somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ নোটপ্যাডে লেখা

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



২৮.০৮.২০১৪

সকাল বেলা উঠেই ছেলেটাকে আবার দেখবো, আমি ভাবি নি । ও এমন পাগল হবে কে জানতো ? যখন বারান্দা দিয়ে রাস্তার দিকে তাকলাম আমি আমার চোখ টাকে ঠিক বিশ্বাস করতে পারছিলাম না । নীল শার্ট পরা ছেলেটা তখনও সেখানে দাড়িয়ে আছে । ঠিক দাড়িয়ে না ল্যাম্প পোস্টের সাথে হেলান দিয়ে কাঁত হয়ে দাড়িয়ে আছে ।
কাল রাতেও এভাবে দাড়িয়ে ছিল । চোখ দিল আমার রুমের দিকে । এখনও আমার রুমের সামনে আমার রুমের দিকে তাকিয়ে আছে । আমি কি করবো ঠিক বুঝলাম না । আব্বা যদি দেখে ফেলতো ! তাহলে ?
একটু ভয় ভয় করছিল কিন্তু কেন জানি একটা অজানা ভাল লাগা কাজ করছিল মনের ভেতর ! এতো খুশি কেন লাগছিল ?
কেন ?



এক
সজিব মোবাইলটা একপাশে সরিয়ে রাখলো ! নোকিয়া ২৭০০ ক্লাসিক । গত কালই মোবাইল সেট টা হাতে এসেছে । যদিও তার নিজের আরও দুটি সেট আছে, এবং এটা কেনার খুব একটা দরকার ছিল না কিন্তু এতো সস্তা পেয়ে যাবে ঠিক ভাবে নি ।
গত কাল সন্ধ্যার সময় মোড় থেকে বাসার দিকে হেটে আসছিল । গলির কাছে আসতেই দেখতে পেল রুগ্ন মত একটা ছেলে কেমন অস্বভাবিক ভাবে দাড়িয়ে আছে । অল্প আলোতে চেহারা দেখা যাচ্ছে । চোখ দুটো কেমন লাল আর ফোলা । সজিবের বুঝতে অসুবিধা হয় নি যে নেশাখোর । নেশার ডাক উঠেছে । মনে হয় এখনও তেমন কিছু ব্যবস্থা করতে পারে নি ।
সজিবের সঙ্কিত হওয়ার কথা কিন্তু সজিব গায়ে মাখলো না । নিজের এলাকা বলে কথা ।
সজিব নিজেই এগিয়ে গেল ছেলেটার দিকে । কাছে যেতে ছেলেটা আরও খানিকটা সঙ্কুচিত হয়ে দাড়ালো ।
-এখানে কি ?
-কিছু না মামা !
-তো এখানে কি ? ভাব চক্কর তো ভাল মনে হচ্ছে না । বিদায় হও এখান থেকে !
ছেলেটা আরও একটু সঙ্কুচিত হয়ে দাড়ালো ।
সজিব আবার যখন ঘুরে দাড়াবে তখনই ছেলেটা বলে উঠলো
-মামা একটা মোবাইল কিনবেন ?
-মোবাইল ? চোরাই ?
-না মামা চোরাই না !
-সিনতাই ?
-না মামা ! নিজের মামা ! সত্যি কইতাছি !
সজিবের মনে হল ছেলেটার কথা বিশ্বা করে নেয় কিন্তু সেদিকে গেল না । একবার মনে হল না করে দেয় কিন্তু পরে মনে হল, একবার দেখা যাক সেট টা !
-কি সেট ?
কি সেট বলতেই ছেলেটা পকেট থেকে সেটটা বের করে দেখালো । তার চোখে একটু দ্বিধা তখনও কাজ করছে ।
একটা সাধারন নোকিয়া জাভা সেট ! তবে হাতে নিয়ে মনে হল বেশ যত্ন করে ব্যবহার করা একটা সেট । এই সেট এখন কেউ আবার চালায় ?
সজিব বলল
-কত ?
-মামা এক হাজার দিয়েন !
-যা ! পুরান ! আর এই সেট এখন আর কেউ চালায় না ! ৫০০ দিবো ! হলে বল !
-না মামা !
সজিব সেট ফেরৎ দিয়ে পেছন দিকে হাটা দিবে তখনই ছেলেটা পেছন থেকে ডেকে বলল
-আচ্ছা মামা আর একশ টাকা দেন ! আপনার পায়ে ধরি ! আর ১০০ !

সজিবের কি মনে ১০০ টা বেশি দিয়ে সেট টা কিনে নিল । কোন কারন নেই তবুও ৬০০ টাকায় সেট টা একেবারে খারাপ না !

বাসায় এসে সেট টা উল্পে পাল্টে দেখলো । ভিতরের সব কিছু পরিস্কার । ফোনে নাম্বার, কন্ট্যাক্ট কিছু নেই । কিন্তু অর্গানাইজারে দেখতে গিয়ে নোট প্যাডে বেশ কিছু লেখা পেল ! ছোট ছোট করে বেশ নোট লেখা তারিখ দিয়ে !


০১.০৯.২০১৪

কিছুতেই প্রিতমের কথা টা উপেক্ষা করতে পারলাম না । বাবার চোখ এড়িয়ে কিভাবে যে দেখা করতে গেলাম ওর সাথে এটা এখন আমার নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছে না ! যখন রিক্সা করে যাচ্ছিলাম বারবার কেবল বাবার চেহারা টা মনে হচ্ছিল । বাবা যদি কোন ভাবে জানতে পারে আমি কোন ছেলের সাথে দেখা দেখা করতে গেছি কলেজ কামাই করে, তাহলে আমাকে আস্তো মাটির নিচে পুতে ফেলবে ।
পুরোটা পথ ভয় ভয় করতে লাগলেও কেন জানি প্রিতমের সমানে গিয়ে আর ভয় করছিল না । একদম না । আমি কেবল ওকে দেখে অবাক হচ্ছিলাম । ছেলেটা কেমন লজ্জা পাচ্ছিল । আমার দিকে ঠিক মত তাকাকতেও পারছিল না । আশ্চার্য এমন করে কেউ লজ্জা পায় ?
মনে হচ্ছিল একটু ধমক দিয়ে বলি
এই ছেলে আমার দিকে তাকাও না কেন ? এতো লজ্জা কিসের তোমার শুনি ?



দুই
-তুমি আমার সাথে এমন করে কেন কথা বলছো ?
-বলবো না ? তো কেমন করে কথা বলবো ?
-দেখো আমি তোমাকে আগেই বলেছি, আমার এ ব্যাপারে কিছু করার নেই । আমি কোন মুখ করে তোমাকে বাবার সামনে নিয়ে যাবো বল ?

সজিব কিছু বলতে গিয়েও বলল না । অন্য দিকে তাকিয়ে রইলো । মিলি খানিকটা নরম সুরে বলল
-দেখো তুমি একটু বোঝার চেষ্টা কর !
-হুম ! আমি বোঝার চেষ্টাই করি ! তুমি ঐ ছেলের হাত ঘুরে বেড়াও !
-সজিব । বাজে কথা বলবে না ! খবরদার ! আমি কারো হাত ধরে ঘুরে বেড়ায় নি !
-হাতের সিগারেট টা ফেলে দিয়ে সজিব নতুন একটা সিগারেট ধরালো ! মিলি বলল
-আমি কেবল ফয়সালের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম তাও বাবার কথা মত ! আমার কোন শখ নেই তার সাথে বসে বসে ফাউ কথা বলতে ! দেখো আমি আবারও বলছি । এভাবে আমাকে কিছু বলে লাভ নেই । তুমি যদি আমাকে বিয়ে করতে চাও তাহলে নিজের পায়ে দাড়াও ! আমি বাবাকে বলি ! তা না হলে আমার কিছু করার নেই !

কথা গুলো একটানা বলে মিলি থামলো । কিছুটা সময় তাকিয়ে রইলো সজিবের মুখের দিকে । কিছু একটা শুনতে চাচ্ছে । কিন্তু সেখান থেকে কোন প্রকার সাড়া শব্দ না পেয়ে উঠে দাড়ালো । যাওয়ার আগে সজিবের দিকে তাকিয়ে বলল
-আমাকে বাসায় যেতে হবে !
-যাও !
খানিকটা কঠিন কন্ঠেই বলল সজিব কথাটা। মিলি আসলেই অন্য কিছু আশা করেছিল সজিবের কাছ থেকে । কিন্তু সেটা না পেয়ে আর দাড়ালো না ! হনহন করে হাটা দিল ! সজিব একবার মিলির চলে যাওয়া পথের দিকে তাকিয়ে আবার সিগারেট খাওয়ার মন দিল !


৭.০৯.২০১৪

আজকে প্রিতম আমার হাত ধরেছিল । প্রথমবার যখন হাত টা ধরলো আমার বুকের ভেতর কেমন করে যেন লাফাচ্ছিল ! আমার কেন জানি মনে হচ্ছিল আমার বড় রকমের একটা হার্ট এটাক হয়ে যাবে !
প্রিতম আমার দিকে তাকিয়ে জানতে চাইলো
-তোমাকে এমন কেন লাগছে ?
আমি বললাম
-কেমন লাগছে ?
-জানি না ! তবে মনে হচ্ছে ঠিক স্বাভাবিক না !
আরে বোকা কেউ অনেক বেশি খুশি হলে কেমন করে স্বাভাবিক থাকবে ? তুমি কি বুঝতে পারো না তুমি সেই খুশির কারন । ছেলেটা এতো বোকা কেন ?
বোকা একটা !




তিন
-মামা আরেকবার চিন্তা কইরা দেখো !
সজিব ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না ! কি করবে ? কেবল মিলির প্রতি প্রচন্ড রাগ অনুভব করছে । কিছু একটা অঘটন ঘটাতে ইচ্ছা করছে ।
গত কাল বিকেলে মিলি তাকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে তার পক্ষ্যে আর কিছুতের সজিবের সাথে সম্পর্ক রাখা সম্ভব হচ্ছে না । তার বাবা ফয়সাল সাহেবের সাথেই মিলির বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে ।
সজিব কেবল চুপচাপ কথাটা শুনেছে । কিছু বলে নি । মিলিও কিছু আশা করে নি । কেবল খবরটা দিয়ে চলে গেছে ।

সজিব মিল্টুর দিকে তাকিয়ে বলল
-তোরা ব্যবস্থা করতে পারবি ?
সজিবের ইতিবাচক সাড়া দেখে মিল্টু খুশি হয়ে বলল
-আরে পারুম না মানে ? তুমি মামা খালি ওরে সঠিক ঠিকানা মত নিয়া আইবা । তারপর এমন অবস্থা করুম যে ...
কথা বলতে বলতে মিল্টু একটা অশালীন মুখ ভঙ্গি করলো ।
-একটা শিক্ষা দেওয়া দরকার ! সারা বছর আমার সাথে প্রেম করে এখন বিয়ে করবে অন্য কাউকে ?
-একদম ঠিক ! ভাল শিক্ষা দেওন লাগবো !
-তোরা কজন থাকবি !
-এই চার পাঁচ জন ?
-মরে যাবে না তো ?
-আরে কি কও মামা ! মরবো কেন ? তুমি শুরুর করবা পারে আমরা আছি !
-ওকে জায়গা ঠিক কর ! আমি ওকে নিয়ে আসছি !

সজিব নিজেও বুঝলো কি ভয়ংকর একটা সিদ্ধান্ত সে নিয়ে ফেলেছে এরই ভিতরে ! নিজের সব থেকে ভাল বাসায় মানুষটি এতো বড় একটা ক্ষতি করতে প্রস্তুত হয়ে গেছে রাগের মাথায় !


১০.০৯.২০১৪

আজকে কি এক ভয় পেয়েছিলাম । বারবার কেবল প্রিতমের দিকে তাকিয়ে ছিলাম । বারবার কেবল এই কথাই মনে হচ্ছিল আজকে মনে হয় আমার দ্বারা অন্যায় কিছু হয়ে যাবে ।
আজকাল সবাই এমন করে !
তাই বলে কি আমিও ?
কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম প্রিতম কেবল আমার কোলে মাথা রেখে গুটুসুটি মেরে শুয়ে রইলো ! ওর চুলে আমি হাত বুলাচ্ছিলাম । এক পর্যায়ে ব্যাচারা ঘুমিয়ে পরলো ! আমি ওর নিস্পাপ চেহারার দিকে কেবল তাকিয়ে রইলাম ।




চার
সজিব মিল্টুর ফোনটা প্রথমে ধরলো না টেনশনে । যখন মিল্টু আবার ফোন করলো তখন ধরলো । হ্যালো বলতে গিয়ে লক্ষ্য করলো ওর গলা কাঁপছে ।
মিল্টু বলল
-খবর কি ?
-আসতেছে !
-শিওর তো ?
-হ্যা ! জ্যামে আছে ।
-আচ্ছা ! শোনো মামা একেবারে স্বাভাবিক থাকবা ! ঠিক আছে ? কোন প্রকার জোর-জবস্তি না ! দেখবা সব ঠিক আছে !

সজিব আচ্ছা বলে ফোন রেখে দিলেও ঠিক শান্তি পাচ্ছে না । কাল রাতের বেশ কয়েকবার ভেবেছে কাজটা ঠিক হচ্ছে কি না ! কিন্তু যতবারই কল্পনা করেছে মিলির ঠোটে অন্যকেউ চুমু খাচ্ছে ততবারই প্রচন্ড রাগে সজিব অন্ধ হয়ে গেছে । কিছুতেই নিজেকে শান্ত করতে পারে নি !

বারবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখছে কয়টা বাজে । নিজের মনের অস্থিরতা কাটানির জন্য সেদিনের মোাবইল টা বের করলো ! আর দুইটা নোট আছে । পরে পড়বে বলে রেখে দিয়েছিল !




২১.০৯.২০১৪

গতকাল বিকেল থেকে কত গোসল করেছি মনে নেই । কিন্তু কিছুতেই যেন আমার শরীর থেকে সেই দুগন্ধটা যাচ্ছে না ! কয়েকটা শুকরের দুর্গন্ধময় শরীরের স্পর্শের গন্ধ যাচ্ছে না কিছুতেই । মা তো একবার বলেই ফেলল এতো গোসল করছি কেন ? আমি কোন উত্তর দেই নি । কোন উত্তর দিতে পারি নি ।মা'র চোখের দিকে তাকিয়ে কোন কথা বলতে পারি নি । আয়নার দিকে তাকাতেও পারি নি একবারও ।
কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না । বারবার মনে হয়েছে কোন দুঃস্বপ্ন দেখছি যেন । এখনই ঘুম ভেঙ্গে গেলে সব কিছু ঠি হয়ে যাবে ।

প্রিতম, যে মানুষ টাকে সব থেকে বেশি বিশ্বাস করেছিলাম সেই মানুষটা আমার সাথে এরকম রকলো ? নিজের কয়েকজন বন্ধুদের সাথে প্লান করেই ও আমার কাছে এসেছিল ।
একজনকে আমি ঠিক চিনতে পেরেছিলাম । ক'দিন আগে যাকে বাবা পুলিশে দিয়েছিলো আমাকে উতক্ত করার জন্য ! সব প্লান ছিল !
অন্ধকার ঘরে ওরা যখন সবাই ,....।
ওফ ! আর এই মুখ কিভাবে দেখাবো সবাই কে ! একজন আবার মোবাইলে ভিডিও করেছে ! আমি আর ভাবতে পারছি না ! আর না !




পাঁচ
নোট টা পড়ে সজিব কিছুক্ষন বুঝতে পারলো না কি করবে ! কখন যে মিলির ওর পাশে এসে দাড়িয়েছে টের পায় নি !
ওর গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কা দিতেই সজিব বাস্তবে ফিরে এল !
-কি হয়েছে !
প্রথমে কিছুক্ষন সজিব কিছু বুঝতে পারলো না ! তারপর ওর দিকে না তাকিয়ে সর্বশেষ নোট টা বের করলো !



২৯.০৯.২০১৪

আর পারছি না ! কঠিন একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি !
বাবা মা হয়তো একটা কষ্ট পাবে । কিন্তু এ ছাড়া আমার আর কোন উপায় নেই ।
আর কোন উপায় নেই !
নোট গুলো লিখে রাখলাম ! কাল এই মোবাইল টা ফেলে দিয়ে আসবো কোথায় !
কোন দিন কেউ জানবে হয়তো আবার জনাবে না !



ছয়
-এই কি হয়েছে ?
সজিব একবার মোবাইলের দিকে তাকালো আরেকবার মিলির দিকে । আজকে মিলির মুখটা বেশ হাস্যজ্জল মনে হচ্ছে । কিন্তু সজিব কল্পনা করলো মিল্টুর মত কিছু হায়েনা আস্তে আস্তে মিলির দিকে এগুচ্ছে । মিলি সাহায্যের জন্য এদিক ওদিকে যাচ্ছে কিন্তু কেউ তাকে সাহায্যের জন্য আসছে না !

তারপর একটা সময় সিলিং থেকে ঝুলানো দড়ি হাতে নিয়ে .....

সজিব আর ভাবতে পারলো না ! তীব্র একটা অপরাধবোধ ওকে পেয়ে বসলো !
মিলি অবাক হয়ে দেখলো সজিবের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে ।
-কি হয়েছে ? সজু ! কি হয়েছে ?
সজিব আর কিছু না বলে মিলিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠলো !
মিলির কেবল মনে হল ওকে ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করতে যাচ্ছে এই জন্য মনে হয় সজিব কাঁদছে । সজিবের এমন আচরন একটু অস্বাভাবিক মনে হল মিলির কাছে
মিলি সজিব কে শান্তনা দিয়ে বলল
-আচ্ছা প্লিজ তুমি এমন কর না ! এখনও বিয়ে ঠিক হয়ে যায় নি ! আমি বাবার সাথে কথা বলবো ! বিশ্বাস কর বলবো ! তুমি প্লিজ কেঁদো না !


যখন মিলি ওকে নিয়ে রিক্সায় উঠলো তখনও সজিবের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে । নিজেকে বড় বেশি অপরাধী মনে হচ্ছে । আরেকটু হলে কি একটা ভয়ংকর অন্যায় সে করে ফেলত !
কি একটা ভয়ংকর অন্যায় তার হাত দিয়ে হয়ে যেত !





(চিরকুটের জন্য লেখাটা লিখেছিলাম গত মাসে)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩২
১২টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×