somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনুগল্পঃ বাড়িওয়ালার মেয়ে রাশিন এবং মাছের কাঁটা বিত্তান্ত !

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




রাশিনের গলায় মাছের কাঁটা ফুটেছে এই খবর আমার কাছে ঠিক একদিন পরে পৌছালো ! গতকাল দুপুরে ভাত খেতে গিয়ে নাকি গলায় ইলিশ কাঁটা বিধেছে । প্রথমে কেউ আমলে না নিলেও রাতের বেলা দেখা গেল রাশিন কিছুই খেতে পারছে না ! গলা একটু ফুলেও উঠেছে । কিছু খেতে গেলেই ব্যাথা করে ওঠে ! সেই রাতে হাসপাতালে যাওয়া হল কিন্তু কাজের কাজ কিছু হল না !
রাত পার হল ! সকাল হল, এখন দুপুর !
রাশিন না খেয়ে আছে । এমন কি পানি পর্যন্তও নাকি খেতে পারছে না !

সকাল এগারোটার দিকে বাড়ির দারোয়ান কাম কেয়ারটেকার বশির এসে আমাকে খবরটা জানিয়ে গেল । বশিরের আবার সিগারেট খাওয়ার বিরাট নেশা ! তাও আবার যেন তেন সিগারেট না ! দামী সিগারেট ছাড়া নাকি ভাল লাগে না ! আমি নিজে সিগারেট না খেলেও এই দারোয়ানকে কিনে দিতে হয় রাশিনের খোজ খবর পাওয়া জন্য !

গলায় কাঁটা ফুটার খবর আমার কাছে খুব বেশি চমকপ্রদ মনে হল না ! এটা কোন সমস্যা নয় ! কিন্তু কি মনে হল দুপুরের দিকে রাশিনের বাসায় উকি দিলাম ! বাড়িওয়ালা আন্টি দরজা খুলে দিল ! অন্য সময় হলে আমাকে দেখেই তার চেহারায় একটা বিরক্তিভাব দেখা যেত ! বিরক্ত নিয়ে আমার দিকে তাকাতো কিন্তু আজকের পরিস্থিত অন্য রকম ! আন্টির চেহারায় একটা বিষাদ দেখতে পেলাম ! আন্টি আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-কোন দরকার ছিল বাবা ?

আহা ! কি মধুর কথা !
আমি একটু ভরশা দেওয়ার মত হেসে বললাম
-শুনলাম রাশিনের নাকি গলায় কাঁটা ফুটেছে !
আমার কথা শুনতেই আন্টির মুকখটা আরও করুন হয়ে গেল ! যেন খব বড় রকমের কোন দুঃসংবাদের কথা আমি তাকে মনে করিয়ে দিলাম !
-আর বল না বাবা ! আমার মেয়েটা কেমন হয়ে গেছে । কাল থেকে কিচ্ছু খায় নি ! মেয়েটা খাচ্ছে না দেখে ওর বাবাও কিচ্ছু খাচ্ছে না ! ঘরে যে কি চলছে ! ডাক্তার কবিরাজে কিচ্ছু কাজ হয় নি ! ওর বাবা কোন এক পীর বাবার কাছে গেছে !
-আরে এটা কোন সমস্যা ? আপনি ওকে ডাক দিন ! আমি দেখছি !
-তুমি পারবে ?
-আরে পারবো মানে ? আমাকে আপনি গলায় কাঁটা তুলার ব্যাপারে একজন এক্সপার্ট বলতে পারেন ! আমাদের এলাকায় কারো গলায় কাঁটা ফুটলেই আমার কাছে নিয়ে আসতো !

অথৈ নদীতে পরার পর মানুষ যেমন খড় খুটা দিয়ে ধরেও বাঁচতে চায় ঠিক তেমনই আন্টির চোখে একটা ভরশার পাওয়ার আশা দেখতে পেলাম ! উনি বলতে গেলে এক প্রকার দৌড়ে চলে গেল রাশিনের ঘরের দিকে ! একটু বাদেরই রাশিনকে নিয়ে ফিরে এল ! রাশিনের মুখ শুকনো ! আর সেখানে এক রাশ বিরক্তি ! মনে হয় শুয়ে ছিল ! আমার জন্য এখানে ডেকে এনেছে !

আমি রাশিনকে বললাম
-সাদা ভাত খেয়েছে !
-না !
-কেন ?
-ভাত খেতে পারলে তো আর কোন সমস্যা ছিল না ! তাই না ! গলায় ব্যাথা করছে । কিছু নামছে না !

এরপর আন্টি আরও বলে গেল কি কি করা হয়েছে গলায় কাটা তোলা রজন্য ! ওরা এখন গলায় সার্জারি করার কথা ভাবছে ! যদি পীর কিছু না করতে পারে তাহলে তারা নাকি তাই করবে !

আমি বিজ্ঞের মত করে বললাম
-এসব কিছু লাগবে না ! কেবল বিড়ালের পা ধরলেই চলবে !
রাশিন কর্কশ গলায় বলল
-বিড়ালে পা ধরা মানে ?
-মানে হচ্ছে, মাছে কাঁটা হচ্ছে বিড়ালের খাবার । তুমি সেই খাবার খেয়ে বিড়ালের প্রতি অন্যায় করেছো ! এখন তোমার কি উচিৎ না তার কাছে ক্ষমা চাওয়া !
-শুনুন, ফালতু কথা বলবেন না !
তখনই আন্টি বলল
-আরে হ্যা ! আমিও এই রকম একটা কথা শুনেছি ! আমাদের গ্রামে ছোট বেলায় এমন করা হত !
-মা ! আমি মরে গেলেও বিড়ালের পা ধরবো না !
-দেখ গলায় ছুরি চলার থেকে যদি বিড়ালে পা ধরে কাজ হয় তাহলে তাই কি ভাল নয় !

রাশিন আমার দিকে কিছুক্ষন অগ্নি চোখে তাকিয়ে থেকে ঘরের ভেতরে চলে গেল ! আমি আন্টিকে বললাম
-দেখুন ওকে রাজি করাতে পারে ন কি না ! কাটাবনে বেশ কিছু দোকান আছে আমার পরিচিত ! সেখানে বিড়ালের ব্যবস্থা করা যাবে ! রাস্তা থেকে বিড়াল ধরতে গেলে আমার আচড় দিয়ে নতুন ঝামেলা সৃষ্টি হবে তখন ! আর ঐ বেড়াল গুলোতে ভ্যাক্সিন দেওয়া থাকে, সমস্যা হবে না !

এই বলে আমি উঠে চলে এলাম ! যদিও আমার মনে ধারনা ছিল যে এতে কাজ হবে না ! আমাকে অন্য কিছু ভাবতে হবে ! যদি কোন ভাবে রাশিনের গলার কাটা তোলার একটা ব্যবস্থা করা যায় তাহলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে ! দেখি নেটে এই ব্যাপারে কিছু আছে নাকি ! আমি তো প্রথমে এই ব্যাপারটাকে খুব একটা গুরুত্ব দেই নি কিন্তু এখন তো মনে হচ্ছিলো দেওয়া দরকার ছিল ! এখানে আসার আগেই আরও পড়াশুনা করে আসার দরকার ছিল !
যাক এখনও সময় আছে মনে হচ্ছে । আমি বাসার দিকে রওনা দিলাম !

আমি ঘরে যাওয়ার ১৫ মিনিট পরে আমাদের বাসায় কলিংবেল বেড়ে উঠলো । দরজা খুলে দেখি রাশিন দাড়িয়ে ! বাইরের যাওয়ার পোষাক পরে আছে ! কালো রাংয়ের জিন্স আর নীল কুর্তা ! সাদা ওড়না ! আমার দিকে তকািয়ে বলল
-আম্মু কাটাবনে যেতে বলেছে !
-এক মিনিট লাগবে আমার ! তুমি ভেতরে এসে বস !
-জি না ! আমি আপনার ঘরে ঢুকবো না ! ব্যাচেলরদের ঘর কেমন হয় আমার জানা আছে ! আপনি তৈরী হয়ে আসেন !
আমি অপমান টুকু গায়ে মাখলাম না ! প্রায় দৌড়ে চলে গেলাম ঘরের ভেতরে !

যখন রাশিনের পাশাপাশি বসে আছি রিক্সাতে তখনও আমার ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না আসলেই আমি ওর সাথে সাথে যাচ্ছি কি না ! একবার মনে হল আমি স্বপ্ন দেখছি । নিশ্চয়ই স্বপ্নে দেখছি !
এই মেয়েকে কতবার নিজের রিক্সায় তোলার চেষ্টা করেছি কিন্তু মেয়ে কানেই নেয় নি ! আমার অফিস আর ওর ক্যাম্পাস বলতে গেলে প্রায় একই রাস্তায় । আমাদের যাওয়ার সময়টাও একই সময় ! প্রায়ই দেখা হত ওর সাথে সকাল বেলা ! দেখতাম ও রিক্সার জন্য দাড়িয়ে আছে কিংবা হাটছে রাস্তা দিয়ে ! আমি একটু পেছন গিয়ে রিক্সা নিতাম ! তাই রিক্সা পেতে কষ্ট হত না ! কতবার ওকে বলেছি এসো নামিয়ে দেই কিন্তু সে কানেই নেয় নি ! আর আজকে নিজের ইচ্ছায় আমার পাশে এসে বসেছে !
সেই মাছটার কাটা ফুটেছে সেই মাছ কে হাজার হাজার ধন্যবাদ ! সেই জেলে আর সেই মাছওয়ালাকেও ধন্যবাদ ! আহা এরকম প্রতিদিন যদি ওর গলায় কাটা ফুটতো তাহলে কত ভাল হত ! ওকে প্রতিদিন কাটাবনে নিয়ে যেতে পারতাম !



কাটাবনে এসে অনেক বিড়াল দেখলাম । তারপর পছন্দের একটা বিড়াল কিনে নিয়ে এলাম ! রাশিন আমার দিকে বিরক্ত হয়ে বলল
-বিড়াল কিনে কি করবো ?
-তোমার জন্য । গিফট !
-আমি চেয়েছি গিফট ! আপনি কাটা বের করবেন কখন ?
-আরে আমি বের করব কিভাবে ? তুমি এই বিড়াল টার পা ধরে ক্ষমা চাইবে ! তারপর বিড়ালের যদি মনে হয় তোমাকে ক্ষমা করেছে তাহলে কাটা বের হয়ে যাবে ।
-আর যদি না করে ?
-তাহলে আর কি !

রাশিন আমার দিকে ক্রুদ্ধ চোখে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো ! তারপর বেড়ালের পা ধরে বলল
-সরি !
-আরে আরেকটু যত্ন করে বল ! পশুপাখি কিন্তু মানুষের অনুভুতি খুব ভাল করে বোঝে !
বিড়ালটা তখনই বলল
-মিঁয়্যাও !
-দেখলে তো !

রাশিন এবার বিড়ালটা কোলে তুলে নিয়ে একটু আদর করলো ! তারপর সরি বলল ।

বিড়াল আদর পেয়ে কিছু সময় চোখ বন্ধ করে থেকে বলল
-মিয়্যাও !
-কি হয়েছে ?
রাশিনের দিকে তাকিয়ে একটু দ্বিধায় পরে গেলাম ! মেয়েটা এখনও আমার দিকে রাগত চোখে তাকিয়ে আছে ! আমি বললাম
-কি জানি ! তোমার গলার কাটা গেছে ?
-না !
-ও !
-এখন ?
-চল বাসায় যাওয়া যাক ! আরেকটা পদ্ধতি আছে অবশ্য !
-কি !
-রিক্সায় উঠো বলছি !
-এখানে বললে সমস্যা কি ?
-সমস্যা তো একটু আছেই !

রিক্সা নিয়ে আবার যখন বাসার দিকে যাচ্ছিলাম তখন আমি রাশিনকে বললাম
-যদি বিড়ালের পা ধরেও যদি কাজ না হয় তাহলে বুঝতে হবে যে সেই মানুষটি, তাকে পছন্দ করে এমন একজনের সাথে প্রতিনিয়ত কষ্ট দিয়ে চলেছে ! তখনও সেই ছেলেটির কিংবা মেয়েটিকে এমন কাউকে চুম খেতে হয় যে তাকে পছন্দ করে, বুঝাতে হয় যে তার......।

রাশিন আমার কথা শেষ করতে দিল না ! আসলে আমি আর কিছু বলতে সাহস পেলাম না ! রাশিন আমার দিকে আরও ক্রুদ্ধ চোখে তাকিয়ে রইলো কিছু সময় ! আমি ওর দিকে না তাকিয়ে বিড়াল কে আদর করতে লাগলাম !
-আপনি আমার সাথে ফাজলামো করছেন ?
-না মোটেই ! আমাদের গ্রামে এমন হয় ! আমি বলেছি না আমি এই ব্যাপারে একজন এক্সপার্ট !
-মিস্টার অপু হাসান ! আপনার সত্যি সত্যি খবর আছে ! আজকেই আমি বাবাকে আপনার নামে রিপোর্ট করবো ! আমি দেখবো আপনি কিভাবে আমাদের বাসায় থাকেন !
-আরে ট্রাই না করেই তুমি কিভাবে বলছো আমি মিথ্যা বলছি ! এট লিস্ট ট্রাই কর !
-ইউ বেটার রেডি ! যদি সত্যি সত্যি কাজ না হয় তাহলে ?
-আমরা সামনের মাসেরই বাসা ছেড়ে দিয়ে চলে যাব ! ঠিক আছে ! তোমার সামনে আর আসবো না !

আমি জানি রাশিন এই কাজ করবে না ! অবশ্য এই কাজে কাটা বের হওয়ার কোন সম্ভবনাও নেই ! এমনি কথার কথা বললাম আমি ! যে পদ্ধতি মানুষ কোন দিন ট্রাই করে নি সেই পদ্ধতি ঠিক নাকি ভুল সেটা কেউ বলতে পারবে না ! তাই না !


যখন বাসার থেকে আরেকটু দুরে আছি তখন হঠাৎই রাশিন কাজ টা করে ফেলল আমাকে অবাক করে দিয়ে ! রাস্তাটা একটু নির্জন থাকে সব সময় ! বলতে গেলে আমার ঠোটে খুব জোড়েই চুম খেল ! যখন নিজের ঠোট সরালো তখন রিক্সা বাসার সামনে চলে এসেছে । রাশিন আমার হাত থেকে বিড়াল টা নিয়ে কোন দিকে না তাকিয়ে সোজা গেট দিয়ে বাড়ির ভেতরে ঢকে হগেল ! আমি তখনও ঘোরের ভেতরে রয়েছি ! কি হল এটা !
কেমন করে হল !
রাশিন সত্যি-সত্যিই আমাকে চুম খেয়ে ফেলবে আমি ভাবি নি ! আসলেই ভাবি নি !

কিন্তু যখন বাসার ভেতরে ঢুকলাম তখনই ঘোর কেটে গেল ! মনে পড়লো যে আমি বলেছিলা বাড়ি ছাড়ার কথা ! কাজ তো হবে না নিশ্চিত ! কাটা বের হবে না ! আর সামনের মাসেই বাসা ছেড়ে দিতে হবে !
ও মাই গড !

একটু ভয়ে ভয়ে রইলাম ! যদি সত্যি বাসা ছেড়ে দিতে হয় তাহলে বিপদে পরে যাবো ! এমনিতে আমি মেস কিংবা হোস্টেলে থাকতে পারি না ! আর ব্যাচেলরদের কে কেউ ভাড়া দিতে চায় না ! তখন উপায় আছে ! অবশ্য রাশিনের ঠোটে একটা চুম খাওয়ার জন্য এরকম হাজার টা বাসা ছেড়ে দেওয়া যায় !

রাতের বেলা দারোয়ান বশির এসে হাজির ! আমাকে বলল
-স্যার আপনাকে ডাকছে !
বুঝলাম আমার খবরের সময় চলে এসেছে ! এখনই হয়তো বলবে আমাকে সামনের মাসে বাসা ছেড়ে দিতে হবে ! এখন সমস্যা হচ্ছে আমি জানি না রাশিন ওর বাবার কাছে ঠিক কি কি বলেছে । ও নিশ্চয়ই বলেনি যে ও আমাকে চুম খেয়েছে ! কিংবা আমি ওকে চুমু খেতে বলেছি ! না বলারই কথা !
কিন্তু যদি বলে ?
তাহলে ?
আমার তাহলে খবরই আছে !

ভয়ে ভয়ে বাড়িওয়ালার ঘরে কলিং বেল বাজালাম ! দরজা খুলে দিল স্বয়ং আংকেল ! আমি ভেবেছিলাম গম্ভীর মুখ দেখবো ! কিন্তু আমাকে দেখে
-আরে এসো এসো ! তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম !

একটু পরে আন্টিো বের হয়ে এল ! তার মুখেও হাসি ! তাহলে কি সত্যি সত্যিই কাজ হয়েছে ?
মাই গড !

আংকেল আর আন্টি কথা শুনে যা বুঝলাম তার অর্থ হল রাশিনের গলার কাটা আসলেই নাকি বের হয়ে এসেছে । দুপুরেই নাকি ভাত খেতে পেরেছে ! রাতে তাই এই বিশেষ আয়োজন ! আর যেহেতু আমার কারনেই এমনটা হয়েছে সেহেতু আমি স্পেশাল গেস্ট !

টেবিলে খেতে বসলাম ! একটু পরেই দেখলাম রাশিন এসে হাজির ! মেয়েটা জিন্স পরেনি । সেখানে পরেছে সাদা রংয়ের সেলোয়ার কামিজ ! আমার মনে আছে এই বাড়িতে যেদিন প্রথম আসি সেদিনও ওকে এই পোষাকে দেখেছিলাম ! এবার বলেছিলাও ওকে এই কথাটা ! ও আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিল আর কোন দিন সে এই পোষাক পরবে না
সেদিনের পরে আর কোন দিন ওকে এই পোষাকে দেখনি ! হঠাৎ আজকে !

আমি রাশিনের দিকে তাকিয়ে বললাম
-তোমার গলার কাটা গেছে ?
যদিও মুখ দিয়ে এই কথা বললাম তবে আমার চোখ বলছিল মেয়ে তোমাকে চমৎকার লাগছে ।
রাশিন আমার চোখের ভাষা ঠিকই বুঝলো ! কিছু বলল না ! কেবল হাসলো একটু !
-এরপর থেকে কাটা ফুটলেই ঐ পদ্ধতি এপ্লাই করবে । কেমন ?
রাশিনের মা বলল
-হুম ! বিড়ালের পা ধরে আসলেই কাজ হয়েছে ! আমরা ঠিক করেছি বিড়াল টা রেখেই দিবো ! এবার থেকে সব মাছের কাটা এই বিড়াল টাই খাবে !
রাশিন হেসে ফেলল ! আমি কোন পদ্ধতির কথা বলেছি সেটা কেবল আমি আর ও জানে !



পরিশিষ্টঃ

এক মাস পরে !

-আফা মনি আপনেকে ছাদে যেতে বলেছে ।

দারোয়ান বলার পরপরই ছাদে গিয়ে হাজির হলাম !

রাশিন চুপ করে দাড়িয়ে আছে । ওর কোলে বিড়াল ! আদর করছে ! আমি পাশে দাড়াতেই বলল
-আমার একটা বন্ধু আছে ! ওর গলায় গত কালকে কাটা ফুটেছে !
-তাই ! ভাল তো ! এই বিড়াল নাও !
-বিড়াল দিয়ে হবে না !
-তাহলে ?
-গল্পের ছলে আমি ওকে বলেছিলাম
-কি বলেছিলে ?
-ঐ যে ঐদিন রিক্সার ভেতরে.....।
-তারপর ?
-ও এখন বলছে ঐ পদ্ধতি......
-তাই নাকি ? ভাল তো ! দেখতে কেমন ?
-দেখতে কেমন মানে ?
-না মানে যদি অন্য কেউ না থাকে তাহলে আমাকে ..... মানে বুঝছো তো ! তা দেখতে কেমন শুনি ?

রাশিন আমার দিকে আবার কঠিন চোখে তাকিয়ে রইলো কিছু সময় ! তারপর বলল
-যদি ওকে চুম খাওয়ার কথা আর একবার বলেন তাহলে আপনার খবর আছে ! বলেন কেন বলছি যদি আর একবার চিন্তা করেন তাহলে একদম খুন করে ফেলবো !

আমি কোন কথা না বলে কেবল হাসতে লাগলাম !
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫
২৩টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×