somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ বিবাহ এবং বিবাহ পরবর্তি ঘটনা সমূহ (রিলোডেড) :D

২২ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি সিড়িতে ওঠার সময় মিশুর হাতটা ধরলাম ! মিশু আমার দিকে তাকিয়ে হাসলো একটু ! আসলে ও মনে করেছে আমি ওকে সাহস দেওয়ার জন্য ওর হাত ধরেছি ! অবশ্য এমন টা মনে হওয়াটা মোটেই অস্বাভাবিক নয় ! প্রথম বারের মত কোন মেয়েকে যদি কোন ছেলে তার বাসায় নিয়ে যায় মেয়েটার মনে একটু ভয় কাজ করতেই পারে কিংবা মেয়েটা একটু নার্ভাস হতেই পারে, এটাই স্বাভাবিক । তার উপর ছেলে মেয়ে যদি সবার অজান্তে বিয়ে করে ফেলে তাহলে তো কথাই নেই । এই সময়ে ছেলেটির উচিৎ মেয়েটিকে সাহস দেওয়া ! মিশুও মনে করেছে আমি ঠিক এই কারনেই ওর হাত ধরেছি ! কিন্তু আসল ঘটনা যদি ও জানতো !

মিশুর ব্যাগ টা আমার অন্য হাতে ! ছোট একটা ব্যাগ নিয়েই ও চলে এসেছে । মেয়েরা সামান্য এক দিনের ট্যুরে কোথাও গেলেও হাজার টা জিনিস পত্র নিয়ে যায় ! আর সারা জীবনের জন্য মিশু আমার হাত ধরে চলে এসেছে অথচ এতো ছোট ব্যাগ নিয়ে !
সিড়ি দিয়ে উঠতে উঠতেই মিশু বলল
-আমি মোটেই ভয় পাচ্ছি না ! তুমি আছো না আমার সাথে ! যা হবে এক সাথে মিলে দেখা যাবে !
এই কথা বলে ও আবার হাসলো ! ওর হাসি দেখে আমি মনে মনে হাসলাম ! এখন বাংলা নাটকের ডায়ালগ দেওয়ার সময় নয় ! এই মেয়েটাকে কিভাবে বুঝবো ! আসলে এখন বলতে গেলে কোন সমস্যাই নেই তবুও আমি টেনশনে মরে যাচ্ছি !
এখন ভাইয়া বাসা থাকে না ! কেবল ভাবি থাকবে বাসায় ! আর ভাবিকে ম্যানেজ করে খুব একটা সমস্যা হবে না ! আর একবার ভাবিকে ম্যানেজ করলে বলতে গেলে ভাইয়াও ম্যানেজ হয়ে যাবে ! কিন্তু ......

আমি আর ভাবতে চাইলাম না ! যা হওয়ার হবে ! এতো বেশি চিন্তা করলে হয়তো কিছুই হবে না ! মিশুর হাত ধরেই আমি দরজার কাছে দাড়িয়ে আরেকবার চিন্তা করলাম, কলিংবেল বাজাবো কি বাজাবো না !! অবশ্য না বাজিয়ে কোন উপায়ও নেই !
আবারও মনে মনে নিজেকে বোঝাতে লাগলাম যে এখন বাসায় ভাবি ছাড়া আর কেউ নাই সুতরাং কোন সমস্যা হবে না ! আপাতত কোন সমস্যা নাই । পরের সমস্যা পরে দেখা যাবে ! মিশুকে একবার বাসায় ভেতরে ঢুকাতে পারলেই হল ! তারপর মোটামুটি ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করা যাবে কি করতে হবে আর কিভাবে করতে হবে !

আল্লাহর নাম নিয়ে আমি কলিংবেলে চাপ দিলাম !
আমি জানি এখনই ভাবি দরজা খুলে দিবে ! তারপর আমার আর মিশুর দিকে তাকিয়ে থাকবে অবাক হয়ে । প্রথমে বিশ্বাস হবে না এমন একটা ভাব নিয়ে তাকিয়ে থাকবে । তারপর কিছু সময় বকাঝকা করে মিশুকে ঘরে নিয়ে যাবে ! আর একবার ঘরের ভেতরে ঢুকলেই মোটামুটি সমস্যা কেটে যাওয়ার কথা !
আরেকবার কলিংবেল বাজাতে যাবো ঠিক তখনই দরজা খুলে গেল !

বুকের ভেতরে প্রথম ধাক্কাটা লাগলো তখনই ! দেখি ভাইয়া অফিসের শার্ট প্যান্ট পরে দাড়িয়ে আছে । যখন সিড়ি দিয়ে উপরে উঠছিলাম তখন প্রায় ১২ বেজে গেছে । এই সময়ে তো ভাইয়ার বাসায় থাকার কোন কারনই নেই !
এই লোক এখানে কি করে ! তখনই মনে হল কিছু একটা সমস্যা হয়েছে । যেমন টা ভেবেছিলাম তেমন টার কিছুই হবে না !

ভাইয়ার হাতে চায়ের কাপ ! আমার দিকে একবার তাকায় একবার তাকায় মিশুর দিকে ! আরেকবার আমার হাতে ধরা মিশুর কালো ব্যাগের ব্যাগের দিকে ! ভাইয়ার বুঝতে বাকি রইলো না আমি কি কাজ করেছি ! কিছু সময় কোন কথা বলতে পারলো না ! কেবল আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো ! অথবা বলা চলে আমার কর্মকান্ড তাকে খানিকটা বাক্য হারা করে দিয়েছে !

ঠিক তখনই ভাবীর গলার আওয়াজ পাওয়া গেল !
-আরে এতো সময় দরজায় দাড়িয়ে আছো কেন ? কে এসে.....
এই লাইন টুকু বলতে বলতে ভাবি দরজা দিয়ে বেরিয়ে এল । আমার আর মিশুর দিকে তাকিয়ে বাকি বাক্যটুকু আর বলতে পারলো না !

আমরা চারজন কেবল দরজার সামনে নির্বাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম কিছু টা সময় ! কেউ কোন কথা বলছে না ! ভাবি একবার তাকায় আমার দিকে আরেকবার তাকায় মিশুর দিকে তারপর ভাইওয়ার দিকে !
ভাবী তারপর বলল
-এসব কি !
-ভাবী কোন উপায় ছিল না !
-তাই বলে আজকেই ? আর দিন পেলে না ?

এই বলে ভাইয়ার দিকে তাকালো ! আমি আর কোন দিন পেলে না এই লাইন টার অর্থ খুজে পেলাম না ! তার মানে অন্য কোন দিন বিয়ে করলে ঠিক ছিল ! আজকে বিয়ে করে আমি ঠিক করি নি ! আজকে কি বিশেষ কোন দিন ? বিয়ে করা নিষেধ ?
আমি বললাম
-আজকেই মানে নি ! আজকে বিশেষ কোন দিন ! বিয়ে করা নিষেধ আজকে ?
ভাবী আর ভাইয়া চট করে একে অন্যের দিকে তাকালো ! আমার মনে তখনই কথাটা এল ! তবে কি ....?
না না না ! এটা হতে পারে না !
আমি এই বাড়িতে ঢুকবো না ! এখনই পালিয়ে যাবো !

আমি আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলাম ঠিক তখনই আমার রক্তহিম করা গলার আওয়াজ টা পেলাম !
-কে এসেছে বউমা ?

আব্বা !
আব্বা এই বাসায় কি করে !
তার না গ্রামের বাসায় থাকার কথা !

না না !
আব্বা যদি জানতে পারে আমি একা একা বিয়ে করেছি তাহলে আমার স্রেফ চিপিয়ে খেয়ে ফেলবে ! একবার ঢেকুরও তুলবে না !
-কি রে শফিক কে এসেছে ?
ভাইয়া বলল
-আব্বা অপু এসেছে !
-বাইরে দাড়িয়ে কেন ? আর এই সময় না ওর ক্লাসে থাকার কথা । বাসায় কি ?
-ইয়ে মানে আব্বা রিনুর এক দুঃসম্পর্কের বোনকে নিতে গিয়েছিল !
-বাইরে দাড়িয়ে আসিস কেন ?

আমরা চারজন লাইন ধরে ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়লাম ! আমাদের সবার মুখ গম্ভীর দেখে মিশুর মুখ টা দেখলাম একেবারে শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে ! আসলে আমার মত ও নিজেও আব্বাকে এখানে আশা করে নি ! আমার সাথে থাকতে থাকতে মিশু খুব ভাল করেই জানে আমার আব্বা কেমন মানুষ আর আমরা দুই ভাই আব্বা কেমন ভয় পাই !

আমি সামনে গিয়ে আব্বার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে বললাম
-আপনার শরীর ভাল ?
-হ্যা !
আমি আর কিছু না বলে এক পাশে সরে এলাম । মিশু তখনও ভাবীর পেছনে দাড়িয়ে ! আমার পাশে দাড়ানো থেকে ভাবীর ভাসে দাড়ানোটাই তার কাছে বেশি নিরাপদ মনে হচ্ছে ! কি করবে ঠিক বুঝতে পারছে না ! আমি দরজার দিকেই দাড়িয়ে আছি । কোন সমস্যা হলেই কোন কথা না বলে সোজা দরজা দিয়ে দৌড় দিব ! মোটামুটি প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছি !

আব্বা মিশুকে ডাক দিলেন !
-কি নাম তোমার ?
-জি, আনিকা আবেদ মিশু !
-রুনুর বোন হও ? কি রকম বোন ? আমি তো আগে কোন দিন শুনি নি !
-আসলে রুনুর আপু আম্মা আর আমার আমার আম্মু চাচাতো বোন হয় ! একটু দুরের তো তাই হয়তো শুনেন নি !
-আচ্ছা ! বিশ্রাম নাও ! তোমার সাথে পরে কথা বলবো !
-জি আচ্ছা !

এই বলে মিশু একটা কাজ করে বসলো ! আব্বার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলো ! আব্বার মুখ দেখে মনে হল তিনি বেশ খুশিই হলেন ! আজকালের ছেলে মেয়েরা তো বড়দের পায়ে হাত দিয়ে সালাম তো দুরের থাক একটা সালাম পর্যন্ত দেয় না ! এইটা নিয়ে আব্বার বিরক্তির শেষ নেই । সেই দিক দিয়ে মিশুর সালাম করাটা আব্বার পছন্দ করারই কথা !

তখনের মত বিপদ কাটলো ! কিন্তু পরে ?
এখনও মিশুর বাসায় কিছু জানে না ! জানলে কি হবে কে জানে ?
দুই দিক দিয়ে এই ঝড় আমি কিভাবে সামলাবো !

ঘরে আসতেই ভাবী আমাকে চেপে ধরলো ! আমি যতটুকু পারলাম বললাম ! মিশুও ভাবীকে বোঝানোর চেষ্টা করলো ! ওর কোন ভাবেই আর বাসায় থাকার উপায় ছিল না !
ভাবী সব শেষে বলল
-তা না হয় বুঝলাম কিন্তু এখন ? আব্বাকে কি বলবি ?
আমি বললাম
-আব্বা কদিন থাকবে ?
-জানি না । কি এক কাজে এসেছে !
-আব্বা আগে যাক তারপর ভাবা যাবে । আপাতত মিশুকে তো তোমার বোন হিসাবেই নিয়েছে ! সমস্যা হওয়ার কথা না !
ভাবী মাথা নাড়ালো !
-তা না হয় বুঝলাম ! কিন্তু কতদিন লুকিয়ে রাখবি ?
-সে দেখা যাবে ! আগে আপাতত এই বিপদ দুর হোক !

ভাবী যদিও তখন চলে গেল তবুও তার চেহারা দেখে মনে হল না তিনি খুব একটা সন্তুষ্ট হয়েছেন । তার কাছে এসব কিছুই ভাব লাগছে না ! প্রাথমিক ভাবে যে ধাক্কাটা খেয়েছিলাম মনে হয় সেটা সামলে উঠতে পারলাম ! এখন আব্বা গ্রামের বাসায় চলে গেলেই কদিনের জন্য নিশ্চিন্ত ! পরে কি হবে সেটা পরে চিন্তা করা যাবে !

কিন্তু সব কিছু যে নিজের চাওয়ার মত হবে এমন কোন মানে নেই । সন্ধ্যা বেলার দিকে একটু চোখ টা লেগে এসেছিল । সারা দিনের টেনশনে কারনে আর আব্বার ভয়ে সারাদিন ঘুমাতে পারি নি ! হঠাৎই বাসায় ভেতর চিৎকার চেঁচামিচি শুনে ঘুম চটে গেল ! কি হল কে জানে !

আমি বাইরে বের হব ঠিক তখনই মিশু ঘরের ভেতরে এসে হাজির ! ওর চেহারা দেখে মনে হল খারাপ কিছু ! আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-আব্বা এসেছে !
-হ্যা ! এটা তো জানিই ! তার এখানে আসার কথা ছিল না ! কিন্তু আপাতত ঝামেলা নাই !
-আরে গাধা, তোমার আব্বা না ! আমার আব্বা এসেছে ১
-সে কি !! তিনি কিভাবে জানলেন ?
-আমি কিভাবে জানবো ? আজিব !
-এখন উপায় ?
-আমি জানি না ! আমি কিচ্ছু না ! তুমি যাও বাবার সামনে !
-মাথা খারাপ !


আমরা দুজনেই চিন্তায় পরে গেলাম ! এমন ভাবে আটকে আছি যে বাসা থেকে পালিয়েও যেতে পারবো না ! তখনও বসার ঘর থেকে আওয়াজ ভেসে আসছে ! আরও কিছু সময় আওয়াজ আসার পর হঠাৎই সব কেমন যেন চুপ হয়ে গেল ! প্রবল ঝড় আসার পরেই যেমন করে সব নিশ্চুপ হয়ে যায় ঠিক তেমন নিরবতা বিরাজ করছে !

আর কিছুক্ষন পরে আমার ডাক পড়লো ! বসার ঘরে গিয়ে দেখি বাবা গম্ভীর মুখে বসে আছে । মিশুর বাবা নাকি চলে গেছে তবে তিনি আবারও আসবেন বলে গেছেন !
বাবা আমার দিকে না তাকিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে রইলো কিছু টা সময় ! শোফার অন্য দিকে ভাইয়া বসে আছে ! ভাবী আর মিশু দরজার কাছে দাড়িয়ে আছে ! আমি আব্বার থেকে একটু দুরে দাড়িয়ে !

আব্বা হঠাৎ করেই বলল
-আমার নিজের ছেলে আমার কাছে মিথ্যা বলেছে !! নিজের ছেলেরা !
আমি কিংবা ভাইয়া কেউই কোন কথা বললাম না ! কেবল চুপ করে রইলাম !
-তোর অপরাধের কথা এখন আমাকে অন্য মানুষের কাছ থেকে শুনতে হয় ! আর তুই !
এবার ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বলল
-তুই আমাকে সত্যি কথাটা বলতে পারলি না ?
-আসলে আব্বা !
-চুপ ! তোর কাছ থেকে একটা কথা শুনতে চাই না ! একটা কথাও না ! আমি তোর বাসায় আর থাকবো ! এখনই চলে যাবো !
-আব্বা আপনি ...।
-একটা কথা না !

আব্বা এই বলে নিজের ঘরের দিকে হাটা দিলেন ! আমরা কেবল চেয়ে চেয়ে দেখলাম ! আব্বাকে গিয়ে আটকাবো সেই সাহস আমার কিংবা ভাইয়ার কারো নেই ! চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছু করার নেই !

আব্বা যখন ব্যং নিয়ে আমাদের সামনে দিয়ে হাটা দিল তখনও আমরা কেবল অসহায় ভাবে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম ! ঠিক তখনই আমার জীবনের সব থেকে অদ্ভুদ কান্ড ঘটলো যা আমি কিংবা ভাইয়া এই জীবনে কেউই দেখে নাই ! কোন দিন কল্পনাও করতে পারি নাই !

মিশুর আব্বার সামনে গিয়ে আব্বার হাত থেকে ব্যাগ টা নিয়ে নিল ! আমার ততক্ষনে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে । ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি সেও কেমন অদ্ভুদ চোখে মিশুর দিকে তাকিয়ে আছে । আর সব থেকে অবাক হয়েছে স্বয়ং আব্বা ! তার সাথে কেউ এমন করতে পারে এটা সম্ভবত তার নিজেরও ধারনা ছিল না !
মিশু আব্বার দিকে তাকিয়ে বলল
-আপনি আমার কারনে এই রাতের বেলা বের হয়ে যাবেন এটা হবে ! রাগ করে চলে যাবে ভাল কথা কিন্তু এই রাতের বেলা না ! কালকে যাবেন ! আজকে আমি কিছুতেই যেতে দিবো না !

আব্বা কোন কথা না বলে কেবল মিশুর দিকে তাকিয়ে রইলো ! মিশু আবারও বলল
-আমার নিজের আব্বু আমার উপর রাগ করে চলে গেছে আমি আরেকজন কে যেতে দেবো না ! আপনি যদি আমার উপর রাগ করে থাকনে তাহলে আমাকে শাস্তি দেন তবুও আমি আপনাকে যেতে দিব না ! কিছুতেই না !

আমি ঠিক মত বুঝতে পারলাম না এখন কি হবে ! আব্বার রিএকশান কি হবে !
মিশু আব্বার ব্যাগ টা নিয়ে শোবার ঘরে রেখে এল ! আমি আর ভাইা বোকার মত তখনও দাড়িয়ে ! আমার তখনই মনে হল বিপদ মনে হয় এবার সত্যি সত্যি কেটে গেছে । আব্বা কোন কথা না বললেও একটু আগে তার মুখ যেমন টা গম্ভীর মনে হচ্ছিলো তেমন মনে হচ্ছে না ! তবে তিনি আমাদের সাথে কথা বললেন না অবশ্য !

আমি অবশ্য এতেই খুশি ! শোবার ঘরে গিয়ে মিশুকে জড়িয়ে ধরলাম ! কানের কাছে মুখ নিয়ে বললাম
-তুমি দেখি দারুন সাহসী ! এতো সাহস পেলে কোথায় ?
মিশু কেবল হাসলো ! তারপর বলল
-আমার সাথে থাকো সব টের পাবা !

আমি ওর দিকে তাকিয়ে হাসলাম কেবল ! সিড়ি দিয়ে ওঠার সময়ই মিশু আমাকে অভয় দিয়েছিল ! বলেছিল যা হবে এক সাথে মোকাবেলা করবে ! এখন দেখছি এই মেয়ে একাই সব সমাধান করে ফেলেছে !

তারপর........ আরও কিছু হয়েছে তবে অন্য কোন গল্প !

(কদিন থেকে কেন জানি চারিপাশে বিয়ের ঘটনা, ছবি, ভিডিও সব বেশি বেশি চোখে পড়ছে. মন হচ্ছে বিয়ের বয়স হয়ে গেছে । অনলাইনে ডিএসএলআরে তোলা নতুন কাপলদের ছবি দেখে মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে বিয়ে তাহলে করেই ফেলি ! কিন্তু অনলাইন থেকে যখন বাস্তবের কাপলদের দেখছি, তাদের আসল বাস্তবতা দেখছি প্যারা গুলো দেখছি তখনই বিয়ে করার ভুত মাথা থেকে কোথায় দুরে পালিয়ে যাচ্ছে । তাই ঠিক করেছি কদিন কেবল বিয়ে নিয়ে গল্প হবে ! দুধের সাধ ঘোলে মেটানো আর কি)
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:১৪
২০টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদী নামের এই ছেলেটিকে কি আমরা সহযোগীতা করতে পারি?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪


আজ সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছি। হঠাৎ করেই গিন্নি আমার রুমে এসে একটি ভিডিও দেখালো। খুলনার একটি পরিবার, ভ্যান চালক বাবা তার সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভালোবাসা নয় খাবার চাই ------

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬


ভালোবাসা নয় স্নেহ নয় আদর নয় একটু খাবার চাই । এত ক্ষুধা পেটে যে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে , ইফতারিতে যে খাবার ফেলে দেবে তাই ই দাও , ওতেই হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় ইউনিভার্সিটি শেষ করার পর, ৮০ ভাগই চাকুরী পায় না।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭



জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করে, ২/৩ বছর গড়াগড়ি দিয়ে শতকরা ২০/৩০ ভাগ চাকুরী পেয়ে থাকেন; এরা পরিচিত লোকদের মাধ্যমে কিংবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়ে থাকেন। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×