সকালের নাস্তার টেবিলে ইরা কে কেমন যেন গম্ভীর দেখলাম । আমি নাস্তা করছিলাম । ও চুপচাপ বসে ছিল । কিছু খাচ্ছিল না । বললাম
-কি ব্যাপার খাচ্ছ না কেন ?
-এখন খেতে ইচ্ছা করছে না ।
-এখন করছে না মানে কি ? অফিসে যাবে না ?
-আজকে ভাবছি অফিসে যাবো না ।
-কেন ? শরীর ভাল আছে তো ? জ্বর আসেনি তো ?
আমি ইরার কপালে হাত দিলাম ।
-না তেমন কিছুই হয়নি । এমনি ইচ্ছা করছে না ।
আমি নাসতা খেয়ে উঠতে যাবো এমন সময় দেখলাম ইরা আমার হাত ধরে বসাল । বলল
-কাল রাতে ঘটনার জন্য আমি সরি । খুব বেশি সরি ।
-না ঠিক আছে । কিন্তু ঠিক বুঝতে পারলাম না তুমি এমনটা কেন করলে ?
ইরা বলল
-তুমি জয়িতার সাথে কথা বলছিলে এটা আমার একদম সহ্য হচ্ছিল না । বারবার মনে হচ্ছিল আমার কাছ থেকে কি যেন হারিয়ে যাচ্ছে । মনে হচ্ছিল আমার কিছু একটা অন্য কেউ নিয়ে যাচ্ছে ।
বলতে বলতে ইরা বাচ্চা মেয়েদের মত কেঁদে ফেলল । চেয়ার থেকে উঠে ওকে জড়িয়ে ধরলাম । বললাম
-বোকা মেয়ে ! আমি তোমার হাজবেন্ড ! তোমার কাছ থেকে কে আমাকে নিয়ে যাবে বল ?
ইরা আমাকে আর একটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরল । যেন আমি কোথাও হারিয়ে যাচ্চি । ফোঁপাতে ফোঁপাতে বলল
-কিন্তু জতিয়াকে তো তুমি ভালবাসতে ।
-বাসতাম । ও তো আমার পাস্ট । আর তুমি আমার প্রেজেন্ট আর ফিউচার । তুমি কেন ওর সাথে নিজেকে তুলনা করছো ?
-আমি জানি না । তুমি আর ওর সাথে কথা বলবা না ।
-আচ্ছা বাবা বলবো না । আর জয়িতা অল্প কয়েক দিনের জন্য এসেছে । ও চলে যাবে । কেবল ভার্সিটির রিইউনিয়নের জন্য এসেছিল । আমি এবার অফিসে যাই ?
-আচ্ছা । ইরা একটু হাসলো ।
ইরাকে একটা মিথ্যা কথা বলতে হল দেখে একটু খারাপই লাগছে । ওকে বললাম যে জয়িতার সাথে আর দেখা করবো না । কিন্তু দেখা না করলে কিভাবে হয় ? গত কাল ওর সাথে ঠিকমত কথা হয় নি ।
আমি খুব ভাল করেই জানি জয়িতা কেবল আমার সাথেই দেখা করার জন্য দেশে এসেছে । ঘর থেকে বেরতে না বেরতেই জয়িতার ফোন ।
-বল ।
-তোমার হ্যালো না বলার অভ্যাসটা আর গেল না , না ?
আমি হাসলাম ।
-মন ভাল তোমার ?
জয়িতারও দেখছি অভ্যাসটা যাই নি । ও সব সময় ফোন করে আমাকে জিজ্ঞেস করত মন ভাল কিনা । যদি একবার ফোন রেখে ১০ মিনিট পরে আবার ফোন দিতাম তবুও এই প্রশ্নটা করতোই ও ।
একবার কি হয়েছে । ওর সাথে খুব ঝগড়া হয়েছে । একবার ঝাড়ি দিয়ে ফোন রেখেছি । কিছুক্ষন পর আবার ফোন দিয়েছি আরেক দফা ঝাড়ি দেবার জন্য । ফোন রিসিফ করেই জয়িতা খুব আদুরে গলায় বলল
-মন ভাল তোমার ?
এমনিতে আমরা একে অপরকে তুই করে বলতাম । কিন্তু মাঝে সাঝে ও আমাকে তুমি করে বলত । বিশেষ করে যখন আমি রেগে যেতাম ।
আমি আর কিছু বলতেই পারলাম না । এই মেয়েকে কি বেশি কিছু বলা যায় ?
-তোমায়ও তো অভ্যাসটা যায় নি ?
জয়িতা বলল
-তুমি আসছো তো ?
-হুম । আসবো না কেন ?
-না মানে , তোমার ওয়াফ পছন্দ নাও করতে পারে ।
-ইরা পছন্দ করবে না ।
-তবুও আসবে ?
-হুম আসবো ।
- কেন ?
-জয়ি ইরা আমার কাছে ইম্পর্টেন্ট । কিন্তু তুমিও আমার কাছে কম জরুরী না !
-আচ্ছা ! বুঝলাম । এসো তাহলে ! কেমন ? আমি অপেক্ষা করছি ।
আমি ফোন কেটে দিলাম । রিক্সাওয়ালাকে এলিফ্যান্ট রোডের দিকে যেতে বললাম । জয়িতার এক মামার বাড়ি ঐ দিকটায় । আপাতত জয়ি ওখানেই উঠেছে ।
আজ কতদিন পর জয়িতার সাথে দেখা করতে যাচ্ছি । প্রায় সাত বছর তো হবেই । আজ কতদিন পর ওর সাথে একটু কথা বলব ভালভাবে । আগে এমন কোন দিন ছিল না যে আমরা দেখা করতাম না ।
আমার এখনও খুব ভাল করে মনে আছে ওকে যেদিন প্রোপজ করি । ও খানিকটা অবাক হলেও নিজেকে সামলে নিয়েছিল । বলল
-দেখ আবীর ইটস নট ফানি ।
-আরে ফানির কি দেখলি ? তোকে প্রোপজ করেছি আমি ।
-ওয়েল দেন আই ক্যান রিজেক্ট ইউ ইফ আই ওয়ান্ট ।
-রিজেক্ট করেই দেখ !
জয়িতা কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থাকল । বলল
-তুই যেটা চাচ্ছিস সেটা সম্ভব না ।
- কেন সম্ভব না ? আমাকে তুই একটা যুক্তি যুক্ত কারন দেখা ।
-দেখ আবীর তুই কি জোর করে আমার মুখ থেকে হ্যা বলাবি ?
-প্রয়োজন হলে তাই ।
জয়িতা কি বলবে ভেবে পেল না । আমি বললাম
-তুই আমাকে রিফিউজ কেন করবি বল ? একটা কারন আমাকে দেখা ।
জয়িতা এবারও কোন কথা বলল না । কেবল আমার দিকে তাকিয়ে থাকল ।
-বল আমাকে অপছন্দ করিস ? বল । করিস অপছন্থ ?
জয়ি মাথা নাড়ল ।
-অন্য কাউকে ভালবাসিস ?
এবার ও মাথা নাড়ল ।
-আমি যদি অন্য কোন মেয়ের সাথে এঙ্গেইজ হই , তোর ভাল লাগবে ?
জয়িতা কোন উত্তর দিলো না ।
- কি কথা বলছিস না কেন ?
জয়িতা ক্ষীন গলায় বলল
-তুই কারো সাথে এঙ্গেইজ হলে আমার কি ?
- কি বললি তুই ? আমার কি ? তাহলে ঐ দিন তুই রেগে গিয়েছিলি ক্যান ?
-কোন দিন ?
-পহেলা বৈশাখের দিন । আমি তোকে বাদ দিয়ে নীলুর সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম । তুই রেগে গিয়েছিলি কেন ? পুরো এক দিন আমার সাথে কথা বলিস নি মনে আছে ।
-আহা রাগবো না ? আমি তোমার জন্য সেজেগুজে আসবো আর তুমি অন্য মেয়ের সাথে ঘুরে বেড়াবা !
-তাহলে ?
-তাহলে কি ?
-তুই কি বুঝতে পারছিস না নাকি বুঝতে চাচ্ছিস না ?
জয়িতা অন্য দিকে তাকালো । আমি হাত দিয়ে ওর মুখটা স্পর্শ করলাম । দেখলাম ওর চোখে পানি চলে এসেছে । ওর চোখের পানি মুছে দিতে দিতে বললাম
-জয়ি , তুই এমন কেন করছিস বলবি আমাকে ?
-আবীর প্লিজ একটু বোঝার চেষ্টা কর । এই সম্পর্ক কেবল কষ্টই দেবে । আর কিছু না ।
-আমি আর কিছু জানি না । আমি আজ রাত তোকে সময় দিলাম । তুই যদি কাল সকালের আগে আমাকে ফোন না দিস এবং……
বলে একটু থাকলাম । জয়িতা বলল
-এবং ?
-এবং তোর আনসার যদি পজেটিভ না হয় তাহলে দেখিস । আমি গেলাম ।
আমি জানতাম জয়িতা ফোন করবেই । রাত আড়াটার দিকে জয়িতার ফোন এসে হাজির ।
-কি করিস ?
-ছাদের উপর বসে আছি ।
-ছাদের উপর কি করিস ?
-জায়গা খুজছি ?
- কেন ?
-না কোন জায়গা থেকে লাফ মারবো তাই ঠিক করছি ।
-আবীর মার খাবি কিন্তু । তুই এক্ষনি রুমে আয় । এক্ষনি আয় ।
-আগে হ্যা বল ।
-আবীর প্লিজ রুমে আয় । প্লিজ ।
আমি হেসে উঠলাম । বললাম
-ভয় নাই । আমি রুমেই আছি । তোকে একটু ভয় দেখালাম ।
জয়িতা কোন চুপ করে থাকল । কথা বলল না । আমি বললাম
-কি হল কথা বলছিস না কেন ?
একটু কান্নার আওয়াজ পেলাম ।
-আরে কাঁদছি কেন ?
-তুই সব সময় আমাকে জ্বালাতন করিস । তুই জানিস না তুই আমার কাছে কি ?
-জানি তো !
-তাহলে এমন কেন করিস ?
-আই লাভ ইউ বল ।
জয়িতা হাসল ।
- তুই এতো বোকা কেন ? সব কথা কি বলার দরকার হয় ।
-না । তবুও বল ।
-আচ্ছা বাবা বলছি ।
জয়িতা একটু চুপ করল ।
জয়িতার বাসায় পৌছাতে পৌছাতে ঘন্টা খানেক লেগে গেল । আগে অনেক বার এসেছি এই বাড়িটার সামনে । জয়িতা প্রায়ই আবদার করতো ওকে বাসা থেকে নিয়ে যেতে । কিন্তু একটা ব্যাপার প্রায়ই হত । আমি যখনই ওর বাড়ির সামনে এসে হাজির হতাম ঠিক তখনই ওর ফোন আসতো আমার মোবাইলে । ফোন করে বলতো
-বেল বাজাবি না । আমি নামছি ।
আমার মনে হত ও আমার জন্য জানলা দিয়ে তাকিয়েই থাকতো । আমাকে বেল বাজানোর সুযোগ দিতো না । কিন্তু আজ আর ঐ রকম কিছু হল না । আমি কিছুটা সময় অপেক্ষা করলাম যদি ওর ফোন আসে ! শেষে নিজেই ফোন দিলাম ।
-চলে এসেছো ?
-হুম ।
-উপরে এসো । তিন তালার বা পাশের ফ্লাট । মনে নেই তোমার ?
আমার প্রতি ও আগে থেকেই আসক্ত ছিল কিন্তু হ্যা বলার পর থেকে আমি ছাড়া আর কিছু যেন বুঝতোই না । সেই সকাল বেলা থেকে আমাদের একসাথে পথ চলা শুরু হত দুপুর বেলা পর্যন্ত চলত । যে দিন মাত্র একটা ক্লাস থাকতো সেই দিনও পুরোটা সময় একসাথে থাকা চাই ।
ওর এমন আচরন করাটা হয়তো আমি বুঝতে পারতাম । জয়িতা তখন সিক্সে পড়ত যখন ওর বাবা মার ডিভোর্স হয়ে যায় । ও বাবা মা কারো কাছেই থাকে নি । সত্যি কথা বলতে ওর বাবা মা ইচ্ছা করেই জয়িতাকে নিজের কাছে রাখে নি । মাসে মাসে কেবল খরচ পাঠিয়ে দিতেন । কিন্তু ভালবাসা পাঠান নি কখনও ।
জয়িতা বলতে গেলে তারপর থেকে হোস্টেলেই বড় হয়েছে । মাঝে মাঝে যেত ওর মামার বাড়িতে । কারো কাছ থেকে না ঠিক মত ভালবাসা পেয়েছে আর না কাউকে ঠিক মত ভালবাসতে পেরেছে । তাই আমাকে পাবার পর থেকে যেন এতো দিনের সব না পাওয়া ভালবাসা আমার কাছ থেকে পুষিয়ে নিচ্ছিল ।
কিন্তু একটা ব্যাপার আমার কাছে সব সময় খুব অদ্ভুদ লাগতো । ও কথনই আমার বিয়ের কথা বলত না । কেমন যেন এড়িয়ে যেত । পড়া লেখা শেষ করে যখন চাকরীতে ঢুকলাম স্বাভাবিক ভাবেই ওকে বিয়ে করতে চাইলাম । ও বলল
-তোর ফ্যামিলির সাথে আগে কথা বল ।
আমি আমার মাকে বললাম । সব শুনে মা রাজি হলেন না । তার এক কথা ব্রোকেন ফ্যামিলির কোন মেয়ে তার ছেলের বউ হবে না । কত ভাবে বোঝাতে চাইলাম কিন্তু কিছুতেই মাকে রাজি করাতে পারলাম না ।
কথা গুলো যখন জয়িতা কে বললাম ও একটুও অবাক হল না। ওর মুখ দেখে বুঝলাম ও যেন আগে থেকেই জানতো এমনটা হবে ।
কলিংবেল চাপতেই দরজা খুলে গেল । আমি ভেবেছিলাম জয়িতাকে দেখবো । কিন্তু দরজা খুলল পাঁচ ছয় বছরেয় একটা মেয়ে । এতো মিষ্টি চেহারা মেয়েটার । আমাকে দেখে মিষ্টি একটু হাসল । আর কেবল আমার দিকেই তাকিয়ে থাকল ।
আমি বললাম
-তোমার নাম কি ?
-তোমাকে কেন বলব ?
-শশী এসব কি হচ্ছে ?
জয়িতাকে ঘরে ঢুকতে দেখলাম ।
-কেউ নাম জিজ্ঞেস করলে নাম বলতে হয় ! জানো না?
ছোট্ট মেয়েটা গিয়ে জয়িতাকে জরিয়ে ধরল ।
জয়িতা আগের মতই আছে । গতকালকের অনুষ্ঠানে ইরার জন্য ওকে ঠিক মত দেখতে পারি নি । আমি বললাম
-ভাল আছো তো ?
-তুমি এসেছো না ! এখন ভাল আছি ।
-আগের মতই আছো ?
জয়িতা হাসল ।
-আচ্ছা এই মিষ্টি মেয়েটা কে ?
জয়িতা শশীকে কোলে নিল । জয়িতা হাসল । জয়িতাকে হাসতে দেখে শশীও হাসল । জয়িতা বলল
-বলতো কে ?
-ওমাইগড ! এটা তোমার মেয়ে ? সত্যি তোমার মেয়ে ? এতো বড় হয়ে গেছে ? দেখি একটু কোলে নেই ।
শশীকে কোলে নিলাম । কেমন যেন আফসোস হল নিজের মনের মধ্যে । এই মিষ্টি মেয়েটা আমার নিজের হতে পারতো ! কোলে নিতেই শশী আমাকে জড়িয়ে ধরল । একটা ভাল লাগা বয়ে গেল আমার পুরো মন জুরে ।
-এতো মিষ্টি মেয়ে তোমার ?
(চলবে)
জয়িতাকে যে কারনে বিয়ে করা হয়নি এবং .............
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ব্যর্থ হলে উপদেষ্টাবৃন্দই তোপের মুখে পড়বেন সবার আগে
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাথে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের একটা লক্ষ্যণীয় পার্থক্য হলো, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সরকারি অফিস আদালতে দুর্নীতিবাজরা ভীষণ অস্বস্তিতে পড়েছিল; কিছুদিনের জন্য দুর্নীতি প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলা চলে।
এদিকে,... ...বাকিটুকু পড়ুন
তুমি অথবা শরৎকাল
রোদ হাসলে আকাশের নীল হাসে।
গুচ্ছ গুচ্ছ সাদা মেঘ দল ব্যস্ত হয়ে
দূর সীমাহীন দিগন্তে ছুটে।
লিলুয়া বাতাসে তোমার মুখে এসে পড়া চুল আর
ঢেউ খেলানো আঁচলের সাথে—
কাশবনে সব কাশফুল নেচে যায়।
নিভৃতে একজোড়া অপলক... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রসঙ্গঃ স্কুলে ভর্তি.....
প্রসঙ্গঃ স্কুলে ভর্তি.....
সেই ষাট সত্তর দশকের কথা বলছি- আমাদের শিক্ষা জীবনে এক ক্লাস পাস করে উপরের ক্লাসে রেজাল্ট রোল অনার অনুযায়ী অটো ভর্তি করে নেওয়া হতো, বাড়তি কোনো ফিস দিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
মন্দির দর্শন : ০০২ : পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি পূজা মন্ডপ ও নাচঘর বা নাট মন্দির
পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের জমিদার বাড়িগুলির মধ্যে খুবই সুপরিচিত এবং বেশ বড় একটি জমিদার বাড়ি। পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি সম্পর্কে একটি লেখা আমি পোস্ট করেছিলাম সামুতে।
ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে কলকাতা থেকে রামকৃষ্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
একদিন সবকিছু হারিয়ে যাবে
একদিন সবকিছু ফিকে হয়ে যাবে,
সময়ের সাথে হারিয়ে যাবে স্মৃতি।
মনে থাকবে না ঠিক ঠাক কি রকম ছিল
আমাদের আলাদা পথচলা,
হোঁচট খাওয়া।
মনে থাকবে না
কাছে পাওয়ার আকুতি।
যাতনার যে ভার বয়ে বেড়িয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন