somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনুগল্পঃ নারীবাদী বউ :D

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সুমন কেবল মাত্র অর্ধেক মাংশের টুকরোটা মুখে নিয়েছে তখনই মিলি কথাটা বলল । সুমন কিছুটা সময় তাকিয়ে থেকে তারপর আবারও খাওয়ায় মন দিলো । এই জিনিস টা দেখে মিলির মেজাজটা যেন আরও একটু বেশি খারাপ হয়ে গেল । সে সুমনের দিকে তাকিয়ে বলল
-আমি কিন্তু সিরিয়াস ! এভাবে চলতে পারে না !
পানির গ্লাসটা হাতে নিয়ে সুমন এক ঢোকে সব টুকু পানি খেয়ে ফেলে তারপর বলল
-তোমার কি এই সংসারে থাকতে সমস্যা হচ্ছে ?
-কথাটা সমস্যার নয় ! সমান অধিকারের । তুমি আমাকে ইকোয়ালি মেজার করছো না ?
-করছি না ?
-না ! তাহলে কেন চাকরি থেকে এসে প্রতিদিন তোমার জন্য রান্না করতে হবে শুনি ? এক একদিকে চাকরি করবো আবার তোমার জন্য রান্না করবো তোমার সব হুকুম শুনবো ? তোমরা ছেলেরা যুগযুগ থেকে মেয়েদের কে ঠিক এই ভাবেই শোষন করে আসছো !

সুমন আরও কিছু সময় তাকিয়ে থেকে বলল
-আচ্ছা খাওয়া শেষ করি । কথাবার্তা হবে তারপর । আমি তো তোমাকে আগেই বলেছি আমার সংসারটা হবে গনতান্ত্রিক পরিবার । সবার মত প্রকাশের সমান অধিকার থাকিবে । ঠিক আছে ?

মিলি আর কোন কথা না বলে চুপচাপ খেতে লাগলাম ।

মিলি সারা জীবন থেকে নিজেকে একজন স্বাধীন নারী হিসাবে দেখে এসেছে । অন্তত এই পুরুষতান্ত্রীক সমাজে যেখানে নারীরা পুরুষের হাতের খেলনা হয়ে বসবাস করে সেই সমাজে মিলি নিজেকে মনে করে একজন মুক্ত পাখি হিসাবে মনে করে । সারা জীবন তার মাকে দেখে এসেছে ঘরের ভেতরে থেকে বাবার কথা মত চলতে । তার বাবার জন্য রান্না-বান্না করতে এবং বাবার সব কিছু মুখ বুঝে মেনে নিতে । কেন একটা মেয়ে কে সব সময় পুরুষের জন্য রান্না করতে হবে । সে হচ্ছে পুরুষের অর্ধাঙ্গিনী । কোন কাজের বুয়া নয় !

সুমনের সাথে যখন বিয়ে হল, সুমনকে সে পরিস্কার ভাবেই কথা গুলো বলেছিলো । সুমন মৃদু হাসলেও কোন কথা বলে নি । কিন্তু বিয়ের দুমাসের মাথায় এসে দেখে সেও ঠিক সেই সমাজের অন্য সব মেয়েদের মতই করেই পুরুষের জন্য রান্না করেই দিন পার করছে । এমন কি অফিস থেকে এসে যখন ক্লান্ত থাকে তখনও তাকে সুমনের জন্য রান্না করতে হয় ।
মিলি প্রথম প্রথম ভেবেছিলো সুমন এটা বুঝবে এবং কিছু একটা ব্যবস্থা করবে । কিন্তু সেও ঠিক অন্য পুরুষের মতই । তাই মিলি আর সহ্য করে নি । আজকে ঠিক ঠিক প্রতিবাদ করেছে । এর একটা বিহিত না হলেই নয় !

খাওয়া শেষে মিলি নিজেই টেবিল পরিস্কার করলো । তারপর শোবার ঘরের সোফার উপর গিয়ে বসলো । আজকে সে কথা শেষ না করে যাবে না । আগামীকাল ছুটির দিন সুতরাং দেরি করে ঘুমাতে গেলেও সমস্যা নেই । সুমন আসলো আরও মিনিট পাঁচেক পরে । বসলো মিলির পাশের সোফাতে । তারপর টিভি অন করে সাউন্ড টা কমিয়ে দিলো ।
মিলি কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনই সুমন বলল
-একটু পানি ...... আচ্ছা ঠিক আছে আমিই নিয়ে আসছি !

সুমন নিজেই খাবার টেবিল থেকে পানির জগ আর গ্লাস নিয়ে হাজির হল । তারপর সেটা টি টেবিলের উপর রাখলো । গ্লাসে পানি ঢাললেও সেখান থেকে পানি খেল না । গ্লাসটা কেবল রাখলো টেবিলের উপরে ।

মিলির দিকে তাকিয়ে বলল
-তো তুমি বলতে চাও যে এই সংসারে ঠিক হ্যাপি না ? মনে হচ্ছে যে তোমাকে ঠিক মত অধিকার আমি দিচ্ছি না !
-তোমার কি তাই মনে হচ্ছে না ? আমাদের দেশের অন্যান্য ৮/১০ পরিবারের মতই কি আমাদের সংসারটা চলছে না ?
সুমন স্বাভাবিক কন্ঠে বলল
-এটাই কি স্বাভবিক না ?
-না মোটেই না ! আমাকে সারাদিন অফিস করে এসে কেন তোমার জন্য রান্না করতে হবে শুনি ? কেন তুমি রান্না করতে পারো না আমার জন্য ? গতকালকে আমাকে জানালে যে সামনের মাসে তুমি এই বাসাটা বদলে নিয়ে যাবে মোহাম্মাদ পুরে ! আমার কাছে কোন কিছু শোনার প্রয়োজন মনে করনি, কেবল বলেছো । এসব দেখে তোমার মনে হচ্ছে না আমি এই সংসারে কেবল তোমার রান্না করার জন্য এসেছি । কিন্তু কথা ছিল কি ?

সুমন আরও কিছু টা মিলির দিকে তাকিয়ে রইলো । তবে সুমনের মুখ দেখে ঠিক মনে হচ্ছে না যে খুব একটা চিন্তিত । গ্লাস থেকে পানিটা এক ঢোকে আবারও খেয়ে নিয়ে সুমন মিলির দিকে তাকিয়ে বলল
-আচ্ছা বুঝতে পারছি । আচ্ছা তোমার ইচ্ছে মতনই সব হবে । তুমি যখন সব কিছুতে ইকোয়ালই চাও তাহলে তাই সই । তবে একটা কথা তোমাকে আগে বলি । সমান অধিকার কিন্তু এমনি এমনি আসে না । সমান অধিকারের আগে আসে সমান দায়িত্ব পালন ।
সুমনের কথা শেষ করতে না দিয়েই মিলি বলল
-তোমার কি মনে হচ্ছে না যে আমি সংসারে সমান দায়িত্ব পালন করছি না ? বরং তোমার থেকে কাজ তো আমি বেশিই করছি !
-আচ্ছা তাই ? উই উইল সি দ্যাট ! আসো তাহলে কিছু কথা পরিস্কার ভাবেই বলে নেওয়া যাক । আগেই বলেছি এই সব কথা গুলো আসছে কেবল মাত্র এবং কেবল মাত্র তুমি সব কিছুতে সমান সমান চাও বলে ।

সুমনের চোখের দিকে তাকিয়ে মিলির কেবল মাত্র মনে সুমন যেন একটু হাসলো । তবে সেই আভাসটা মুছে গেলে মুহুর্তেই । সুমন একটু কেশে নিয়ে বলা শুরু করলো ।
-আমার মনে হয় এই মাসের আর দুই দিন আছে এই দি গুলোতে যেমন ভাবে চলছে তেমন ভাবে চলাই ভাল । সামনের মাস থেকে আমরা সব কিছু সমান সমান হিসাব করবো ঠিক আছে । সামনের মাসের এক তারিখ থেকে আমার জন্য তোমার কে আর রান্না করতে হবে না । আমি তোমাকে কোন কিছি করতে বলবো না । বরং আমি সংসারে ঠিক যে যে আচরন করি তুমিও ঠিক সেই সেই কাজ গুলোই করবে । সংসারের সব সিদ্ধান্ত দুজনের মিলিত ভাবে নেওয়া হবে । এখানে আমার কথার মূল্য তোমার কথা থেকে একবিন্দু কম হবে না আবার বেশিও হবে না ! কেউ কাউকে কোন হুকুম করবে না । কেউ কারো কোন কাজ করতে বাধ্য নয়, বাধ্য করতে পারবেও না । ইচ্ছে হলে করবে নয়তো নয় ।
-ঠিক আছে । আর রান্নার ব্যাপার টা ?
-দেখ, আমার পক্ষে রান্না করা সম্ভব না তুমি জানো । তাই আমরা একটা বুয়া রাখবো যার কাজ হবে যে সে আমাদের জন্য রান্নাকরবে ঠিক আছে ?
-আচ্ছা ।
-আসলে তুমি ঠিকই বলেছো । তুমি নিশ্চয়ই আমার জন্য কেবল রান্না করার জন্যই আমাকে বিয়ে করো নি । তুমি কেন কাজ করবে ? আমারও সমান ভাবেই কাজ করা উচিৎ !

মিলির কেন জানি সুমনের গলায় স্বরটা ঠিক সুবিধার মনে হল না । এতো সহজে সুমন সব কিছু মেনে নিবে এটা ঠিক মিলির ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না । সুমন বলল
-এই গেল তোমার অধিকারের ব্যাপার. এবার আসা যাক দায়িত্বের ব্যাপার টা ! আসলে তোমার জন্য এই ব্যাপার নিয়ে কথা বলা আরো সহজ হয়ে যেত তুমি আমাকে বিয়ে না করে তোমার কোন কলিগকে বিয়ে করলে ।
-মানে ?
-আরে আরে আমার কথার অন্য কোন মানে বের করো না । আমি আগে বুঝিয়ে বলছি ! দেখো, আমাদের সমাজে একটা প্রচলিত ধারনা হচ্ছে পুরুষেরা বাইরে কাজ করে সংসারের জন্য উপর্জন করবে আর মেয়েরা সেই উপার্জন দিয়ে সাংসার চালাবে । এটা প্রচলিত । তোমরা এটা মানতে চাও না । তাহলে কি করতে হবে ?
-কি করতে হবে ?
-তাহলে তোমাদের কে ঠিক ঠিক পুরুষের মত বাইরে বের হয়ে সংসারের জন্য উপার্জন করতে হবে ।
-আমি কি উপার্জন করছি না ?
-এই জন্যই আমি বলেছিলাম যে তোমার কলিগদের কাউকে বিয়ে করা দরকার ছিল । এর মানে হচ্ছে তুমি ঠিক ঠিক যে পরিমান উপার্জন করবো সেই পরিমান উপার্জনের কারো সাথে তোমার বিয়ে করা দরকার ছিল । তাহলে ব্যাপারটা আরও সহজ হত তোমার জন্য । একটু আগে যে সমাজের প্রচলিত ধারনার কথা বললাম ঠিক সেই রকম প্রচলিত আরেকটা ধরনা হচ্ছে মেয়েরা সব সময়ই নিজের থকে উচ্ছে লেভেলের কাউকে বিয়ে করে । মানে মধ্যবিত্ত কোন মেয়ের মনে সব সময় আশা থাকে উচ্চ মধ্যবিত্ত কিংবা উচ্চবিত্তের কোন ছেলেকে বিয়ে করা অন্তত এমন কাউকে বিয়ে করা যে সেই মেয়েটা থেকে বেশি টাকা আয় করে । একটা ১০ হাজার টাকা বেতনের চাকরিজীবী মেয়ে কোন দিন ১০ হাজার টাকা বেতনের ছেলেকে স্বইচ্ছায় বিয়ে করতে চায় না, কোন দিন না । তুমিও কিন্তু কর নাই । এখানেই তুমি পিছিয়ে গেছ এখন এই নিয়মন টাও কিন্তু বদলানো দরকার । তাহলে এই বৈষম্যটা অনেকটাই কমে যেত । যাই কোন যে কথা বলি । এখন বলতে পারো টাকা পয়সাই কি সব ? হ্যা । আমাদের সমাজে টাকা পয়সা জিনিস টা সব না হলেও খুবই গুরুত্বপূর্ন একটা বিষয় । এই টাকা দিয়েই মোটামুটি সব হিসাব হয়, সবাইকে বিচার করা হয় । এই যে তুমি চাকরী করতেছো, টাকা আয় করতেছো এটা যদি না করতে তাহলে এই কথা তুমি কোণ দিন আমাকে বলতেই পারতে না । টাকা আয় করতেছো বলেই কিন্তু পারছো । টাকাটা অনেক অনেক জরুরী । এখন যে মানুষটা তোমার থেকে বেশি টাকা আয় করে এবং সংসারের জন্য বেশি টাকা খচর করে সেই মানুষটার মতামত তোমার থেকে বেশি গ্রহনযোগ্য হবে । এটা কি তোমার কাছে স্বভাবিক মনে হচ্ছে না ?

মিলি কোন কথা না বলে সুমনের দিকে তাকিয়ে রইলো । কি বলবে খুজে পাচ্ছে না ।

সুমন বলল
-আচ্ছা বাদ দাও । আমরা এসব নিয়ে আর কথা না বলি । আমরা সমান অধিকার নিয়ে কথা বলেছি । সব কিছু ঠিক করে নিয়েছি । এবার আসা যাক সংসারে কার কন্ট্রিবিউশন কেমন হবে সেটা ঠিক করা ।

এই লাইন বলে সুমন আবার জগ থেকে পানি ঢেলে রাখলো সামনে । তারপর বলা শুরু করলো ।

-আমাদের সংসারটা কি ? একটা ছোট্ট প্রতিষ্ঠান । এটা আমরা দুজন মিলে চালাই । তাই তো ? যেহেতু আমাদের এই প্রতিষ্ঠানে আমার অধিকার সমান হবে তাই তার আগে এখানে আমাদের কন্ট্রিবিউশনটা সমান হতে হবে । সমান সমান পার্টনার !

এই বলে সুমন টি টেবিলের নিচের র‌্যাক থেকে একটা প্যাড আর কলম বের করলো । তারপর লেখা শুরু করলো
-আমাদের এই ফ্ল্যাট টার ভাড়া ২২ হাজার টাকা ।
-বিদ্যুৎ, পানি এবং গ্যাস বিল দিয়ে আরও ৩ হাজার টাকা
-বুয়ার বেতন ৩ হাজার
-খাওয়া খচর আনুমানিক ৬ হাজার ।
আরও অন্যান্য ২ হাজার ।
এই হল মোট ৩৬ হাজার ।

-এই হল আমার সংসারের মোট খচর । ঠিক আছে ?

সুমন তাকালো মিলির দিকে । মিলি ঠিক ঠিক বুঝতে পারছে যে সুমন এর পরে কি বলতে যাচ্ছে । সমুন বলল
-সামনের মাসে তুমি এই ৩৬ হাজার টাকার ১৮ হাজার টাকা দিবে । আমি দিবো বাকি ১৮ হাজার, ব্যস । এরপর সব কিছু সমান সমান । তোমাকে আমার জন্য আর রান্না করতে হবে না । আমি যেমন ভাবে থাকবো তুমিও ঠিক তেমন ভাবেই থাকবে । ওকে । এবং পর পরে যদি সংসারে কোন কিছু কিনতে হয় তাহলে সেটাও দুজন মিলেই সমান কন্ট্রিবিউশনে কিনবো । সব কিছুতেই সমান সমান ! ঠিক আছে ?এটা তো গেল কেবল খরচের ব্যাপার । এরপর আরও সংসারে যে যে কাজ আছে সেই সব কিছুই আমরা সমান সমান ভাবে করবো ! আসো ঘুমানো যাক !

সুমন একটু মুচকি হেসে উঠে দাড়ালো । তারপর শোবার ঘরের দিকে হাটা দিল । খুব ভাল করেই জানে মিলির মাথা থেকে এই সমান সমান জিনিসের ভুত কদিনের জন্য দুরে চলে যাবে । মিলি সব মিলিয়ে স্কুল থেকে বেতনই পায় ১৬ হাজার টাকা ।

উঠে যেতে গিয়ে আবার দাড়িয়ে পড়লো । তারপর বলল
-পার্টনারশীপে প্রতিষ্ঠানে কি রকম হয় ? যে কম টাকা ইনভেস্ট করে সে কম সুবিধা কম মুনাফা ভোগ করে ঠিক সেই ভাবেই এখানেও চলে । এখন তোমার সামনে দুইটা পথ খোলা আছে । এক. আমাদের সমাজ টা যেভাবে চলে ঠিক সেভাবে চলা, সংসারটা সেভাবে চালানো । আর দুই, সমাজের প্রচলিত নিয়ম মত না চলে তোমার মন মত চলা । কিন্তু সেই ক্ষেত্রে তোমাকে এই ক্রাইটেরিয়াকে পূরন করতে হবে । মুখ দিয়ে চিৎকার করে "আমাকে সমান অধিকার দাও" এই টাইপের কথা বার্তা বললে লাভ হবে না । তোমাকে সেটা অর্জন করতে হবে । আশা করি আমি আমার বক্তব্যটা পরিস্কার করেছি ।

মিলি কোন কথা না বলে চুপ করে বসেই রইলো ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০০
২১টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×