somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ নতুন ফাল্গুন

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এক
নীলুর ঘুমটা বেশ পাতলা । সামান্যতম শব্দেই ঘুম ভেঙ্গে যায় । রাতে ঘুমাতে গেলে কতবার যে সে চোখ মেলে তাকাবে তার কোন ঠিক নেই । আজকেও যখন রান্নাঘর থেকে টুকটাক আওয়াজ আসছিল নীলুর ঘুম ভেঙ্গে গেল ।
যদিও ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই । বাসাটা তার কাছে নতুন হলেও নীলু জানে রান্না ঘরেকে আওয়াজ করছে । প্রতিদিনই এরকম আওয়াজ হয় ।

সাফায়েতের রাত জেগে থাকার অভ্যাস আছে । রাত বেশি হয়ে গেলে যখন খিদে লাগে তখনই সাফায়েত রান্না ঘরে যায় । কোন কোন দিন ফ্রিজে রাখা বাসি খাবার গরম করে অথবা নিজেই কিছু ভেজে নেয় ।

নীলু প্রতিদিন ভাবে রান্না ঘরে গিয়ে সে কিছুটা সাহায্য করে কিন্তু কেমন জানি সংকোচ হয় । নতুন বিয়ে হলেও স্বামী স্ত্রীর ভেতরে আসলে যে রকম সম্পর্ক থাকার কথা নীলু আর সাফায়েতের ভিতর সেরকম কিছু এখনও তৈরি হয় নি । দুইজন পাশাপাশি ঠিকই থাকে কিন্তু একে অপরকে খুব একটা চিনে কি না কে জানে । নীলুর অবশ্য ইচ্ছে করে মানুষ টাকে চিনতে কিন্তু সাফায়েত একটা অদ্ভুদ দেওয়াল সৃষ্টি করে রেখেছে নিজের সামনে । অন্য রকম এক গাম্ভীর্যের দেওয়াল । নীলু কিছুতেই সেই দেওয়াল ভেদ করতে পারে না !

হঠাৎই রান্না ঘর থেকে কিছু একটা পরার আওয়াজ এল । মাঝরাতে আওয়াজটা বেশ ভালই শোনা গেল । এবার মনে হয় রুম ছেড়ে ওঠা যায় ! নীলু এতোক্ষন যেন এই সুযোগটার জন্যই অপেক্ষা করছিল !

নীলু রান্না ঘরে গিয়ে দেখলো সাফায়েত উপুর হয়ে বসে কিছু একটা গোছানোর চেষ্টা করতে । সারা রান্না ঘরে ডিমের হলুদ সাদা অংশ পরে একাকার !
-সরুন ! আমি পরিস্কার করছি !
সাফায়েত পিছন ফিরে তাকিয়ে বলল
-আরে তোমার ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিলাম দেখছি !
-আপনি উঠুন !
-আরে কোন সমস্যা নেই ! আমি পারবো !
-আপনি পারবেন বুঝলাম ! এখন উঠুন তো !

সাফায়েত কিছুটা সময় কি যেন ভাবলো ! তারপর রান্না ঘর থেকে উঠে গেল বেসিনের দিকে !
নীলু বলল
-অন্য কিছু কি বানিয়ে দেব ?
-না দরকার নেই ।

আর কিছু না বলে সাফায়েত আবারও টিভির সামনে গিয়ে বসলো ! প্রতি রাতে ও কেবল এই কাজটাই করে ! ঘন্টার পর ঘন্টা টিভির সামনে বসে থাকে । সামনে রাখা টি-টেবিলের উপর একটা ল্যাপটপ খোলা থাকে । কিছু করে কি না ও নিজেই বলতে পারবে না !

-এই নিন !
টিভির দিকে তাকিয়ে থাকলেও সাফায়েত যেন অন্য কিছু ভাবছিল । নীলুর কথা শুনে ফিরে তাকালো !
এক প্লেট ডিমে ভাজা পাউরুটি ! প্রায় দিন রাতেই সাফায়েত এটাই বানিয়ে খায় ! আজকে নীলু বানিয়ে এনেছে !
বাটিটা সাফায়েতের হাতে দিয়েও নীলু চলে গেল না ! পাশেই দাড়িয়ে থাকলো ! নীলুকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে বলল
-কিছু বলবে ?
-না !

না বললেও কেন জানি নীলুর যেতে ইচ্ছে করছে না । মনে হচ্ছে একটু দাড়িয়ে থেকে সাফায়েতের খাওয়া দেখতে ।
কদিন থেকেই কেন জানি এই অদ্ভুদ ইচ্ছে টা ওর প্রায়ই জেগে ওঠেছে । বিশেষ করে ও যখন খারার খায় কিংবা অফিসের জন্য তৈরি হয় নীলুর সেটা দেখতে অদ্ভুদ ভাল লাগে ! কোন ব্যাখ্যা হয়তো নেই তবুও নীলুর ভাল লাগে !

-বসলে চাইলে বস ।
নীলু বসল !
কিছুটা সময় কেটে গেল চুপচাপ । সাফায়েত ততক্ষনে প্লেট থেকে একটা করে পাউরুটি নিয়ে খেতে শুরু করেছে । ওর চোখ টিভির দিকে ।

নীলুর খিল খিল করে হাসির শব্দে খানিকটা যেন চমকে যেন নীলুর দিকে ফিরে তাকালো ! অবাক হয়ে বলল
-হাসছো কেন ?
-আপনাকে দেখে ?
-আমাকে ? আমি কি করলাম ?
-না, মানে টিভিতে হাসির মুভি হচ্ছে আপনি দেখছে কিন্তু আপনার মন অন্য দিকে । আমি ঐ মুভি সিন দেখে হাসলাম ! আপনি দেখলে আপনিও হাসতেন !
-আমি টিভি দেখছি !
-হুম দেখছেন ! ছাতা দেখছেন !

সাফায়েত কি বলবে ঠিক বুঝলো না ! আসলেই সে টিভির দিকে তাকিয়ে ছিল ঠিকই তবে সে কিছু দেখছিলো না ! সাফায়েত বলল
-ছাতা ?
-হুম ! আমব্রেলা !

এই বলে নীলু আবার খিল খিল করে হেসে উঠলো ! টিভির শব্দ নামানো । সেটা ছাপিয়ে নীলুর হাসির আওয়াজ পুরো ঘরে জুড়ে বয়ে এক অদ্ভুদ ধ্বনিতে বাজতে লাগলো !

সাফায়েত কেবল অবাক হয়ে নীলুর হাসির দিকে তাকিয়ে রইলো । এতো প্রানবন্ত হাসি সাফায়েত এর আগে কোন দিন দেখেছে কি না সে বলতে পারবে না ! এই মধ্যরাতে সাফায়েতের কেন জানি নীলুর এই হাসিটা মোটেই খারাপ লাগছিলো না !



দুই
সাফায়েতের একটা ব্যাপার নীলুর মোটেই ভাল লাগে না । প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরার সময় সে প্রতিদিন চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভেতর ঢোকে !

কেন বাবা, কলিংবেল টা কেন লাগানো হয়েছে ?
একবার কলিংবেলে চাপ দিলে কি হয় ?

নীলুর কত দিনের শখ সাফায়েত এসে কলিং বেল চাপ দিবে, দৌড়ে এসে দরজা খুলে দিবে । তারপর হাতের ব্যাগটা নিজ হাতে নিয়ে নিবে ।
কিন্তু না !
মানুষ টা যদি একটু বুঝে ?

একদিন নীলু সকালবেলা সাফায়েতের চাবির গোছা লুকিয়ে রাখলো । যাতে করে সে চাবি নিয়ে যেতে না পারে । কিন্তু ঠিকই অফিস যাওয়ার সময় চাবির জন্য এদিক ওদিন খুজতে লাগলো । নীলু ভুলে গিয়েছিল যে ঐ চাবির গোছার ভিতর ওর অফিসের চাবিও আছে ।
শেষে খোজার ভান করে ও নিজেই চাবি খুজে দিল ।
-ওখানে চাবি গেলো কিভাবে ?
নীলু কিছু হয় নি কিংবা সে কিছুই জানে না এমন ভাব করে বলল
-আপনিই হয়তো গিয়েছিলেন ওখানে ?
-আমি ? আমি চাবি নিয়ে বারান্দায় কেন যাবো ?
-তাহলে আমি লুকিয়ে রেখেছি ?
-আমি কি তাই বলেছি ?
-তাহলে ? চাবি কিভাবে গেল আমি কিভাবে জানবো !
-আচ্ছা ঠিক আছে । হয়তো আমারই ভুল হয়েছে ।

সাফায়েত আর কথা বাড়ায় নি । চাবি হাতে নিয়ে সোজা ঘর থেকে বের হয়ে গেছে । তবে আজকে নীলু আর কোন ভুল করে নি । চাবির গোছা থেকে কেবল ঘরের চাবিটা খুলে রেখেছে । অবশ্য নীলুর একটু একটু ভয় করছিল যে সাফায়েত হয়তো ধরে ফেলবে যে সেখানে একটা চাবি নেই !
কিন্তু তেমন কিছুই হয় নি । সাফায়েত টেরই পায় নি যে সেখানে একটা চাবি নেই ।

আজকে নীলুর মন টা তাই আজ একটু ফুরফুরে । সময় যাচ্ছে সাথে সাথে তার মনে আনন্দের সীমা টা যেন একটু একটু করে বাড়ছে । কিভাবে দরজা খুলবে কিভাবে কাধের ব্যাগ নিবে এই নিয়ে বেশ কয়েক বার সে ট্রায়ালও দিয়ে ফেলল ।

ঠিক সন্ধ্যার আগেই কলিংবেল বেজে উঠলো । নীলু যেন একটু উড়ে চলে গেল দরজা খুলতে । কিন্তু দরজা খুলে দেখে, বাড়ির দারোয়ান !
নীলুর মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল !
-কি চাই ?
-আফা তালাওয়ালা আইছে ?
-কেন ?
-আপনে না বলছিলেন গেটের একটা চাবি বানাইবেন ! ভুইলা গেলেন ?
-ও ! না ভুলি নি ।
-চাবি কি বানাইতে দিমু ?
-দাও ! কয় টাকা লাগবে ?
-১০০ টাকা !

নীলুর উৎকন্ঠা আস্তে আস্তে বাড়তেই লাগলো । কিন্তু অন্যান্য দিনের তুলানায় আজকে সাফায়েত যেন একটু বেশিই দেরি করছে । আর থাকতে না পেরে নীলু সাফায়েতকে ফোন দিয়ে ফেলল !
-আপনি কোথায় ?
-এই তো বাসায় আসছি ।
-আজকে এতো দেরি কেন হচ্ছে ?
-দেরি কোথায় ? আমি তো প্রতিদিন এই সময়েই আসি !
-ও তাই ? আচ্ছা !
-কিছু লাগবে তোমার ?
নীলুর কি মনে হল বলল
-বেলি ফুল পেলে নিয়ে আসবেন ।

বলেই মনে হল কি বলল এটা ! বেলি ফুল !!
সাফায়েত কি মনে করবে কে জানে ?
ঠিক আধাঘন্টা পরে আবারও কলিং বেল বেজে উঠলো ! দুূরু দুরু বুক নিয়ে নীলু এগিয়ে গেল দরজা খুলতে !

দরজার ঠিক ওপাশে সাফায়েত দাড়িয়ে । এতো দিনের প্রতিক্ষীত একটা দিন ! ঠিক এমনই যেন চেয়েছিল !
নীলু একয়া হাসার চেষ্টা করলো কিন্তু ঠিক মত হাসি বের হল না । কেমন একটা অপ্রস্তুত হয়ে দাড়িয়ে রইলো সাফায়েতের সামনে !
সাফায়েত দাড়িয়ে আছে এক হাতে চাবির গোছা অন্য হাতে একটা বেলি ফুলের মালা নিয়ে ।
নীলুর দিকে তাকিয়ে বলল
-গেটের চাবিটা এখানে নেই । পরে গেল নাকি ! আশ্চর্য !
-জি না !
-তাহলে ?
-আমি খুলে রেখেছি !
সাফায়েত খানিকটা অবাক হয়ে বলল
-তুমি খুলে রেখেছ ? কেন ?
-জানি না !

নীলু কেন এমন করে সব স্বীকার করে ফেলল কে জানে । ও নিজেই ঠিক মত বলতে পারবে না ! সাফায়েতের হাত থেকে প্রথমে বেলি ফুলের মালাটা নিল । তারপর কাধের ব্যাগ টা খুলে নিল নিজের হাত দিয়ে ।
আজকে নীলু এতো সাহস কোথা থেকে এল নীলু কিছুই জানে না ! বারবার মনে হল যে আজকে নয়তো আর কোন দিনই নয় !
সাফায়েত কেবল অবাক হয়ে কিছুটা সময় নীলুর দিকে তাকিয়ে রইলো ।
-ভেতরে আসবেন না ?

সাফায়েত কোন কথা না বলে ভেতরে ঢুকে পড়লো ! সোজা শোবার ঘরের দিকে হাটা দিল । নীলুর একবার মনে পেছন থেকে ডাক দেয় ওকে । ডেকে বলে এই জন্য চাবিটা সরিয়ে রেখেছি যাতে আপনার কাধের ব্যাগ টা নিতে পারি !
বাধরুম থেকে সাফায়েত যখন ফ্রেস হয়ে বের হল নীলুর খুলে নেওয়া চাবি টা সাফায়েতের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল
-এই নিন আপনার চাবি !
-ওটার আর দরকার নেই !
-কেন ?
-আসলে অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল তো চাবি দিয়ে দরজা খুলতে খুলতে । তখন দরজার ওপাশে কেউ থাকতো না আমার জন্য । ভুলেই গিয়েছিলাম যে এখন আমার জন্য কেউ অপেক্ষা করে থাকে । ওটা রেখে দাও তোমার কাছেই !
নীলু কি বলবে খুজে পেল না ! কেবল লক্ষ্য করলো অসম্ভব ভাল লাগার একটা অনুভুতি ওকে ওকে পেয়ে বসেছে । খুব ইচ্ছে করছে সাফায়েতকে জড়িয়ে ধরতে । কিন্তু এটা করা যাবে না ।
ও কি ভেবে বসবে কে জানে !

-খাবেন না ?
-হ্যা চল ! খাওয়া যাক !

খাওয়ার জন্য যখনই সাফায়েত উঠে দাড়িয়েছে তখনই নীলু আরেকটা কাজ করে বসলো ! বলা নেই কওয়া নেই সাফায়েত কে জড়িয়ে ধরলো ! কয়েক মুহুর্ত আসলেই নীলু যেন কোন কিছু হুস ছিল না । কি ভেবে সাফায়েত কে জড়িয়ে ধরলো ও বলতে পারবে না ।

যখন আবার নিজের ভেতরে ফিরে এল তখন সাফায়েত কে ছেড়ে দিয়ে রান্না ঘরের দিকে দৌড় দিল । যাওয়া সময় কেবল একটা চিন্তাই ছিল যে একটু পরে যখন খাবার টেবিলে ওকে সাফায়েতের সামনে দাড়াতে হবে তখন ও কিভাবে ওর দিকে তাকাবে !


তিন
সাফায়েত তার বড় চাচার বাসায় মানুষ হয়েছে । বারার মৃত্যুর পরে যখন তার মা অন্য একজনের সাথে বিয়ে বসে গেল তখন সাফায়েতের ইচ্ছে হয় নি মায়ের সাথে থাকার ।
তখন মায়ের উপর খুব অভিমান হলেও এখন সে বুঝতে পারে তখন মায়ের সিদ্ধান্তটা তখন হয়তো ভুল ছিল না । তার মা তো তাকে সাথে নিতেই চেয়েছিল কিন্তু সেই তো যায় নি ।

প্রথম প্রথম বড় চাচার বাসায় থাকতে তার একটু অস্বস্তিই লাগতো । মনে হত চাচা চাচি আর তাদের মেয়ে মিলি তাকে মনে হয় একদম পছন্দ করে না। কিন্তু আস্তে আস্তে সেটা কেটে গিয়েছিল । বিশেষ করে বড় চাচি তাকে তার নিজের ছেলের মত করেই ভালবেসে ছিল ।

তবে সংসারে তার চাচাতো বোন মিলির সাথে তার সম্পর্ক ছিল সব থেকে কাছের । যদিও মিলি ওর থেকে বছর খানেকের বড় ছিল তবুও ওদের সম্পর্ক টা বড় ছোটের হিসাবে আটকে থাকে নি ।

কতবার দুজন মিলে কত গল্প করেছে কত খেলা করেছে কত মারামারি করেছে সেটার হিসাব নেই । এভাবে অনেকটা বছর থাকার পর এক সময় পার হয়ে সাফায়েতের মনে হল সে হয়তো মিলিকে ভালোবাসে । কিন্তু বয়সে খানিকটা ছোট হওয়ার কারনে সেটা কোন দিন সাফায়েত তাকে বলতে পারে নি ।

ভার্সিটিতে ওঠার দ্বিতীয় বছরেই মিলির বিয়ে হয়ে যায় । ওর পছন্দের ছেলের সাথে । মিলি কোন দিন টেরই পায় নি সাফায়েত তাকে পছন্দ করতো । কোন দিন সে সেই চোখে দেখতো না !

মিলি টের না পেলেও আর একজন ঠিক পেয়েছিল । সাফায়েতের বড় চাচী আফিয়া বানু, মিলির মা ! বিয়ের আগের দিনও সাফায়েতকে কাছে ডেকে বলল
-তুই মিলির বিয়েতে খুশি না কেন ?

সাফায়েত কিছু একটা লুকাতে চাইলেও লুকাতে পারলো না ! চাচির দিকে না তাকিয়ে নিচের দিকে তাকালো ।
আফিয়া বানু বলল
-আমার দিকে তাকা ! অন্য দিকে তাকিয়ে আছিস কেন ?
-না চাচি এমনি !
-তুই মিলিকে ভালবাসিস এটা ওকে কেন বলিস নি ! এখনও সময় আছে । ওকে বল ! দেখ ও কি বলে !

সাফায়েত কিছু সময় কিছু বলতে পারলো না ! কি বলবে সেটাও ঠিক মত বুঝতে পারলো না ।
-বল ! এখনও সময় আছে !
-না চাচি ! ও কোন দিন আমাকে তেমন করে দেখে নি ! আমি ওর সামনে এই কথা বলতে পারবো না ! আর ওর নিজের পছন্দ করা ছেলে !

আফিয়া বানু কিছুটা সময় সাফায়েতের দিকে তাকিয়ে বলল
-দেখ, আজকাল কার ছেলেরা কেমন আমি খুব ভাল করেই জানি ! আমার মেয়ে কার কাছে সব থেকে ভাল থাকবে এটা আমি খুব ভাল করে জানি !

সাফায়েত কিছু না বলে চুপ করে রইলো ! আফিয়া বানু বলল
-আর কটা দিন অপেক্ষা করলে হয়তো আমরা নিজেরাই তোদের বিয়ে দিতাম ! কিন্ত মিলি যে এটো বড় কাজ করে ফেলবে আমরা বুঝতে পারি নি !
-চাচি আপনি কেন মন খারাপ করছেন ?
আফিয়া বানু সাফায়েত কে জাড়িয়ে ধরে বললেন
-আমার বাচ্চা টা মন খারাপ করে আছে । আমি মন খারাপ করবো না !
সাফায়েত কি বলবে বুঝতে পারলো না !

-মন খারাপ করিস না রে বাবা ! তোর জন্য আরও ভাল কেউ নিশ্চই অপেক্ষা করছে ! দেখে নিস !


তার পরেও অনেক টা দিন কেটে গেছে । চাকরি পাওয়ার পরেও সাফায়েত বিয়ে করছিল না তখন আফিয়া বানু সাফায়েতের বিয়ের জন্য পিড়াপিড়া শুরু করে দেয় ! তিনি কোন কথাই শুনবেন না !
প্রতিদিন সাফায়েতকে ফোন করে বিয়ের জন্য চাপ দিতে লাথে ! কোন বলা নেই কওয়া নেই গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে এক প্রকার জোর করে ধরে নিয়ে মেয়ে দেখানোর জন্য ! তার নাকি কোন আত্মীয়ের মেয়ে !

সাফায়েতের কোন কিছুতেই ইচ্ছে ছিল না কিন্তু চাচীর উপরে কোন কথা বলল না । বলতে পারলো না !
এভাবে চলল মেয়ে দেখানোর ব্যাপার ! মাসে মাসে চাচি ঢাকায় আসে । মেয়ে দেখাতে নিয়ে যায় ! সাফায়াতের মাঝে মাঝে মনে হয় সেই মুন্সিগঞ্জ বসে সে ঢাকার এতো মেয়ের খোজ কোথায় পায় ?
কিন্তু কিছু বলে না !
চাচির সাথে মেয়ে দেখতে যায় । বাসায় এসে বলে দেয় তার মেয়ে পছন্দ হয় নি । মেয়ের খুঁত বের করে দেখায় ! চাচী মুখ বেজার করে আবার গ্রামের বাসায় চলে যায় ! আর পরের মাসে নতুন মেয়ের খোজ নিয়ে হাজির হয় ঢাকায় !

এভাবেই চলছিল দিন । কিন্তু ঝামেলা বাঁধলো অন্যখানে !


আগের দিন মেয়ে দেখে এসেছিল তবে তখনও মানা করে নি । চাচি কে বলেছে একটু ভেবে বলবে । প্রথম দিনেই মানা করলে চাচি একটু চিৎকার চেঁচামিচ করে ! একটু ভেবে বললে কিছু বলতে পারে না !

অফিসের লাঞ্চ আওয়ারে পিয়ন এসে খবর দিল একটা মেয়ে নাকি তার সাথে দেখা করতে চেয়েছে ।
একটু পরে যখন মেয়েটা ঘরের ভেতর ঢুকলো সাফায়াতের বিশ্ময়ের সীমা রইলো না । সামনে জড়সড় হয়ে দাড়ানো মেয়েটা গত কালকের দেখতে যাওয়া মেয়েটা !
সাফায়েতের মাথায় কিছুতেই ঢুকছে না মেয়েটা এখানে কি করছে । এখানে তো তার থাকার কথা না মোটেও । তাহলে ?

বিশ্ময় কাটতে একটু সময় লাগলো !
-বসুন !
-মেয়েটি জড়সড় হয়ে বসলো ওর সামনে ! কিছু একটা বলতে গিয়েও যেন বলতে পারছে না । সাফায়েত কি বলবে সেটাও ঠিকমত বুঝতে পারছে না ! এরকম পরিস্থিতির জন্য সে মোটেই প্রস্তুত ছিল না ! মেয়েটা যে ওর কাছে আসতে পারে এমন কোন ধারনা তার মাথায় ছিল না । এমন কি মেয়েটার নাম পর্যন্ত সাফায়েতের মনে নেই । গতকাল মেয়েটার নাম শুনেছে কিন্তু ঠিক মত মনে নেই !

-আমি লীনু !
-জি, আমি জানি !

যদিও মিথ্যা কথা । সাফায়েতের মেয়েটার নাম মনে ছিল না ! সাফায়েত বলল
-আপনি এখানে ?
মেয়েটা মাথা নিচ করেই বলল
-আপনি কি খুব অবাক হয়েছেন ?
-জি একটু অবাক হয়েছি বটে ! অবাক হওয়ারই তো কথা । তাই না ?
-হুম !
-কোন জরুরী কাজ ছিল ?
-ঠিক জরুরী না আবার .......
মেয়েটার কন্ঠে একটু যেন দ্বিধা কাজ করছে । বলবে কি বলবে না এই সিদ্ধান্তে নিতে মেয়েটার ভাবতে হচ্ছে । সাফায়েত বলল
-আপনি বলুন প্লিজ ! কোন সমস্যা নেই !
নীলু তবুও কথা বলতে আরও কিছুটা সময় নিল । তারপর মাথা নীচে করেই বলল
-আমার বাবা আপনার ব্যাপার খুব বেশি আশা করে ফেলেছে ।
-আশা ?
সাফায়েতের বুঝতে একটু সময় লাগলো মেয়েটা আসলে কোন আশার কথা বলছে !
নীলু বলল
-আসলে যখন আপনাদের পক্ষ থেকে কোন প্রকার দাবী দাওয়ার কথা আসবে না এমন কথা শুনে বাবা কেন যেন খুব বেশি ভেবে বসে আছেন যে এবার বুঝি আমাকে বিদেয় করতে পারবেন !
-বিদায় কেন বলছেন ?
-চারটা অবিবাহিত মেয়ে থাকলে আপনার মনেও এরকম কথা আসতো ! তাই নির্লজ্জের মত আপনার কাছে এসেছি ! কেন এসেছি আমি জানি না ! তবে যদি মানা করে দেন তাহলে আজকেই মানা করে দেবেন প্লিজ ! দেরি হলে বাবা মাঝে মাঝে খুব অস্থির হয়ে ওঠে । ভেবে বসেন যে বিয়েটা হয়েই যাচ্ছে । তারপর যখন না হয় তখন খুব বেশি পাগলামি করে ।

একটানা কথা বলে নীলু একটু দম নিলো । যেন হাঁপিয়ে উঠেছে । সাফায়েত আবারও খুজে পেল না কি বলবে । নীলু আরও কিছুটা সময় বসে থেকে চলে গেল !

বাসায় এসে সাফায়েত বিয়ের জন্য হ্যা বলে দিল । কেন বলল সেটা সে নিজেই বলতে পারবে না । দেখতে দেখতে কদিনের ভিতর বিয়ের কথা বার্তা পাকা । বিয়ে হতেও খুব বেশি সময় লাগলো না !

কিন্তু বিয়ের সাফায়েত আর নীলুর সম্পর্ক স্বাভাবিক হল না ! এতোদিন ধরে সাফায়েত মিলি ছাড়া অন্য কাউকে নিজের মত করে ভাবে নি ! নীলুও সাফায়েত নিরবতা দেখে কোন কথা বলে নি । নিজের ভাগ্য বলে মেনে নিয়েছে । জীবন চলতে লাগলো ! কিন্তু গত কয়েকদিনের ঘটনায় অনেক টাই বদলে গেছে ওদের সম্পর্ক টা !



চার
সকালের ঘুমটা সাফায়েতের সব সময় প্রিয় ! ছুটির দিনগুলোতে সে বিছানায় ঘুমিয়ে কাটাতেই পছন্দ করে । আগে খাওয়া দাওয়ার একটা ব্যাপার ছিল যেটা নিয়ে একটু চিন্তিত থাকতে হত, বুয়ার রান্না কেন যেন সাফায়েত ঠিক মত শান্তি মতে খেতে পারে না । বাইরে যেতে হত খাওয়ার জন্য ! কিন্তু এখন নীলুর সাথে বিয়ে হওয়ার পরে সেটাও করতে হয় না !
মেয়েটার রান্নার হাত চমৎকার । এই কদিনের ভেতরেই কেমন করে সংসার টা নিজের করে গুছিয়ে নিয়েছে ।
আফিয়া বানু সাফায়েতকে বলেছিল মিলির থেকে ভাল কেউ তার জন্য অপেক্ষা করছে । সাফায়েতের মাঝে মাঝে মনে যে মিলি আসলে কি আসলেই জীবন টা অন্য রকম হতে পারতো !
কে জানে !

সাফায়েত আরও একবার পাশ ফিরে শুলো ! তখন দেখলো নীলু দরজার ধারে দাড়িয়ে আছে । ওর দিকে তাকিয়ে ! চোখ পড়তেই চোখ সরিয়ে নিল !
সাফায়েতের মনে হল মেয়েটা এই জায়গায় বেশ কিছু টা সময় ধরেই দাড়িয়ে আছে !

চোখটা ভাল করে মেলে নীলু দিকে তাকাতেই সাফায়েত একটা ছোট্ট ধাক্কার মত খেল । নীলু একটু আগে সম্ভবত গোছল করেছে । ওর চুল এখনও ভেজা ! একটা পবিত্র আভা ওর সারা শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছে ! ওর দিক দেখে সাফায়েত চোখ সরাতে পারলো না ! কেবল তাকিয়েই রইলো !
আর মেয়েটা আজকে হলুড রংয়ের একটা শাড়ি পরেছে । সাথে চোখে কাজলও দিয়েছে । হলুদ পরীর মত লাগছে ।

-নীলু !
-জি !
-কিছু বলবা ?
-না মানে ! নাস্তা করবেন না ?
-হুম ! নাস্তা রেডি ?
-জি ! বেলা হয়ে গেছে । কিছু খেয়ে আবার না হয় ঘুমাবেন !
-না ! আর ঘুমাচ্ছি না ! উঠছি !

নীলু তবুও দাড়িয়ে রইলো । সাফায়েত বাধরুমের দরজা দিয়ে ঢুকতে গিয়ে থামলো । তারপর নীলুর দিকে তাকিয়ে বলল
-তোমাকে সুন্দর লাগছে ! হলুদ শাড়িতে খুব সুন্দর মানিয়েছে !
এইটুকু বলে বাধরুমে ঢুকে পড়লো !



নীলুর রান্না ঘরে রুটি গরম করতে করতে লক্ষ্য করলো ওর চোখ দিয়ে পানি পরছে । চোখের কাজল লেপ্টে একাকার হয়ে যাচ্ছে ! কেন যে পানি পড়ছে সেটা ও নিজে বুঝতে পারছে না । তবে ওর মনে আশ্চার্য একটা ভাললাগা কাজ করছে ।




নিরবে নাস্তা খাওয়ার সময়ে নীলু সব সময় সাফায়েতের সামেন বসে থাকে । যদিও ওর সামনে প্লেটে থাকে তবুও নীলু কিছু মুখে দেয় না ঠিক মত । সাফায়েত কয়েকবার বলেছে খাচ্ছো না কেন ? এই তো খাচ্ছি বলে প্লেটের দিকে মনযোগ দেয় কিন্তু ঐ পর্যন্তই !
সাফায়েতের মনে হয়েছে ওকে খাইয়ে এবং খেতে দেখে নীলু সম্ভবত ভাললাগে ! কেন লাগে কে জানে ?

আজকে টেবিলে বসার পর থেকেই নীলুর মুখ দেখে মনে হচ্ছে নীলু যেন কিছু একটা বলতে চায় ! কিন্তু বলতে পারছে না !

সাফায়েত বলল
-কিছু বলবে তুমি ?
-না ! কিছু না !
-বল ! সমস্যা নেই ।
নীলু বলতে আরও কিছু সময় নিল । তারপর বলল
-মানে বিকেলে কি আপনি কোথাও যাবেন ?
-কেন ?
-না মানে ! আজকে ১৩ই ফেব্রুয়ারি ! বসন্তের প্রথম দিন !
-ও তাই নাকি ! আচ্ছা !
-আপনি কি আমাকে চারুকলায় নিয়ে যাবেন ?
-বিকেলে ? ওখানে তো অনেক মানুষ থাকবে ! অনেক ভিড় হবে !

নীলু মুখটা মুহুর্তেই মলিন হয়ে গেল যেন ! মুখ মলিন করে বলল
-আচ্ছা ! ঠিক আছে !

নীলু আবার নিজের প্লেটের দিকে মনযোগ দিলো ! সাফায়েত বলল
-ওখানে না যাই ! এমনি অন্য কোথাও যাওয়া যায় ! লাইক রিক্সা করে এদিক ওদিক যাওয়া যায় !

যেমন করে নীলুর মুখটা কালো হয়ে উঠেছিল ঠিক তেমন করে আবার মুখটা উজ্জল হয়ে ওঠলো !
সাফায়েত বলল
-চলবে ?
-আচ্ছা !

সাফায়েত কেবল অবাক হয়ে লক্ষ্য করলো নীলুর কাজল দেওয়া চোখটা কেমন টলচম করছে । যেন যে কোন সময় ওর চোখ থেকে পানি বেরিয়ে আসবে ।
মেয়েটার চোখে নিশ্চিত কোন সমস্যা আছে । এতো ঘন ঘন পানি আসে কেন !
সাফায়েট বলল
-কিন্ত একটা সমস্যা !
-কি সমস্যা ?
-আসলে বসন্তের বাইরে বের হওয়ার জন্য মনে হয় পাঞ্জাবী পরতে হয় ! আমার আসলে সেরকম কোন পাঞ্জাবী কেনা হয় নি কোন দিন ! অন্য শার্ট কিংবা গেঞ্জি পরলে চলবে ? মানে তুমি তো হলুদ শাড়ি পরবে !
-আপনি চিন্তা করবেন না ! আপনার জন্য আমি পাঞ্জাবী কিনে রেখেছি !
সাফায়েত বেশ অবাক হয়ে বলল
-আমার জন্য !
-হুম !


-------------
আজকের বিকেল টা নীলুর জন্য অন্য রকম ! আজকের আকাশ টাও যেন একটু বেশি নীল । মেঘ মুক্ত আকাশের নীলটা যেন আরও বেশি নীল মনে হচ্ছে । দিনটা সাফায়েতের জন্যও অন্য রকম ! অন্য রকম আনন্দের । সেটা মুখ দিয়ে প্রকাশ করা না গেলেও মন দিয়ে অনুভব করতে পারছে ও !

রিক্সা চলতে আস্তে । চারিপাশ দিয়ে মানুষের ভীড় । নীলুর এসব কিছু খেয়ালে আসছে না ! কেবল খেয়াল হচ্ছে তার পাশে সাফায়েত বসে আছে । একটু আগে সাহস করে তার হাতটা ধরা রয়েছে হাতে !


সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৯
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×