somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনুগল্পঃ ইম্প্রেস (ভিডিও সহ) :D

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক

-স্যার প্লিজ !

প্রফেসর আমীর আফরাফ আবারও ছেলেটার দিকে তাকালো ভুরু কুচকে । তিনি এর আগে তাকে দেখেছেন বলে মনে করতে পারলেন না । তারই ক্লাসের কয়েকজন হবে হয়তো । আসলে তিনি ক্লাসের খুব একটা ছাত্রদের চেহারা মনে রাখতে পারেন না । আজকে সকাল বেলা একটা অদ্ভুদ আবদার নিয়ে হাজির হয়েছে ।
আমীর আসরাফ বললেন
-তুমি কোন ব্যাচের ?
-স্যার ৪২র্থ ব্যাচের !
-নাম কি ?
-মাহাদী হাসান !
-তুমি আমাকে বল, কেন আমি ক্লাসে ১০ মিনিট লেট করে যাবো । তোমার কাছে যুক্তি যুক্ত কারন কি আছে কোন ?

আমীর আসরাফ দেখলেন ছেলেটা কোন কথা না বলে চুপ করে রইলো কিছুটা সময় । কি বলবে সেটা যেন খুজে পাচ্ছে না । তিনি বললেন
-তুমি কিছু করতে যাচ্ছো ক্লাসে ? কাউকে মারধোর করবে ?
-না না স্যার । কি যে বলেন না । এসব কিছু না । আসলে .....।
-আসলে কি ?
তিনি ছেলেটার দিকে তাকিয়েই রইলো । চোখে মুখে এক প্রকার দ্বিধা দেখতে পাচ্ছেন তিনি । বলবে কি বলবে না সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না ছেলেটা । তারপর সব দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে ছেলেটা বলল
-আসলে ১০ মিনিট দরকার আমার । এর বেশি না । মাত্র ১০ টা মিনিট !

আমীর আফরাফ হেসে ফেলল । তার কাছে ব্যাপার টা হঠাৎই খুব মজার মনে হল । তিনি বেশ ভাল করেই বুঝতে পেরেছেন ছেলেটা আসলে কি করতে যাচ্ছে । এবং সেটা সে বলতে একটু লজ্জা লজ্জার মত পাচ্ছে । তারই ডিপার্টমেন্টের একটা ছেলে তাকে ক্লাসে দশ মিনিট দেরি করে যেতে বলছে । কারন সে এই ১০ মিনিটে একটা মেয়েকে পটাবে ! এটা ছাড়া আর কিছু হতেই পারে না ।

আমীর আসরাফ বলল
-পারবে এই ১০ মিনিটে !

ছেলেটা এবার চোখ তুলে তাকালো । স্যার যে তার মনের কথাটা ধরে ফেলেছে এটাতে একটু একটু লজ্জা পাচ্ছে । তারপর স্যারের দিকে তাকিয়ে বলল
-পারবো স্যার ।
-আচ্ছা ঠিক আছে । কিন্তু বুঝতে পারছি না আমার ক্লাসই কেন ? অন্য কারো ক্লাসে নয় কেন ? তোমাদের যুবায়ের স্যারকে বললে তো সে ক্লাসই কামাই করে দিতো ।
-আসলে স্যার আপনি সেমিনার রুমে ক্লাস নেন ওখান থেকে ব্যাপারটা বেশ ভাল হবে, সবাই পরিস্কার ভাবে দেখতে পাবে । আর আপনার ক্লাস আমরা কেউ মিস দেই না । দেখা গেল আমি হাজির সব কিছু নিয়ে কিন্তু যার জন্য এসব করছি সে লাইব্রেরিতে বসে আছে ।

আমীর আসরাফ আবারও হাসলো । তারপর বলল
-আচ্ছা যাও । আমি দশ মিনিট পরেই আজকে ক্লাসে যাবো । ঠিক আছে ?
-ধন্যবাদ স্যার । অনেক বেশি ধন্যবাদ !



দুই

দিশার ক্লাস টা করার ইচ্ছে ছিল না । কেবল আমীর স্যারের ক্লাস বলেই ইরা যেতে পারে নি । স্যার এমনিতেই সপ্তাহে দুইটার বেশি ক্লাস নেন না তার উপর একটা ক্লাস মিস দেওয়ার কোন উপায় নেই ।

ঘড়ির দিকে তাকিয়েই দেখলো ১১.২৮ বাজে । স্যার একেবারে ঘড়ি ধরে ঠিক ঠিক ক্লসে ঢোকেন । আজকে স্যারের রাইবজেনেস্কি মডেল পড়ানোর কথা । গত ক্লাসেই সবাইকে একটু বাসা থেকে দেখে আসতে বলেছে ।

ঠিক ঠিক এক মিনিট টা পরেই ছেলেটা সেমিনার রুমে ঢুকলো । তখনই দিশার অস্বস্থি শুরু হল । এই ব্যাপারা দিশা খুব ভাল করেই জানে । এতো সময় দিশার নিজেরই খানিকটা অবাক লাগছিলো যে ছেলেটা যে ক্লাসে নেই সে সেটা লক্ষ্য করে নি । ওর মত ক্লাসের অনেকেই জানে মাহাদী ওকে পছন্দ করে । ছেলেটা যে খারাপ, কিংবা ওর সাথে কোন প্রকার খারাপ ব্যবহার করেছে সেরকম কোন ব্যাপার না তা, এমন কি ছেলেটা কোন দিন ওর সাথে কথা বলার চেষ্টাও করে নি কিন্তু দিশার কেন জানি ছেলেটা আসে পাশে থাকলে ভাল লাগে না ।

দিশা জানে এখন ছেলেটা এমন একটা জায়গায় বসবে যেখান থেকে ওকে পরিস্কার দেখা যায় । সামনে দাড়িয়ে ছেলেটা আগে ওকে খুজবে । দেখবে ও কোথায় বসেছে । তারপর হিসাব করে দেখবে কোথায় বসলে ওকে ভাল করে দেখা যায় । যদি সেখানে সীট খালি না থাকেও তবুও ছেলেটা ঠিক ঠিক সেই খানেই বসবে । যে বসে থাকবে তাকে দরকার হলে উঠিয়ে দিয়ে তারপর বসবে ।

আজকেও তাই করলো সে । সামনে দাড়িয়ে ওকে খুজতে লাগলো । কয়েক সেকন্ড লাগলো ওকে খুজে পেতে । কিন্তু আজকে আর বসার জন্য অন্য কোন জায়গা খুজতে গেল না । যেভাবে দরজা দিয়ে এসেছিল ঠিক সেই ভাবেই চলে গেল আবার ।
দিশার কাছে অবশ্য একটু নতুন লাগলো ব্যাপারটা ।
ঠিক তার পরপরই ছেলেটা আবার ফিরে এল । তবে এবার ছেলেটার হাতে একটা বড় ব্ল্যাক বোর্ড দেখা যাচ্ছে ! ছেলেটা সেই ব্ল্যাকবোর্ডটা সামনে স্যারের বসার চেয়ারের উপর রাখলো দেওয়ার সাথে হেলান দিয়ে । অনেকের মত দিশা নিজেও সেদিকে তাকিয়ে দেখলো । না, সেখানে কোন দিছু লেখা নেই । দিশা আসলে বুঝতে পারছিলো না ছেলেটা এই ব্ল্যাক বোর্ড দিয়ে কি করতে যাচ্ছে । তারপর আবারই চলে গেল বাইরে । ঠিক তার পরপরই ফিরে এল আবার । এবার ওর হাতে একটা টুপ-বাক্স । সেটা একপাশে রাখা টেবিলের উপরে বিছিয়ে রাখলো । দিশার মনে হল এখানে কিছু একটা হবে । ছেলেটা নিশ্চয়ই কিছু করবে ?
ওকে নিয়ে কিছু করবে না তো ?
নাহ ! এখনই স্যার চলে আসবে ?
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে সাড়ে এগারোটা বেজে গেছে । স্যার যে কোন সময় চলে আসবে । ছেলেটার এতো বড় সাহস হবে না অন্য রকম কিছু করার । দিশার তবুও একটু একটু অস্বস্থি লাগতে লাগলো । যখন ছেলেটার কথা ভাবছে তখনই ছেলেটা ওর দিকে তাকালো সরাসরি । মাঝে মাঝেই ওর সাথে ছেলেটার চোখাচোখি হয়ে যায় তবে ছেলেটা তখনই চোখ সরিয়ে নেয় । কিন্তু আজকে তেমন টা করলো না মোটেও । বরং ওর দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিল । কোন অর্থপূর্ণ হাসি ! দিশার অস্বস্থিটা যেন আরও একটু বেড়ে গেল । ছেলেটা আসলে কি করতে যাচ্ছে ?

তারপর ছেলেটা টুলস বক্স খুলে একটা কৌটা আর ব্রাশ হাতে নিয়ে চলে গেল বোর্ডের কাছে । দিশা চাচ্ছে ছেলেটার দিকে মনযোগ না দেওয়ার জন্য কিন্তু সেদিয়ে না তাকিয়ে সে পারলোও না । ছেলেটা কালো বোর্ডের উপরে কৌটা থেকে কালো রং দিয়ে দিয়ে বোর্ডের উপরে আস্তে আস্তে কি যেন আকা ঝুকি করতে লাগলো ।

দিশার মাথায় ঠিক মত ঢুকলো না এই কালো বোর্ডের উপরে কেউ কালো রং করে নাকি ? ছেলেটা পাগল নাকি ?
কি করছে ?
আর এখনই স্যার চলে আসবে ! স্যার যদি দেখে ফেলে তখন ?
নিশ্চয়ই ধকম দেবে ?

আচ্ছা স্যার যদি ছেলেটাকে ধকম দেয় তাহলে ওর কি ? ও এতো চিন্তা করছে কেন ? ছেলেটা আবারও তাকালো ওর দিকে । আবারও সেই মুখে হাসি । মানে কি ?
দিশার মাথায় আসলেই কিছু ঢুকছে না । বারবার ওর দিকে তাকিয়ে হাসছে কেন ?

আর চলল এরকম কিছুক্ষন আঁকা-ঝুকি । মিনিট পাঁচেক পরে মনে হল ছেলেটার আকা শেষ হয়ে এল । এবার আবারও টেবিলের কাছে ফিরে এল । তারপর টুল বক্সের ভেতর থেকে আরও কিছু বের করে একটা ট্রের উপরে রাখলো । দিশার চোখে আপনা আপনিই চলে গেল সেদিকে । বালি জাতীয় কিছু একটা ঢেলে সেখানে । তারপর ট্রে-টা হাতে নিয়ে দাড়ালো বোর্ডের সামনে ।

দিশা তখনও চোখ বোর্ডের দিকে । সেখানে এখনও কালো কিছু রেখা ছাড়া আর কিছু নেই । কিছু বোঝা যাচ্ছে না । আসলে কি আকার চেষ্টা করছে ? কোন আগা মাথা নেই ।
ছেলেটা আবারও ওর দিকে তাকালো । চোখাচোখী হল কিছুটা সময় । ছেলেটা হাসলো আবারও । এবারের হাসিটা অন্য সব হাসি থেকে এবার হাসিটা যেন অন্য রকম । তারপর ছেলেটা হাতের ট্রে-টা থেকে বালির মত গুড়া গুলো বোর্ডের দিকে ছুড়ে মারলো ।

ছেলেটা কি করছে ? এভাবে .......।
দিশার মনের কথা মনেই রয়ে গেল ।
ও মাই গড !!

দিশা কয়েক সেকেন্ড যেন ঠিক মত নিশ্বাস নিতে ভুলে গেল । ওর চোখটা একেবারে বোর্ডের দিকে নিবদ্ধ । ছেলেটা যখনই ট্রের বালি গুলো ব্ল্যাক বোর্ডের দিকে ছুড়ে মারলো তখনই সেই বালি গুলো বোর্ডের চারিপাশের ছিটিয়ে একটা চেহারা ফুটে উঠলো ।
ওর নিজের ছবি !
পরিস্কার ভাবেই ওর নিজের ছবি !!

অদ্ভুদ ভাবে, বোর্ডের দিকে, নিজের চেহারা দিকে কিছু সময় তাকিয়ে রইলো । সে ঠিকই জানতো ছেলেটা কিছু করতে যাচ্ছে কিন্তু এমন ভাবে করবে সেটা ও ভাবতে পারে নি ।
পুরো ক্লাসে গুঞ্জন উঠলো তারপরই সবাই হাতে তালি দিয়ে উঠলো । দিশা কেবল তাকিয়েই রইলো একটু আগে ছেলেটার আঁকা অদ্ভুদ ছবির দিকে আর এখন ছেলেটার চোখের দিকে ।

ছেলেটা দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতেই দিশা অনুভব করলো যে একটু আগেও যে অস্বস্থি লাগছিলো সেখানে একটা অদ্ভুদ ভাল লাগার অনুভুতির শুরু হয়েছে । মুখে একটা লজ্জা মিশ্রিত হাসিও দেখা দিয়েছে । ছেলেটা ওকে ইম্প্রেস করে ফেলেছে ।
ছেলেটার দিকে তাকিয়ে দিশা আবারও হাসলো, লজ্জা মিশ্রিত হাসি । ছেলেটা তো হাসি মুখে তাকিয়ে আছেই ওর দিকে !



-------------

কদিন আগে হেক্টু একটা চমৎকার ভিড্যু আপলোড দেয় নিজের ফেসবুক ওয়ালে । অনেকেই দেখেছেন হয়তো ! আমার ব্যাপার টা এমন চমৎকার লেগেছিল যে মনে হল দৃশ্যটা একটা ছোট্ট লেখার প্রকাশ করা যায় কি না দেখা যাক । এতো সময় যে লেখাটা পড়লেন সেটা থেকেও যদি নিচের ভিডিওটা দেখেন তাহলে আশা করি আরও বেশি চমৎকার লাগবে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৭
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×