somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ হুডি সেলিব্রেটি

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





ঘরে ভেতর ঢুকেই দেখি আবেক খান খাটের উপর পা তুলে নির্বিকার ভাবে বসে আছে । টেবিলের উপর প্রজাপতি রহমান আর সোফার উপরে আহমেদ পাশা বসে গম্ভীর মুখে ।

আহমেদ পাশা মুখ দেখে মনে হচ্ছিল এতোক্ষন সে কিছু একটা নিয়ে উত্তেজিত বাক্য বিনিময় করছিল । আমি আর সবুজ যখন রুমের ভিতর ঢুকতে যাচ্ছিলাম তখনই কারো চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম । কন্ঠটা যে আহমেদ পাশারই ছিল সেই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই ! আমাদের ঘরে ঢুকতে দেখে মনে চুপ করে গেল !

আবেক ভাই আমাদের কে দেখে একটু যেন হাসলেন ! তারপর আহমেদ পাশার দিকে তাকিয়ে বলল
-কোন সমস্যা নেই । এরা সব আপনা লোক !

আবেক ভাইয়ের মুখে আপনা কথা শুনে দেখলাম সবুজের মুখের হাসি বিস্তৃত হয়ে মাইল খানেক হয়ে গেল ! ম্যকাবুল ভাইকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার পরে আবেক ভাই ছাড়া আমাদের আর কে আছে ! ফেসবুক জগতে বিখ্যাত হওয়ার জন্য তার বিকল্প আর নেই । তার একটু মাত্র প্রমোশনই পারে যে কোন আম-ফেসবুকারকে সেলিব্রেটি করে তুলতে !

কিন্তু আজকের পরিস্থিত একটু ভিন্ন ! গত কায়েক দিক আগে আবেক ভাইয়ের নামে তার সাবেক গার্লফ্রেন্ড বেশ কিছু অভিযোগ তুলেছে ফেসবুকে । কয়েকটা স্ক্রিন শর্টও দিয়েছে । বলা চলে তার এতো দিনে ফেসবুক ক্যারিয়ার এখন হুমকির মুখে । আবেক ভাইয়ের ক্লিন ইমেজ এখন নষ্ট হওয়ার পথে ।

আমার মনে হচ্ছিল যেন আমাদের আসার আগে আহমেদ পাশা আর প্রজাপতি রহমানও এই বিষয় নিয়ে কথা কথা বলছিল ! আমাদের আসা দেখে চুপ করে গেছে ।
প্রজাপতি রহমান বলল
-আমি সেই আগের কথাই বলছি ! আবেকের অনলাইন ক্যারিয়ার দেখে সবাই হিংসান্বিত । এতো সব ঠিক ছিল তাহলে এখন এমন কেন হল ?
আহমেদ পাশা আবেক ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলল
-তুই কি এভাবে চুপ করেই থাকবি ?
কথাটা আবেক ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলল ! আমি আর সবুজ ততক্ষনে খাটের এক পাশে বসে পরেছি । কিছু গুরুত্বপূর্ন আলোচনা হচ্ছে । এতো বড় বড় ফেসবুক সেলিব্রেটিদের আলোচনার অংশ হতে পেরে নিজেদের খানিকটাও একটু হলেও গুরুত্বপূর্ন মনে হচ্ছে ।

আবেক ভাই আহমেদ পাশার কথার জবাব না দিয়ে প্রজাপতির রহমানের দিকে তাকিয়ে বলল
-তুই কি তাহিরার সাথে কথা বলেছিস ?

তাহিরা হচ্ছে সেই মেয়ে যে আবেক ভাইয়ের নামে দুর্নাম রটানোর চেষ্টা করেছে । আমার ঠিক সহ্যই হয় নি । এতো বড় সাহস ! আমাদের ফুলের মত পবিত্র আবেক ভাইয়ের নামে কথা বলে ।

আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই সবুজ বলে উঠলো
-ভাই, কেবল একবার আপনে বলেন দেখেন শালীর বেটি কি অবস্থা করি ! আমার নিজের কাছে অন্তত ১০০ টা একাউণ্ট আছে । প্রত্যেকটা দিয়ে বেটি কে এমন কথা ইনবক্সে লিখবো বেটি পালানোর পথা খুজে পাবে না !

সবুজের আনুগত্য দেখে আবেক ভাইয়ের মুখে একটু হাসি দেখা দিল । আবেক ভাই বলল
-আরে চিন্তা কর না । এই ভিতরে অনেকেই এই কাজ শুরু করে দিয়েছে । আমি চাই না এসব কিছু হোক । আর আমি মুরিদের নিয়ে তেমন একটা চিন্তিত না !
আহমেদ পাশা বলল
-চিন্তত না ?
-শোন,
কিছু একটা বুঝানোর জন্য মানুষ যেভাবে হাত তোলে আবেক ভাইও আমাদের দিকে তেমন করে হাত তুলল
-আমি যখন ছোট ছোট ছিলাম তখন আমাদের গ্রামে এক পীর ছিল ! তার মুরিদের সংখ্যা নেহত কম ছিল না । একদিন কি হল, তার জারিজুরি সব ফাঁস হয়ে গেলো । পেপারে বড় বড় খবর ছাপা হল ! কিন্তু তার মুরিদ রা কিছুতেই সেইটা বিশ্বাস করে না । তারা তাকে এখনও মুরিদই মানে !আমার ফেসবুক ফলোয়াররাও ঐ মুরিদ টাইপের । যত যাই কিছু হোক না কেন, তারা কিছু বিশ্বাস করবে না !

-তাহলে তুইকি চাস ?
এবার আর কোন প্রকার কোন কথা না বলে আবেক ভাই মুচকি মুচকি হাসলো কেবল ! প্রজাপতি রহমান বলল
-আমরা একটা লাইন ধরে এগুচ্ছি ! প্রথমে প্রমান করতে হবে যে তাহিরা যে স্ক্রীন শর্ট টা দিয়েছে সেটা আসলে অরিজিনাল না ! ফেইক ! এরই ভিতর অনেকই কাজ শুরু করে দিয়েছে । অনেকে সে গুলো শেয়ার দিচ্ছে ! কাজ হবে মনে হচ্ছে !

সবুজ আবারও কথার মাঝখানে বলে উঠলো
-আর ভাই বইলেন না ! মানুষ বারেক ওবামা সাথে বাংলায় ইনবক্সের স্ক্রিন শর্ট দিয়ে দিচ্ছে ! আপনি কেবল একটা বার একটা লাইন লিখে স্টাটাস দিয়ে দেন যে আপনি ওমন কথা বলেন নি । কেউ বিশ্বাস করবে না ঐ মেয়ে কে ! পালিয়ে কুল পাবে না !

আহমেদ পাশা বলল
-আর তাছাড়া আমাদের হাতে সব থেকে বড় হাতিয়ার তো আছেই ! জানিসই মেয়ের পরিবারকে খুব সহজেই ছাগু ট্যাগ দেওয়া যাবে । কোন সমস্যা হবে না ! কি বলিস ! আর অনলাইনে কাউকে একবার ছাগু ট্যাগ দিলেই সকল সমস্যার সমাধান !

প্রজাপতি রহমান আবার বলল
-আমি ওকে পার্সোনালী কনভেন্স করার চেষ্টা করছি । দেখি কাজ হয় নাকি ! না হলে অন্য ব্যবস্থা নিতে হবে !
সবুজ আগ্রহ নিয়ে বলল
-কি ব্যবস্থা নিবেন আন্টি ?
সবুজের কথা শুনে প্রজাপতি রহমান যেন তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলো
-আন্টি মানে ? আমি তোমার আন্টি হই ? আমার বয়স কত জানো ?
-সরি আপু ! আসলে আমি ছোট তো !
-আন্টি ডাকবা না ! আপু ঠিক আছে !
-জি আপু ! তা কি ব্যবস্থা ?
-আছে ! তোমরা ছোট মানুষ বুঝবা না ! অনলাইনে চলতে গেলে আরও অনেক টেকনিক শিখে নিতে হয় ! আর তাছাড়া অনলাইনের সব বড় বড় ক্লিন ইমেজের লোক গুলো আমাদের সাথে আছে । তারা কেবল আমাদের ইশারার জন্য অপেক্ষা করছে ।

আমি একটু অবাক হয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে থাকি প্রজাপতি আন্টি মানে আপুর দিকে । এই অনলাইনে মেয়েদের অধিকার নিয়ে যদি কেউ সব থেকে বেশি সোচ্চার থেকে থাকে তাহলে এই হল সেই মেয়ে । কদিন আগে এমন ভাবেই একটা মেয়ে এক ছোট খাটো সেলেব্রেটির নামে কি যেন বেলছিল এই আপুই তখন সেই মেয়ের পাশে থেকে সেই ছোট সেলেব্রেটির কি নাজেহাল অবস্থা করে দিয়েছিল ।
বলতে গেলে কোথাও কোন নারীর উপর কোন প্রকার অন্যায়ের ধোয়া ধোয়া খবর বেড়ুলেও সবার আগেই এই প্রজাপতি আপু ষ্টাটাস দিতো । ছেলেটার দোষ নাকি মেয়েটার দোষ সেদিকে কোন প্রকার খোজ খবর না নিয়েই মেয়েটার পক্ষে কথা বলা শুরু করে । আর আজকে সব কিছু জেনেও সে একটা মেয়ের ব্যাপার ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে !

আহমেদ পাশা বলল
-আমরা একটা মানব বন্ধন করতে পারি ! ব্যানার নিয়ে শাহবাগে দাড়িয়ে থাকলাম কিছুক্ষন । তারপর সেই ছবি ফেসবুকে দিয়ে দিলাম মনে কর !
কি বলিস !

সবুজ আহমেদ পাশার কথা শেষ করার সাথে সাথে বলল
-আরে পাশা ভাই একদম মনের কথা বলেছেন । আমিও ঠিক এই কথাই চিন্তা করছিলাম ! বড় করে একটা ব্যানার লিখে দিলাম মনে করেন । সাথে একটা লাইণ থাকবে যে জামাত শিবিরের মদদে এই সব হচ্ছে । কি বলেন !
-করা যায় !
প্রজাপতি রহমানও সম্মতি জানালো ! কিন্তু আবেক খান তখনও চুপ ! তার মুখ এখনও হাসি হাসি !

আমি বললাম
-আপনি কেবল আজকে এখনই একটা স্টাটাস দিয়ে দেন যে স্ক্রিন শর্ট গুলো ভুয়া ! তারপর দেখেন কি করি আমরা !

আমাদের সবার মুখের দিকে একবার তাকিয়ে আবেক ভাই বলল
-তোদের কিছু করা লাগবে না ! আমি আজ রাতে স্টাটাস লিখবো । সব ঠিক হয়ে যাবে !
আহমেদ পাশা বলল
-কি লিখবি ?
-তাহিরা যা যা অভিযোগ করেছে সব স্বীকার করবো ! বলব যে স্ক্রীন শর্ট গুলো মিথ্যা না !

ঘরে থাকা প্রতি মানুষের মুখ হা হয়ে গেল । সব থেকে বড় হা হল সবুজের । নিজের কান কে যেন ঠিক মত বিশ্বাস করতে পারছে না !
প্রজাপতি রহমান বলল
-তুই কি পাগল হয়ে গেলি ? তোর অনলাইন ক্যারিয়ারের কি হবে ?
আবেক খান কোন কথা না বলে কেবল হাসলো কিছুটা সময় ! তারপর চোখ বন্ধ করে বলল
-আচ্ছা তোরা কি ফেসবুক চালাস আমি বুঝি না ! তোরা কি জানিস না যে বাংলাদেশী ফেসবুকারা কেমন ?

যদিও আমরা সবাই জানি সবাই কেমন তবুও সবুজ মুখ ফুসকে বলেই ফেলল
-কেমন ভাই ?
-আরে সব গুলো একেকটা বড় বোকাচোঁদ ! এদের কে যা বুঝাবো এরা তাই বুঝবে ! মনে নেই হেপাজতে সময়কার সেই কথা । রাস্তায় রিক্সা দাড় করিয়ে নারী পুরুষের পরিচয় জানতে চাওয়ার ঘটনা পাবলিক কিভাবে খেয়েছিল মনে আছে ?

আমাদের সবারই সব কিছু মনে আছে । আসলেই অনলাইনে যেন গুলির মত কথাটা ছড়িয়ে পরেছিল । কিছু কিছু বিরোধী পক্ষের লোক অবশ্য জোচ্চুরী টা ঠিকই ধরে ফেলেছিল তবে অধিকাংশ মানুষই সেটা আমলে নেয় নি !

আবেক খান বলল
-শুন, আমি যদি বলি আমি ঐ মেয়েকে রেপও করেছি তবুও লোকজন আমাকে কিছু বলবে না । বলবে নিশ্চই মেয়ের ভিতরেই কোন সমস্যা আছে ! কারন কি জানিস ?
-কি কারন ?
যথারীতি সবুজ সবার আগে জানতে চাইলো ।
-কারন সহজ কথা কথাটা বলতে হবে একটু ঘুরিয়ে ! আমি রুটি চুরি করেছি এই লাইন বললে আমার কপালে মাইর জুটবে কিন্তু আমি যদি বলি দিন ধরে আমি কিছু খাইনি । ক্ষুদার জ্বালায় আমি চুরি করেছি তাহলে লোকে আমাকে আরও কয়েকটা রুটি দিয়ে যাবো ! এইটাই হল টেকনিক ! আর কিছু না !
আমার সবাই একে অপরের দিকে মুখ করতে লাগলাম ! আবেক ভাই বলল
-আর তাছাড়া, যেন কোন অন্যায়ের সরাসরি অস্বীকার করার থেকে একটু ঘুরিয়ে স্বীকার করে নেওয়া ভাল । মানুষ তখন বলবে আহা ! ছেলেটা কত ভাল । যদি ভাল না হত না হলে নিজের অন্যায় স্বীকার করতো !

সবুজ যেন সব কিছু বুঝে গেছে এমন ভাব করে মাথা নাড়লো !

-তোরা কিছু চিন্তা করিস না ! আজ রাতেই সব ঠিক হয়ে যাবে ! বেকুব পাবলিকে কনভেন্স করতে আমার খুব বেশি সমস্যা হবে না ! চল মোড়ের দোকান থেকে চা খেয়ে আসি ! কয়েক দিন বাইরে বের হয় নি !



আমরা যখন সবাই রুম থেকে বের হলাম তখন সবার মুখই একটু চিন্তার রেখা ছিল ! আসলেই কাজ হবে কি হবে না এইটা নিয়ে ! কিন্তু আবেক ভাইয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি সেখানে কোন প্রকার চিন্তার রেখা নেই । কোন কিছুই যেন হয় নি এমন একটা মনের ভাব !

মোড়ের দোকানে আমাদের আড্ডা দেওয়ার জায়গায় বসে যখন চা খাচ্ছিলাম সবাই মিলে তখনই দেখি রনি এদিকে আসছে, সাথে আরও কয়েকজন রয়েছে ।ওরা দোকানের ভিতর ঢুকলো না । তাছাড়া ওদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমার বিশেষ একটা সুবিধার মনে হল না !
রনি আমাদের কাছে আসতেই আবেক ভাই বলল
-কি ব্যাপার রনি ? কি খবর ?
আবেক ভাইয়ের কথা যেন শুনতেই পাই নি এমন একটা ভাব করে রনি দোকানদার মামা কে একটা সিরারেট দিতে বলল ।
আবেক ভাই বলল
-রনি ! তোমার আচরনে আমি একটু মন কষ্ট পেয়েছে ।
-কেন ?
-না, আমি দেখলাম তুমি গত কাল আমার ফ্রেন্ড লিস্টের একটা মেয়ের সাথে কেমন রুড আচরন করেছে । এটা ঠিক না ! মেয়েদের সম্মান দিতে হবে না ?

রনি কিছুটা সময় আবেক ভাইয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো কঠিন ভাবে ! আমি ঠিক বুঝতে পারছি ও কি বলতে যাচ্ছে ! মনে হয় সবুজও বুঝতে পেরেছে ও কি বলতে যাচ্ছে !

-শুনেন ভাই ! দুনিয়ার সবাই কে জ্ঞান দিতে যাবেন, কেবল আমাকে না ! ঠিক আছে ? আমার অবস্থা এখনও এতোটা খারাপ হয়ে যায় নি যে আপনার কাছ থেকে আমার জ্ঞান নিতে হবে !
-আমি ভুল কি বললাম ? তুমি একটা মেয়ের সাথে এরকম ভাবে কেন বিহেইভ করবে !

রনির মুখ দেখে মনে হল ও সহ্যের একেবারে শেষ সীমানায় পৌছে গেছে । এমনিতেও আমি আর সবুজ যে ফেসবুক সেলিব্রেটিদের পেছন পেছন ঘুড়ি এটা রনি একদম পছন্দ করে না । আমাদেরকে এদের সাথে দেখে ওর মেজাজ এমনিতেই খারাপ হয়ে গেছিল ।

রনি বলল
-শুনেন মাইয়া মানুষকে আপনি কেমন সম্মান করেন আমি জানি ! আমাকে জ্ঞান দিতে আইসেন না !
-কি ! তোমার সাহস তো কম না !
এবার আর রনি চুপ করে থাকলো না ! বলল
-শালা ৳%&# নিজে মেয়েদের কাছে চিটিংবাজি করিস, টাকা চাস নুড ফটো শপের হুমকি দিস ! আর আমাকে বলিস মেয়েদের সম্মানের কথা ! তোর সম্মানের আম%&@$% !

প্রজাপতি রহমান বলল
-তুমি আচ্ছা বেয়াদব দেখছি ! ওর সাথে এমন কেন করছো ? ওর সাফল্যে হিংসা হয় ?
খুব যেন একটা হাসির কথা বলেছে এমন একটা ভাব করে রনি বলল
সাফল্য ? হুম ! টিটিংবাজীর সাফল্য !
-তুমি কিন্তু সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছো ?
ততক্ষনে আহমেদ পাশা দাড়িয়ে ! রনি বলল
-এটা আপনার অনলাইন না ! যে আপনি যা বলবেন তাই হবে !

দেখতে দেখতে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা রনির সাথে ছেলে গুলোও দোকানে ঢুকে গেল ! আমি আর সবুজ চুপ করে দাড়িয়ে দেখছি ! কি করবো ঠক বুঝতে পারছি না !

রনি তো পারলে দু ঘা দিয়ে বসে কিন্তু পেছনের ছেলের গুলো ওকে চেপে ধরল । একজন বলল
-আরে কি করিস ? চল এখান থেকে ।
ওরা রনিকে নিয়ে গেল !

ওরা সবাই চলে যেতে দোকানের শেষ মাথা থেকে প্রজাপতি রহমান বেরিয়ে এল ! গন্ডগোলের আভাস পেয়ই সরে পরেছিল ! এখন আবার ফিরে এসেছে ! আবেক কে সান্তনা দিতে দিতে বলল
-আরে কিছু না ! তোর অনলাইন ক্যারিয়ারের সাফল্য নিয়ে ওর আসলে হিংসানিত !

আহমেদ পাশা বলল
-হুম ! ঠিক বলেছিস !
সবুজও সাথে সাথে বলল
-হুম ! ঠিক !

সবাই বলেছে আমি আর না বললে কেমন হয় ! আমিও বললাম
-হুম ! ঠিক ! দেখি আজকেই এটা নিয়ে একটা প্রতিবাদী স্টাটাস লিখতে হবে !




বিঃদ্রঃ গল্পের সকল চরিত্র কাল্পনিক । গল্পের সাথে বাস্তবের স্থান কাল পাত্রের কোন প্রকার কোন মিল নাই ! এমন কি জীবিত মৃত কিংবা অর্ধ মৃত কোন ব্যাক্তির সাথে কোন প্রকার মিল যদি থেকে তাহলে সেটা কাকতালীয় মাত্র !

আগের দুই পর্বঃ

ফেসবুক সেলিব্রেটি
ম্যাক সেলিব্রেটি কোচিং সেন্টার
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×