somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার টিয়াপাখির কথা

১৮ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১১:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মনটা আমার বড় রোমান্টিক । বারবার শুধু প্রেমে পড়ে । কোন সুন্দর মেয়ে চোখের সামলে আসলেই হল , আমি টুপ করে তার প্রেমে পড়ে যাই । কিন্তু সমস্যা হল চোখের আড়াল হলেই সে মনের আড়াল হয়ে যায় । এমনই ক্ষনস্হায়ী আমার প্রেম । কিন্তু সব সময় আমার মন একই গতানুগতিক পথ অবলম্বন করবে তার কোন মানে নেই । তা করলও না । টিয়াপাখিকে প্রথম যেদিন দেখলাম যথারীতি তার প্রেমে পড়েই গেলাম । কিন্তু অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম চোখের আড়াল হবার পরেও টিয়াপাখি মনের আড়াল চলে গেল না । তার জল তরঙ্গের মত হাসিটা কিছুতেই ভুলতে পারলাম না । তার চোখ তার মুখ ঠোট নাক চুল কিছু আমি ভুলতে পারলাম না । ঐ দিন পুরোটা রাত আমি কেবল টিয়া পাখির কথাই ভাবছি । ভোর রাতের দিকে আমি ঘুমাতে যাই । ঘুমাতে যাওয়ার আগে বুঝলাম তার আগমন ঘটেছে । ঘুমানোর সময় এক অদ্ভুদ আনন্দে আমার সারা দেহ মন পুলকিত হয়ে রইল । পরদিন বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল টিয়া পাখিকে আবার দেখার জন্য । সকালবেলা প্রাইভেট পড়া ছিল । কিন্তু সকাল বেলার প্রাইভেট বিকাল বেলায় সিফট করে নিলাম । প্রতিদিন বিকাল বেলা পড়তে যাই টিয়াপাখি কে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখি । আর দীর্ঘ শ্বাস ফেলি । কল্পনাতে টিয়াপাখির সাথে কথা বলি । সরাসরি বলতে পারি না । পুরো একটা বছর এক সাথে ছিলাম । প্রায় প্রতিদিনই আমাদের দেখা হত । কিন্তু একটা দিনের জন্যও কথা বলতে পারি নি । কি যে সংকোচ ছিল মনের ভিতর । টিয়াপাখি খুব চঞ্চল ছিল । সবার সাথে খুব কথা বলত । কেবল কেন জানি আমার সাথেই কথা বলতো না । খুব কম আমাদের চোখাচুখি হত । কি অদ্ভুদ সেই চোখে চাউনি ছিল । আমার পুরো শরীর কেঁপে উঠত ।
তারপর এসএসছি পরীক্ষা চলে এল । পড়া শেষ ঐ স্যারের কাছে । তারমানে টিয়া পাখির সাথে ছাড়াছাড়ি ।পুরো দুইটা বছর টিয়াপাখির কাছ থেকে দুরে ছিলাম । খুব কম দেখা হত । বছরে দু এক বার ।
তারপর একদিন হঠাত্‍ করেই টিয়াপাখির সাথে যোগাযোগ হয়ে যায় । একেবারে হঠাত্‍ করে । আমি কখনও ভাবিও নি টিয়াপাখির সাথে আমার আবার দেখা হবে । কথা হবে । যোজাযোগ হবে । মনে পড়ে কি কাঁপা হাতে আমি টিয়াপাখির প্রথম এসএমএসটা খুলেছিলাম । একটা মাত্র লাইন ছিল । কি করছেন ? কত না মুঠোফোনে বার্তা পাঠাতাম । কিন্তু তখনও কথা বলার সাহস হয়ে ওঠে নি । আসতে আসতে কথাও বললাম । ওহ ! কি দিন না ছিল সেগুল !
তাও সে তিন বছর পার হয়ে গেছে আগের কথা । মনে হয় যেন এই তো সে দিনের । ভাবতেই অবাক লাগে টিয়াপাখির সাথে আমার তিন বছরের বেশি ধরে রিলেশন রয়েছে । এখন কার দিন আর তখন কার দিন !! কত পার্থক্য ! আমার এখনও মনে আছে রাতে কথা বলতে বলত কিভাবে হতাৎ করেই টিয়া পাখি কে প্রোপজ করে বসেছিলাম । করে মনে হল কি করলাম । ভালই তো চলছিল ।এখন যদি ও না করে দেয় ? তাহলে তো সব গেল । কিন্তু টিয়াপাখি সরাসরি কিছু বলল না । তবে কথা বন্ধ করল না । কথা চলতেই থাকল । তারপর একদিন সেই দিন এল । তখন রাত প্রায় তিন টা ।টিয়া পাখি স্বীকার করেই ফেলল যে সেও আমাকে ভালবাসে । এখন থেকে না সেই স্কুল জীনন থেকেই ।তার পর থেকে তো চলছেই আমাদের ভালবাসার নৌকা । আপনারা দোয়া করেন যেনসারা জীবন এভাবেই চলে । আমার টিয়া পাখি যেন কখনও আমার কাছ থেকে হারিয়ে না যায় !
আমার এই শততম পোষ্টে আমার জীবনের সত্যি কিছু কথা সবার সাথে শেয়ার করলাম । আমার টিয়াপাখির কথা বললাম । সবাই ভাল থাকবেন ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:৩০
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×