somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ ফেইক আইডি

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সজিব আমার দিকে বিরক্ত চোখে তাকিয়ে বলল
-তোর মত গাধা দুনিয়াই আর একটা আছে বলে আমার জানা নাই !

আমি কিছু না বলে পিসির দিকে তাকিয়ে রইলাম ! মিমি কিছু একটা লিখছে ।
জবাব দিচ্ছি না দেখে সজিব আবার বলল
-আচ্ছা বল তো তোর মতলব কি ?
মনিটর থেকে মুখ তুলে বললাম
-আমার আবার মতলব কি !
-তুই খুব ভাল করেই জানিস এটা ফেইক আইডি তার পরেও এতো পিসিট পাটুস কি ?
-আরে সমস্যা কি ! কথা বলি ভাল লাগে তাই !
-তুই তো এটাও জানিস না যে এইটা মেয়ে কি না ! মিমিকে পছন্দ করিস ভাল কথা তাই বলে ওর ফেইক আইডির সাথে প্রেম করতে হবে ?
আমি মাথা নেড়ে বললাম
-নাহ ! ফেইক আইডি হতে পারে তবে মেয়ের আইডি ! এটা আমি শিওর !
-কেমন শিওর হলি !
-হয়েছি !
-তুমি মামা ! ঘোড়ার ডিম শিওর হয়েছো ! থাকো তুমি তোমার মিমিরে নিয়া ! কিছু ঝামেলায় পড়লে কিন্তু আমারে কিছু বলতে পারবা না !


এই বলে সজিব ওঠে চলে গেল । আমি মনিটরের দিকে তাকিয়ে দেখি মিমি ততক্ষনে প্রায় গোটা ১০/১২টা মেসেজ পাঠিয়ে ফেলেছে । আমি রিপ্লে দিচ্ছি না দেখে একটু যেন অস্থির !

আমি জলদি জলদি কিবোর্ডে চাপ দিলাম !

-সরি !
-বাহ ! এতোক্ষনে জনাবের আসার সময় হল !
-সরি ! সজিরের বকা শুনছিলাম ।
-তাই ? তা কি নিয়ে তোমার বন্ধু বকছিল তোমাকে ?
-তোমাকে নিয়ে !
-ফেইস আইডির সাথে এতো কিসের বকবক, এই জন্য ?
-হুম !

কিছুক্ষন কোন কথা হল না ! মিমি কোন কিছু লিখলো না ! মনে হল কেন জানি মিমি মনে হয় রাগ করেছে । আমি লিখলাম
-রাগ করলে ?
-নাহ ! রাগ করবো কেন ? তোমার বন্ধু তো সত্যি কথাই বলেছে ! আমি ফেইক আইডিই !
-দেখো ! এই নিয়ে আমাদের কিন্তু আগেও কথা হয়েছে ।
-হুম !
-সো ? কে কি বলল তাতে কি যায় আসে ? তাই না ! আমি সব কিছু জেনে শুনেই তোমার সাথে কথা বলি ! নাকি ?

আবারও কয়েকটা মুহুর্ত কোন কথা নেই ! তারপর মিমি লিখলো
-আচ্ছা একটা কথা জিজ্ঞেস করি ?
-হুম ! কর !
-তুমি কেন আমার সাথে কথা বল বলতো ?
-উমমম ! জানি না ! তোমার সাথে কথা বলতে ভাল লাগে তাই ।
-আমি রিয়েল কেউ না সেটা জেনেও !
-রিয়েল না আবার কি ? মানুষ তো ! হয় তো অচেনা একজন ! তাতে কি ! অপরিচিত মানুষ গুলোর সাথে কথা বলতেই যে ভাল লাগে ! অচেনা মানুষ গুলোর কাছে সব কিছু বলা যায় ! চেনা মানুষকে সব কিছু বলা যায় না !

লাইন গুলো লিখে অপেক্ষা করতে লাগলাম ! না জানি কি উত্তর আসে । কিন্তু কোন উত্তর এল না ! কেবল একটা নাম্বার এল । নিচে ছোট্ট করে লেখা "যদি ইচ্ছে হয় আজ রাতে ফোন দিও" !


তার পরেই মিমি অফ লাইনে চলে গেল ! এটা আমার কাছে একটু অপ্রত্যাশিত । মিমির সাথে পরিচয় প্রায় মাস ছয়েক ! এই তিন মাসে ওর সাথে কত কথা বলেছি কিন্তু কোন দিন ওর কাছে ফোন নাম্বার চায় নি কিংবা ও নিজেও এমন কোন কথা বলে নি । আমরা রাতের বেলা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতাম । কত কিছু নিয়েই না আমরা কথা বলতাম !


ফেসবুকে সময় কাটানোর সময় একদিন মিমির খোজ পাই । মিমি নামে হাজারও মেয়ে আছে ফেসবুকে । এই মিমির সাথে কথা বলার কারন হল নাজিফা কাবির মিমি নামে আইডি টা । নাজিফা কাবির এখনাকর দিনে অন্যতম সেরা টিভি মডেল । কি বা প্রিন্ট মিডিয়া অথবা সব ক্ষেত্রেই নাজিফা কাবিরের সমান পদার্পন !
ফেসবুকে তার নিজের আইডি আছে । সেখানে হাজার পঞ্চাশেক ফ্যান আছে । সেখানে হঠাৎ করেই মিমির দেখা ! ঐ মডেল মিমির ছবি দিয়েই আইডিটা খোলা !
কি মনে হল আইডিতে একটা রিকোয়েস্ট পাঠালাম ! জানতাম ফেইক আইডি তবুও পাঠালাম ! কেন পাঠালাম এর উত্তর আমার কাছে জানা নেই ।
পরদিন সকাল বেলা দেখি ফেইক আইডি আমার রিকোয়েস্ট গ্রহন করেছে ।
টুকটাক কথা বললাম !
এবং অবাক হওয়ার বিষয় নকল মিমিও উত্তর দিল । একবার জানতে চাইলাম অন্যের নামে কেন আইডি খুলেছেন । নকল মিমি বলল যে তার চেহারা সুন্দর না ! তাই নিজের চেহারা লুকিয়ে আইডি খুলেছে । তবে তার নাম নাকি সত্যিই মিমি ! এরপর থেকেই কথা শুরু !

আমি যেমন প্রায়ই সময়ই অনলাইনে থাকতাম মিমি ঐ রকম থাকতো না ! মানে ওর ফেসবুকে এতো আসক্তি ছিল না ! তবুও নিয়ম করে রাতের বেলা মিমির সাথে কথা হত । তবে একটা ব্যাপার লক্ষ্য করতাম মিমি আমার সব কিছুতে লাইক দিতো ! ইনবক্সে মাঝে মাঝে আমার লেখা ছাইপাস নিয়ে টুকটাক কথাও বলতো ! কোন ভাল লেগেছে কোন টা ভাল লাগে নি ! এই ভাবে দেখতে দেখতে আমরা বেশ ভাল বন্ধু হয়ে গেলাম ! যদিও জানতাম মেয়েটা চেহারা আসল না তবুও মেয়েটা বড় আপন মনে হতে লাগলো !
আর আজকে এই মোবাইল নাম্বার !


একটু উত্তেজিত হয়ে তকখনই ফোন দিয়ে ফেললাম ।
কয়েকবার ফোন বাজার পরপরই ফোন রিসিভ হল ! কয়েক মুহুর্ত চুপ ! কোন দিকে কোন কথা নেই ! আমার মনে কেবল একটা ভয় করছিল যে আবার কোন ছেলের নাম্বার না হয় ! ছেলে হলে কি করবো আমি নিজেই জানি ! কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললাম
-আছো ?
ও পাশ থেকে মৃদু হাসির আওয়াজ পেলাম ! হাসির আওয়াজ শুনে জানে পানি এল । নাহ ! কোন ছেলের এই আওয়াজ হতে পারে না ! আবার বললাম
-মিমি ? আছো ?
-থাকবো না তো কোথায় যাবো ? গাধা কোথাকার ! আমি জানতাম তুমি রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করবে না ! এখনই ফোন দিয়ে ফেলবে !
-কিভাবে জানতে ?
-তোমাকে হাড়ে হাড়ে চেনা হয়ে গেছে । বুঝেছো !
-জি বুঝলাম ! আর কি কি বুঝছেন আপনি আমার সম্পর্কে ?
-সব কিছু ! তুমি তো আর কিছু বলা বাকি রাখো নি ? রেখেছো বলে !
আমি হেসে ফেললাম !
-তা অবশ্য সত্যি ! আচ্ছা চল কাল দেখা করি !

কথাটা কেবল মুখ থেকে বেরিয়ে গেল ! আমি ঠিক এই কথা বলতে চাই নি । কি মনে করে বলে ফেললাম নিজেই জানি না !
মিমি বলল
-বাহ ! এতো ফার্স্ট ! কালকেই !
-না মানে...... ! আমি আসলে ...
আমাকে খানিকটা অবাক করে দিয়ে মিমি বলল
-আচ্ছা ! কালকে দেখা করি ! ঠিক আছে । অনেক দিক তো আমাদের মাঝে কথা হল ! কালকে দেখা করাই যায় ! নাকি ?
-হুম !
-কাল বিকেলে আমার কোন কাজ নেই ! দেখা করা যায় নাকি ?
-হুম ! যায় অবশ্য !
-তুমি আমাকে ফুচকা খাওয়াবে ! বেইলি রোডে একটা ফুচকা হাউজ হয়েছে । ওখানে । ওকে !
-কটায় ?
-বিকেল ৫ টা ?
-ডান !
-দেরি করবা না কিন্তু !
-এক মিনিটও দেরি হবে না ! তা আমি তোমাকে কিভাবে চিনবো ?
-আমি তোমাকে চিনে নিবো ! ঠিক আছে ?


ফোন রাখার পর কিছুটা সময় কেবল চুপ করেই রইলাম । কি হল কিছুই বুঝে উঠতে পারলাম না ! কালকে কি হবে কে জানে ! সজিব কে বলার পরে ও চোখ কপালে তুলে আমাকে যেতে মানা করলো ! তারপর কত রকমের উপদেশ !
আমার কান দিয়ে কিছুই ঢুকলো না ! কেবল মিমির কন্ঠস্বর বাজতেছিল !
আহা ! কি মধুর কন্ঠস্বর !
রাতের বেলা আরেক দফা কথা হল মিমির সাথে । কত কথা যেন বলার আছে ওর সাথে ।



--------
--------
পরদিন একটু আগে আগেও পৌছে গেলাম । বসলাম একটা টেবিল নিয়ে ! সারা জীবন ফুচকা খেয়েছি রাস্তার পাশের বেঞ্চের উপরে বসে ! আজকে এই কাচে ঘেরা এসি দোকানে কেমন যেন একটা অস্বস্থি লাগছে । আমি এদিক ওদিক দেখছি ঠিক এমন সময় একজন সামনে এসে দাড়ালো !
আমাকে উদ্দেশ্য করে বলল
-এই কি দেখছো এদিক ওদিক !
তাকিয়ে দেখি সামনে ইরানী বোরকা পরে একজন আমার সামনে দাড়িয়ে ! কালো রংয়ের সর্ট বোরকা সাথে কালো টাইট জিন্স । মেয়েটি লম্বার প্রায় আমার সমান হবে ! মুখে নোকাব দেও্য়া তবে চোখ দুট দেখে আমার সত্যি সত্যি মাথা ঘুরে গেল ! আমি কোন রকমে বললাম
-মিমি ?
-তো ! আর কে ? খবরদার ঐ মেয়ের দিকে তাকিয়েছো তো ?
-আমি আবার কোন মেয়ের দিকে তাকালাম !
মিমি আমার সামনে বসতে বসতে বলল
-আমি দেখি নি বুঝি ! আমি তোমার আগে এসেছি । তোমাকে দেখছিলাম !
-ও !

মিমির চোখের দিকে তাকিয়েই রইলাম । কিছু একটা ছিল । নেশার মত ! তাকিয়ে থাকলে থাকতেই হয় যেন ।
-এই কি দেখো ?
-তোমাকে দেখি ! তুমি বলে সুন্দর না ?
-বারে ! মুখ না দেখেই বলে দিলে ?
-মুখ দেখা লাগবে না ! এই চোখ যার আছে তার আর কিছু দরকার নেই ।
দেখলাম মিমির চোখে একটা লজ্জার আভা দেখতে পেলাম !
-হয়েছে । এভাবে তাকাবা না !

আমি তবুও তাকিয়েই রইলাম মিমির দিকে । নিজের চোখকে আসলেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না ! কিন্তু আমার জন্য মনে হয় আরও কিছু বিশ্ময় বাকি ছিল ।
ফুচকার আসার পরে যখন মিমি নিজের মুখের নোকাব খুললো আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম ! এই তো আসল মিমি ! নাজিফা কাবির ! নিজের চোখ কে বিশ্বাক করতে পারছিলাম না !
ফেইক মিমি আসল মিমি কেমনে হইলো ?
আমার মুখ হা দেখে মিমি খুব স্বাভাবিক কন্ঠে বলল
-কি হল খাচ্ছ না কেন ?
-তুতুতুতুমি ?
মিমি মিষ্টি করে হেসে বলল
-আমি ? কি ? আমার চেহারা পছন্দ হয় নি ?
-তুমি ?
-আরে বাবা খাও তো ! হা করে থাকলে মাছি ঢুকবে !

আমি আসলেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না ! এইটা কিভাবে সম্ভব ! আসল মিমি কিভাবে এল এখানে ! একসাথে ফুচকা খেলাম ! মিমি আমার সাথে একটা সেলফি তুলল ! আমি কেবল অবাক আর অবাঈ হচ্ছিলাম !


ফুচকা খাওয়া শেষে আমরা রিক্সায় উঠলাম ! আরও কিছুক্ষন ওখানে থাকার ইচ্ছা ছিল কিন্তু ওখানকার লোকজন কেমন করে মিমির দিকে তাকাচ্ছিল ! মনে হয় চিনে ফেলছে । মিমিও তাই খুব বেশি দেরি করলো না ! রিক্সায় উঠে মিমি হুড তুলে দিতে বলল ! আমি তখনও খানিকটা শকের ভিতরেই আছি । বারবার মনে হচ্ছে সত্যি কি মিমি আমার পাশে বসে আছে !

পুরা রাস্তা জুড়ে মিমি অনেক কথা বলল ! মানে আগের মতই । ওর আচরনে কোন পরিবর্তন আসে নি কিন্তু আমি সহজ হতে পারছি না কিছুটেই ! বাড়ির সামনে আসতে মিমি রিক্সা থেকে নেমে পড়লো ! আমিও নেমে পড়লাম ! আমার হাত ধরে বলল
-তুমি মনে হয় আমাকে এখানে আশা কর নি । তাই না ?
-হুম !
-এই জন্য তোমার সাথে দেখা করতে চাইছিলাম না ! কিন্তু কি যে হয়ে গেল ! দেখা করেই ফেললাম ! দেখো তুমি আমার কাছে আগের মতই আছো ! প্লিজ আমাকেও আগার মতই রাখো !!
আমি কোন কথা না বলে মিমির দিকে তাকিয়ে রইলাম !
মিমি বলল
-তুমি আমার বাইরের চেহারা দেখে আমার সাথে কথা শুরু কর নি ! তাই না ? আমার মনের সাথে তোমার মনের সম্পর্ক ! এটা আর কারও সাথে নেই ! মনে রেখো এটা !

আমি রিক্সায় উঠতে গেলে মিমি আমার গালে ছোট্ট করে একটা চুম খেলো ! তাপররপ আবার হাসি দিয়ে বলল
-রাতে কথা বলবো ! কেমন ?
-হুম ! আমি রিক্সায় উঠে বসলাম !



পরিশিষ্টঃ
-কি বাসায় গেছো !
-হুম !
-কখন পৌছিয়েছো ?
-যাই নি !
-কোথায় ?
-যেখানে ছিলাম ! সেখানেই !
-মানে ?
-তোমার বাসার সামনেই !
-মানে কি ? যেতে ইচ্ছা করছে কেন জানি !
খানিকক্ষন পরেই মিমি বারান্দায় বের হয়ে এল ! বারান্দায় আলোতে মিমিকে অন্য রকম লাগছিল !
মিমি বলল
-তুমি কি পাগল নাকি ? বাসায় যাও নি কেন ?
-জানি না !
-দাড়াও তুমি ! তোমাকে মজা দেখাচ্ছি !

মিমি আবার ঘরের ভিতর চলে গেল ! আমি জানি ও এখনই বাইরে আসবে ! আমি মিমির জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম !
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৩৭
১৪টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×