somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুইটি অনুগল্পঃ শেষ ছায়া ও শেষ বিকেল

২২ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অনু গল্পঃ শেষ ছায়া

একজন লিকলিকে শুকনো লোককে বসিয়ে রাখা হয়েছে বাড়ির বাইরের বাগানে। একটু দুরেই গেরস্ত বাড়ির ! বাঁয়ে পুকুড় পাড় ! দুর থেকে দেখলে যে কারো ধারনা হতে পারে কোন লোক কে নয় যেন একটা চিকন বাঁশের পুতুলকে বসিয়ে রাখা হয়েছে চেয়ারের উপরে !

লোকটির নাম আব্দুল লতিফ ! বয়স ৭০ পার হয়েছে । চোখে ভারি ফ্রেমে চশমা ! তবুও খুব একটা দেখতে পারেন কি না সন্দেহ ! আর দেখতে পারলেও কিছু বলতে পারেন না ! মাঝে মাঝে কেবল ইশারা করেন ! মুখ দিয়ে গোঙ্গানীর মত আওয়াজ হয় ! ডান হাতে একটু বল আছে ! একটু আধটু ওঠাতে পারেন ! শরীরের প্রতিটি হাড় গোনা যায় স্পষ্ট করে ! গায়ে আর কোন মাংস আছে বলে মনে হয় না ! অন্তত আব্দুল লতিফকে দেখে তা মনে হয় না কিছুতেই । কেবল মনে হয় যেন কিছু হাড়ের উপর চামড়া টা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে !

আব্দল লতিফের আজকে গোসল করানো হবে, যদিও আজকে তার গোসল করানোর দিন না ! শরীরে কোন প্রকার বল পান না বলে একা একা গোসল করতে পারেন না ! প্রতিদিন তাকে গোসল করিয়ে দিবে এতো সময় কারো হাতে নেই ! সময় করে বাধরুমে নিয়ে যাওয়ার লোকই খুজে পাওয়া যায় না ঠিক মত, গোসল তো অনেক পরের ব্যাপার !

সপ্তাহে শুক্রবার তাকে গোসল করানো হয় ! নামাজের আগে ডলে তার শরীর থেকে সাত দিনের জমা হওয়া হওয়ার ময়লা তোলা হয় ! এই ময়লা তোলার কাজ টা করে মজিদ ! এই বাড়ির কেয়ারটেকার সাথে সাথে আব্দুল লতিফের সার্বক্ষনিক সঙ্গী ! তাকে দেখা শুনা করার দায়িত্ব আব্দুল মজিদের উপরে !

গোসলের কিছুটা সময় আগে আব্দুল লতিফ কে রোদে বসিয়ে রাখা হয় ! সাত দিন এক ভাবে ঘরে শুয়ে থাকাটা কাটাতে কিছুটা সময় তাকে রোঁদের বসিয়ে রাখা হয় !

মজিদের বয়স প্রায় ৪০ বছর হয়ে গেছে ! এখনও বিয়ে করে নি । আরও ভাল করে বলতে গেলে তাকে বিয়ে করার মত এখনও কোন মেয়ে খুজে পাওয়া যায় নি !
রাতের বেলা মজিতের মাথার একটু সমস্যা দেখা দেয় ! প্রায় রাতেই সে ভয় পায় ! শুধু ভয় পেয়েই চুপ থাকে না ! প্রায় রাতেই তাকে মেয়েদের মত কাঁদতে শোনা যায় ! এবং একটা পর্যায়ে কান্নার আওয়াজটা পুরো গ্রামের মানুষ শুনতে পারে ! ছোট বেলায় মজিদের মা তার পাশে থাকতো । মা চলে যাওয়ার পরে আর কাউকে পাওয়া যায় নি ! সেই ১৭ বছর বয়স থেকেই মজিদ আব্দুল লতিফের বাসায় আছে ! তখন আব্দুল লতিফ সুস্থ সবল মানুষ ছিলেন ! প্রথমে মজিদ ভয় পেলে আব্দুল লতিফ নিজে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিত ! আব্দুল লতিফের হাত বুলানো থেমে গেছে কিন্তু মজিদের কান্না এখনও থামে নি !

মজিদ এক বালতি পানি আব্দুল লতিফের সামনে রাখতে রাখতে বলল
-চাচাজি চশমা খুলেন ! চশমা পইড়া গুছুলে আইছেন ক্যান ?
বৃদ্ধ আব্দুল লতিফ কিছু না বলে তাকিয়ে রইলেন !

আজকে মজিদের মেজাজ টা একটু খারাপ ! প্রতি শুক্রবার আব্দুল লতিফের গোসল করানোর দিন । কিন্তু গত কয়েকদিন থেকেই আব্দুল লতিফ খানিকটা অশান্ত হয়ে গেছেন ! কিছু বলতে পারেন না কিন্তু মুখ দিয়ে এক প্রকার গোঙ্গানীর মত আওয়াজ করতে থাকেন ! আব্দুল লতিফের বড় ছেলে কিছুতেই সঠিক কারন টা বুঝতে পারছিলেন না ! শেষে মনে করলেন হয়তো বাইরে যাওয়ার জন্যই এমন করছেন ! আগে অনেক দিন ঘরের ভিতর থাকলে খানিকটা অস্থির হয়ে যেতেন ! শুক্রবারের আগে আব্দুল লতিফকে তাই বাইরে আনা হল ! এই ফাকে আরেক বার গোসল করিয়ে নেওয়া ঠিক হবে বলে মনে করলেন ! এক সপ্তাহের আগে মজিদকে আবার কাজ দেওয়া হয়েছে তাই মজিদের মেজাজ একটু খারাপ !

মজিদ হাতে হাতের ইটের টুকরো টা সামনে এনে রাখলেন ! এই ইটের টুকরো দিয়ে আব্দুল লতিফের গায়ের ময়লা ছাড়ানো হবে ! গায়ের চামড়া এতোটাই কুজো আর শুকনা হয়ে গেছে যে কিছুতেই গা ডলা ছোবা দিয়ে ময়লা উঠতে চায় না ! আর ইট দিয়ে গা ডললেও আব্দুল লতিফের কোন সমস্যা হয় না ! বরং আরও আরাম লাগে ! একটু একটু অনুভুতি যেন মস্তিস্কে পৌছায় ! ছোবার ডলায় সেই অনুভুতি মাথার পর্যন্ত পৌছায় না !

মজিদ বালতি থেকে পানি নিয়ে আব্দুল মজিদের ইট দিয়ে ধুতে শুরু করলো ! কিন্তু আব্দুল লতিফের সেদিকে কোন লক্ষ্য নেই ! তার মনে আজকে অন্য কিছু ! আজকে থেকে নয়, গত তিন দিন ধরেই আব্দুল লতিফ ভয় পাচ্ছেন ! কিছু একটা দেখে ভয় পাচ্ছেন ! কালো মত কিছু একটা তার ঘরের ডান দিকের দরজার ধরে দাড়িয়ে থাকে ! কিছুতেই যায় না ! সারা দিন এক ভাবে আব্দুল লতিফের দিকে তাকিয়ে থাকে !

মজিদ ততক্ষনে পা ধোয়া শেষ করে ফেলেছে ! আব্দুল লতিফ তখনই কালো ছায়াটা দেখতে পেলেন ! মজিদের একটু পিছনেই দাড়িয়ে আছে ! আব্দুল লতিফ আবার গোঙ্গানী শুরু করলেন ! তার ভয় করছে শুরু করেছে !

-চাচাজি কি হইছে ?
মজিদ আব্দুল লতিফের চোখ দৃষ্টি লক্ষ করে পিছনে তাকালো কিন্তু কিছুই দেখতে পেল না ! কিন্তু আব্দুল লতিফ ঠিকই দেখতে পাচ্ছেন ! এতোদিন কেবল ছায়া দেখতেন ! কিন্তু আজকে দিনের আলোতে ছায়াটাকে একটা পরিপূর্ন মানুষের মত মনে হচ্ছে !
আব্দুল লতিফ কালো ছায়াটাকে দুরে তাড়াতে চাইলেন ! তার শরীরে খুব বেশি জোর না থাকলেও ডান হাত টা একটু আধটু নাড়াতে পারেন ! এদিক ওদিন তাকিয়ে তেমন কিছুই পেলেন না ছুড়ে মাড়াের জন্য । তিনি নিজের চোখে চশমা টা খুলে ছুড়ে দিলেন কালো ছায়ার দিকে । এতো জোর তিনি কোথায় পেলেন তিনি নিজের জানেন না !

মজিদ কিছুটা সময় অবাক হয়ে কেবল আব্দুল লতিফের কাজ টা দেখলেন ! এক গ্লাস পানি খাওয়ার জন্যও যাকে পানি অন্যের উপরে নির্ভর করতে হয় ! সে কি না নিজের চশমা নিজে খুলে নিজেই ছুড়ে মারলেন ! কিন্তু তার থেকে বড় ব্যাপার আব্দুল লতিফ ভয় পাচ্ছে কি দেখে ! মজিদ আরও কয়েকবার পিছনে তাকালো ! কিন্তু সেখানে কিছুই নেই !

-চাচাজি সেখানে কিচ্চু নাই ! আপনে ভয় ক্যান পান ? চাচাজী !

একটু পরে আব্দুল লতিফ আরও একটা অদ্ভুদ কাজ করে ফেলল ! মজিদের হাতের ইটের টুকরো টা নিজের ডান হাত দিয়ে আবারও পেছনে ছুরে মাড়লো ! মজিদ কেবল অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো ! কি হচ্ছে !
মজিদ নিজেও ভয় পেয়ে গেল ! কেবল তার মনে হল একটা অশরীর, অপার্থিব কিছু একটা হতে চলেছে ! কোন কিছু না ভেবেই সে বাড়ির দিকে দৌড় দিল চিৎকার করতে করতে !

বাড়ির ভেতরে গিয়ে যখন লোক জন নিয়ে আবার ফিরে এল দেখলে আব্দুল লতিফ চেয়ার উল্টে পরে আছে ! সামনে পানি ভর্তি বালতিটার পানি কেমন কালো হয়ে আছে ! দুর থেকে দেখেই মনে হচ্ছে আব্দুল লতিফের দেহ প্রান নেই ! তিনি মারা গেছেন ! মারা যাওয়ার আগে কিছু একটা দেখে ভীষন ভয় পেয়েছেন !


অনু গল্পঃ শেষ বিকেল

স্যাঁতস্যাঁতে পুরানো একতলা বাড়ির ছাদ । এক পাশে রংচটা সিড়ি ঘর ! বাকি সব দিকে খোলা । বাঁ দিকে বেশ কিছু গাছ গাছাছি নিচ থেকে একেবারে ছাদ পর্যন্ত উঠে এসেছে ! ছাদের উপরে কয়েকটা ফুলের টব এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে । তবে সব গুলো টবেই গাছ গুলির অবস্থা বেশ ভাল ! দেখেই বোঝা যায় নিয়মিত পরিচর্যা করা হয় সেগুলোর !

বীনু আজ বেশ কয়েকমাস পর এই বাড়িতে এসেছে । বিয়ের পর বলতে গেলে এই প্রথম ওর বাবার বাড়িতে আসা ! ছাদের এই ফুল গাছ গুলো ওর নিজের যত্নে এতো দিন বড় হয়েছে । ও চলে যাওয়ার পরে ওর মা নিয়মিত এগুলোতে পানি দেন পরিচর্যা করেন ! এগুলোর যত্ন নেওয়ার ভেতরেই মেয়ের ছোঁয়া খুজে বেড়ান যেন !

আজ বাসায় এসে বিকেল বেলা তাই বীনু নিজেই পানি দিতে উঠেছে ! অনেক দিনের কাছের বন্ধুকে যেন ফিরে পেয়েছে !
বীনুদের বাড়িটা বেশ পুরানো ! এক তলা । ছাদে কোন পানির ব্যাবস্থা নেই । পানি দিতে হলে নীচ থেকে পানি নিয়ে তারপর ছাদে উঠতে হয় ! বীনু ওদের নীল রংয়ের বালতি করে পানি নিয়ে ছাদে উঠলো !

ছাদে উঠতে গিয়েই বেশ হাপিয়ে উঠলো ! ওর স্বমাীর বাড়িতে ছাদের মটর চালিত পানির ব্যবস্থা আছে । বীনুর ইচ্ছেতেই সে বাড়িতে কিছু ফুলের টব আনানো হয়েছে । প্রতিদিন বিকেল বেলা সেখাকার টব গুলোতে পানি দিতে বীনুকে তাই কষ্ট করতে হয় না ! কিন্তু আজকে যেন একটু পরিশ্রম হয়ে গেল !

সিড়ি বেয়ে ছাদে বালতি হাতে টব গুলোর কাছে যাওয়ার সময় বীনু আর একটু বিপত্তিতে পড়লো ! ছাদের দরজার পাশেই পড়ে থাকা এক টুকরো ইটে বীনুর পা পড়লো !
"মা গো" বলে একটু আওয়াজও বের হয়ে গেল মুখ থেকে ! তবে নিজেকে সামলে নিল পরক্ষনেই ! বীনুর মা শুনতে পেলে এখনই ছুটে আসবেন । এমনিতেই বীনু আসার পর থেকে বেশ ব্যস্ত হয়ে আছেন ! এটা করছেন ওটা করছেন ! নিজের বাড়িতেই নিজেকে বীনুর কেমন মেহমান মেহমান লাগছে ! ইটের কথা বললে হয় তো তিনি আর তাকে ছাদেই আসতে দিবেন না !

বীনু পানির পূর্ন বালতিটা টবের কাছে রেখে নিজের পা পরীক্ষা করলো ।
না তেমন কিছু হয় নি ! একটু ব্যাথ্যা করছে তবে তেমন কিছু না !

এবার বীনু বালতি থেকে পানি নিয়ে টবের গাছ গুলোতে দিতে লাগলো ! মগ অর্ধ-পূর্ন করে আস্তে আস্তে করে পানি দিতে লাগলো পরিচিত ফুলের গাছের নিচে ! এই কয়েক মাস আগেও ঠিক এমন ভাবেই পানি দিতো ! আর গুন গুন করে গান গাইতো !

-বীনু কেমন আছো ?
কয়েক টা মুহুর্ত বীনুর বুকের তেতরে আওয়াজটা এমন ভাবে ধাক্কা মারলো যেন কেউ তাকে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে । নিজেকে সামলাতে বেশ কিছুটা সময় লাগলোর বীনুর ! যখন ঘুরে তাকালো সেই পরিচিত মানুষটাকে দাড়িয়ে থাকতে দেখলো ঠিক আগের মতই ! রোগা পাতলা শরীর, চোখ একটা কালো ফ্রেমের চশমা !

বেশ কিছুটা সময় বীনু সুমনের দিকে তাকিয়ে থেকে বলল
-কোন দিক দিয়ে এসেছো ?
-যেই দিক দিয়ে আসতাম !

বীনুদের বাড়ির বাঁ দিকে অন্যান গাছের সাথে একটা বড় পেয়াড়া গাছ আছে । অনেক ডাল শাখা প্রশাখা আছে গাছ টার ! আগে যখন সমুন ওর সাথে দেখা করতে আসতো কখনও সিড়ি দিয়ে আসতো না । যদিও বীনুদের সিড়িটা একটু বাইরের দিকে ! ওদের গেট থেকে ঢুকেই ছাদ ওঠার সিড়ি ! ছাদে ওঠার জন্য ঘরের ঢোকার কোন দরকার পরে না !

-কেন এসেছো ?
-আসতে পারি না ?
-না ! পারো না !
-এমন করে কেন বলছো ?
-কেমন করে বলবো ?
-বীনু !
এই বলে সুমন বীনুর দিকে এগুতে চাইলেই বীনু বলল
-তুমি আমার কাছে আসবা না !
সুমন তবুও থামলো না ! বীনুর দিকে আসতেই থাকলো ! একটা সময়ের এটো কাছের মানুষটাকে আজকে কিছুতেই তার ভাল লাগছে না ! বারবার মনে হচ্ছে সমুনের এখানে আসাটা ঠিক হয় নি । কিছুতেই ঠিক হয় নি !

বীনুর বালতির কাছ থেকে পেছনে সরে এল ! আবার বলল
-তুমি কাছে আসবা না !
-কেন ?
-বলেছি না কাছে আসবা না !
-বীনু !

বীনু পেছাতে পেছাতে গিয়ে পায়ে কি যেন বাঁধলো ! তাকিয়ে দেখে একটু আগে হোঁটচ খাওয়া ইটের টুকরো টা ! কোন কিছু না ভেবে বীনু ইটের টুকরো টা হাতে তুলে নিল ! সুমনের দিকে তাকিয়ে বলল
-তুমি চলে যাও ! না হলে কিন্তু এটা দিয়ে আমি তোমাকে মারবো !
-মারতে পারবে ?
-পারবো !
-পারবে না !
সুমনের চোখে আশ্চার্য আত্মবিশ্বাস দেখে বীনুর নিজের কাছের কেমন লাগলো ! এমন একটা সময় হয়তো ছিল ! কিন্তু এখন কি সেই আগের অনুভুতি গুলো আছে ? বীনু আবার বলল
-কাছে আসলে ভাল হবে না বলছি !

বীনুর বুকটা অল্প অল্প কাঁপছিল ! সুমনের সাথে এমন আচরন করার কোন দরকার ছিল না ! ভাল ভাবে কথা বললেই হত হয়তো । কিন্তু বীনু কেন জানি সুমন কে একটুও সহ্য করতে পারছে না ! বারবার কেবল সেদিকের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে !
কত অনুনয় বিনয় করে সুমনকে বলেছিল ওকে দুরে কোথাও নিয়ে যেতে ! কিন্তু সুমন কোন কথা শোনে নি । কেবল বলেছিল বাবার পছন্দ বিয়ে করে ফেলতে ! তাহলে আজ কেন এসেছে ! কোন অধিকারে !

হঠাৎ সুমন এক লাফে বীনুর একদম কাছে চলে এল ! বীনুর হাত টা ধরতে যাবে ঠিক তখনই বীনু একটা কাজ করলো যা সে নিজে ভাবতে পারি নি কিংবা করতে চায় নি ! হাতের ইটের টুকরো টা দিয়ে সজোরে সুমনে মুখ বরাবর ছুড়ে মাড়লো ! খুব কাছ থেকে ইটের টুকরো টা গিয়ে লাগলো সুমনের ঠিক ডান গালের একটু উপরে ! সুমন সঙ্গে সঙ্গে ছাদের উপর পরে গেল ! সুমনে চশমা টা ছিটকে পরে গেল আরও একটু দুরে !

এসব এতো দ্রুত হয়ে গেল যে বীনু কিছুই বুঝে উঠতে পারলো না ! পিছনের সব কিছু ফেলে বীনু দ্রুত সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে গেল ! এদিকে ছাদের উপরে সুমন হাত পা ছড়িয়ে পড়ে রইলো ! একটু দুরে পড়ে রইলো তার এক কাচ ভাঙ্গা চশমা টা !



(তিনটি জিনিস আছে যা আমি দুইটি গল্পেই ব্যবহার করেছি । একটা বিশেষ কারনে)
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×