somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ অচেনা আগন্তুক (ফাইনাল এডিশন)

৩০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



অনেক দিন আগে এই আগন্তুক সিরিজটা শুরু করেছিলাম । প্রথম কয়েক পর্ব লিখলেও সেটা একটু ছাড়া ছাড়া ভাব করা ছিল । অবশেষে সেটা সম্পূর্ন গল্পে লিখে ফেললাম ! যদিও পর্বগুলো আগেই দেওয়া হয়েছিল তবে সেগুলো আবার রিরাইট করা হয়েছে । কিছু বাদ দেওয়া হয়েছে এবং অনেক কিছু সংযোজন করা হয়েছে । তাই আবার প্রথম থেকে পড়ার জন্য অনুরোধ করা গেল ! ধন্যবাদ ।

প্রথম পর্ব


আগের পর্ব


দশ

নিকিতা আরেকবার পেছন ফিরে চাইলো । তাকিয়েই মনে হয় ভুল করে ফেলল । একটু আগের দেখা মানুষের মত জন্তু গুলো এখন আরও স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছে । আরও কাছে চলে এসেছে । দেখেই মনে হল না তাকানোই বোধহয় ভাল ছিল । বুকের ভেতর একটা তীব্র ভয় অনুভব করলো । মুখ দিয়ে একটা চিৎকার বের হতে গিয়েও হল না । জানে চিৎকার দিয়েও লাভ নেই । বেঁচে থাকার জন্য এখন তাকে সামনে দৌড়াতে হবে । সামনের দিকে তাকিয়ে আবারও দৌড়াতে লাগলো প্রানপনে ।

নিকিতা তাকাবে না তাকাবে করেও আরেকবার তাকালো । আরও পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে এখন ! জন্তুটা দেখতে মানুষের মত লম্বা হলেও তার তিন টা পা রয়েছে । সেই তিনটা পা দিয়েই চমৎকার ভাবে লাফাতে লাফাতে চলে আসছে আরও কাছে । মুখে রয়েছে এক বন্য আদিমতা । যেন নিকিতাকে কাছে পেলেই ছিড়ে খেয়ে ফেলবে । নিকিতা আরও জোরে দৌড়াতে লাগলো ।

আরও একটু দুরে বিপরীত দিকে তাকিয়ে আগন্তুক কে দেখতে পেল । ঠিক ওর দিকে দৌড়ে আসছে । নিকিতার মনে হল এই যাত্রায় মনে হয় সে বেঁচেই গেল । আর কোন সমস্যা নেই । যে কোন ভাবেই হোক আগন্তুক ওকে বাঁচিয়েই ফেলবে ! কিন্তু আগন্তুক যখন তার থেকে ১০০ গজের মত দুরে তখন হঠাৎ করেই সামনে থেকে মাটি সরে গেল । একটা গভীর খাঁদের মত সৃষ্টি হল মুহুর্তেই । কালো কাপড় পরা সেই আগন্তুক মুহুর্তেই হারিয়ে গেল সেখান । একটা চিৎকার দেওয়ার সময় পর্যন্ত পেল না । তবে চিৎকার টা নিকিতার মুখ থেকে বের হয়ে হয়ে এল । চিৎকার দিতে দিতেই নিকিতার ঘুম ভেঙ্গে গেল ।

যখন বুঝলো যে স্বপ্ন দেখছিল তখনও একটু শান্ত হওয়ার চেষ্টা করলো । তখন ওর বুকটা লাফাচ্ছে । তারপরেই ও চারিপাশে তাকিয়ে দেখলো আসলে সে তার নিজের ঘরে নেই । পরক্ষনেই তার মনে পরে গেল সে কোথায় আছে !

তার শেষ যা মনে আছে সেটা হচ্ছে তাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে । একটা রুমাল মুখে চেপে ধরার আগে কেউ একজনের সাথে তার কথা হচ্ছিলো । সে গাড়ি থেকে নামার তাগিত দিয়েছিল কেবল । কিন্তু সেই সুযোগ আর সে পায় নি ।

নিকিতার কান্না আসতে চাইলো । তবে জোর করে নিজের মনের সাহস সঞ্চয় করলো । সে এই দেশের একজন অকুতভয় মানুষ মেয়ে । তার এভাবে কান্না করা মোটেই মানায় না ! মোটেই না ! আগন্তুক থাকলেও নিশ্চয়ই তাকে ঠিক এই কথাটাই বলতো !
আচ্ছা যদি সে আর আগন্তুক এখন এই ঘরে বন্দী থাকতো তাহলে ?
কেমন হত ?
নিশ্চয়ই বেশ মজা হত !
নিকিতার মনে একটু আগে যে ভয়টা ছিল সেটা একটু কমে গেল । আগন্তুকের কথা চিন্তা করতে লাগলো !
সে এখন থাকলে কি করতো ?

চারিদিকে তাকিয়ে দেখলো ঘরটার । কাঠের তৈরি । তবে বেশ মজবুত কাঠের তৈরি মনে হচ্ছে । কোন প্রকার ফাঁক ফোকড় দেখা যাচ্ছে না ! ওর মুখ বেঁধে রাখা হয় নি । হাত পা কিছুই আটকে রাখা হয় নি । এর অর্থ হচ্ছে ও যেখানে আছে সেখান থেকে ও সহজে পালাতে পারবে না । ওর চিৎকারও কেউ শুনতে পাবে না ! বিছানা থেকে নেমে ও দরজা লক ধরে একটা খুলতে চেষ্টা করলো ! ভেবেছিল এটা হয়তো খোলা থাকবে কিন্তু সেটা বাইরে থেকে বন্ধ ! চারিদিকের সব কিছু পরীক্ষা করে দেখলো । এক মাত্র দরজা ছাড়া বের হওয়ার কোন উপায় নেই । কোন জানলা নেই ঘরটাতে । কেবল একটা ১০০ পাওয়ারের লাইট জ্বলছে । সেটা পুরো ঘরটাকে আলোকিত করে রেখেছে !

নিকিতা কি করবে কিছুই বুঝতে পারলো না ! এখান বের হওয়ার কি কোন উপায় নেই ? তাকে নিয়ে কিডন্যাপারদের কি পরিকল্পনা তার কিছু বুঝতে পারলো না !
মেরে ফেলবে ?
নাকি অন্য কিছু ?
এর থেকেও খারাপ কিছু ! আর কিছু ভাবতে পারলো না ! আবারও বিছানার উপর শুয়ে পড়লো । আগন্তুকের কথা খুব মনে পড়লো । কোথায় সে ?
কি করছে ?
আসছে না কেন এখনও ?


###

আজকে অনেক দিন পর তার মন টা বেশ ভাল । বের ফুরফুরে মেজাজে আছেন । একটু আগেই তার কাছে খবর এসেছে যে সব কিছু ঠিক মত হয়েছে । এখন আর মাত্র কয়েকটা ধাপ । তারপর তার কাঙ্খিত আসনটা । আর মনে হয় কেউ সেটা আটকাতে পারছে না । আপন মনেই মিটিমিটি হাসতে লাগলো ।
হাসলে তাকে ভাল দেখায় !
কখন যে নার্স এসে ঘরের ভেতরে ঢুকেছে তিনি লক্ষ্যই করলেন না । নার্স এসে বলল
-স্যার ?
একটু চমকালেন ! মেয়েটা এমন করে না বলে ঘরে ঢুকে পড়ে কেন ?
যদিও মেয়েটা সম্ভবত অনেক আগেই ততার পছন্দের ব্যাপার টা ধরতে পেরেছেন । মেয়েদের এরকম একটা সহজাত ক্ষমতা থাকে । মানুষের চোখের দিকে তাকিয়ে তারা স হজেই বুঝে ফেলে কে তাদের কে কোন নজরে দেখছে । এবং মেয়েটা যথেষ্ঠ বুদ্ধিমান মনে হচ্ছে । ভাব ভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে মেয়েটার তাতে সম্মতি আছে । যদিও স্ত্রীর সাথে ছাড়া ছাড়ি হয়েছে অনেক আগেই আর বয়স টা তার মেয়েটা থেকে একটু যেন বেশিই তাতে কি হয়েছে । তিনি দেশের ভবিষ্যৎ রাস্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন । আর দেখতে তাকে কিন্তু একেবারে বুড়ো মনে হয় না ! ঠিক মত পোষাক পড়লে আজও তাকে সুদর্শনই লাগে !

-স্যার !
-হুম । বল !
-প্রেসিডেন্ট স্যার এসেছেন !

যেন ধাক্কার মত লাগলো তার বুকে ! এতো জলদি তো তার আসার কথা না ! তাহলে কি বুঝে ফেলল ।
নাহ ! কোন ভাবেই বোঝা সম্ভব না ! এতো গোপন ভাবে সব কিছু করা হয়েছে । তাহলে এমন হুট করে চলে আসার মানে কি ! কোন বিশেষ কারন কি আছে ?
অবশ্য এতো চিন্তার কোন কারন নেি । তিনি ভাবলেন !
তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট ! তার কাছে বিনা নোটিসে প্রেসিডেন্ট আসতেই পারেন । তিনি চাইলে যে কারো কাছেই বিনা নোটিশে আসতে পারেন ।


###

ফারিয়া এক টানা গাড়ি চালাচ্ছে ! সোজা প্লেন করে সীমান্তবর্তী জেলা ভুবেনগড়ে ল্যান্ড করেছে । তারপর সেখান থেকে গাড়িতে করে একটানা চলছে তো চলছেই ! এক টানা জার্নি করে সে খানিকটা ক্লান্ত ! মন চাইছে একটু বিশ্রাম নিতে কিন্তু উপায় নেই । তার পিঠের ঠিক মাঝ বরাবর একটা ডেটোনেরট লাগানো আছে টেপ দিয়ে । সেটা থেকে লাল নীল তার বেরিয়ে পুরো পিঠের এদিক ওদিক দিয়ে ওকে জড়িয়ে রেখেছে । যেটার রিমোর্ট আগন্তুতের হাতে । প্লেন জার্নি থেকে শুরু করে পুরো জার্নিতে সে ফারিয়ার সাথেই ছিল !

সে এখন শুয়ে আছে এই গাড়ির পেছনের ডিক্কিতে । গাড়িটা ছুটে চলেছে বনের রাস্তা ধরে । খুব বেশি জোরে ছুটতে পারছে না । কারন রাস্তার অবস্থা বেশ খারাপ । ডিক্কির ভেতরে শুয়ে থাকা আগন্তুকের অবস্থা কি হচ্ছে কে জানে ! নিশ্চয়ই তার ঝাকিতে তার অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে যাচ্ছে । ফারিয়া একটু শান্তি পেল ।
গত রাতের পর থেকে ফারিয়া একটু জন্য শান্তি পায় নি । আগন্তুকের চেহারা দেখার পর এবং তার হাতে চড় খাওয়ার পর থেকে ফারিয়া মনে ভয় ঢুকে গেছে । সে নিজেকে যথেষ্ঠ শক্ত মনে করতো কিন্তু এর আগে এমন কারো সাথে তার মোকাবেল হয় নি, বলা চলে এর আগে এমন কেউ তার পর্যন্ত আসতেই পারে নি । সে এতো সহজে ভেঙ্গে পরবে নিজেও ভাবে নি ।
তাছাড়া ফারিয়ার আর কিছু করারও নেই । তার শরীরে যে ডেটোনেটর টা লাগানো আছে তার ভেতরে নির্দিষ্ট পরিমান বিস্ফোরক দ্রব্য রাখা আছে । আগন্তুক তাকে কেবল বলে সে যেকোন ভাবেই মেজর হাবিবের কাছে পৌছে যাবে । ফারিয়াকে তার খুব বেশি প্রয়োজনও নেই । যদি সে কোন চালাকী করার চেষ্টা করে তাহলে সে কেবল রিমোর্টের বাটনটা চেপে দিবে ! তবে ফারিয়া যদি তাকে নিকিতাকে বাঁচাতে সাহায্য করে তাহলে হয়তো তাকে প্রাণে মারবে না !

গাড়ি একেবারে সীমান্তের কাছে চলে এসেছে । বন জঙ্গল গুলো যেন আরও একটু ঘন হয়ে এসেছে । গাড়ি চালানো এখানে আরও কষ্টের তবুও ফারিয়া আস্তে আস্তে গাড়ি চালাতে লাগলো ! একটু দুরে যেতেই হঠাৎ করেই চার জন কালো কাপড় পরা মানুষ এসে হাজির হল ওর গাড়ির সামনে ! ফারিয়া ব্রেক করে অপেক্ষা করতে লাগলো !


###

মেজর হাবিব কেবল অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো ফারিয়ার দিকে । তার মনে একটা কূ ডেকে উঠলো । মনে হল কিছু যেন একটা ঠিক নেই ! এই সময়ে কোন ভাবেই ফারিয়ার এখানে আসার কথা না । এমন কোন কথাও ছিল না কিংবা থাকলেও তাকে এমন কোন কিছু বলা হয় নি । এমন কি ফারিয়া এখানে আসার আগে তাকে কিছু বলেও আসে নি !

-তুমি এখানে ?
-আঙ্কেল ধরা পরেছে ।
-তাতে কি হয়েছে ? তোমার এখানে আসার কথা না ! আমাদের ডিল ঐ পর্যন্তই ছিল । এর পরে তোমাদের ব্যাপারে আমাদের কোন কনসার্ন নেই ।

ফারিয়া কোন কথা বলল না ! আসলেও তাই । তাদের ভেতরে কথাও ঠিক সেরকম হয়েছিল !
-তুমি এখানে কেন এসেছো ? সত্যি করে বল !
-আমার ওখানে থাকা নিরাপদ মনে হয় নি ! আমি ......।

ঠিক তখনই কাছেই তীব্র শব্দে কোথাও কিছু ব্লাস্ট হল ! পুরো ঘরটা যেন কেঁপে উঠলো ! মেজর হাবিরের আর বুঝতে বাকি রইলো না কিছু ! সরাসরি ফারিয়ার চুলের মুঠি ধরলো । তারপর বলল
-কাকে নিয়ে এসেছো ? বল কাকে নিয়ে এসেছো ?

ঠিক তখনই দ্বিতীয় বিস্ফোরন টা ঘটলো । এবারেরটা আরও জোরে ! ঘর গুলোর কাঠের থাম গুলো যেন নড়ে উঠলো ! মেজর হাবির ফারিয়কে ছেড়ে দিয়ে পকেট থেকে ওয়াকিটয়াকি বের করে কারো সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলো ।
-পিন্টু ! রিপোর্ট ! পিন্টু !

ওপাশ থেকে কোন আওয়াজ পাওয়া গেল না !
রাগের মুখ থেকে একটা গালি বের হয়ে এল । পিস্তল বের করে সরাসরি ফারিয়ার দিকে তাক করে বলল
-এর জন্য তুমি দায়ী ! বল কাকে নিয়ে এসেছো ?
ফারিয়া একে বারে ভয়ে ফ্রিজ হয়ে গেল । কি করবে ঠিক বুঝতে পারলো না ! নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে তাকিয়ে রইলো কেবল চুপ করে !


###

নিকিতার তখন সম্পূর্ন উঠে বসেছে । কয়েকবার চেষ্টা করেও দরজাও খুলতে পারলো না । বার কয়েক দরজায় লাথি মারলো কেবল । কোন লাভ হল না ! দরজাটা বেশ মজবুত ! কেবল পায়ে ব্যাথাই পেল ।
বাইরে থেকে চিৎকার চেঁচামিচির আওয়াজ আসছে । ক্ষনে ক্ষনে বিস্ফোরিত হচ্ছে সেই ষাথে কিছু মানুষের আর্তনাদ ভেসে আসছে ।
নিকিতার মনে একটু আগেও যে ভয় টা ছিল সেই ভয়টা এখন আর নেই । তার বদলে এখন কেবল রয়েছে একটা উত্তেজনা কাজ করছে । নিশ্চই আগন্তুক চলে এসেছে । নিকিতা জানতো সে আসবেই ।

কিছু সময় পরেই দরজায় ধাক্কা পরলো ! তারপর লক খোলার আওয়াজ হল ! নিকিতা এদিক ওদিক তাকিয়ে কিছু পেল না যেটা দিয়ে দিয়ে যে ঢুকবে তার উপর হামলা করবে কিংবা ঝাপিয়ে পড়বে । তবুও সে প্রস্তুতি নিয়ে রাখলো নিজের সর্ব শক্তি দিয়ে তার উপর ঝাপিয়ে পরবে । আগন্তুক আসার আগ পর্যন্ত তাকে এখন টিকে থাকতেই হবে !

দরজা খুলে গেল ! কালো পোষাক পরা মানুষটার উপর ঝাঁপিয়ে পরতে যাবে ঠিক তখনই নিজেকে সামলে নিল ! সেই পরিচিত চোখ ! সেই পরিচিত মানুষ । চোখে দুষ্টামীর হাসি যেন লেগেই আছে ! নিকিতা কেবল সোজা গিয়ে আগন্তুক কে জড়িয়ে ধড়লো !
-এতো দেরি করলে কেন ? আমার বুঝি ভয় করে নি ! করে নি ! তুমি বলেছিলে তুমি চলে আসবে আসবে সময় মত ! ২য় বারের মত তুমি আমাকে একা ফেলে চলে গেছো !
-২য় বার কোথায় ?
তখনও নিকিতা আগন্তুককে ছাড়ে নি । আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে ! বাইরে থেকে তখনই ক্ষনে ক্ষনে বোমার বিস্ফোরনের আওয়াজ ভেসে আসছে !

এবার নিকিতা আগন্তুক কে ছেড়ে দিয়ে বলল
-বারে ঐ শপিং মলে ! ওখানে তোমার আসার কথা ছিল ! তুমি আসো নি !
-আসি নি !! হাহাহাহাহা !
যেন খুব মজার কোন কথা বলে ফেলেছে । তারপর আগন্তুক নিকিতার সামনে নিজের কালো কাপড় খুলে ফেলল !
নিকিতা কেবল অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো সেদিকে । যাকেই হোক সামনের মানুষটাকে কিছুতেই সে আশা করে নি !
-তুমি মানে আপনি ?
মাশরুফ বলল
-আমি ! এখন এসো ! সময় নেই বিশেষ । আমাদের কে যেতে হবে !
-আমার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না !
-দরকার নেই । বিশ্বাস করা থেকেও এখন বেঁচে থাকাটাই বেশি জরুরী !

নিকিতার আসলেই ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না যে আসলে পুলিশ অফিসার মাশরুফই হচ্ছে আগন্তুক ! ওর আসেপাশে থেকেছে অথচ একটুর জন্যও ওকে বুঝতে দেয় নি ! কিভাবে সম্ভব হল !


###

দুজেই কাঠের করিডোর দিয়ে দৌড়ে চলেছে । তখনও চারিপাশ থেকে বিস্ফোরনের আওয়াজ আসছে । নিকিতা ভাবলো মাশরুফ এতো লোক জন নিয়ে এসেছে কিভাবে ?
-এতো বোমা মারছে কে ?
-কেউ না ?
-তাহলে ?
-তোমার কি মনে হয় এতোক্ষন আমি এখানে কি করছিলাম ? শুনি আমাদের দ্রুত এখন থেকে সরে পরতে হবে । ঠিক মিনিট পাঁচেকের মধ্য এটাও উড়তে শুরু করবে । আমরা যদি এর ভেতরে থাকি তাহলে আমরাও উড়ে যাবো !
-তাই নাকি ! ভাল তো !
-বাহ ! তোমার মনে হচ্ছে বেশ মজা লাগছে !
-হুম ! সেদিনের মত !
-শুনুন ম্যাডাম সেদিন আর আজকের পরিস্থিতি অনেক টা অন্য রকম !
-তবুও ! মজাই লাগছে !
-উপরওয়ালা তোমাকে কি দিয়ে বানিয়েছে কে জানে !

শেষ মাথায় এসেই মাশরুফ দেখলো তিন জন কালো পোষাক পরা মানুষ ওদের দিকে দৌড়ে আসছে । একটুও দেরি না করে পকেট থেকে একটা গ্রেনেড বের করে ওদের দিকে ছুড়ে দিল ! তারপর ডান দিকে ছুটতে শুরুর করলো । একটু পরেই আবার পুরো কাঠের করিডোর টা কেঁপে উঠলো ! ছুটতে ছুটতে আবারও ডান দিকে বাঁক নিতে হল ওদের । সামনে থেকে বের হওয়ার পথ নেই । ঠিক যেই ও আবারও ডান দিকে বাঁক নিতে যাবে তখনই একজন যেন দেওয়াল ফুড়ে বেরিয়ে আসলো ! একেবারে ঝপিয়ে পরলো মাশরুফে উপর । এমন করে কারো আসাটা ঠিক আশা করে করে নি !


দুজনেই মাটিতে পড়ে রইলো কয়েক মুহুর্ত ! তারপর উপরের মানুষ টা উঠে দাড়ালো !

মেজর হাবিব !
-তাহলে আমাদের আবার দেখা হল !
মেজর হাবিবের হাতে একটা পিস্তল । সেটা তাক করা সোজা মাশরুফের দিকে । নিকিতা একটু দুরে দাড়িয়ে আছে স্থির হয়ে । মাশরুফ তখনও উঠে দাড়াতে পারে নি ! পিস্তলের মুখে স্থির হয়ে তাকিয়ে রইলো মেজর হাবিবের দিকে !
মাশরুফ বলল
-তাই তো মনে হচ্ছে ! আগের বার ঠিক মত কথাবার্তা হয় নি ! তার আগেই ঘুমিয়ে পড়েছিলে তুমি !
কেমন করে যেন হালো মেজর হাবিব । মুখ একটু বিকৃত করলো । তারপর বলল
-এবার ঘুমানোর পালা তোমার !

মেজর হাবির পিস্তল টা সোজা নিয়ে গুলি করতে উদ্ধত হল । মাশরুফ এখনও স্থির হয়ে তাকিয়ে রয়েছে মেজর হাবিবের দিকে । এতো কাছ থেকে গুলি করলে সেটা এড়ানো একটু অসম্ভবই বটে । তবে আশার কথা হচ্ছে ওর গায়ে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট রয়েছে । তবুও এতো কাছ থেকে গুলি করা হলে সেটা ধাক্কা সামলানো একটু কষ্ট করই হবে ! আর গুলি যদি মাথা বরাবর আসে তাহলে তো আর কোন কিছু ভেবে লাভ নেই । মাশরুফ একটা সুযোগ খুজতে লাগলো ! এক মাত্র সুযোগ !

ট্রিগার টেপার ঠিক কয়েক সেকেন্ড আগে নিকিতা একটা কান্ড করে ফেলল । সে এতোক্ষন পাশেই দাড়িয়ে ছিল ধাক্কা খাওয়ার পরে সে পাশে ছিটকে পড়েছিল ! নিজের গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে ঝাপিয়ে পড়লো মেজর হাবিবের উপর ! মেজর হাবিবের সম্পূর্ন মনযোগ ছিল মাশরুফের দিকে । নিকিতার দিক থেকে কোন আক্রমন আসবে সেটা সে ভাবে নি । তাই একটু জন্য হলেও মেজর হাবির চমকে উঠলো । নড়ে উঠলো হাতের পিস্তল টা । নিশানা টা একটু সরে গেল !

ব্যাস ! এই টুকুই দরকার ছিল মাশরুফের জন্য !
আরেকবার গুলি করার আগেই মাশরুফ বলা চলে গুলির বেগে উঠে দাড়ালো । ততক্ষনে ওর পা চলে গেছে হাবিবের মাথার কাছ । লাথিটা লাগলো হাবিবের ঠিক কান আর গলার মাঝ ! যদিও আর একটু উপরে লাগার কথা ছিল ! একেবারে টলে উঠলো মেজর হাবির !
তাকে সামলে ওঠার সুযোগ দিলো না মাশরুফ ! আরেকটা লাথি চলে ফেল তল পেট বরাবর ! মাটিতে শুয়ে মেজর হাবি তখন দম নিচ্ছে । এরপর শেষ লাথিটা পড়লো ঠিক বুকের সেই খানে সেখানে কদিন আগেই মাশরুফের গুলো খেয়েছিল সে ! ব্যাস ! আর কোন কিছু করার রইলো না তার ! মাটিতে পরে গেল সে !

-চল !
নিকিতাকে মেজফ হাবিবের ধাক্কায় নিকিতা পরে গিয়েছিল । কনুইয়ের কাছে একটু ব্যাথাও পেয়েছিল কিন্তু মাশরুফের মারপিট করা দেখে সে সেটার দিকে কেবল তাকিয়ে ছিল এক ভাবে । ওর কাছে যেন মনে হচ্ছিলো যেন ও মুভির দৃশ্য দেখছে ! বাস্তবেও তাহলে এমনটা সম্ভব ! নিকিতা না দেখলে হয়তো বিশ্বাস করতে পারতো না !

-দাড়াও !
-কি হল আবার !

মাশরুফ এবার মেজর হাবির সেখান থেকে এসেছিল অর্থাৎ যে দরজা দিয়ে বেরিয়ে এসেছিল হঠাৎ করে সেই দরজার কাছে এগিয়ে গেল ! ভেতরে উকি দিয়ে যেটা আশা করে নি তাই দেখতে পেলো !

ফারিয়ে মেঝেতে পরে আছে । ওর পেটের কাছে শাদা শার্টের কিছু অংশ রক্তে ভেসে যাচ্ছে । চট জলদি ফারিয়ার কাছে এগিয়ে গেল । নাকের কাছে আঙ্গুল নিয়ে দেখলো এখনও বেঁচে আছে !
নিকিতা পেছনেই ছিল ! মাশরুফকে বলল
-এ কে ?
-এই হচ্ছে সেই তোমাকে এখানে নিয়ে আসার জন্য পরিকল্পনা করেছিল !
-কি ! তাহলে এর এমন অবস্থা কেন ?
-জানি না ! তবে একটা কথা হচ্ছে ফারিয়ার সাহায্য ছাড়া আমি এখানে এতো সহজে ঢুকতে পারতাম না ! এখনও বেঁচে আছে !
-এখন ?
-একেও নিয়ে যেতে হবে ! এইভাবে একে এখানে ফেলে যেতে মন বলছে না !


মাশরুফ নিজের গায়ের শার্ট টা খুলে ফারিয়ার ক্ষত স্থানে বেঁধে দিল । ওর ওর উন্মুক্ত পেশি বহুল বডি দেখে এই বিপদের মাঝেও নিকির মাঝে কেমন অদ্ভুদ অনুভুতি হল ! যেন চোখ সরাতে পারছে না ! মনে মনে বলল আল্লাহ কি সব চিন্তা আছে । চিন্তার কোন সময় জ্ঞান নেই !


যখন আবার ওরা ফারিয়ার গাড়ির কাছে পৌছালো তখন পুরো ক্যাম্পের কোন কিছু আর অবশিষ্ট নেই । যারা প্রানে বেঁচে গেছে তারা আর এখানে থাকার মত সাহায্য করে নি । মাশরুফ ঠিক ওদের মত পোষাক পরে থাকার কারনে ওরা ঠিক মত বুঝতে পারে নি । ও বলতে গেলে পুরো ক্যাম্পের সব জায়গা বিস্ফোরক সেট করে রেখেছিল টাইমার দিয়ে । কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই !

ওর যখন গাড়িতে উঠলো নিকিতা অবাক হয়ে দেখলো ব্যাক সিটের নিচে একজন লুকিয়ে আছে ।
চিৎকার করে উঠলো
-এটা কে ?
-আমি !
কেবল একটা আওয়াজ এল । আস্তে করে মাথা তুলে তাকালো ! ততক্ষনে মাশরুফ আবারও নিজের মুখ ঢেকে ফেলেছে ।
নিকিতা অবাক হয়ে দেখলো এই লুকিয়ে থাকা আর কেউ নয় রাফায়েল চৌধুরী !
মাশরুফ বলল
-তোমাকে ধরার জন্য এরা রাফায়েল কে ব্যবহার করেচিল । মনে আছে এর ফোন তোমার কাছে এসেছিল । ও তখন এদের হাতে বন্দী ! আমি প্রথমে ভেবেছিলাম রাফায়েলও এদের সাথে যুক্ত কিন্তু এখানে তোমাকে খুজে পাওয়ার আগে একটা ঘরে ওকে পাই । ওকে তারপর গাড়িতে লুকিয়ে থাকতে বলি !

-উঠে পড় ! রাফায়ে তুমি সামনে এসো ! নিকিতে ফারিয়ে কে নিয়ে পেছনে বস !
নিকিতা কেবল রাফায়েলের দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো । সেই অবাক চোখ বিরক্তিতে রূপান্তরিত হতে সময় লাগলো ! এই ছেলেকে কি ভেবেছিল আর আর কি বের হল !

রাফায়েল বলল
-বিশ্বাস করুন আমার কিছু করার ছিল না !
-বুঝলাম !

মাশরুফ বলল
-ঠিক আছে । অনেক হয়েছে । কার কি করার ছিল, ছিল না এসব পরে ভাবলেও চলবে ! এবার আমাদের যেতে হবে ! এখানে আর দেরি করা যাবে না ! কোন দিক দিয়ে কি চলে আসে বলা মুশকিল ! বর্ডার ক্রস করে যে কেউ চলে আসতে পারে !

মাশরুফ গাড়ি স্টার্ট দিল !


###

-কেমন আছো আজিজ ?

প্রেসিডেন্ট হলেও আজিজুর রহমান খান জামসের আহমেদের জুনিয়র । তার নিজের প্রেসিডেন্ট হওয়ার কথা থাকলেও আজিজুর রহমানের ক্লিন ইমেজের কারনে পার্টি হাই কমান্ড তার বদলে আজিজুর রহমানকে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনয়ন দেন ।
অপমান টা সহ্য করে নিজেও তার নিজের মনের ভেতর একটা রাগ সেই তখন থেকেই ছিল । অনেক দিন থেকে তিনি এই পরিকল্পনা করছিল । আজকে তার অনেক টাই সফল হয়েছে । এবার আজিজুর র হমান কে তিনি বাগে আনতে পেরেছেন !

দুজনেই জামসের আহমেদের ড্রয়িং রুমে বসে আছে । একটু দুরে সোজা হয়ে আহমেদ আসাদ দাড়িয়ে আছে কঠিন মুখে !

-আপনার শরীরটা এখন কেমন ?
-ভাল !
রুমের ভেতর হঠাৎ করেই নিরবতা নেমে এল । কেউ যেন কোন কথা বলছে না কিংবা কোন কথা বলার খুজে পাচ্ছে না ! তার পর কোন প্রকার ভুমিকা না করেই প্রেসিডেন্ট আজিজুর রহমান খান বললেন
-দ্বন্দ্ব টা আপনার আর আমার ভেতরে ছিল ! সেটা আমার মেয়ে পর্যন্ত না আনলেই কি হত না ?

জামসের আহমেদ একেবারে এরকম সরাসরি কথা আশা করেন নি । তিনি ভেবেছিলেন কথা হয়তো অন্য দিকে থেকে আসবে !
-তুমি ঠিক কি বলছো আমি বুঝতে পারছি না !
-ও কামান, জাসমের ভাই ! ভনিতা রাখেন ! শামীম জাফর এখন আমার হেপাজতে ! সব কিছু বাদ দিন । আসুন সরসরি কথা বলি ! আপনি কি চান আমি জানতে চাই !

পুরো একটা মিনিট জামসের আহমেদ তাকিয়ে রইলো আজিজুর রহমান খানের দিকে ! তারপর শান্ত কন্ঠে বলল
-তুমি জানো আমি কি চাই !
-হুম ! তা কেবল আমি কেন সবাই জানে ! কিন্তু এই ভাবে আপনি সেটা পেতে চাইবেন আমি ভাবি নি ! আমি ঠিক সেদিনই বুঝতে পেরেছিলাম যেদিন আপনার উপর হামলা হয় ! তারপর যখনই আমার উপর হামলা এতো এতো কড়া সিকিউরিটির পরেই আমার বুঝতে বাকি রইলো বা যে এর পেছনে খুব শক্ট কেউ আছে ! আর সেই শক্ত কেউ টা যে আপনি সেটা বুঝতে আমার খুব বেশি কষ্ট হয় নি ! খুব সিম্পল একটা প্লান ! ভাইস প্রেসিডেন্টের উপর সন্ত্রাসী হামলা ! সব সিম্প্যাথি তার দিকে । এবার প্রেসিডেন্টের কিছু হলে কিংবা তিনি পদত্যাগ করলেই পুরো পার্টি তো বটেই দেশের মানুষ চাইবে এমন কাউকে প্রেসিডেন্ট করতে যে নিজের দেশের জন্য রক্ত ঝড়িয়েছে । তাই তখন থেকেই আমি ব্যবস্থা নিয়েছিলাম !
এবার একটু ভুরু কুচকে উঠলো জামসের আহমেদের ! তিনি ঠিক বুঝতে পারলেন না আসলে আজিজুর রহমান খান কি বোঝাতে চাইছে !

-আপনি যে এর পেছনে ছিলেন আমি সেটা আগে থেকেই জানতাম ! কেবল ভুল টা আমার ছিল যে আমি কেবল নিজের উপর বেশি জোর দিয়েছিলাম । আপনার চোখ যে আমার মেয়ের উপরে থাকবে সে আমি একটু বুঝতে পারি নি !

আবারও কিছুটা সময়ের জন্য পুরো ঘরে নিরবতা নেমে এল । নিরবতা এবারও ভাঙ্গলো প্রেসিডেন্ট আজিজুর রহমান খান নিজেই !
-এতো দিন আমার হাতে কোন প্রমান ছিল না কিন্তু এখন আমার হাতে প্রমান এসেছে । কেবল এই টুকুই বলতে এসেছিলাম আমি !
এই বলে আজিজুর রহমান খান উঠে দাড়ালো !

দাড়ায়েই জোরে ডাক দিল
-লিলি !
লিলি অর্থাৎ জামসের আহমেদের নার্স দরজার পাশেই দাড়িয়ে ছিল ! ডাকার সাথে সাথে ঘরের ভেতরে ঢুকে পরলো ! জামসের আহমেদ কেবল অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো মেয়েটার দিকে ! আজিজুর রহমান খান বললেন
-তোমার কাজ এখানে শেষ ?
-জি স্যার !
-চল যাওয়া যাক ! এখানে আর থাকার কোন মানে নেই !

যাওয়ার আগে জামসের আহমেদের দিকে তাকিয়ে বলল
-আপনি আমার শক্ত প্রতিপক্ষ ছিলেন পার্টিতে । হয়তো সামনের বার আপনিই হতেন প্রেসিডেন্ট ! কিন্তু নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মেড়েছেন । আর আমার মেয়ের কথা চিন্তা করবেন না ! সে আমার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিয়েছে !! আর আপনার সেই মেজর হাবিব..... এখন ইতিহাস....

আর দাড়ালেন না কেউ । প্রথমে আহমেদ আসাদ, তারপর প্রেসিডেন্ট নিজে এর পর নার্স বেরিয়ে গেল ! সবাই বের হওয়ার পরে জামসের আহমেদ কেবল একা একা দারিয়ে রইলো । বুকের ভেতর একটা ব্যাথা অনুভব করতে লাগলেন তিনি !











পরিশিষ্টঃ

পরডিন সংবাদ পত্রের প্রধান শিরোনাম টা ছিল এরকম "ভাইস প্রেসিডেন্টের আত্মহত্যা" । অনেকের মতে তিনি আত্মহত্যা করেন নি । তাকে হয়তো কেউ হত্যা করেছে । তবে বিশেষজ্ঞদের মতে তিনি আত্মহত্যাই করেছে ।
অন্য আরেকটা শিরোনামে জানা গেল ঠিক দুই দিন আগে প্রেসিডেন্টের কন্যা যেভাবে অপহৃত হয়েছিল তাকে উদ্ধার করা হয়েছে । কিন্তু কিভাবে উদ্ধার করা হয়েছে সে বিষয়ে কেউ কোন কথা বলতে পারে না ।

দেশের একটা নাম করা হাসপাতালে একটা কেবিনে ফারিয়া শুয়ে আছে । তার সামনে আকিব আরিয়ান বসে আছে চুপ করে । বেচারার এখন ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না মাত্র দুই দিনের ব্যাবধানে কি থেকে কি হয়ে গেল ! ফারিয়া তখনও ভেবে চলেছে ও এখানে কিভাবে এল । কোন উত্তর পাচ্ছে না !

(সমাপ্ত)



সম্পুর্ণ গল্পের পিডিএফ লিংক




সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:৩২
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×