somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ বাসস্টপের দিন গুলোতে প্রেম !

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এক

-এই মোহাম্মাদপুর, সঙ্কর, পনরো নাম্বার ! এই মোহাম্মাদপুর সঙ্কর পনরো নাম্বার !

বাস সিটি কলেজের সামনে দাড়িয়ে আছে বেশ কিছুক্ষন ! কলেজ ছুটি হয়েছে তাই যতটা পারা যায় যাত্রী তুলছে হেলপার । গলায় যত জোর আগে ডেকে চলেছে !

হেলপার ছেলেটার বয়স টা বেশি হবে না । ওর মত বয়সে আমি সেভেন কি এইটে পড়েছি । একভাবে ডেকেই চলেছে । কন্ডাক্টর বাস থেকে নেমে আপন সুখে বিড়ি টানছে একটু দুরে ।
লোকাল বাসের এই এক সমস্যা !
স্টপেজ পেলেই গাড়ি দাড় করিয়ে যাত্রী ডাকো । পারো তো বাসা থেকে যাত্রী তুলে নিয়ে আসো ! আমি বিরক্ত হয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন বাস ছাড়বে । কিন্তু কয়েকজন দেখি এরই ভিতর ড্রাইভারের সাথে চিৎকার চেঁচমিমি শুরু করে দিয়েছে ।
এই বেটা দাড়িয়ে আসিস ক্যান ?
খাড়ায়া আসিস ক্যান ?
ড্রাইভার সাহেব যান না ?
ছাড়বি না ?
আর কতক্ষন ?

আমি ওদিকে কান দেই না ! আপন মনে মেয়েটার কথা ভাবতে থাকি ! আজকে মেয়েটার সাথে কথা বলার খুব ইচ্ছা ছিল । কিন্তু ওর বদ মায়ের জন্য বলতে পারি নি । ওর জন্য আনা উপহারটা এখনও ব্যাগের ভিতরেই রয়েছে । কবে যে দিতে পারবো জানি না, কোন কালে দিতে পারবো কিনা তাই জানি না !

বাসে যখন আর একটা লোকও ধরবে না তখন বাস ছেড়ে দিল আর তখনই আমার চোখ মেয়েটার উপর পড়লো ! তাকিয়ে দেখি মেয়েটা আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে । চোখে সকালের মতই সেই চাহনী ! আমি অসহায় হয়ে সামনের দিকে তাকালাম ! এতো লোক উঠেছে কিছুতেই এখন নামা সম্ভব না ।
সম্ভব না ?
কে বলেছে ?
জানলার পাশেই বসেছিলাম ! জানলাটা ধাক্কা দিয়ে একপাশে সরিয়ে দিলাম পুরোটা ! তারপর সিটের উপর পা দিয়ে জানলা দিয়ে নিজেকে বাইরে বের করে আনলাম । তারপর আস্তে করে লাফ দিলাম । কয়েকজন একটু চিৎকার করে উঠলো অবশ্য কিন্তু সে দিকে তাকানোর সময় কোথায় ?
আমার চোখ মেয়েটার দিকে !
মেয়েটাও আমাকে দেখছে এক ভাবে ! চোখ ভরা বিশ্ময় !


দুই

আচ্ছা, মেয়ে এতো বড় হয়েছে এখনও মেয়ের হাত ধরে কলেজে নিয়ে যাওয়ার কি দরকার শুনি ? আরে মেয়ে তো আর এখন স্কুলে পড়ে না, নাকি ?

আমি বিরক্ত হয়ে মেয়েটির মায়ের দিকে তাকয়ে থাকি ! মেয়েটি মাঝে মাঝে পিছন ফিরে তাকাচ্ছে তবে মায়ের ভয়ে আবারও সামনে দিকের তাকায় সঙ্গে সঙ্গেই ! আরে আমার দিকে একটু ভাল করে তাকালে কি হয় । বাস থেকে নামার পরে তো আমাকে চিনবে না ! মেয়েটা আমার মনের কথা মনে হয় একটু ধরতে পারলো । পিছনে ফিরে তাকালো আবারও । সরাসরি আমার সাথে চোখাচোখি হওয়ার পরেই আমার চোখ ফিরিয়ে নিল !

আসলে এভাবেই মনে হয় চলবে সারা জীবন ! মেয়েটা এক ভাবে কোন দিন আমার দিকে ভাল করে তাকাতে পারবে না আর আমিও কোন দিন ওর মায়ের জন্য ওর সাথে কোন দিন কথা বলতে পারবো না । আমার লাভ স্টোরী বুঝি এই বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হবে আর সিটি কলেজ পর্যন্ত গিয়ে নেমে যাবে ।

আজকেও তাই হল । সিটি কলেজের কাছে এসে মা মেয়ে নেমে গেল । আমি চেয়ে তাকিয়ে রইলাম । যতক্ষন মেয়েটাকে দেখা যায় তাকিয়ে রইলাম । মেয়েটা মায়ের চোখ এড়িয়ে কোন ভাবে আমার দিকে তাকালো । অস্পষ্ট করে আমাকে দেখে একটু হাত নাড়ালো প্রতি দিনের মত । আমি হাত নাড়লাম কিন্তু সেটা মেয়েটা দেখতে পারলো না । প্রতিদিনই এমন হয় ।

প্রথম কবে মেয়েটাকে দেখি ঠিক মনে নেই তবে আমি যেখান থেকে সকাল বেলা বাসে উঠি মেয়েটাই ঠিক সেখান থেকে বাসে ওঠে । একা না, মেয়েটার মায়ের সাথে । আরও অনেকেই ওঠে তবে মেয়েটার দিকে চোখ পরেছিল মেয়ের মায়ের জন্য । পুলিশ যেমন কোন ভিআইপিকে গার্ড দিয়ে নিয়ে যায় দেখলাম মেয়েটার মাও মেয়েটাকে ঠিক সেই ভাবে গার্ড দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । কোন ভাবে দাড়াবে থেকে শুরু করে কোন দিকে তাকাবে সব কিছুই মেয়েটার মা ঠিক করে দিচ্ছি একটু এদিক ওদিক হলেই জোড়ে ধমক !

এরকম একদিন থেকে মেয়েটাকে লক্ষ্য করা শুরু করি । বাসে উঠেছি মেয়েটা আর ওর মাও উঠেছে । মোটামুটি সিট ফাঁকাই ছিল । মেয়েটা কেবল মায়ের দেখানো সিট বাদ রেখে এক সিট পেছনে বসে আর যাবে কোথায় । বাসের ভিতর যেন বোমা ফাটলো । মেয়েরা মা মেয়েটাকে এতো জোরে ধমক দিল যে বাসের ড্রাইভার পর্যন্ত ব্রেক করে বাস থামিয়ে ফেলল । বাসের ভিতর হাসির রোল উঠলো । আমিও হেসে উঠলাম কিন্তু মেয়েটার চোখ ততক্ষনে পানি চলে এসেছে । চোখে জল নিয়ে মেয়েটা আমার দিকে তাকালো । মায়ের উপর যতনা রাগ তার চেয়ে যারা হেসেছে তাদের উপরে ময়েটার অভিমান চোখে দেখলাম !
মেনে মনে বললাম, নাহ ! হাসাটা ঠিক হয় নাই !
বাস থেকে নামার সময় মেয়েটার চোখ আমার দিকে পড়তেই কানে হাত ধরার ভঙ্গি করে সরি বললাম ! মেয়েটা বেশ খানিকটা অবাক হল ! যাক মেয়েটা বুঝতে পেরেছে যে আমি ওভাবে হাসার জন্য লজ্জিত । মেয়েটার মুখ খানিকটা প্রসন্ন মনে হল !

তারপর থেকেই শুরু চোখাচোখির খেলা । মোটামুটি একই সময়ই আমাদের ক্লাস হওয়াতে আমাদের দেখা হত প্রায় প্রতিদিনে । বাসস্ট্যান্ডে আমি একটু আগে চলে আসলে মেয়েটার জন্য অপেক্ষা করতাম । বাসে ওঠার আগে কোন ভাবেই তাকাতাম না ওদের দিকে যদি ওর মা কিছু টের পেয়ে যায় ! বাসে উঠে বেশ চলতো আমাদের চোখাচোখি ! সবার চোখ এড়িয়ে ।

কিন্তু একটা সময় মনে হল মেয়েটার সাথে কথা বলা দরকার । মেয়েটাকে ইশারা ইঙ্গিতে বোঝাতে লাগলাম যে কথা বলতে চাই কিন্তু মেয়ে তার মাকে দেখিয়ে দিল । পরিস্কার বুঝলাম, সম্ভব না ! আজকেও ঠিক তেমন টাই হল ! মেয়েটা নেমে গেল কলেজের কাছে । মেয়েটার জন্য আজকে একটা ছোট্ট উপহার নিয়ে এসেছিলাম । কিন্তু কোন ভাবেই দেওয়ার সুযোগ পেলাম না । জানি না কোন দিন পাবো কি না !


তিন

কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে মেয়েটা সামনের দিকে হাটা দিল ! এমন একটা ভাব যেন আমাকে চিনেই না আমি আসেপাশে তাকিয়ে দেখি অনেকের চোখই আমার উপর নিবদ্ধ ! বিশেষ করে ওভাবে বাসে জানলা দিয়ে লাফ দেওয়াটা অনেকেই সহজ ভাবে নেয় নি ।
আমি আস্তে আস্তে মেয়েটার পেছন পেছন হাটা শুরু করলাম । পপুলার পার হয়ে এসে দেখি মেয়ে টা দাড়িয়ে আছে । অন্য দিকে তাকিয়ে ! আমি কাছে যেতেই মেয়েটা বলে উঠলো
-আপনি ওভাবে লাফ মারলেন কেন ?
-আমি !!
-হ্যা , ওভাবে কেউ লাফ মারে ? যদি কিছু হয়ে যেত ?
-হলে তো ভাল হত । তখন তুমি আমাকে ফুল নিয়ে হাসপাতালে দেখতে যেতে !
-ইস ! শখ কত ! আমার কত ঠ্যাকা পরেছে !
-যেতে না ?
-আপনি আমার কে হন যে আম যাবো ?
-তাই তো ? আমি তোমার কে হই যে তুম আসবে ? তবে তুমি আমার অনেক কিছু হও, তাই জন্যই আমি বাস থেকে ওভাবে নেমে পড়েছি !

মেয়েটা কিছু বলতে গিয়েও বলল না !
আমি বললাম
-যদি আজকে না নামতাম তালে হয় তো .....
-হয় তো ?
-নাহ ! কিছু না ! তোমার আম্মাজান কোথায় ?
-আসে নি ?
-মানে কি ? আর আসবে না নাকি কেবল আজকে আসে নি !
মেয়েটি হাসলো !
-কোন টা হলে আপনার ভাল হয় !
-তুমি খুব ভাল করেই জানো কোন টা হলে ভাল হয় ?
মেয়েটা এবার হেসে উঠলো । বলল
-আপনাকে কোন সুসংবাদ দিতে পারলাম না বলে আমি দুঃখিত ! আজকা আম্মার শরীর ভাল লাগছিল না তাই আমাকে নিতে আসে নি !
-কবে যে আবার তার শরীর....
কথা টা ঠিক শেষ করতে পারলাম না তার আগেই মেয়েটা বলল
-কি বললেন ?
-কিছু বলি নি ! কিচ্ছু না !
-ভাল ! মাকে নিয়ে কিছু বলবেন না । খবরদার বলছি !


মেয়েটা আবার হাটা শুরুর করে দিলে আমিও মেয়েটার পেছন পেছন হাটা শুরু করি ! এই সময়ে মেয়েটার ফোন বেজে ওঠলো ! নাম্বার দেখেই মেয়েটার মুখ কেমন শুকিয়ে যায় ! আমার দিকে তাকিয়েই ফোন রিসিভ করে !
কিছুক্ষন নিরবতা !
-হুম !
আবার নিরবতা !
-এই তো মা । ভীড় বেশি তাই বাসে উঠতে পারছি না !
নিরবতা !
-আচ্ছা ! আসতেছি !

ফোন রেখে দিয়ে মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-যেতে হবে !
-হুম ! কাল সকালে আবার দেখা হবে নিশ্চই ?
-হতে পারে ! আবার নাও হতে পারে ! যাই কেমন ?

মেয়েটা রিক্সা ঠিক করতে লাগলো ! আমি বোকার মত দাড়িয়ে রইলাম ! কি করবো ঠিক বুঝতে পারছি না । মেয়েটার মা যখন সাথে থাকে তখন মনে হয় কাছে পেলে মেয়েটাকে কত কিছু না বলবো অথচ মেয়েটা এখন সামনে, কোন কথাই বলতে পারছি না !
এমন সুযোগ কি আর সামনে আসবে ?

মেয়েটা ততক্ষনে রিক্সায় উঠে পড়েছে । আমি তাকিয়েই আছি কিছু একটা বলার দরকার । কিন্তু কি বলবো ?
মেয়েটা রিক্সায় উঠে পড়লো ! আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-আপনি চাইলে আমার সাথে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত আসতে পারেন ! আপনার বাসাও তো ঐ দিকেই না !

নিজের গালে একটা জোড়ে চড় মারতে ইচ্ছে হল ! এই কথাটা তো আমার বলার দরকার ছিল কিন্তু মেয়েটা বলল ! কোন বাক্য ব্যয় না করে মেয়েটার পাশে উঠে বসলাম ! বুকের ভিতর অনুভব করলাম কেমন একটা দুরু দুরু আওয়াজ হচ্ছে !

রিক্সা চলছে আমি মেয়েটার পাশে বসে আছি ! মাথা যেন হঠাৎ করে কেমন ফাণকা হয়ে গেছে । আজকেই মেয়েটার পাশাপাশি রিক্সায় বসবো এতোটা আশা আমি করি নাই । এই জন্য কিছু মাথায় আসছে না !

-আরে একটু সহজ হয়ে বসুন ! এমন কাঠ হয়ে বসেছেন কেন ?
আমতা আমতা করে বললাম
-আসলে এর আগে কোন মেয়ের পাশে এভাবে বসি নাই তো তাই !
-তাই না ? চাপা মারার আর জায়গা পান না, না ?
-সত্যি বলছি !
-হয়েছে ! আমি আপনাদের খুব ভাল করেই চিনি !

মেয়েটা আমার সাথে কতই সহজ ভাবেই না কথা বলছে অথচ আমি পারছি না ! এমন কেন হচ্ছে ? কেন ?
ব্যাগ থেকে বের করে পয়াকেট টা মেয়াটার হাতে দিলাম !
-কি এটা ?
-অনেক দিন থেকে তোমাকে দেওয়ার চেষ্টায় আছি । কিন্তু এনএসআইয়ের গার্ডের জন্য দিতে পারি নি ।
-উনি আমার মা ! মনে থাকে যেন ।
-সরি সরি ! আসলে আমি তো খারাপ কিছু বলি নি ! উনি তোমাকে কিভাবে গার্ড দিয়ে রাখে তাই বোঝাতে চেয়েছি !
-বুঝেছি আমি আপনি কি বোঝাতে চেয়েছেন ! এখন নামুন ! চলে এসেচি !

আরে চলে এসেছি ? এতো জলদি !
চারি দিকে তাকিয়ে দেখি আসলেই । আসলেই আইনস্টাইন ঠিকই বলেছেন ! এতো জলদি কেমনে সময় গেল ! অন্য দিন আসতে গেলে কি বিরক্তি ধরে যায় ! আর আজকে যেন রকেটের বেগে চলে আসলাম !


-আচ্ছা ! যাই ! কেমন ?
-হুম ! ইয়ে মানে !
-কি ?
-তোমার নাম কি ?
-মেয়েটা আবার হেফে ফেলল !
-এতোক্ষন পরে যে আমার নামটা জানতে চাইলেন দেখে ভাল লাগলো ! আমার মনে হল আপনি জানতেই চাইবেন না ! দেখি আপনার মোবাইল টা !
-কি ?
-মোবাইল !
আমি পকেট থেকে মোবাইল বের করে দিলাম ! মেয়েটা কিচুক্ষন কি টেপাটেপি করলো । তারপর আবার আমার হাতে তুলে দিল !
-যাই কেমন ?


আমি দাড়িয়ে আছি মেয়েটা সিটি হসপাতালের পাশের গলি দিয়ে হাটছে । একবার কি পেছন ফিরে তাকাবে না ?
হুম তাকাবে ?
তাকাবে আমি জানি !
বলতে বলতেই মেয়েটা পেছন ফিরে তাকালো ! আমার দিকে তাকিয়ে হাত নাড়লো !



আমাদের গল্প কি এখানেই শেষ ?
নাহ ! সবে মাত্র শুরু !





১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×