somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তিনটি অনুগল্প এবং একটা ফাউ

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




গল্প এক


মিতুর ঘুমন্ত চেহারাটা আমার সব সময়ই পছন্দ খুব কিন্তু বলা হয়ে ওঠে নি কোন দিন, কোন একদিন বলব ওকে । কেবল দুর থেকে চুপচাপ দেখেই গেছি । আজকেও মেয়েটার চেহারার দিকে তাকিয়ে রইলাম কিছুটা সময় । প্রতিদিন রাতেই এভাবে কেটে যায় অনেকটা সময় । একটু ঘুম ঘুম ভাব এলেই আমি উঠে দাড়াই । মিতুর পাশে থাকা যাবে না । মেয়েটার ঘুম ভেঙ্গে যেতে পারে ।
আমি আস্তে করে বিছানা থেকে উঠলাম । বারান্দায় একটা চেয়ার পাতা আছে । ১১ তলার উপরে থাকি তাই বারান্দার দরজাটা আটকানোর দরকার পরে না । আমি বারান্দায় গিয়ে বসলাম । রাতের নির্জনতা আমার ভালই লাগে । যদিও খুব একটা রাত জাগার অভ্যেস নেই তবুও মিতুর জন্য এখন রাত জেগেই থাকি । আমি ঘুমালে মেয়েটা ঠিক মত ঘুমাতে পারে না শান্তি মত ।
ঘুমাক একটু শান্তিমত । সারাদিন অফিস করে তারপর বাসায় এসে আমার জন্য রান্না করে । রাতে যদি আমার জন্য একটু শান্তি মত না ঘুমাতে পারে তাহলে মেয়েটার প্রতি অন্যায় করে করা হবে ।

আমি হয়তো ব্যাপার জানতামই না যদি না মিতুকে সেদিন ফোনে কথা না বলতে শুনতাম । ভাগ্য ভাল শুনেছিলাম নয়তো জানাই হত না যে মেয়েটার সমস্যা হচ্ছে । আমার অবশ্য সমস্যা খুব একটা হয় না । সকাল বেলা অফিস যাওয়ার আগে ঠিক মত একটা শাওয়ার নিলেই না ঘুমানোর ক্লান্তি কেটে যায় ।

হঠাৎই পেছনে তাকিয়ে দেখি মিতু দাড়িয়ে আছে আমার পেছনে । কখন মেয়েটার ঘুম ভাঙ্গলো কে জানে ? আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-আপনি এখানে কেন ?
আমি প্রথমেই কি বলবো ঠিক বুঝলাম না । তারপর কোন রকমে সামলে নিয়ে বললাম
-এই ঘুম আসছিলো না ! তাই বসে আছি ।
-মিথ্যা কথা !
মিথ্যা কথা শব্দটা মিতু এমন জোর দিয়ে বলল যে আমি নিজেই চমকে উঠলাম । তারপর আমার ঠিক সামনে এসে আমার কাছে হাটু মুড়ে বসে বলল
-সত্যি করে বলেন কেন এখানে বসে আসেন ? আমপনার চোখে ঘুম লেগে আছে । আমি দেখতে পাচ্ছি !
কি বলবো ঠিক বুঝলাম না কয়েক মুহুর্ত । তারপর বললাম
-আসলে আমি ঘুমালে তোমার ঘুমানোর ডিস্টার্ব হয় । নাক ডাকি তো ! এই জন্য !
-এই জন্য আপনি সারা রাত না ঘুমিয়ে জেগে থাকবেন ?
-কই জেগে থাকি না তো ! এখানে বসি । টিভি দেখি । সময় কেটে যায় ! আর আমার রাতে জেগে থেকে অভ্যাস আছে ।
মিতু আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-আপনি সেদিন আমার ফোনের কথা শুনে ফেলেছিলেন তাই না ?
আমি কেবল মাথা ঝাকালাম ।
-কদিন থেকে এমন করছেন ? ঐদিন থেকেই ?
আমি আবারও মাথা ঝাকালাম ।
-দুই সপ্তাহ আপনি আমার জন্য না ঘুমিয়ে রাত পার করে দিচ্ছেন । চোখের নিচে আপনার কালি এই জন্য পড়ছে । একবার আমাকে বলতেও পারেন নি ?

আমি তাকিয়ে দেখি মিতুর চোখে পানি ভরে গেছে । মিতু সেটা মোছার চেষ্টাও করছে না । আমি খানিকটা বিব্রত চোখেই তাকিয়ে রইলাম । কি বলা উচিৎ ঠিক বুঝতে পারলাম না । মিতু আমার দিকে তাকিয়ে নিরবে চোখের পানি ফেলতে লাগলো ! আমি তখনও চুপ করে আছি । কেবল তাকিয়ে আছি মেয়েটার দিকে ।

মিতু আমার হাত ধরে আমাকে নিয়ে ঘরের ভেতরে এল । বলল
-আর কোন দিন যদি এরকম করেছেন ! আপনি নাক ডাকুন মাইক বাজান আমার কোন সমস্যা হবে না । আসুন !
বিছানায় শোয়ার সময় অনুভব করলাম মিতু একেবারে আমার বুক ঘেসে চলে এসেছে কাছে । মেয়েটা এখন একটু একটু কাঁদছে ।
কষ্টে ?
আমি ওর জন্য না ঘুমিয়ে এই কটা দিন থেকেছি এই জন্য ?
নাকি আনন্দে ?
তার অসুবিধার জন্য কেউ একজন না ঘুমিয়ে আছে ।
-আচ্ছা কান্না বন্ধ কর !
-আপনি ঘুমান । আর নাক ডাকুন ! আজকে আপনার নাক ডাকা আমি শুনবো ।
আমি হাসলাম কেবল । মিতু যেন আরও একটু শক্ত করে আমাকে জড়িয়ে ধরলো । আজকে মেয়েটা আমার নাক ডাকা শুনেই ঘুমাবে মনে হচ্ছে !


গল্প দুই


-আমি আপনার ছেলেকে বিয়ে করবো না !

ঘরের ভেতরে যেন বোমা ফাঁটলো !
আমি কি যেন ভাবছিলাম । মনটা কেমন উদাস উদাস লাগছিলো । সুপ্তির বিয়ে হয়ে যাচ্ছে আমার চোখের সামনে দিয়ে আর আমি চুপচাপ দেখছি । কিছু বলছি না । ঠিক এই সময়ে সুপ্তি কথাটা বলল ।
আমি তাকিয়ে দেখি সুপ্তির বাবা অবাক হয়ে মেয়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে । তিনি ঠিক বিশ্বাস করতে পারছে না তার মেয়ে এই কথাটা বলেছে । তারপর সুপ্তিকে যারা দেখতে এসেছিলো তাদের সবার চোখেই বিশ্ময় দেখতে পেলাম । তারা নিজেরাও কথাটা ঠিক হজম করতে পারছে না ।

বিয়ের কথা বার্তা মোটামুটি পাকাই বলা চলে । বিয়ের তারিখও ফাইনাল । পাকা কথা দেওয়া হয়ে গেছে এখন কেবল সুপ্তির হাতে আংটি পরাবে । হাতটা এগিয়ে দিতে বলল ওরা । সুপ্তিও বাধ্য মেয়ের মত হাত টা এগিয়ে দিচ্ছিলো । মাঝ পথে এসেই থেমে গেল । তারপর এক প্রকার চিৎকার করেই বলল কথা টা
সুপ্তি বাবার মুখে মুহুর্তেই লাল হয়ে গেল । মেয়ের দিকে কড়া চোখে তাকিয়ে রইলেন কিছুটা সময় । কিন্তু আমি অবাক হয়ে দেখলাম সুপ্তি সেই চোখ রাঙ্গানী সম্পূর্ন উপেক্ষা করে ছেলের মায়ের দিকে তাকিয়ে আবারও কথাটা বলল
-আপনার ছেলেকে আমি বিয়ে করবো না !
সুপ্তির বাবা ধমক দিয়ে বলল
-সুপ্তি কি হচ্ছে এসব ?
-বাবা আমি ঠিকই বলছি । ইনার ছেলেকে আমি বিয়ে করবো না । কোন ভাবেই না ।
-মেরে তোকে আমি নদীতে ভাসিয়ে দিব !
সুপ্তি শান্ত কন্ঠে বলল
-ভুল বললে বাবা । রেগে গেলে তোমার কথার থেই হারিয়ে যায় । কথাটা হবে তোকে কেটে টুকরো টুকরো করে নাদীতে ভাসিয়ে দেব । মেরে হাড্ডি ভেঙ্গে দেব এটা হবে ।
সুপ্তির বাবা অবাক হয়ে মেয়ের দিকে তাকিয়ে রইলেন । এই মেয়েকে যেন তিনি চিনতে পারছেন না ।
-তুই একখুনি আমার সামনে থেকে বেরিয়ে যা । যদি এই খানে বিয়ে না করিস তাহলে তোকে আমি ঘরে রাখবো না !
-ফাইন !

সুপ্তি আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়ে উঠে দাড়ালো । তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-সুমন চল ।

ঘরের প্রত্যেকটা চোখ আমার দিকে ঘুরে মুহুর্তেই ।
এই মেয়ের সমস্যা কি ! আমাকে কি ডুবিয়ে মারতে চায় ? আজকে ওর বাগদান হওয়ার কথা ছিল । ভাল মন্দ খাওয়া হবে তাই আমাদের বন্ধুদের কয়েকজনকে দাওয়াত দিয়ে ছিল । তার ভেতরেই আমি ছিলাম । কিন্তু এখানে এসে এ কি ঘটা শুরু করেছে !!
সুপ্তি বলল
-বাবা আমি যাচ্ছি, তোমার সামনে দিয়েই । এই সুমনকে দেখছো না একে আমি বিয়ে করবো । যদি মেনে নাও তাহলে তোমার সাথে আবার আমার দেখা হবে । নয়তো না । ভাল থাকো !

আমাকে সবার সামনে দিয়ে একটা টেনেই বের হয়ে এল । আমি ঘরের ভেতর থেকে যখন বাইরে বের হয়ে এলাম তখন কেবল কিছু অবাক করা চোখ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে । আমাদের বন্ধুরাও একটা কথা বলে নি ।
আমি বাইরে বেরিয়ে এসে বললাম
-এটা কি ছিল ?
-কেন দেখিস নি ?
-তার মানে কি ! তোর সমস্যা কি !
-কেন তুই আমাকে বিয়ে করতে চাস না ? বল ? যদি না চাস তাহলে আমাকে এখানে রেখে চলে যা ।
-আরে আমি কি তাই বলেছি নাকি ! জানতে চাইলাম এই সব করার দরকার ছিল কি !
-শোন আমি অনেক অপেক্ষা করেছি । তোর মত গাধার মুখ থেকে একটা বার কথাটা শোনার জন্য । কিন্তু .....
-আচ্ছা ঠিক আছে । তাহলে এখন ? এখন কি করবি ?
-রিক্সা ডাক । এটিএম বুথের কাছে যেতে হবে । টাকা পয়সা যা আছে তুলে ফেলি । সামনে কদিন গাছ তলায় থাকতে হবে ঠিক নাই ।
আমি রিক্সায় উঠটে উঠতে বললাম
-ভয় নেই । বাসায় চল । মা রাগ করবে না । নিশ্চিত থাক ।
-ঠিক তো ?
-হুম ঠিক ।
রিক্সা করে যখন বাসার দিকে রওনা দিলাম তখনও আমার ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিলো না । এই মেয়েটা হঠাৎ এমন একটা কাজ কিভাবে করে ফেলল !




গল্প তিন


নীলুর ঘুম টা বেশ পাতলা । সামান্যতম শব্দেই ঘুম ভেঙ্গে যায় । রাতে ঘুমাতে গেলে কতবার যে সে চোখ মেলে তাকাবে তার কোন ঠিক নেই । আজকেও যখন রান্নাঘর থেকে টুক টাক আওয়াজ আসছিল নীলুর ঘুম ভেঙ্গে গেল ।
যদিও ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই । বাসাটা নতুন হলেও নীলু জানে রান্না ঘরে কে আওয়াজ করছে । প্রতিদিনই এরকম আওয়াজ হয় ।
সাফায়েতের রাত জেগে থাকার অভ্যাস আছে । রাত বেশি হয়ে গেলে যখন খিদে লাগে তখনই সাফায়েত রান্না ঘরে যায় । কোন কোন দিন ফ্রিজে রাখা বাসি খাবার গরম করে অথবা নিজেই কিছু ভেজে নেয় ।
নীলু প্রতিদিন ভাবে রান্না ঘরে গিয়ে সে কিছুটা সাহায্য করে কিন্তু কেমন জানি সংকোচ হয় । নতুন বিয়ে হলেও স্বামী স্ত্রীর ভেতরে আসলে যে রকম সম্পর্ক থাকার কথা নীলু আর সাফায়েতের ভিতর সেরকম কিছু এখনও তৈরি হয় নি । দুইজন পাশাপাশি ঠিকই থাকে কিন্তু একে অপরকে খুব একটা চিনে কি না কে জানে । নীলুর অবশ্য ইচ্ছে করে মানুষ টাকে চিনতে কিন্তু সাফায়েত একটা অদ্ভুদ দেওয়াল সৃষ্টি করে রেখেছে নিজের সামনে । অন্য রকম এক গাম্ভীর্যের দেওয়াল । নীলু কিছুতেই সেই দেওয়াল ভেদ করতে পারে না !
হঠাৎই রান্না ঘর থেকে কিছু একটা পরার আওয়াজ এল । মাঝরাতে আওয়াজ টা বেশ ভালই শোনা গেল । এবার মনে হয় রুম ছেড়ে ওঠা যায় ! নীলু এতোক্ষন যেন এই সুযোগটার জন্যই অপেক্ষা করছিল !
নীলু রান্না ঘরে গিয়ে দেখলো সাফায়েত উপুর হয়ে বসে কিছু একটা গোছানোর চেষ্টা করতে । সারা রান্না ঘরে ডিমের হলুদ সাদা অংশ পরে একাকার !
-সরুন ! আমি পরিস্কার করছি !
সাফায়েত পিছন ফিরে তাকিয়ে বলল
-আরে তোমার ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিলাম দেখছি !
-আপনি উঠুন !
-আরে কোন সমস্যা নেই ! আমি পারবো !
-আপনি পারবেন বুঝলাম ! এখন উঠুন তো !
সাফায়েত কিছুটা সময় কি যেন ভাবলো ! তারপর রান্না ঘর থেকে উঠে গেল বেসিনের দিকে !
নীলু বলল
-অন্য কিছু কি বানিয়ে দেব ?
-না না দরকার নেই ।
আর কিছু না বলে সাফায়েত আবারও টিভির সামনে গিয়ে বসলো ! প্রতি রাতে ও কেবল এই কাজটাই করে ! ঘন্টার পর ঘন্টা টিভির সামনে বসে থাকে । সামনে রাখা টি-টেবিলের উপর একটা ল্যাপটপ খোলা থাকে । কিছু করে কি না ও নিজেই বলতে পারবে না !
-এই নিন !
টিভির দিকে তাকিয়ে থাকলেও সাফায়ােত যেন অন্য কিছু ভাবছিল । নীলুর কথা শুনে ফিরে তাকালো !
এক প্লেট ডিমে ভাজা পাউরুটি !
প্রায় দিন রাতেই সাফায়েত এটাই বানিয়ে খায় ! আজকে নীলু বানিয়ে এনেছে !
বাটিটা সাফায়েতের হাতে দিয়েও নীলু চলে গেল না ! পাশেই দাড়িয়ে থাকলো ! নীলুকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে বলল
-কিছু বলবে ?
-না !
না বললেও কেন জানি নীলুর যেতে ইচ্ছে করছে না । মনে হচ্ছে একটু দাড়িয়ে থেকে সাফায়েতের খাওয়া দেখতে ।
কদিন থেকেই কেন জানি এই অদ্ভুদ ইচ্ছে টা ওর প্রায়ই জেগে ওঠে । বিশেষ করে ও যখন খাবার খায় কিংবা অফিসের জন্য তৈরি হয় নীলুর সেটা দেখতে অদ্ভুদ ভাল লাগে ! কোন ব্যাখ্যা হয় তো নেই তবুও নীলুর ভাল লাগে !
-বসলে চাইলে বস ।
নীলু বসল !
কিছুটা সময় কেটে গেল চুপচাপ । সাফায়েত ততক্ষনে প্লেট থেকে একটা করে পাউরুটি নিয়ে খেতে শুরু করেছে । ওর চোখ টিভির দিকে ।
নীলুর খিল খিল করে হাসির শব্দে খানিকটা যেন চমকে যেন নীলুর দিকে ফিরে তাকালো ! অবাক হয়ে বলল
-হাসছো কেন ?
-আপনাকে দেখে ?
-আমাকে ? আমি কি করলাম ?
-না, মানে টিভিতে হাসির মুভি হচ্ছে আপনি দেখছে কিন্তু আপনার মন অন্য দিকে । আমি ঐ মুভি সিন দেখে হাসলাম ! আপনি দেখলে আপনিও হাসতেন !
-আমি টিভি দেখছি !
-হুম দেখছেন ! ছাতা দেখছেন !
সাফায়েত কি বলবে ঠিক বুঝলো না ! আসলেই সে টিভির দিকে তাকিয়ে ছিল ঠিকই তবে সে কিছু দেখছিলো না ! সাফায়েত বলল
-ছাতা ?
-হুম ! আমব্রেলা !
এই বলে নীলু আবার খিল খিল করে হেসে উঠলো ! টিভির শব্দ নামানো । সেটা ছাপিয়ে নীলুর হাসির আওয়াজ পুরো ঘরে জুড়ে বয়ে এক অদ্ভুদ ধ্বনিতে বাজতে লাগলো !
সাফায়েত কেবল অবাক হয়ে নীলুর হাসির দিকে তাকিয়ে রইলো । এতো প্রানবন্ত হাসি সাফায়েত এর আগে কোন দিন দেখেছে কি না সে বলতে পারবে না ! এই মধ্যরাতে সাফায়েতের কেন জানি নীলুর এই হাসিটা মোটেই খারাপ লাগছিলো না !




গল্প চার


আজকে রিক্সায় চড়াটা অন্য রকম লাগছে । চারি দিকে যাই দেখছি তাই ভাল লাগছে । অবশ্য এই ভাল লাগার একটা আলাদা কারন আছে । আজকে আমার পকেট ভর্তি টাকা । আজকে বেতন পেয়েছি । বেতনের সব কটা টাকাই ব্যাংক থেকে তুলে ফেলেছি । এখন সেটা পকেটে করে ঘুরে বেড়াচ্ছি ।
মানুষজন কে দেখাতে ইচ্ছে করছে ডেকে ডেকে ।
ভাই এই দেখেন আজকে বেতন পেয়েছি ।
নিজের টাকা !
একদম নিজের আয় করা টাকা !
এমন না পকেটে টাকা ছাড়া আমি কোন দিন ছিলাম । কিন্তু সেটা ছিল বাপের টাকা । চাইলেই পাওয়া যেত । এখনও পাওয়া যায় ।
কিন্তু আজকেরটা একদম নিজের আয় করা টাকা । নিজের পরিশ্রমের টাকা ! এর অনুভুতিই আলাদা !
রিক্সাটা ধানমন্ডির এক এ এসে আবারও জ্যামে পড়লো । কতটা সময় লাগে কে জানে ! নেমে যাবো কি না বুঝতে পারছি না । মিতুর অফিসটা এখন থেকেই দেখা যায় । হেটে গেলে ২ মিনিট লাগবে । অবশ্য রিক্সা করে গেলে একেবারে ওর অফিসের সামনেই নামা যেত তবে জ্যামের কারনে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে । আমি রিক্সা থেকে নেমে গেলাম । আজকে হাটতেও ভাল লাগছে ।
আচ্ছা মিতু আজকে আমাকে দেখে কি খুশি হবে ?
কিংবা আগের মতই বিরক্ত হবে ?
জানি না তবে ও যা বলেছিলো আমি তাই করেছি । কেবল ওর জন্য ।
আমি ওর অফিসের সামনে দাড়াতেই মিতুকে বেরিয়ে আসতে দেখলাম । ওর অফিসের আরও কয়েকজনের সাথে কথা বলতে বলতে সিড়ি দিয়ে নামছে । আমাকে এখনও দেখে নি । আমি নিজের মাঝেই কেমন একটা উত্তেজনা অনুভব করলাম । মেয়েটা প্রথমে আমাকে দেখে নিশ্চয়ই বিরক্তই হবে । কিন্তু আজকে মেয়েটাকে বলবো । বলবো যে আমি আগের মত নেই । তুমি যেটা করতে বলেছিলে সেটা আমি করে দেখিয়েছি !
আমি আরও কয়েক পা এগিয়ে যেতেই মিতু আমাকে দেখতে পেল । তারপরই কেমন থমকে দাড়ালো ।
চশমা পরা অবস্থায় মিতুকে আসলেই অন্য রকম সুন্দর লাগে । একটু গম্ভীর গম্ভীর লাগে কিন্তু সেটা ওর সৌন্দর্য্য কে আরও একটু বাড়িয়ে দেয় যেন ! আমার মনে আছে আমি ওকে এভাবে দেখেই প্রথমে ওর প্রেমে পরেছিলাম । এভাবে কারো প্রেমে আগে পড়েছিলাম কি না আমি জানি না । পাগলের মত মিতুর পেছনে ঘুরতে লাগলাম । কিন্তু ও আমাকে পাত্তা দিল না ।
মিতু আমাদের এলাকার মহিলা হোস্টেলে যখন উঠলো তখনও ঠিক চাকরী পায় নি । কেবল মাত্র পড়া লেখা শেষ করেছে । ও দুইটা টিউশনী করতো আর আমাদের এলাতেই থাকতো । কয়েকবার চেষ্টা করেও যখন মেয়েটা আমাকে পাত্তা দিল না এবং তার উপর যখন আমার বাপের কাছে নালিশ চলে গেল তখন মেজাজ টা বেশ খারাপ হয়ে এল । বন্ধু-বান্ধব ঠিক করা ছিল টিউশনী থেকে ফেরার পথে ওকে জোর করে মাইক্রবাসে তুলে নিলাম ।
জায়গা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল । কাজীও ততক্ষনে হাজির । মিতু কঠিন মুখে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুটা সময় । ওর চোখে এখনও অবিশ্বাস । এলাকার কমিশনারের ছেলে তাকে জোর করে তুলে নিয়ে এসেছে এটা ভাবতে পারছে না । কদিন আগেই যে কমিশনারের কাছে সে ছেলের নামে নালিশ দিয়ে এসেছে ।
আমি মিতুকে শান্ত কন্ঠে বললাম
-তোমাকে এখনও কেউ কিছু বলে নি কেন জানো ? কারন হচ্ছে আমি তোমাকে অসম্ভব পছন্দ করি তাই । যদি আমাকে বিয়ে করতে না চাও ভাল, আমি এখনই এখান থেকে চলে যাবো তবে তোমার কি অবস্থা হবে আমি বলতে পারছি না ।
আমি মিতুর চোখে একটা ভয় দেখতে পেলাম । সেই সাথে একটা তীব্র ঘৃণাও । মিতু অবশ্য বিয়ের সময় খুব একটা উচ্চ-বাচ্চ করলো না । শান্ত ভাবেই সই করলো কাগজে । ভেবেছিলাম মেয়েটাকে আমি জয় করে নিয়েছি ।
বাসায় যখন ওকে নিয়ে এলাম বাবা কিছু সময় আমার দিকে কঠিন চোখে তাকিয়ে রইলো, একটু ঝাড়িও দিন তবে বেশি কিছু আর বলল না । বলবে না জানতাম । তিনি কোন সময়ই কিছু বলেন নি । মা মিতুকে ঘরে নিয়ে গেল । মাকে খুব একটা চিন্তিত মনে হল না । বরং তিনি যেন খুশিই হয়েছেন !
আমি তো মহা আনন্দে ছিলাম । ভেবেছিলাম একবার যখন বিয়ে হয়ে গেছে তখন মিতু এবার ঠিক ঠিক আমাকে ভালবাসবেই । আমাদের দেশের মেয়েরা এমনই । বিয়ের পর স্বামীকে ঠিকই ভালবাসে তারা ! কিন্তু মিতু মনে হয় সেরকম মেয়ে ছিল না । আমি যখন ওর হাত ধরতে গেলাম তখন মেয়েটা ছোঁ মেরে নিজের হাত সরিয়ে নিল ।
মানে কি !
এখনই এই মেয়ে ঠান্ডা হয় নি ! নিজেকে বোঝালাম যে হবে । সময় আসলেই হবে ।
পরপর কদিন ব্যাপার টা ঠিক এই রকমই রয়ে গেল । দুদিন পরেই বাবা মিতুর বাবা মাকে ঢাকা ডেকে নিয়ে এলেন । আমার বাবার আবার মানুষকে বোঝানোর ক্ষমতা ছিল বেশ । কমিশনার তো । তিনি দুজনকে কি বোঝালেন কে জানে দেখলাম দুজনেই বিয়েটা মেনেই নিলেন । অবশ্য না নিয়ে কি বা করার ছিল তাদের তার উপরে আমাদের দেশে মেয়ের বাবারা সব সময়ই মেয়ের বিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ছেলে কি কি আছে সেটাই দেখে । কিংবা ছেলের বাবা কি আছে । সেই হিসাবে আমি পাত্র হিসাবে খুব একটা অপছন্দেরও ছিলাম না ।
কিন্তু সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও মিতুকে কিছুতেই গলাতে পারলাম না । বলা চলে মিতু যেন আরও বেশি শক্ত হয়ে গেল । একদিন রাতে ওকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরলাম । মিতু কিছুটা সময় নিজেকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করলো যখন বুঝতে পারলো যে পারবে না তখন আমার চোখের দিকে তাকিয়ে তীব্র কন্ঠে বলল
-কি করবে এখন ? শক্তি দেখাবে নাকি ভয় ? তোমাকে সাথে না শুলে তোমার বন্ধুদের হাতে তুলে দেবার ভয় দেখাবে !
আমি ওর হাত ছেড়ে দিলাম । মিতু বলল
-চাইলে আমাকে নিতে পারো তবে তোমাকে কোন দিন আমি আমার স্বামী হিসাবে মেনে নিবো না ।
-কেন নিবে না ? তোমার বাবা মা যেখানে এই বিয়ে মেনে নিয়েছে !
-যাও তাহলে আমার বাবা মায়ের কাছে, সেখানে ঘর জামাই হয়ে থাকো !
-একটু বোঝার চেষ্টা কর প্লিজ !
মিতু কিছু টা সময় চুপ করে থেকে বলল
-বোঝার কিছু নেই । কি আছে তোমার শুনি ? বল নিজের কি আছে ? তোমার মত অকর্ম একটা ছেলেকে আমি কেন আমার স্বামী হিসাবে মেনে নিবো । যেদিন নিজে কিছু হতে পারবে সেদিন এসো !
তারপর থেকেই মিতুর সাথে আমার ঠিক কথা হত না । এই লাইনটা যেন আমার ভেতরে কেমন হতে লাগলো । আমার কি আছে । চাকরী পাওয়ার পরেই মিতু অফিসের কাছে আরেকটা বাসা নিয়ে চলে গেল । মা আটকাতে চাইলেন তবে মিতু থাকলো না ।
তারপরই থেকেই আমি নিজের ভেতরে একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম । চাকরির জন্য চেষ্টা শুরু করলাম । সেই সাথে চাকরী পড়াশুনা । প্রায় ছয় মাস চেষ্টার পরে সত্যি সত্যিই চাকরি একটা জুটেও গেল । এই ছয় মাসে মিতুর সাথে আমার কথা হয় নি একবারও । ও মাঝে মাঝে আমাদের বাসায় আসতো । মায়ের সাথে কথা বলে চলে যেত । আমার দিকে ফিরেও তাকাতো না । মাকে চাকরি পাওয়ার পর মাকে বলেছিলাম মিতুকে যেন কথাটা না বলে । আমি সময় হবে বলবো । আজকে প্রথম মাসের ভেতন পেয়েই অফিস থেকে এখানে এসেছি । আজকে মেয়েটাকে বলবো দেখো তুমি যেমন টা বলেছিলে আমি সেরকম হয়েছি ।
------
মিতুর আমার দিকে কয়েকটা মুহর্ত তাকিয়েই রইলো । তারপর হেটে আমার সামনে এসে দাড়ালো । আমি কি বলবো খুজে পেলাম না । ছয় মাসের ভেতরে মিতুকে আমি দুর থেকে বেশ কয়েকবারই দেখেছি । কাছে আসা হয় নি । মিতু বলল
-এখানে ?
একটু অবাক হতে হল যে মিতুর কন্ঠে কোন বিরক্তি কিংবা ঘৃণা নেই । আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই দেখি ওর সাথে যারা নামছিল তাদের মাঝ থেকে একজন আমাদের দিকে এগিয়ে এল ।
মিতু তাকে দেখে বলল
-রমা দি ! এ আমার হাজব্যান্ড !
হাজব্যান্ড !
আমি সত্যিই অবাক হলাম । মিতু আমাকে অন্যের কাছে নিজের স্বামী বলে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে ।
রমা দি বলল
--ওমা তাই নাকি ! বেশ বেশ ! তোর বিয়ে তাহলে সত্যিই হয়েছে । তা কি করে ?
-ও এশিয়া ব্যাংকে আছে ।
আমি এবার সত্যিই অবাক হলাম । মিতু জানে আমি চাকরি করি । কিভাবে ? কোথায় চাকরি করি সেটাও জানে ?
নিশ্চয়ই মা বলেছে ! মাকে বলতে মানা করেছি তবুও বলল !!
মিতু সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমার সাথে এল । বলল
-আজকে আমার অফিসের সামনে ! হঠাৎ ?
-আব্বা আম্মার জন্য কিছু কিনতে চাচ্ছিলাম । তাই এলাম ।
-এই জন্য ! আর কিছু না !
-আরও অনেক কিছুর জন্য !
-তাই ?
মিতু হাসলো । আমি বললাম
-তুমি জানতে আমি চাকরি পেয়েছি ।
-হুম ! প্রথম থেকেই ।
-মা বলেছে ?
-হুম ! তুমি যে পরিশ্রম করছো সেটা আমি প্রতিদিন মায়ের কাছ থেকেই শুনতাম । রাতে জেগে জেগে পড়তে সেটাও আমি শুনেছি । আসলে ......
কি আসলে ?
-কিছু না চল ! কি কিনবে দেখি !
পুরো মার্কেট ঘুরে ঘুরে বাবা আর মায়ের জন্য পাঞ্জাবি আর শাড়ি কিনলাম । মিতুকে কিছু কিনে দিতে চাইলেই মিতু বলল
-আমার জন্য কিছু কিনতে হবে না ।
-সেকি কেন ?
-আরে আজকে মাসের দুই তারিখ । এখনই সব টাকা খরচ করে ফেললে চলবে কিভাবে সারা মাস ?
আমি বললাম
-আমার বউ ভাল টাকা বেতন পায় । সে চালাবে, চিন্তা কর না !
-তাই ?
মিতু আবারও হাসলো !
কেনা কাটা শেষ করে আরও অনেক জায়গায় ঘুরলাম এক সাথে । ফুচকা খেলাম । তারপর মিতুকে নিয়ে ওর বাসার সামনে হাজির হলাম । নামিয়ে দেওয়ার সময় ও হঠাৎ করেই বলল
-তুমি একটু দাড়াবে এখানে ? আমি আসছি !
-আচ্ছা !
ও প্রায় দৌড়ে ভেতরে চলে গেল । তারপর ফিরে এল কিছু সময় পরেই হাতে একটা শপিং ব্যাগ ।
আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল
-এগুলো তোমার ?
-কি এগুলো ?
-খুলে দেখো !
প্যাকেট খুলে দেখি গুনে গুনে ছয়টা শার্ট !
আমার জন্য !
মিতু বলল
প্রতি মাসে বেতন পেয়ে তোমার জন্য একটা করে শার্ট কিনতাম তোমার জন্য । ভাবতাম যেদিন চাকরি পাবে সেদিন তোমাকে দিন কিন্তু সংকোচের কারনে তোমাকে দিতে পারি নি । আসলে তোমার উপর আমার খুব বেশি রাগ ছিল । কিন্তু যখন দেখতে শুরু করলাম যে তুমি বদলাতে শুরু করেছো তখন কেন জানি আর রাগটা ধরে রাখতে পারি নি !
-তাহলে আসনি কেন এতো দিন ?
-ঐ যে বললাম সংকোচের কারনে ! আর একটা ভয় ছিল যে আমি আবার ফিরে গেলে তুমি হয়তো আবার আগের মত হয়ে যাবে !
-এখনও হতে পারি ?
-নাহ ! আর পারবে না !
আমি কিছুটা সময় শর্টের দিকে তাকিয়ে থেকে বলল
-তুমি ব্যাগ নিয়ে আসো । আজকেই আমার সাথে বাসায় যাবে ।
-আজকেই !
-হ্যা ! আমি কিছু শুনবো না । যাও !
-আরে পরশু ছুটির দিন আছে ঐদিন আসি !
-না ! আজকে মানে আজকে ! এখনই !
আমি নিজের গলার স্বর শুনে নিজেই অবাক হলাম । কিভাবে মেয়েটার উপর আমি এতো জোর খাটাতে শুরু করলাম কে জানে ?
মিতু কিছু না বলে তাকিয়ে রইলো কিছু টা সময় !
আমি বললাম
-এখন সব কিছু নিতে হবে না । কেবল কয়েকটা জিনিস নাও । শুক্রবারে এসে সব কিছু নিয়ে যাবে !
------
যখন মিতু আমার সাথে আবারও রিক্সায় উঠলো তখন কেমন একটা অদ্ভুদ অনুভুতি হচ্ছিলো । সেবার যখন মনে হয়েছিলো মেয়েটাকে আমি জয় করেছি সেবারও এতো আনন্দ হয় নি । আজকে সত্যিই সত্যিই মেয়েটা আমি জয় করেই নিয়েছি ! একেবারে নিজের করে !




গল্পে কিছু বানান ভুল থাকবে । তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী !
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৫
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×