somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোট-গল্পঃ উদ্ভাস্তু ভিসা :D

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




ফেডরিক জে লুকা শান্তভাবেই তাকিয়ে আছে সুমাইয়ার দিকে । এমন একটা ভাব করে তাকিয়ে আছে যেন একটু আগে সে যে খবর টা সুমাইয়াকে শোনালো সেটা খুবই স্বাভাবিকই একটা খবর । এরকম খবর সে হর-হামেশাই অনেক কে শুনিয়ে থাকে । অবশ্য সে যে পেশায় আছে তার জন্য এমন একটা কাজ খুবই স্বাভাবিক হওয়া উচিৎ ।
সুমাইয়া আবার বলল
-আপনি ব্যাপারটা বুঝতে পারছে না । আমার পক্ষে এখন দেশে ফিরে যাওয়া কোন ভাবেই সম্ভব নয় ।
-দেখুন মিস সুমাইয়া । আমরা খুব ভাল করেই খবর নিয়েছি । আপনাকে তো কেউ চিনেই না ঠিক মত । আর না চিনলে আপনাকে মারতে আসবে কিভাবে আমি সেটা বুঝতে পারলাম না ।
-দেখুন আমি সব কিছু ছেড়ে চলে এসেছি ।
-ইউ মিন পালিয়ে এসেছি !

অপমান টা হজম করে নিল সুইমাইয়া । না করে অবশ্য উপায়ও নেই । সে আসলেই পালিয়েই এসেছে । অবশ্য এসব করেছে পালিয়ে আসার জন্যই তো । অনেকেই এমন টা বলে সে এসব গায়ে মাখে না । সব কিছু গায়ে মাখলে চলে না ।
সুমাইয়া আবার বলল
-আপনি আবার একটু চেক করবেন প্লিজ ।
-দেখুন আমরা সব কিছু আবার চেক করেছি । আমাদের কাছে মনে হয় নি যে আপনি সমস্যায় আছেন । আমাদের এই প্রজেক্ট টা কেবল যারা আসলেই বিপদে পরেছে তাদের জন্য । তবুও আমরা আরও কিছু দিন দেখবো । এর ভেতরে যদি মনে হয় যে না কোন সমস্যা নেই তাহল আপনাকে ফেরৎ পাঠানো হবে । তবে আপনি মানষিক ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে থাকুক নিজের দেশে ফেরৎ যাবার জন্য ।

সুমাইয়া আর কোন কথা খুজে পেল না । আর কিছু বলার নেই । যে জিনিসটার জন্য এতো কিছু করলো সেটা যখন হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে সেটা দেখে একদম ভেঙ্গে পরছে । একেবারে বিস্তত্ব লাগছে নিজের কাছে । লুকা আবার বলল
-আপনাদের সাথেই আরেকজন থাকে । অরুন চৌধুরী নামে । তার অবস্থাটাও আপনার মতই । তাকেও আপনার সাথে ফেরৎ পাঠানো হবে । তাকে ব্যাপার টা বলে বলে দিবেন । আমরা অবশ্য কয়েকদিনের ভেতরে তাকেও কাগজ পত্র পাঠাবো !

সুমাইয়া আর কিছু ভাবলো না । কিছু আর তার মাথায় ঢুকছে না । তাকে ফেরৎ চলে যেতে হবে এটা ভাবতেই কেমন জানি দুর্বল লাগছে সে যখন ফেডরিক জে লুকার অফিস থেকে বের হল তখন নিজেকে অসহায় মনে হল । সামনে কি করা যায় কিছুতেই ভেবে পেল না । কি করা যায় !

------
ওদের থাকার জায়গাটা খুব বেশি উন্নত বলা যাবে না । তবে অন্যান্য শরণার্থীশিবিরের থেকেও ওদের অবস্থা বেশ ভাল । ওদের কে একটু বেশি ভাল অবস্থায় রাখা আছে । যা যা চেয়েছিল তার সব না পাওয়া গেলেও সুইমাইয়া বেশ ভালই ছিল এখানে । যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছিল তার অনেকটাই পূরন হয়ে গিয়েছিল ।

রুমে আসতেই অরুন কে দেখলো ল্যাপ্টপের দিকে গভীর মনযোগ দিয়ে তাকিয়ে আছে আর একটু একটু হাসছে । মনে হয় মজার কোন জিনিস পড়ছে । ওকে ঘরে আসতেই দেখে অরুন বলল
-আরে এদিকে আসো । একটা মজার গল্প শোনাই !
-এখন ভাল লাগছে না ।
-আরে আসো না ? দেখি মজা পাবে !
ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেরও অরুনের দিকে এগিয়ে গেল । অরুন ল্যাপ্টপ টা ওর দিকে এগিয়ে দিল । ছোট একটা গল্প লেখা আছে ।
দুই বন্ধুর চিড়িয়াখানার যাওয়ার গল্প

আজিম আর নুরু দুইজন গেছে চিড়িয়াখানা ঘুরতে । এর ভেতরে আজিমের মাথায় বেশ দুষ্ট বুদ্ধি আছে অন্য দিকে নুরু একটা একটু হাবলা কিছিমের । তারা দুজনেই একটা আফ্রিকান হিংস্র পশুর খাঁচার সামনে গিয়ে হাজির হল । খাঁচা ছাড়াও খাঁচার দেওয়াল থেকে আরও এক হাত দুরে আরেকটা ছোট ফুট তিনেক উচু দেওয়াল দেওয়া আছে । দর্শকদের সেই দেওয়াল পার হওয়া নিষেধ । পশুটাকে দেখেই আজিমের মাথায় একটা দুষ্ট বুদ্ধি চাপলো । সে নুরুকে বলল এই পশু মোটেই হিংস্র নয় ।
নুরু বলল কিন্তু এইখানে যে লেখা আছে ।
-আরে ধুর । তোর কি মনে হয় যা লেখা থাকে তার সবই ঠিক । আমি এটাকে টিভিতে দেখেছি । ডিসকভারীতে । খুবই শান্ত স্বভাবের । চিরিয়াখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের বকা বানাচ্ছে । নুরু তবুও বিশ্বাস করতে চায় না । তারপর বলল না না । দরকার নেই ।
-আরে দেখ না ।
এই বলে আজিম একটা ইট নিয়ে পশুটার দিকে ছুড়ে মারলো । পশুটা কেবল একটু বিরক্ত হয়ে তাকালো তারপর আবারও নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লো ।
আজিম বলল
-দেখলি তো । এবার একটা কাজ কর ।
-কি ।
পাশে পরে থাকা একটা লম্বা লাঠি দেখিয়ে বলল
-এটা দিয়ে ওকে খোঁচা মেরে দেখ । কিভাবে কিভাবে পাঠায় !
-না না । দরকার নেই
-আরে ভয় পাস কেন ? আমি মারলাম দেখলি না । কিছু হয়েছে ?

একটু দ্বিধা থাকলেই নুরু লাঠিটা তুলে নিল হাতে । তারপর দেওয়াটা টপকে চলে গেল একেবারে খাঁচার দেওয়ালের কাছে । এরপর লাঠিটা নিয়ে পশুটাকে পেঁছনে খোচাতে লাগলো । প্রথম প্রথম খোচানোর পরেই পশুটা কিছুই বলল না । ওদের দিকে কেবল রিরক্ত চোখে দেখতে লাগলো । এটা দেখে দুজনেই আরও বেশি উৎসাহ পেয়ে গেল যেন । কিন্তু কত ক্ষণ আর স হ্য করবে । পশুটা একটা সময় আর স হ্য না করে ক্ষিপ্ত গতিতে এগিয়ে এল খাচার কাছে । লোহার শিক দিকে হাত বের করে দিয়ে নুরু বুকের কাছ থেকে মাংশ তুলে নিল । তারপর আজিমের দিকে তাকিয়ে হুংকার ছাড়তে লাগলো । আজিম একটু ভয় পেলেও সামলে নিল । সে জানে পশুটা ওর কাছে পৌছাতে পারবে না ।

এদিকে আজিম কিন্তু সেই নিরাপদ দুরুত্বেই আছে । তাকিয়ে আছে নুরুর দিকে । ও জানতো এমন কিছু হবে তবুও নুরুকে এর ভেতরে ঠেলে দিয়েছে । তারপরই চিৎকার চেঁচামিচি শুরু হয়ে গেল । আজিম চিৎকার করতে করতে পশুটাকে । পশুটা বড় হিংস্র । বড় খারাপ । তাররপ চিরিয়াখানা কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করতে লাগলো যে তারা যথাযত ব্যবস্থা নেয় নি । কিছু কিছু দর্শক যারা চিৎকার শুনে এগিয়ে এল তারাও আজিমের সাথে সুর মেলালো । বলল আসলেই চিরিয়াখানা কর্তৃপক্ষ ঠিকঠাক মত ব্যবস্থা নেই নি । নিজে আজকে এই জিনিস টা হত না । অন্য দিকে সেই সময় যারা খাচা কাছে ছিল, দেখেছে এই জন কি করেছে তারা কেবল বিরক্ত চোখে তাকালো দুজনের দিকে ।

গল্প পড়ে সুমাইয়া আবার অরুনের দিকে তাকালো । ছেলেটা এখনও মিচমিচ করে হাসছে । ছাগল হয়েছে একটা । নিজেকে সব সময় সব থেকে জ্ঞানী ভাবে । বাপের নামের জোরেই এতো দুর এসেছে । ভেতরে যদি কিছু থাকতো । সুমাইয়া বিরক্ত হয়ে বলল
-এটা মজার গল্প হল কিভাবে । যত্তসব , আমি আসি আমার টেনশনে ।
-আরে বুঝলে না ?
-কি বুঝবো ?
-গল্পের চরিত্র গুলো আরেকভার ভাল করে ভেবে দেখো । গল্পের চরিত্র গুলোর সাথে আমাদের একটা মিল খুজে পাচ্ছো না ? আমাদের দেশের পরিস্থিতি কিন্তু এরকম । বুঝেছে ?

সুমাইয়া কিছু সময় তাকিয়ে রইলো । তারপর আবার তাকালো অরুনের দিকে । ব্যাপার টা ধরতে একটু সময় লাগলো ।গল্পে নিজেদের কে কোন চরিত্রে বুঝতে পেরেই একটু যেন হেসেও উঠলো । কিন্তু পরক্ষণেই আবার সেই চিন্তাটা ফেরৎ চলে এল ।

আরে তোমার এতো চিন্তা কেন শুনি ?
-হবে না ? তুমি জানো কিছু ? আজকে কি হয়েছে ? আমি কোথায় গিয়েছিলাম ।
-আরে জানি । আমার কাছে মেইল এসেছে । আমাদের কে দেশে চলে যেতে হবে । এই তো ?
সুইমাইয়া অবাক হয়ে বলল
-তোমার টেনশন লাগছে না ?
-নাহ !
-কেন ? তুমি আবারও ফেরৎ যেতে চাও ?
-নাহ !
-মানে কি এসেবের মানে কি ? তোমার কি আসলেই চিন্তা লাগছে না ?
-মাথা ঠান্ডা কর । আমাদের সমাধান এই গল্পের ভেতরেই আছে ।
সুমাইয়া আরও কিছুটা সময় তাকিয়ে রইলো । কিন্ত কিছুই বুঝতে পারলো না ।
অরুন বলল
-আরে শুনো, অনেক দিন থেকেই আমাদের দেশে তেমন কোন ঘটনা ঘটছে না । তাই এটা নিয়ে কেউ কোন আলোচনা করছেও না । আমরা ফোকাসের বাইরে চলে এসেছি । তাই তো ওরা আমার এমনটা ভাবছে যে আমাদের দেশে ফেরৎ যাওয়াটা এখনও কোন সমস্যা নেই । এখন আমাদের এমন কিছু করতে হবে যাতে আমরা আবারও আলোচনা আসতে পারি । আর আমাদের দেশের মানুষকে তো তুমি চেনই ।
-তার মানে ?
-তার মানে আমরা শুরুর দিকে ঐ পশুটাকে যেভেবে ইট মেরেছি ঠিক সেভাবে একটা ইট মারবো । দেখবা ঠিক ঠিক নুরুর মত বেকুব পাব্লিকের অভাব হবে না । তারা তখন লাঠি দিয়ে খোঁচাতে শুরু করবে । ঝামেলায় পড়বে ওরা কিন্তু ফোঁকাসে চলে আসবো আমরা ! আমাদের দেশের মানুষ এমনিতে শান্ত কিন্তু কিছু কিছু ব্যাপারে তারা খুব দ্রুতই অশান্ত হয়ে যায় । মৌলবাদীদের তো ভয়ংকর হয়ে ওঠে । অবশ্য ওদের একটা ধন্যবাদ না দিলেও চলে না । ওদের জন্যই তো আজকে আমরা এখানে আসতে পেরেছি ।
-তাহলে কি করা যায় ?
-রিলাক্স । সব কিছু ভেবে রেখেছি । সামনে ১৪ ফেব্রুয়ারি আসতেছে । কেবল একটা ইভেন্ট খুলবো আমরা । দেখবো কিভাবে সবার সামনে চলে আসি । আমাদের ওরা গালি দিবে হুমকি দিবে আরও কত কিছু করবে ইভেন্টে । কিন্তু বোকা গুলো জানবেই না এরা আমাদের কত উপকার করছে । আমরা এখানে নিরাপদে বসে আমাদের ভিসার মেয়াদ বাড়াবো । আর আমি কয়েকটা অনলাইণ পোর্টালের সাথে কথা বলেছি । ওরা আমাদের কে দেওয়া হুমকির ব্যাপারটা হাইলাইট করবে । ব্যস । হয়ে যাবে । এসব ফেডরিক কে দেখালেই সামনের বছর খানেক আমরা আবারও নিশ্চিৎ !


তিন দিন পর !
সুমাইয়া ভাবতেই পারি নি ব্যাপারা এতো সহজ হয়ে যাবে । পাব্লিকের পেছনে ভালই আঙ্গুল দেওয়া গেছে । দুটো নিউজও হয়েছে । ও নিজে মেয়ে হওয়াতে ব্যাপারটা আরও সহজ হয়ে গেছে । ওরা যেমন জানে সুমাইয়া নিজেও জানে যে ওরা কিছুই করতে পারবে না । ও এখানে নিরাপদেই থাকবে । তার উপর এই গুলো ফলে ওর উদ্ভাস্তু ভিসা আরও নিশ্চিৎ হয়ে গেল ।
আর দেশের যারা যারা ঐ ইভেন্টে যাবে তাদের নিয়ে কিছু ভাবার নেি । কোন দিন তারা ভাবেও নি । কেবল ভাবার একটা অভিনয় করে গেছে । ঐ বেকুব গুলোর জন্যই তো সে এবং তার মত আরও অনেকে আজকে এখানে এতো সুখ শান্তিতে থাকতে পারছে ।


-------
কাল্পনিক গল্প । বাস্তব ঘটনার সাথে কেউ মিল খুজবেন না ;)
মিলে গেলে যেতে পারে তবে তার জন্য লেখক কোন ভাবেই দায়ী নয় । B-))
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩১
৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×