somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই গল্পটি ফাইজার....

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমবার আমি দরজার টোকাটা আমি ঠিক মত শুনতে পাই নি তবে পরের টোকাটা ঠিকই শুনতে পেলাম । কেউ আমার দরজায় টোকা দিচ্ছে । ঘড়িতে খুব বেশি রাত হয় নি তবে এই জায়গাটার জন্যটার এই সময়টা অনেক রাত ।
সেন্ট-মার্টিনে এগারো টার সময় সকল লাইট অফ হয়ে যায় । সব দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায় । আর এখানে আমাকে চেনার কথা না । কেউ এসে আমাকে ডাকও দেবে না । কেবল একজন ছাড়া !
আমি দরজা খুলতে যাকে আশা করেছিলাম সেই দাড়িয়ে আছে । লাইটের আলো নেই তবে আকাশে চাঁদ আছে । সেই আলোতে মেয়েটাকে দেখতে কেমন যেন মনে হচ্ছে ।
আমার দিকে তাকিয়ে ফাইজা বলল
-আমার ভয় লাগছে !
-কিসের ভয় ?
-কিসের যেন আওয়াজ আসছে ।
-ও ।
-ঘুম আসছে না ।
-তাহলে ? কি করবে ?
-চল না, একটু সমুদ্রের পাড় থেকে হেটে আসি !

আমি চারিদিকে তাকালাম । চারিদিকে নিরবতা বিরাজ করছে । তবে এখন বের হওয়াটা খুব বেশি অস্বাভাবিক হবে না । আমি দরজা দুটো লক করে ওকে নিয়ে হাটতে বের হলাম । আমাদের হোটেলটা সমুদ্র পাড়ের একদম পাশেই । ওখানে যেতে খুব বেশি সময় লাগলো না । চাঁদের আলোতে ফাইজার সাথে হাটতে আমার একটু অন্য রকম লাগছিলো । আমরা আপন মনে হাটছিলাম । এমন সময় হঠাৎ করেই ফাইজা আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-তুমি খুব অবাক হয়েছিলে যখন আমি তোমার সাথে এখানে আসতে চাইলাম, তাই না?
আমি ওর দিকে ফিরে তাকিয়ে বললাম
-একটু অবাক যে হই নি বলবো না । তবে তোমাকে যেমন ভাবে দেখেছি তাতে মনে হয়েছে তুমি সব কিছু করতে পারো ।
-আমি এখানে কেন এসেছি জানো ?
-কেন ? ট্যুর !
-সুইসাইট করতে !
আমার প্রথমে মনে হল আমি ঠিকমত শুনতে পারি নি । আমি দাড়িয়ে পড়লাম হাটতে হাটতে । বললাম
-কি বললে ?
-সুইসাইড । আত্মহত্যা !
-মানে কি !
আমার মনে হল ফাইজা আমার সাথে ঠোট্টা করছে । আমার দিকে তাকিয়ে হাসলো । তারপর বলল
-আসো হাটি !

তারপর আবারও হাটতে লাগলো সামনের দিকে । আমিও ওর সাথে সাথে হাটতে লাগলাম । আর ওর সাথে এখানে আসার কথা ভাবতে লাগলাম । আমি কোন দিন ভাবতেও পারি নাই যে কোন দিন এরকম ভাবে ওর সাথে আমার এই সমুদ্রে পাড়ে হাটা হতে পারে । এমন কোন সম্ভাবনাও আমার মনে কোন দিন দেখা দেয় নি । কিন্তু আজকে আমি ওর সাথে হাটতেছি । এখানে আসার দুদিন আগেও আমি ঠিক জানতাম না যে ফাইজা আমার সাথে আসবে ।

আমি প্রায়ই এদিক ওদিক ট্যুর করে বেড়াই । একা একাই এদিক ওদিক চলে যাই । কদিন থেকেই ভাবছিলাম যে সেন্ট মার্টিনে আসবো । অফ সিজেনে এখানে আসাটার কথা অনেক দিন থেকেই মাথায় ছিল । কিন্তু ক্লাস টিউশনী আর পরীক্ষার ফাঁকে সময় করতে পারছিলাম না । সেই সময়ে একটা এক সপ্তাহের ছুটি চলে এলো । এক সপ্তাহ বলতে আমাদের ক্লাশ সপ্তাহ তিন হয় । আর সেই তিন দিনের দুইদিনেই আমাদের ক্লাস স্যারেরা অফ ঘোষনা করে করে আর বাদি দিন টা পাবলিক হলিডে পড়ে যায় । এই সুযোগ কোন ভাবেই মিস করা যায় না । আমি প্লান করে ফেললাম । আমি যেদিন টিকিট করতে যাবো ঠিক সেই দিনই ফাইজা আমার কাছে এসে বলল
-তুমি কি সেন্টমার্টিন যাবে ?
-হ্যা ।
-আমার জন্য একটা টিকিট কাটবা প্লিজ ।
-তুমিও যাবা নাকি ? একা ?
-ভয় নেই আমি তোমাকে জ্বালাবো না । কেবল সেন্ট মার্টিন যাওয়া পর্যন্ত ! কাটবা প্লিজ !
-আচ্ছা সমস্যা নেই !
একটু অবাক লাগছিলো । কারন ফাইজা ঠিক আমার বন্ধু না । কেবলই ক্লাস মেইট । এর বেশি কিছু না । এর আগে ও আমার সাথে ঠিক মত কথা বলেছে কি না আমার মনেও নেই । তবে মেয়েটা এক সময় খুব হইচই করতো ক্লাসের ভেতরে । সব সময় হই হুল্লর চিৎকার চেঁচামিচির মধ্যেই থাকতো । কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে দেখি মেয়েটা কেমন যে নিশ্চুপ হয়ে গেছে । ক্লাসে আসাও কমিয়ে দিয়েছে । অন্য সবার সাথে কথা বার্তাও কমিয়ে দিয়ে অনেক !

ওর সাথেই আমি টিকিক কাটি । একসাথে টেকনাফ তারপর ট্রলারে করে এখানে এসে হাজির হই । আমি অবশ্য ভাবতে পারি নি ফাইজা এই ট্রলারে করে এখানে আসার সাহস করবে কিন্তু ট্রলারে উঠার পরে ও এমন একটা মনভাব করে বসে থাকলো যেন ও নিয়মিতই এই ট্রলারে করে এইখান দিয়ে যাওয়া আসা করে । কিন্তু একটু আগে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার বলে কি না ওর ঘুমাতে ভয় লাগছে !

আমি ফাইজার পাশাপাশি হাটতে থাকি । ঢাকার জন্য হয়তো কোন রাতই না কিন্তু এখানের জন্য অনেক রাত যদিও কয়েকজন মাছুড়েদের দেখা যাচ্ছে । আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকিয়ে আবারও নিজেদের কাজে মন দিল । একটু পরেই নৌকা নিয়ে বের হয়ে যাবে ওরা ! আমরা হাটতে থাকি । ফাইজা কোন কথা না বলেই হেটে চলেছে । আমারও অবশ্য হাটতে খারাপ লাগছে না ।
হঠাৎই ফাইজা বালির উপর বসে পড়লো । আমাকেও থামতে হল । ওর দেখাদেখি আমিও বসে পড়লাম ওর পাশে । ওর দিকে তাকিয়ে বললাম
-বলবে কিছু ? নাকি বলার ইচ্ছে নেই ।
-জানি না !
-তুমি এখানে সুইসাইড করতে এসেছো ?
-হুম !
-এখন ?
-জানি না । এখন মনে হচ্ছে আসা উচিৎ হয় নি ।
-আমাকে বলা যাবে কারন টা ?
ফাইজা অনেকটা সময় আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলো । তারপর হঠাৎ করেই বলল
-আমার মেয়েটা মরে গেছে !
আমি বেশ খানিকটা অবাক কন্ঠে বললাম
-মেয়ে মানে ? তোমার বিয়ে হল কবে ?
-মেয়ে হওয়ার জন্য বিয়ে হতেই হয় ?
আমি চুপ করেই গেলাম । ফাইজা আসলে কি বোঝাতে চেয়েছে আমি বুঝে গেলাম । আর কথা বাড়ানো ঠিক হবে না । কিছু কিছু ব্যাপারে মেয়েরা খুব বেশি সেন্সসেটিভ হয় । এটা কেবল তারাই বুঝতে পারে । সেগুলো নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হয়তো তেমন ঠিকঠাক মত প্রকাশ করতেও পারবো না । তাই চুপ থাকাই শ্রেয় !
ফাইজা আকাশের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে । তারপর হঠাৎ করেই আবার বলল
-জানো আমি ওকে এই পৃথিবীতে নিয়ে আসতেই চেয়েছিলাম । রাফি চায় নি তবুও নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম । আমার নিজের মেয়ে, নিজের শরীরের একটা অংশ কিন্তু আমি পারি নি । আমি ....

ফাইজার কন্ঠে এমন কিছু ছিল যেটা ওর মনের আকুলতা ওর মনের কষ্টটা পরিস্কার বের করে দিচ্ছিলো । আমি কি বলবো খুজে পেলাম না । কিছু বলা ঠিকও হবে না কি না বুঝতে পারছিলাম না । আমি কেবল মেয়েটার দিকে তাকিয়ে রইলাম । কেমন একটা শূন্য চোখে মেয়েটা তাকিয়ে আছে ।
আমি বললাম
-একটু কাঁদো চিৎকার করে । এই দেখছো না সমুদ্র এ সব কিছু গিলে নেয় । তোমার কষ্ট গুলোও গিলে নেবে !
ফাইজা আমার দিকে তাকালো । তারপর উঠে দাড়িয়ে বলল
-চল নামি !
-এখন ?
-হ্যা । আসো প্লিজ ।

আমি কথা বাড়ালাম না । অবাক হলেও মেয়েটার কাজ কর্ম দেখতে ইচ্ছে করছে । ফাইজা স্যান্ডেলটা খুলে সমুদ্রের দিকে হাটতে লাগলো । আমি ওর সাথে সাথে হাটতে লাগলাম । যখন কোমর পর্যন্ত পানি তখন আমি ওর হাত চেপে ধরলাম । বললাম
-আর এগিও না । সমুদ্র এখন বেশ উত্তাল দেখছো না ।

ফাইজা আমার দিকে তাকিয়ে আবার সমুদ্রের দিকে তাকালো । আমি ওর পাশে এসে দাড়ালাম । অদ্ভুদ এক অনুভূতি হচ্ছিলো । সমুদ্রের ঢেউয়ের কারনে আমরা দুজন একটু নড়ছিলাম । ফাইজা সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে বলল
-আসলেই কি আমার কষ্ট গুলো এই সমু্দ্র নিতে পারবে ?
-পারবে । অবশ্যই পারবে !! তুমি এক কাজ কর নিজের মত যত দুঃখ আছে সেটা একটা চিৎকার দিয়ে বের করে দাও ।

ফাইজা আরও কিছু সময় চুপ করে তাকিয়ে থাকলো । আবছায়া আলোতে ওর চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি সেখান থেকে পানি পরতে শুরু করেছে । তারপর ও সত্যি সত্যি খুব জোরে একটা চিৎকার দিল । তারপর আরেকবার !
তৃতীয় চিৎকারটা কান্নাতে রূপান্তর হতে সময় লাগলো না । আমার কেন জানি মনে হল এই সময়ে মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরা উচিৎ । ওকে এক পাশ দিয়ে জড়িয়ে ধরলাম ।

তারপর আবারও পাড়ের দিকে হাটা দিলাম । ফাইজা তখনও কেঁদেই চলেছে । যখন ওকে যখন রুমে এলাম তখন ফাইজা খানিকটা সামলে নিয়েছে । একা একাই নিজের রুমে গেল । বাধরুমে গিয়ে পোষাক বদলে এসে দেখি ওর ঘরের দরজা খোলা । টেবিলের উপর একটা মোমবাতি জ্বলছে । সেই আলোতেই আমি ভেতরে তাকিয়ে দেখি ফাইজা বিছানার উপর বসে আছে ।
আমি ভেতরে ঢুকে ওর পাশে বসলাম । তারপর বললাম
-ভাল লাগছে এখন ?
-ফাইজা কোন কথা না বলে কেবল মাথা নাড়লো ?
-আমি এখানে ঘুমাই ?
প্রত্যেকটা রুমেই দুটো করে বেড রাখা ঘুমানোর জন্য । ফাইজা আমার দিকে মুখ তুলে তাকালো । আমি তাড়াতাড়ি বললাম
-তুমি না বললে তোমার ভয় লাগছে !
ফাইজা হেসে ফেলল । তারপর বলল
-তোমার ভয় লাগছে আমি যদি আবার কিছু করে না ফেলি !
আমি মাথা চুলকে বললাম
-আসলে একটু ভয় যে করছে না তা আমি বলব না ।
-ভয় নেই আমি করবো না সুইসাইড !
-সত্যিই তো ?
-হুম । তবে তুমি চাইলে এখানে ঘুমাতে পারো । আই হ্যাভ নো প্রব্লেম !

মোমের আলোতে অনেকটা সময় ফাইজার দিকে তাকিয়ে রইলাম । মেয়েটা কেমন চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে । আমি অন্য খাট থেকে মেয়েটার দিকে এক ভাবে তাকিয়ে রইলাম । মোমের আলোতে অদ্ভুদ সুন্দর লাগলো সেই চেহারা !
সকাল বেলা যখন ঘুম ভাঙ্গলো তাকিয়ে দেখি ও বিছানাতে নেই । বুকের ভেতরটা কেমন করে উঠলো । জলদি উঠে বাধরুমের দরজাতে কান পাতলাম । ভেতর থেকে কোন আওয়াজ আসছে না । আমি যখন ঘুরতে যাবো তখন দেখি ও দরজার কাছে দাড়িয়ে আছে । হাসি মুখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে । ওর পোশাক দেখে মনে হল ও বাইরে গেছিলো হাটতে । আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-কি ভাবছিলে ?
-না মানে কিছু না !
-ভয় পেও না । গত কালকের মত আমার মাথা ঠিক হয়েছে । সামলে নিয়েছি অনেকটাই । আর সব থেকে বড় কথা অনেক দিন পর শন্তিতে ঘুমিয়েছি রাতে ।
-সমুদ্র তাহলে সত্যি সত্যিই তোমার কষ্ট গুলো নিয়ে গেছে ।
-হয়তো ! চল হাত মুখ ধুয়ে নাও । সকালের নাস্তা করে আসি । তারপর ছেড়া দ্বীপে যাবো ।
কেমন করে বাকি চারটা দিন কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না । আমরা সারাদিন সমুদ্রের পাড়ে বসে থাকতাম । ওর মনের যত কথা আছে আমাকে বলতে লাগলো ঠিক আমার পেটের সব কথা খুচিয়ে খুচিয়ে বের করতে লাগলো। সময়টা যতটা ভাল ভেবেছিলাম তার থেকেও ভাল গেল ফাইজার সাথে । ফেরার পথে আরেক কান্ড ।
ফেরার পথে ট্রলারে ফাইজা পুরো সময়টা আমাকে চেপে ধরে বসে রইলো । ওর মুখের দিকে তাকিয়েই বুঝতে পারছিলাম ও ভয় পাচ্ছে । কিন্তু আসার পথে ওর মুখ বিকার ছিলো । কারনটা ধরতে অবশ্য খুব একটা কষ্ট হল না ।
যাই হোক আবারও ঢাকায় এসে স্বাভাবিক জীবন শুরু হয়ে গেল । এবং ফাইজা সেই স্বাভাবিক জীবনের একটা অন্যতম অংশে
পরিনত হল ।

তারপর ..... নাহ সেটা অন্য কোন গল্প । এই গল্পটা কেবলই ফাইজার । সামনের গল্পটা হয়তো আমাদের দুজনের হবে !
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:০৯
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×