”
“ কারন আছে ।“
কেন যে কথাটা বললাম জানি না । কেবল মনে হল তাই বললাম । তবুও ওকে বাসায় নামিয়ে দেওয়ার সময় লিয়ানা অনেক অনুরোধ করল নামার জন্য । আমি নামলাম না । যোগেযোগ করার জন্য মোবাইল নাম্বর চাইল । তবুও ওকে দিলাম না । কেন দিলাম না তবুও জানি না ।
হাসলাম একটু বললাম “হয়তো আবার দেখা হতে পারে ! আথবা হবে না ।“
চলে আসলাম ।কেবল মনের মধ্যে চমত্কার এক অনুভূতি ছিল একটা চমত্কার মেয়ের সাথে কিছু সময় কাটানোর । কাহিনী এখানেই শেষ হতে পারতো । কিন্তু হল না ।
ঠিক এগারো দিন পর লিয়ানার ফোন এল ।তখন বেশ রাত । আমার নাম্বরে সাধারনত আননোন নাম্বর থেকে ফোন আসে না । তাই অপরিচিত নাম্বর দেখে খানিকটা বিরক্ত হলাম ।
“হ্যালো ।“
“ হাই !!”
খানিকটা চমকালাম । একে তো মেয়ে কন্ঠ তার উপর এতো আদুরে কন্ঠ । আর এতো আদুরে ভাবে হাই বলল যে মনে হল । “সরি কে বলছেন ?”
“ বলুন তো কে বলছি ।“
“ কাকে চাচ্ছেন বলবেন প্লিজ ।“
“ আমি আপনাকেই চাচ্ছি অপু হাসান ।“
আরো খানিকটা অবাক হলাম ।মেয়েটা আমার নামও জানে ।
‘আপনি কে ?” মেয়েটা হাসল । হাসির শব্দ শুনলাম ।
“আপনার কি মনে আছে ঠিক এগারো দিন আগে আপনি একটা মেয়েকে হেল্প করেছিলেন ?”
লিয়ানার কথা মনে তখন প্রায় ফিকে হয়ে এসেছে ।
“লিয়ানা ??”
“ যাক নাম মনে আছে তাহলে !”
আমি খুব অবাক হলাম । খুব বেশি হবাক হলাম ।
“আমার নাম্বার পেলেন কোথায় ?!”
“ বের করেছি ।“
“ কিভাবে ?’
“ তা না হয় নাই শুনলেন । বের করেছি এটাই বড় কথা । আমি বের চেয়েছি তাই পেরেছি । শুনুন কাল আমি আপনার সাথে দেখা দেখা করবো । আপনি না চাইলেও কিন্তু আমি দেখা করবই । কারন আমি আপনার সম্পর্কে পুরো খোজ খবর বের করেছি ।“
আমি আরো খানিকটা অবাক হই ।

(চলবে)
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×