somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনুগল্পঃ আজ বৃষ্টির মন খারাপ

৩১ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বৃষ্টি আমার কোনদিনই ভাল লাগে না । বিশেষ করে বর্ষাকালের প্যাঁনপ্যানে বৃষ্টিতে বিরক্ত ধরে যায় । আর বৃষ্টির সাথে আমার অঘোষিত একটা শত্রুতা ছিল সব সময় । আমার যখন আমার বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়তো কোন কাজে তখনই এই বদ বৃষ্টি এসে হাজির । আর একবার শুরু হলে আর শেষ হওয়ার নাম নেই ।
আজকেও টিউশনী থেকে বাসায় ফেরৎ যাওয়ার সময় সেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল । বিকেল বেলা আকাশটা ছিল একদম পরিষ্কার । আকাশে একটু মেঘ দেখলেই আমি ছাতা নিয়ে বের হই । তখন অবশ্য বৃষ্টি হয় না । কিন্তু যেদিন আমি ছাতা ছাড়া বের হব ঠিক সেদিনই বৃষ্টি নামবে এবং আমাকে ভিজতে হবে ।

ঢাকার বাস গুলোতে বৃষ্টি হলেই ভীড় বেড়ে যায় । কোথায় বৃষ্টির দিকে সবাই বাসায় বসে থাকবে, তা না, বৃষ্টির দিনেই যেন সবাই আরও বেশি বেশি করে বাইরে বের হয় । আমার বিরক্তি আরও বাড়তে থাকে । আমি বিরক্তি নিয়ে বাসের ভীড়ের মধ্যে দাড়িয়ে আছি । মাঝে মাঝে বাস চলছে আবার থামছে । আমার বিরক্তি বাড়েই চলেছে ।

ঠিক সেই সময়েই আমার বিরক্তিটাকে আরও একটু বাড়িয়ে দিতে ফোনটা বেজে উঠলো । একবার মনে হল ফোনটা ধরবো না কিন্তু এই সময়ে বাসা থেকে ফোন আসে । না ধরলে মা হয়তো চিন্তা করবে । আমি ফোনটা বের করে দেখলাম ফোন মা করে নি । বৃষ্টি করেছে ।

আমি এই বর্ষার বৃষ্টিকে এতো অপছন্দ করি আর আমার জীবনে বৃষ্টির অভাব নেই । আমার ছাত্রীর নাম বৃষ্টি । দুজন ক্লাসমেটের নামও বৃষ্টি । ফেসবুক ফ্রেন্ড লিস্টে কতজন বৃষ্টি নামে আছে, হিসাব নেই । তার উপর এই এখন যে মেয়েটা ফোন দিয়েছে তার নামও বৃষ্টি । এই এতো বৃষ্টি নিয়ে আমি কোথায় যাবো !!

অন্য কারো ফোন হলে কেটে দিতাম হয়তো কিন্তু বৃষ্টি বলেই হয়তো দিলাম না ।

-কোথায় তুমি ?
-বাসের ভেতরে !
-বাসায় আসো !
-এখন ?
-হুম ! এখন !
-কিন্তু এখন ......
-কোন কিন্তু ফিন্তু না এখনই আসো !

আমাকে আর কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে বৃষ্টি ফোন রেখে দিল । মেয়েটা সব সময় এরকমই আচরন করে । কদিন হল মেয়েটাকে চিনি কিন্তু আচরনে মনে হয় কতদিনেরই না চেনা সে আমার । আমাদের এমন কোন সম্পর্কও তৈরি হয় নি । কথা হয়, মাঝে মাঝে দেখা হয় ব্যাস এই টুকুই ।
তারপর নিজের কাছে প্রশ্ন করলাম আসলেই কি এই টুকু ?
জানি না ! আসলে বৃষ্টির সাথে পরিচয় থেকে শুরু করে কোন কিছুই নিয়ম মাফিক হয় নি । মেয়েটার আচরন আমার কাছে সব সময় গোলমেলে লাগে । আমি মেয়েটাকে ঠিক মত আজও বুঝতে পারি নি । অবশ্য বুঝার খুব একটা চেষ্টাও করি নি ।

বৃষ্টি সাথে আমার পরিচয়ও এই বৃষ্টির ভেতরেই । তাও আবার খুব বেশিদিন আগেও না । সবে মাত্র বসন্ত কালটা পড়েছে । আকাশে টুকটাক মেঘ জমলেও বৃষ্টি হয় না । কেবল ভয় দেখিয়েই চলে যায় । সেদিনের কথা ভিন্ন । টিউশনে যাবো বলে বাইরে বের হয়েছি । তার আগে আট নাম্বারে একটা কাজ ছিল । কাজ শেষ করে বাসে উঠতে হবে । সে জন্য রাস্তার ওপাশে যাওয়া লাগবে ।
আকাশে তখন মেঘ জমে একাকার হয়ে গেছে । একবার মনেহল বাসায় গিয়ে ছাতাটা নিয়ে আসি । খুব বেশি দুরে না বাসাটা । কিন্তু পরে আবার মনে হল একবার বাসে উঠতে পারলে আর সমস্যা নেই । আর এখন বৃষ্টি শুরু হয় নি, নাও হতে পারে । আমি এক রাস্তা পার হয়ে মাঝের আইল্যান্ডের উপরে এসে দাড়ালাম । ঠিক তখনই তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল । আর আমার এমনই কপাল যে ঠিক তখনই দুধারে গাড়ি গুলোও তীব্র গতিতে চলা শুরু করলো । আমি রাস্তায় নামতেও পারছি না গাড়ির জন্য । বাধ্য হয়ে ভিজতে শুরু করলাম । আইল্যান্ডের উপর লাগানো গাছের ছায়ায় নিজেকে বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম । বিরক্তিতে মন ভরে গেল ।

আমি যখন নিজেকে বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে ব্যস্ত তখন পাশে তাকিয়ে দেখি কালো রংয়ের সেলোয়ার কামিজ পরে একটা মেয়ে আমার পাশে দাড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজছে । হাত দুটো আকাশের দিকে বাড়িয়ে দেওয়া । মনে হল সে বৃষ্টিটাকে খুব ভাল ভাবেই উপভোগ করছে । আমার কি মনে হল বললাম
-খুব মজা লাগছে ?
মেয়েটি আমার কথা শুনে চোখে মেলে তাকালো । তারপর বলল
-কেন ? আপনার লাগছে না ?
-বিরক্ত লাগছে !
-আহ ! বৃষ্টিটাকে উপভোগ করতে শিখুন জনাব । দেখবেন কত চমৎকার একটা জিনিস !
-কোন দরকার নেই । ধন্যবাদ !

আমি তখনও সামনে তাকিয়ে আছি কখন গাড়ির চাপ একটু কমবে আর আমি রাস্তা পার হব । টিশনীতে যাওয়া লাগবে । একবার মনে হল আজকে টিউশনীতে না যাই, তারপর মনে হল নাহ, যেতে হবে । কামাই দেওয়া যাবে না । কালকে এমনিতেই যাই নি ।

মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-আপনার মুখ দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোথায় যেতে চাচ্ছেন ? কোথায় ?
-টিউশনীতে যাবো । কিন্তু দেখেন কি অবস্থা ! আজকে না গেলে আমার খবরই আছে ।
-কখন যেতে হবে ?
-এই তো ৫টার দিকে । মগবাজার !

মেয়েটা কি মনে করে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুটা সময় । তারপর হাত ইশারা করে কাকে যেন ডাকলো । আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম যে একটা কালো ফ্যারারী এসে থামলো আইল্যান্ডের পাশে । আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-আপনি গাড়িতে উঠুন । চলুন আপনাকে মগবাজার পৌছে দিয়ে আসি !

আমি কি বলবো ঠিক বুঝতে পারলাম না । এই মেয়ে আমাকে মগবাজার পৌছে দিতে চাচ্ছে কেন হঠাৎ ! এই মেয়ের সমস্যা কি !
মেয়েটি মনে হচ্ছে আমার মনের কথা বুঝতে পারলো আমার দিকে তাকিয়েই । তারপর বলল
-আসলে বৃষ্টি আমার খুব বেশি পছন্দ । আমার মায়েরও খুব পছন্দ ছিল । তাই তো আমার নাম বৃষ্টি রেখেছে । যখন দেখি এই কেউ এই চমৎকার বৃষ্টির উপর বিরক্ত হয়ে আছে মনে হয় যেন আমার উপরেই সে বিরক্ত হয়ে আছে । আমি সারাটা সময় প্রার্থনা করি যেন বৃষ্টি হয়।
আমি কি বলবো ঠিক বুঝলাম না । বৃষ্টি বলল
-কই আসুন ! ভয় নেই । আপনাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যাবো না !

এই বলেই মেয়েটা হাসলো । বৃষ্টির পানি মেয়েটার চুল গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে । আমি কেবল অবাক হয়ে কিছু সময় তাকিয়ে রইলাম বৃষ্টির দিকে । মনে হল এই মেয়ে যদি হয় কিডন্যাপার তাহলে আমি স্বানন্দে কিডন্যাপ হতে রাজি আছি ! আমি আর কিছু না ভেবে গাড়িতে উঠে পড়লাম । বৃষ্টিও ভেজা কাপড় নিয়ে আমার পাশেই উঠে পড়লো ।

মগবাজার নামিয়ে দিয়ে বৃষ্টি আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-বৃষ্টি ব্যাপারটা কিন্তু খারাপ না । একবার একটু মন দিয়ে দেখলেই হল । বৃষ্টিকে আর ঘৃণা করবেন না কেমন !
আমি কেবল একটু হাসার চেষ্টা করলাম । বৃষ্টিও প্রতি উত্তরে একটু হেসে গাড়ি নিয়ে চলে গেল । আমি দাড়িয়েই রইলাম আরও কিছুটা সময় ।


বৃষ্টিদের বাসার সামনে দাড়িয়ে আছি । বলতে গেলে পুরোপরি ভিজে গেছি । বৃষ্টির বেগ যেন আরও বেশি বেড়েছে । অবশ্য একটু আগে যে পরিমান বিরক্ত লাগছিলো এখন অবশ্য তেমন লাগছে না । একটু ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে অবশ্য ।

বৃষ্টিদের বাসাটা ধানমন্ডির সব থেকে অভিজাত এলাকাতে । এখানে উচু উচু বিল্ডিংয়ের মাঝে বেশ কয়েকটা দুতলা আর তিন তলা বাসা আছে । বৃষ্টিদের বাসাটাও ঠিক তেমন একটা ।
আমি এর আগেও কয়েকবার এই বাসায় এসেছি । বাড়ির দাড়োয়ান আমাকে ভাল করেই চেনে । তবুও আমি গেটের সামনেই দাড়িয়ে রইলাম কিছুটা সময় । আজকে কেন জানি হঠাৎ করেই বৃষ্টিতে ভিজতে খারাপ লাগছে না । বিরক্তও লাগছে না ।
গেট খুলে গেল । ছাতা হাতে দাড়োয়ানকে দেখতে পেলাম
-আফা মনি আপানরে ভেতরে যাইতে কইছে !
-ভিজে গেছি তো !
-অসুবিধা নাই । আসেন !

ঐদিনের ঘটনার পরে আমি ভেবেছিলাম বৃষ্টির সাথে মনে হয় আর কোন দেখা হবে না । তবে এটা নিশ্চিৎ ছিলাম যে মেয়েটাকে আমার মনে থাকবে । মেয়েটারও হয়তো আমার কথা মনে থাকবে ।
ঠিক এক সপ্তাহ পরে আবারও বৃষ্টির সাথে দেখা হয়ে গেল । এবং ওদের বাসার সামনেই । ক্যাম্পাস থেকে একটা সার্ভের কাজ করছিলাম । আমার বাসা যেহেতু এদিকে আমার দায়িত্ব পড়ে ছিলো এই এলাকায় খোজ নেও । সেই কাজই করছিলাম তখনই বৃষ্টি আমার পেছনে এসে দাড়িয়ে পড়লো ।
-আরে আপনার নামই তো ঐদিন জানতে চাই নি !
আমি ঘুরে তাকিয়ে দেখি বৃষ্টি !
আমি একটু হাসার চেষ্টা করলাম । বললাম
-বলা হয় নি আর কি !
তারপরই টুকটাক কথা শুরু । বললাম কেন এখানে এসেছি । আমি ঐ এলাকাতে উদ্বাস্তু মানুষ গুলোর ব্যাপারে তথ্য নিচ্ছিলাম । ঐদিন বৃষ্টি পুরোটা সময় আমার সাথেই ছিল । ওর নাকি মজাই লাগছিলো । তারপর থেকেই আমার যোগাযোগ শুরু । কথা বার্তা শুরু .. আপনি থেকে তুমিতে আসা ।


বৃষ্টির আজকে মন খারাপ । এই জন্যই ও আমাকে এখানে ডেকে নিয়ে এসেছে । মেয়েটার দিকেই তাকিয়ে বুঝতে পারলাম । এর আগেও এমনটা হয়েছে । বৃষ্টি মন খারাপ কিংবা ভাল থাকলেও ও আমাকে ডেকে নিয়ে আসে । আমার সাথে কথা বলে আড্ডা মারে ।

আমি ওদের বাসার ছাদের দাড়িয়ে আছে । তখনও তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে । বৃষ্টি দাড়িয়ে আছে ছাদের মাঝেই । মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে সেখানে বৃষ্টির চেহারাটা আরো ভাল করে ফুটে উঠছে । আমি দাড়িয়ে রইলাম দুজনেই বৃষ্টিতে ভিজতেছি । কারো মুখে কোন কথা নেই । আমি আগ বাড়িয়ে কোন কথা জানতে চাইলাম না । কেন জানি মনে হল মেয়েটা নিজ থেকেই বলবে !

বৃষ্টি হঠাৎ বলল
-আজকে আমার জন্মদিন !
-আরে তাই নাকি ? আগে বল নাই তো !

আমি বৃষ্টির আরও কাছে এগিয়ে এলাম । মেয়েটার মুখটা আসলেই বিসন্ন মনে হচ্ছে । নিজের জন্মদিনের দিন কোন মেয়ের মন খারাপ থাকতে পারে আমার জানা ছিল না । বৃষ্টি এমনিতেও চুমচাপ স্বভাবের মেয়ে হলেও মুখটা সব সময় হাসি হাসি থাকে । সুখী সুখী একটা চেহারা লাগে । আজকে এমন মন খারাপের চেহারা কেন ?

-আজকে আমার মায়ের মৃত্যুদিনও ! প্রতি বছর এই দিনে তুমুল বৃষ্টি হয় । শুনেছি আমি যেদিন সেদিনও নাকি তুমুল বৃষ্টি হচ্ছিলো । আম্মুর পছন্দের বৃষ্টির দিনে তার মেয়ের জন্য । আম্মুর কিছুক্ষনের জন্য জ্ঞান এসেছিলো । সেই সময়ে বাবাকে বলেছিলো যে তার মেয়ের নাম যেন বৃষ্টি রাখা হয় !

বৃষ্টির কথা বলতে খানিকটা কষ্ট হচ্ছিলো । কান্না আটকানোর চেষ্টা করলো । আমার তখনই মনে হল মেয়েটা আসলে কতটা দুঃখী । এতো দিন আমি মেয়েটা একটা সুখী মেয়েই মনে করতাম । বড় লোকদের আবার দুঃখ থাকে নাকি । আমি আরেকটু কাছে গিয়ে বৃষ্টিকে আলতো করে জড়িয়ে ধরলাম । কেবল মনে হল মেয়েটার কেবল এখন কাছে থাকা দরকার ।

একটু যে ভয় ছিল না তা কিন্তু না ! কিন্তু মেয়েটা অন্য কোন প্রতিক্রিয়া করলো না বরং আমার মনে হল মাথার রাখার জন্য মেয়েটা এমন কাউকে খুজছিলো । বুকের ভেতরেই মুখ গুজে বৃষ্টি বলল
-এই দিনে বাবা দরজা বন্ধ করে থাকেন সারাটা সময় । রাত ভর ডিংঙ্কস করে । আমার বড় একা একা লাগে । নিজেকে বড় বেশি অপরাধী মনে হয় । মনে হয় আমি জানি না আসতাম পৃথিবীতে তাহলে হয়তো আম্মা আজকে বেঁচে থাকতো !

অনুভব করলো বৃষ্টির কান্নার বেগ প্রাকৃতিক বৃষ্টির বেগের মতই বৃদ্ধি পেয়েছে । আমাকে যেন আরও একটু জোরেই জড়িয়ে ধরেছে । আমি কিছু বললাম না । বৃষ্টিকে জড়িয়ে ধরেই দাড়িয়ে রইলাম । মেয়েটা একটু কাঁদুর । আকাশ যেন বৃষ্টি দিয়ে তার বুক হালকা করে নিচের এই বৃষ্টিও একটুকান্না করুক ।
আজকে দুই বৃষ্টির জল মিলে মিশে একাকার হোক !
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫৪
২৭টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটা গাছ কাঠ হলো, কার কী তাতে আসে গেলো!

লিখেছেন নয়ন বড়ুয়া, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৬



ছবিঃ একটি ফেসবুক পেইজ থেকে

একটা গাছ আমাকে যতটা আগলে রাখতে চাই, ভালো রাখতে চাই, আমি ততটা সেই গাছের জন্য কিছুই করতে পারিনা...
তাকে কেউ হত্যা করতে চাইলে বাঁধাও দিতে পারিনা...
অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×