somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ এসপি সাহেবের প্রেম

১১ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক

সোলাইমান হক বেশ বিরক্ত নিয়ে এএসপি মাহমুদের দিকে তাকালেন । তিনি ব্যাপার টা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না । বিরক্ত নিয়ে মাহমুদকে বলল
-তোমার এসপি কোথায় ?
-উনি আসেন নাই ।
-আসেন নাই তো দেখতেই পাচ্ছি । দুইদিন হল আমি এখানে এসেছি অথচ তার দেখা নেই ।
-স্যার এসপি স্যার বলেছেন যে আপনি তো আর সরকারি কাজে আসেন নি, বেড়াতে এসেছেন তাই আপনার সাথে দেখা করার কোন দরকার নেই ।
-আমি মন্ত্রী জেনেও এই কথা বলেছে !
এএসপি কিছু বলার আগেই স্থানীয় এমপি আলতাফ বলল
-স্যার এই এসপি একটু ঘাড় তেড়া আছে স্যার !
-কি রকম ?
-না মানে কাউরে মানে না ! আমারে তো পুছেই না !
সোলাইমান হক সরু চোখে তাকালেন স্থানীয় এমপির দিকে । এমপি আলতাফ বললেন
-স্যার কি যে ঝামেলায় আছি এই এসপি রে নিয়া । আমরা এখন ক্ষমতায় তবুও যদি আমাদের ছেলেদের কোন দোষ খুজে পায় ঐ দিন রাতেই তাকে ধরে নিয়ে যায় ।
-তারপর ?
-ধরে নিয়ে কয়েক ঘন্টা পর তারে ছেড়ে দেয় ।
-ছেড়ে তো দিতেই হবে !
-না স্যার, কথা আছে । এই কয়েক ঘন্টার ভেতরে তাদের এমন জাগয়ায় মাইর দেয় স্যার না পারে সইতে আবার না পারে কাউরে দেখাইতে । তার স্পেশাল ট্রেনিং দেওয়া কিছু লোক আছে । তারা মাইর দেয় কোন রক্ত বের হয় না কোন হাড্ডি ভাঙ্গে না । কিন্তু যে একবার সেই মাইর খায় আর কোন দিন কোন আকাম করার সাহস পায় না ! অনেকে মাইর খাইয়া আমাদের দল ছাইড়া চলে গেছে ।
সোলাইমান হক বলল
-তোমরা কোন ব্যাবস্থা নাউ নাই ?
এএসপি মাহমুদ বলল
-স্যার উনাকে সবাই বেশ পছন্দ করে । আর উপরের লেভেলেও তার ব্যাক আপ আছে । স্যার এতোদিন জাপান ছিলেন ! সেন্ট্রাল থেকে তাকে পাঠানো হয়েছিল ! আমাদের কাউকে পরোয়া করে না ! আমাদের কিছু করার নেই । তার উপর সৎ মানুষ । দুর্নীতি একদম দেখতে পারে না !
সোলাইমান হক কি করবেন ঠিক বুঝতে পারলেন না । তিনি দেশের বন ও পশু সম্পদ মন্ত্রী ! যেখানে যান সেখান কার ওসি ডিসি এসপি তার চারপাশে ঘোরাঘুরি করতে থাকে । আর কোথাকার কোন এসপি তার সাথে একটা বার দেখাও করতে এল না ! এটা তিনি মেনে নিতে পারছেন না । মনে হচ্ছে বেটা এসপি কে গিয়ে একটা থাপ্পড় দিয়ে আসে !


দুই

তন্বী বারান্দায় বসে বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিল । আর পাশের ঘরের তার বাবা এবং তার সাথের লোকজনের কথা কানে আসছিল । কেন জানি সব শুনে এসপি সাহেবের প্রতি একটু আগ্রহ জমে উঠলো ! এমন মানুষও আজকাল আছে নাকি ! যা শুনলো তা যদি সত্যিই হয়ে থাকে তাহলে বলতেই হবে যে এসপি সাহেব বেশ সাহসী মানুষ । নয়তো তার পেছনে বড় কেউ আছেন । নয়তো এমন কাজ সবাই করতে পারে না ! তার বাবা বেশ ক্ষমতাবান একজন মানুষ । এই কথা মোটামুটি সবাই জানে নয়তো অনুমান করে নিতে পারে । তাকে সবাই তোয়াজ করে চলে । আর এই এসপি কিনা তাকে পাত্তাই দিচ্ছে না !
গত পরশু দিন রাতে তন্বীরা এই সুন্দরপুর এলাকায় বেড়াতে এসেছেন পরিবারসহ ! পরিবার বলতে তন্বীর বাবা, ওর মা আর সে । ছোট একটা ভাই অবশ্য আছে । সে আসে নি । তার এতো সময় কোথায় ! বাবা সারা বছরই কাজের চাপে খুব ব্যস্ত থাকে । তাদের নিয়ে কোথাও যাওয়ার সময় পায় না । যদিও যায় সেটা হয় সরকারী কোন সফর ! কিন্তু এবার এখানে এসেছে একদম ছুটি নিয়ে । দেশের ভেতর সুন্দরপুর এলাকাটা ওতো পরিচিত নয় টুরিস্ট এলাকা হিসাবে কিন্তু খুব নিরিবিলি আর প্রকৃতির খুব কাছাকাছি আসা যায় ! এখানে বেশ কয়েকটা বড় বড় লেক আছে । সাথে চা বাগান । সব মিলিয়ে চমৎকার একটা জাগয়া !
এসব ভাবতে ভাবতেই বাংলোর কেয়ারটেকার আলিম ঢুকলো বারান্দায় । হাতে চায়ের কাপ ! চায়ের কাপ তন্বীকে দিয়ে বেরিয়ে যেতে যাবে তখন তন্বী ওকে বলল
-তোমাদের এসপি সাহেব কে চেনো তুমি ?
-জে আফা !
-কেমন মানুষ ?
-খুউব ভালা মানুষ ।
-তাই ?
-জে আফা । উনি আসার পর থেকে আমাগো সুন্দর পুরে অনেক শান্তি আছে । মানুষ জন ভালা আছে খুব ! আর মানুষ জন খুব ভালা পায় তাকে । আর মাইয়ারা তো তারে বিয়া করনের জন্য পাগল !
তন্বী একটু অবাক হল । অবাক হয়ে বলল
-কেন ? তোমাদের এসপি সাহেব এখনও বিয়ে করে নাই ?
-না আফা ! দেখতেই সেই সৌন্দর ! আর দেখলে এখনও মনে অয় জোয়ান পুলা ! আমাদের ডিসি আর টিওনো স্যারের দুই মাইয়া আছে । একজন ডাক্তার আরেক জন উকিল । দুইজনেই স্যারের জন্য পাগল । দেখতেও সেই সুন্দর । কিন্তু স্যার এদের কাউরে পাত্তা দেয় না !
-কেন ?
-কি জানি ! হেই নাকি কারে ভালা পায় ।
তন্বীর একটু কৌতুহল হলই বটে এসপি সাহেব কে দেখার জন্য । এখনও বিয়ে করে নি তার মানে বয়স কম হবে ! আবার এতো কম বয়সে কেউ এতো জলদি এসপি হয়ে যেতে পারে না । বয়স নিশ্চই বেশি হবে, তবে বিয়ে করে নি । ওদিকে মেয়েরা নাকি এখনও তার জন্য পাগল । সেই হিসাবে খুব বেশি বয়স্কও তো মনে হচ্ছে না ।
তন্বী ঠিক করলো আজ বিকেলে হাটতে হাটতে ওদিকে একবার যাবে । যদি সম্ভব হয় দেখা করে আসবে এসপির সাথে ।


তিন

সুন্দরপুরের এসপির বাংলোটা চা বাগানের ভেতরে । চারিদিকে যড় দুর চোখ যায় কেবল চা গাছ । আর মাঝে মাঝে চা গাছ কে ছায়া দেওয়ার জন্য বড় বড় গাছ লাগালো হয়েছে । এটা সরকারী চা বাগান । সরকারী ভাবেই এখানে চা উৎপাদন হয় বলা চলে দেশের বেশির ভাগ চাই এখান থেকে উৎপাদিত হয় । এবং পুরো চা বাগানটা নিয়ন্ত্রন করে পুলিশ ডিপার্টমেন্ট !
তাছাড়া সরকারী বড় বড় সবার বাসাও এই চা বাগানের আশে পাশেই । তন্বীদের গেস্টহাউজটার একটু পরেই এই বাগান শুরু হয়েছে । তন্বীকে একা একা বের হতে দেখে ওর বাবা ওর সাথে একজন গার্ড দিয়ে দিতে চেয়েছিল কিন্তু তন্বী রাজি হয় নি । বলেছে ওর দরকার নেই । এর পর অবশ্য ওর বাবা আর কোন কথা বলে নি । তন্বীকে সে বেশ ভয় পায় কোন এক অজানা কারনে । বলা চলে ওর কথার খুব একটা অমত করে না । অবশ্য এর পেছনে একটা কারন আছে । তিনি তন্বী খুব ভালবাসে সেটা ছাড়াও আরও এটা কারন আছে ।
তন্বী আস্তে আস্তে হাটতে থাকে । বেশ কিছুক্ষন হাটার পরেই সে এসপির বাংলোটা দেখতে পেল । বড় করে সাইন বোর্ড লাগানো ! বাইরে গেটের কাছে একজন পুলিশ পাহারায় রয়েছে । কিছুক্ষন দাড়িয়ে থেকে নিজেই এগিয়ে গেল পুলিশটির কাছে ।
-আপনাদের এসপি সাহেব আছেন ?
-জি আছেন ?
-ওনার সাথে কি একটু দেখা করা যাবে ?
-স্যার তো এভাবে কারো সাথে দেখা করেন না !
-ও ! আপনি কি একটু বলবেন যে একজন দেখা করতে চাচ্ছে ! আর বলবেন যে ......।
-আর কি বলবো ?
-না থাক ! আর কিছু না ! কেবল বলবেন একজন দেখা করতে চাচ্ছে !
পুলিশটি কি যেন ভাবলো । তারপর ইণ্টারকমের ফোন টা তুলে নিয়ে ভেতরে কথা বলতে লাগলো !
তন্বী দাড়িয়ে রইলো আর চারিপাশে দেখতে লাগলো ! জাগয়াটা আসলেই চমৎকার । বেড়ানোর জন্য অবশ্যই এর থেকে চমৎকার জায়গা আর হয় না কিন্তু সব সময় থাকার জন্য কেমন কে জানে । প্রতিদিন এই নির্জনতার ভেতরে থাকলে হয়তো এতোটা ভাল নাও লাগতে পারে !
-ম্যাডাম আপনি ভেতরে যেতে পারেন । স্যার আপনাকে যেতে বলেছেন !
তন্বী একটু হেসে ভেতরে দিকে পা বাড়ালো । বাংলোর গেট দিয়ে দিয়ে ঢুকেই বড় লন । সেটা চলে গেছে একদম সদর দরজার কাছে । দুপাশে নানা ধরনের ফুলের গাছ । কয়েকটা বড় বড় গাছও আছে, যেগুলো পুরো বাড়িটাকে ছায়া দিয়ে রেখেছে ।
তন্বী সদর দরজার কাছে পৌছানোর আগেই একজন দরজা খুলে বেরিয়ে এল । মাঝবয়সী এক বৃদ্ধ । তন্বী দিকে তাকিয়ে বলল
-এদিক দিয়ে আসুন !
তন্বীকে সদর দরজা দিয়ে বসার ঘরে নিয়ে গেল । সোফা দেখিয়ে বসতে ইঙ্গিত করে মাঝ বয়সী লোকটা বলল
-স্যার এখনই চলে আসবে ! আপনি একটু বসুন !
তন্বীকে একা রেখে মাঝ বয়সী লোকটা চলে গেল ! তন্বী ঘরের আসবার পত্র দেখতে লাগলো ! বেশ সাজানো গোছানো । এসপি সাহেবের পছন্দ আছে বলতে হবে ! তন্বী সোফা থেকে উঠে গিয়ে শোকেজে গিয়ে শোপিচ গুলো দেখতে লাগলো !
তখনই অনুভব করলো কেউ একজন পেছনে এসে দাড়িয়েছে !
তন্বী ঘুরে দাড়াতেই ছোট খাটো একটা ধাক্কার মত খেলো ! এতো গুলো বছর পার হয়ে গেছে অথচ ছেলেটার চেহারায় কোন ছাপ পরে নি । মনে হচ্ছে সেই ২৬ বছরের যুবক তার সামনে দাড়িয়ে আছে ।
-তুমি !
কেবল একটা কথাই মুখ দিয়ে বের হল !
-যাক ! চেহারা ভুলো নাই দেখছি !
তন্বীর কেবল মনে হল ওর পায়ে কোন জোর পাচ্ছে না । তন্বী আস্তে সোফায় বসে পড়লো । চোখের ততক্ষনে পানি জমতে শুরু করেছে । হঠাৎ করেই এমন একজন সামনে চলে আসাতেই কিছুতেই নিজের আবেগ কে ধরে রাখতে পারছে না । কিছুতেই সামনে দাড়ানো মানুষটাকে এখানে আশা করে নি ! কিছুতেই আশা করে নি ।
লাফ দিয়েই যেন তন্বী ঠিক সাত বছর আগের জীবনে চলে গেল ! তখন তন্বী বয়স কত হবে ? বাইশ ! আর মাসরুফের ২৬ কি ২৭ । সদ্য বিসিএস দিয়ে এএসপি হিসাবে জয়েন করেছে ।


চার

সামনে বসা মানুষকে মাসরুফের চিন্তিত হওয়া উচিৎ । কিন্তু কেন জানি সে মোটেই তা হচ্ছে না । বরং নিজের কাছেই কেমন একটা থ্রিল অনুভব করছে । এতোদিন টিভিতে দেখে এসেছে এখন সেটা ওর সাথে ঘটছে । মাসরুফের এক মাত্র চিন্তা মেয়েটাকে নিয়ে । অপেক্ষা করছে ওর জন্য ! বার কয়েক নিজের হাতের ঘড়ির দিকে তাকালো । এতোক্ষনে সে বের হয়ে যেত কিন্তু হঠাৎ করেই এমপি চলে আসার কারনে সেটা আর হল না !
সামনে বসা লোকটি এখানকার স্থানীয় এমপি । সাদা রংয়ের একটা পাঞ্জাবী পরে আছে । ঘামে ভিজে একাকার । পেছনে আরও কয়েকজন সাঙ্গো পাঙ্গো রয়েছে । সবার চোখই এএসপি মাসরুফের উপর নিবদ্ধ ! এমপি সাহেব আবার বলল
-তুমি কোন সাহসে আমার ছেলেকে ধরে এনেছো ? তার উপর তার হাত ভেঙ্গে দিয়েছো ? এখনই তুমি আমার ছেলেকে ছেলে দিবে ! এখনই !
মাসরুফের কেন জানি হাসি পেল । কঠিন কিছু বলা দরকার কিন্তু হাসি মুখ নিয়ে বলল
-আমি কি সম্পর্কে আপনার মামা হই ?
এমপি গর্জে উঠে বলল
-মানে ?
-মানে এসে বললেন যে আমার ছেলেকে ছেড়ে দাও আমি ছেলে দেব ! শুনেন আপনার ছেলেকে আমি এমনি এমনি ধরে আনি নাই । কি করেছে আপনি নিশ্চয়ই জানেন ?
এমপি একটু ভড়কে গেল । এর আগের অফিসার গুলো এমপির গলা শুনেই একটু ভড়কে যেত কিন্তু সামনে বসা এই অফিসারটি সেরকম কিছুই হচ্ছে না । বরং মনে হচ্ছে সে যেন আরও মজা পাচ্ছে !
-তুমি জানো আমি তোমার কি করতে পারি ?
-জানি না ! কি করতে পারেন শুনি একটু ?
এমপি কথা খুজে পেল না ! পেছনে দাড়িয়ে থাকা এমপির এক সাঙ্গো বলল
-ভাই আপনি এতো কথা বলছেন ক্যান ? আপনি খালি একবার কন ! দেখেন কি করি !
এমপি তাকিয়ে দেখলো সামনে বসা মানুষ টা যেন গুলির বেগে নিজের চেয়ার ছেলে উঠে দাড়ালো । তারপর ঐ সাঙ্গোর সামনে গিয়ে কষে এক চড় মাড়লো ! এতো দ্রুতই ঘটনা ঘটলো যে ঐ সাঙ্গো তো ভড়কে গেলই স্বয়ং এমপিও ভড়কে গেল !
আর মাসরুফ সাঙ্গোর চোখে চোখ রেখে বলল
-কি করবি তুই ? বল কি করবি ?
মুখ দিয়ে কোন কথা বলতে পারলো না বেচারা ! মাসরুফ আবার নিজের চেয়ারে বসতে বসতে এমপি সাহেবের দিকে তাকিয়ে বলল
-দেখুন এমপি সাহবে আপনার সাথে আমার কোন ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই । সুতরাং এটা পার্সোনাল দিকে না নিয়ে যাই আমরা ! কারন নিলে ক্ষতিটা আমার থেকে আপনারই বেশি হবে !
-তুমি আমাকে ভয় দেখাচ্ছো ! জানো তোমাকে আমি ......
কথা শেষ হল না তার আগেই মাসরুফ বলল
-ট্রান্সফার করবেন ? কোথায় করবেন ? শুনি কোথায় করবেন ? বান্দরবন, সুন্দরবন, হাহাহাহাহা ! আপনারা এতো ফানি ক্যান বলেন তো ! এর বেশি কিছু করতে পারেন না ? আর কোন ডায়ালগ জানা নেই ?
তারপর হাসি থামিয়ে বলল
-শুনেন আমার বস মানে এস পি সাহেব এখন ঢাকায় আছে জরুরী কাজে । আপনি যতই জোর লাগান না কেন ৭ দিনের আগে আমাকে এখান থেকে ট্রান্সফার করতে পারবেন না ! আর এই সাত দিনে আমি আপনার কি কি ক্ষতি করতে পারবো আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না ! নিশ্চয়ই জানেন পুলিশ পারে না এমন কাজ নেই !
এমপির সামনেই প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে ধরালো । জোরে একটা টান দিতে দিতে বলল
-সিরারেট খাওয়া ভাল না জানেন তো ! ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি ! কিন্তু হচ্ছে না ! মাঝে মাঝে টেনশন বেশি থাকলে আপনা আপনিই খেতে হয় !
-তাহলে তুমি আমার ছেলেকে ছাড়বে না ?
-শুনেন মাই ডিয়ার মেম্বার অব পার্লামেন্ট, আগেই বলেছি আমি আপনার মামা লাগি না যে আসবে বলবেন আর হয়ে যাবে ! আপনার ছেলে একটা মেয়েকে রেপ করেছে । বুঝছেন কথাটা ! তাকে আমি বোঝাবো কত ধানে কত চাল ! আর একটা কথা আপনাকে আগে থেকেই বলি, যদি আপনি আপনার ছেলেকে অন্য পথে ছাড়ানোর চেষ্টা করেন তাহলে আমার কেবল এক ঘন্টা লাগবে ! ঐ দেখছেন লাঠিটা .....
টেবিলের ঠিক ডান দিকের একটা তাকে কয়েকটা পুলিশের রুল রাখা ছিল । সেটা দেখিয়ে মাসরুফ বলল
-এই লাঠি দিয়ে আপনার ছেলের প্রতিটা হাড্ডির জয়েন্ট আমি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেব । থানার ভেতরে আমাকে কেউ আটকাতে পারবে না ! কেউ না ! এখন আপনি চিন্তা করেন জেলের ভেতর সুস্থ ছেলে চান নাকি মুক্ত পঙ্গু ছেলে চান ? সিদ্ধান্ত আপনার !
এমপি কোন কথা বলতে পারলো না ! সামনে বসা মানুষটার দৃঢ়তা দেখে তিনি কেমন যেন চুপছে গেছে । এতোদিন ক্ষমতার দাপটে তিনি সবাইকে চুপ করিয়ে রেখেছেন আজকে নিজেই চুপ হয়ে গেছেন ।
এএসপি মাসরুফ আবার বলল
-বাসায় যান এমপি সাহেব । আপনার ছেলে যে অন্যায় করেছে তাকে তার শাস্তি পেতে দিন ! অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া ঠিক না !
আর কোন কথা হল না ! এমপি চুপচাপ নিজের দলবল নিয়ে উঠে চলে গেল । আসার সময়ে ঠিক যতটাই উদ্ধত ছিল যাওয়ার সময়ে তিনি ততটাই যেন চুপসে গেছেন !
এমপি বেরিয়ে যেতেই মাসরুফ নিজের ঘড়ির দিকে তাকালো । বেশ খানিকটা দেরি হয়ে গেছে এমনিতেই । মেয়েটা নিশ্চই অনেক টা সময় অপেক্ষা করছে। এখন বাসায় গিয়ে কাপড় বদলানোর সময় নেই । আজকে মেয়েটাকে একটু চমকে দেওয়া যাক এই ভেবেই মাসরুফ পুলিশের পোষাক পরেই বের হয়ে গেল ।


পাঁচ

তন্বীকে যখন বেশ কয়েক দিন ধরেই মাসরুফ ফলো করছিল তন্বীর চোখে মুখে কোন প্রকার বিরক্তি খুজে পায় নি । বরং মাসরুফের মনেই হয়েছে মেয়েটা ওকে পছন্দই করে । একদিন রাস্তার মাঝে দাড়িয়ে তন্বী বলল
-ভাল ছেলেরা মেয়েদের এরকম পেছন পেছন ফলো করে না ?
-তোমাকে কে বলল আমি ভাল ছেলে ?
-বাহ ! একেবারে তুমি ? আমাকে তুমি করে বলছেন কেন শুনি ? আমাকে কে চিনেন আপনি ?
-না ! পিচ্চি মেয়েকে আপনি করে বলতে কার ভাল লাগে বল !
-শুনেন আমি মোটেই পিচ্চি না ! আর যে মানুষ গুলো আমাকে আপনি করে বলে না আমি তাদের সাথে কথা বলি না !
-আচ্ছা ! তাহলে কি আমি চলে যাবো ?
-হ্যা !
-সত্যি যাবো ?
-হ্যা সত্য যাবেন !
মাসরুফ আর কথা বাড়ায় নি । চলে এসেছিল সেদিনই !
পরের কয়েক দিন আর যায় নি । চার পাঁচ দিন পরে আবার যখন গিয়ে হাজির হল তখন তন্বীকে দেখে একটু অবাকই হল । তন্বী মাসরুফ কে দেখে যেন একরাশ অভিমান ভরা কন্ঠে বলল
-আপনি এতো দিন আসেন নাই কেন ?
-আপনি পছন্দ করেন না তো !
-আমি কি তাই বললাম !
-ঐ একই কথা ! আজকে তো আপনি করে বলছি তা আজকে কি কথা বলা যাবে ? নাকি আজকেও চলে যাবো !
তন্বীকে অনেক টা সময় মাসরুফের দিকে তাকিয়ে বলল
-একটা রিক্সা ডাকেন !
-কেন ?
-ডাকতে বলছি ডাকেন ! এতো কথা কেন ?
তারপর দুজন অনেক টা সময় রিক্সা করে ঘুরলো । চাইলেই মাসরুফ সরকারি গাড়িতে করে ওকে নিয়ে ঘরতে পারতো । কিন্তু সেটা করতে মন চায় নি । এমন কি মাসরুফ যে এখান কার এএসপি সেটাও তন্বীকে বলে নি । তন্বীর ব্যাপারেও খুব এটা কিছু জানতেও চায় নি ।
তারপর দেখা সাক্ষাত হতেই থাকলো । আজকে সকালে হঠাৎ করেই তন্বী ওকে আসতে বলেছে । সেখানেই যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু মাঝ খানে এমপি বেটা এসে ঝামেলা বাঁধিয়ে দিল ।
ছয়
অন্যান্য দিনের মত আজকে তন্বীর মুখ টা একটু যেন গম্ভীর ! মাসরুফ বুঝতে পারছে কিছু একটা হয়েছে ।
-কোন সমস্যা ?
-হু !
-কি হয়েছে আমাকে বল ? নাকি আমার পুলিশের পোষাক দেখে পছন্দ হয় নি !
-তুমি যে এএসপি আমি আজকে সকালে জেনেছি !
-ও ! ভাল ! তা তোমার পুলিশ পছন্দ না ?
-তুমি এমপির ছেলের হাত ভেঙ্গে দিয়েছো মেরে ?
-তুমি কিভাবে জানলে ?
-দিয়েছো কি না ?
-দিয়েছি ! আরও অনেক কিছুই ভাঙ্গবো ! তুমি জানো সে কি করেছে ? মেয়েটার বাবা আমাকে জড়িয়ে ধরে যখন কাঁদছিল তখনই আমি সিদ্ধান্ত নেই ঐ শা.... সরি বেটাকে আমি একটা উচিৎ শিক্ষা দেব !
তন্বীক অনেক টা সময় চুপ করে থেকে বলল
-আমি ঐ এমপির মেয়ে ! ঐ রেপিস্টের বোন !
মাসরুফ কি বলবে ঠিক ঠিক বুঝে উঠতে পারলো না । অনেক দিন সে এমন ধাক্কা খায় নি । কেবল অবাক হয়ে তন্বীর দিকে তাকিয়ে রইলো । নিজেকে সামলাতে কিছুটা সময় লাগলো ! তারপর বলল
-আমার কাজের সাথে নিশ্চয়ই আমার পার্সোনাল লাইফ মিশবে না ! তুমি কার মেয়ে কার বোন এটা আমার কাছে খুব বেশি গুরত্বপূর্ণ না ! তোমাকে আমি পছন্দ করি এটা গুরুত্বপূর্ণ !
তন্বী কিছু বলার আগেই রেস্টুরেন্টে দরজায় এমপি কে দেখা গেল ! তিনি সরাসরি তন্বীদের টেবিলের দিকে এসে মাসরুফের দিকে তাকিয়ে বলল
-বাহ । আমার ছেলেকে রেপের দায়ে ধরে এখন নিজেই আমাকে মেয়েকে টিজ করা হচ্ছে !
তন্বী তার বাবা সোলাইমান হককে বলল
-বাবা তুমি এখানে কেন এসেছো ? আমি তোমাকে বললাম না আমি দেখছি ব্যাপার টা ?
-তুই রাখ তোর দেখা দেখি !
-বাবা তুমি যাও এখান থেকে ! যাও বলছি !
মাসরুফ কেবল অবাক হয়ে তন্বীর দিকে তাকিয়ে রইলো । ওর ব্যাপার টা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে । বেশ কষ্ট হচ্ছে । বলল
-তাহলে প্লান করেই এসেছিলে ? ভাল ! আসলে তুমি তোমার বাবার মেয়ে এটা প্রথমে মানতে কষ্ট হচ্ছিল । ভেবেছিলাম মেয়ে নিশ্চই বাবা আর ভাইয়ের মত না ! আর শুনেন মিষ্টার মেম্বার ! আপনি আমার বাল টাও ছিড়তে পারবেন না ! লাগান আপনার মেয়েকে আমার পেছনে দেখি কি করতে পারেন !
এই বলে মাসরুফ আর দাড়ালো না সেখানে ! অনেক কিছুই ঘটতে পারতো কিন্তু ঘটনা আর সামনে দিকে এগোলো না !
ঐদিন রাতের বেলা তন্বীকে শেষ বারের মত ফোন করলো মাসরুফ । ফোন করে বলল
-মেয়েটার বাবা কেস তুলে নিয়েছে । তোমার ভাইকে কাল সকালে ছেড়ে দেওয়া হবে ।
-থেঙ্কিউ !
-আমাকে থ্যাঙ্কিউ দেওয়ার কিছু নেই । তোমার বাবাকে দাও । সেই সব কিছু করেছে । যাক ভেবেছিলাম ছেড়ে দেওয়ার আগে তোমার ভাইয়ের আচ্ছা মত খবর নেব কিন্তু তোমার কথা ভেবে কেন জানি করতে পারলাম না ! তবে .....।
-তবে ?
-তবে দুঃখ একটাই যে আমি সম্ভবত ভুল মানুষকে ভালবেসেছি !
-প্লিজ এমন করে বল না ! আমি....।
-জানি কিছু বলতে হবে না তোমাকে !
তারপরই মাসরুফ ফোন রেখে দিল ! পরদিন সে এলাকা ছেড়ে চলে যায় । আর ফিরে আসে নি ! কদিন বাদে সেখানে নতুন এএসপি এসে যোগ দেয় ! সব কিছুই আগের মত হতে শুরু করে কেবল তন্বীকে কেমন যেন বদলে যায় ! সবার সাথে প্রয়োজন ছাড়া একটা কথাও বলে না । নিজের বাবা আর ভাইয়ের সাথে তো কথা বলাই প্রায় বন্ধ করে দিল ! জীবন এভাবেই চলছিল তখনই আবার নতুন করে সব কিছু অলট পালট হতে শুরু করলো !


পরিশিষ্টঃ

নিজের বারান্দায় বসে সোলাইমান হক সন্ধ্যার চা খাচ্ছিলেন । যদিও ঘড়ি বলছে সন্ধ্যা কিন্তু চারিদিকে অন্ধকার হয়ে গেছে বেশ ভাল ভাবেই । গেষ্ট হাউজের আঙ্গিনাটা বেশ আলোকিত হয়ে আছে কিন্তু এর বাইরে বেশ অন্ধকার ! বারান্দায় চা খেতেই তিনি দেখতে পেলেন একটা গাড়ি গেষ্ট হাউজের আঙ্গিনায় ঢুকছে । গাড়ির ধরন দেখেই বুঝতে কষ্ট হল না যে গাড়িটা সরকারি !
তিনি ভাবলেন নিশ্চই তার সাথে আবার নতুন কেউ দেখা করতে এসেছে । কিন্তু এরই ভেতর কেবল ঐ বদমাইশ এসপি ছাড়া আর সবাই দেখা করে গেছে । আবার কে এল ?
তিনি কেয়ারটেকারকে ডাক দিলেন !
কেয়ারটেকার আসতেই বললেন
-কে এসেছে দেখো তো ?
গাড়ির দিকে তাকিয়ে কেয়ার টেকার বলল
-এইটা তো এসপি সাহেবের গাড়ি !
সোলাইমান হক মনে মনে একটু খুশি হল । যাক দেরিতে হলে বেটার একটা সুবুদ্ধি হয়েছে । নয়তো এখান থেকে গিয়েই বেটার খবর নিতেন তিনি !
কিন্তু তিনি অবাক হয়ে দেখলেন গাড়ি থেকে তন্বী নেমে এল ! গাড়ির কাঁচ ধরে আরও কিছুক্ষন দাড়িয়ে কথা বলল ভেতরের মানুষ টা সাথে । তারপর তন্বী গেস্ট হাউজের দিকে রওনা দিল । গাড়ি থেকে কেউ নামলো না ! গাড়ি ঘুরে চলে গেল আবার !!
তিনি ঠিক মত বুঝতেই পারলেন না কি হল । এসপির গাড়িতে তন্বী কি করে এল ? আর কেনই বা এল ?
রাতে খাওয়ার সমু তিনি তন্বীর দিকে তাকিয়ে দেখলেন অন্যান্য দিনের থেকে তন্বীর ভেতরে কেমন যেন একটা পরিবর্তন ! অনেক দিনের সেই চিরো চেনা গম্ভীর ভাব টা নেই আর ওর ভেতরে !
তিনি ভেবেই পেলেন না কি এমন হয়ে গেল যে এক সন্ধ্যার ভেতরেই তন্বীর ভেতরে এতো পরিবর্তন হয়ে এল ! তবে তন্বীকে কিছু জিজ্ঞেসও করতে সাহস হল না ।
সকালের জন্য আর অপেক্ষা না করেই তিনি সেই রাতেই এসপির বাড়ির দিকে রওনা দিলেন । তার দেখাই লাগবে কি হল এতো দ্রুত !
যখন দরজা দিয়ে সোলাইমান হক আরিফের ড্রয়িং রুমে ঢুকলে তিনিও যেন নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারলো না !
-তুমি ?
-আরে আপনি ! মন্ত্রী সাহেব আমার বাসায় ?
-তুমি এখানে কি করছো ?
-এটা কি ধরনের প্রশ্ন হল ? আমি এখানে থাকি !
সোলাইমান হক নিজের কেবল তাকিয়েই রইলো । মাসরুফ বলল
-বসুন মন্ত্রী সাহেব ! আপনি আসবেন ভেবেছিলাম । এতো জলদি আসবেন ভাবি নি !
সোলাইমান হকের কাছে আস্তে আস্তে সব কিছু পরিস্কার হয়ে গেল । তন্বীর হঠাৎ করেই চুপ হয়ে যাওয়ার কারন টা যেমন এই মাসরুফের কাছ থেকে দুরে চলে যাওয়া ছিল ঠিক তেমনি হঠাৎ করে হাসি খুশির কারন টাও নিশ্চই এই ছেলেটাই !
মেয়ের জেদের সাথে তিনি পেরে উঠবেন না এটা তিনি ভাল করেই জানেন । তাহলে কি এই ছেলের সাথে সমঝোতা করে ফেলাই ভাল নয় ! কিন্তু তিনি বড় হয়ে তার উপর একজন মন্ত্রী হয়ে আগে এই কথা কিভাবে বলেন !
মাসরুফ বলল
-এখনও দাড়িয়ে আছেন ? বসুন ! নাকি এখনও পুরানো কথা মনে রেখেছেন ? বাইদা ওয়ে আপনার গুনধর পুত্র কি করে এখন ? আগের মতই আছে নাকি বদলেছে !
সোলাইমান হক বসতে বসতে বলল
-পুরানো কথা না আনাই ভাল !
-হুম ! ঠিক তাই ! না আনাই ভাল !


তারপর ..... সবাই সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিলো !


লেখাটি লুলু আন্টির জন্য
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×