somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনু-গল্পঃ ভালবাসা, তারপর....

০৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বাড়িওয়ালা খুব একটা ছাদে ওঠেন না । আমার রুমেও আসে না খুব একটা । আমারই ডাক পরে তার বাসায় । কিন্তু আজকে যখন তাকে আমার ঘরে এসে হাজির হতে দেখলাম তখন একটু অবাক হলাম । ওনার মুখ দেখেই মনে হচ্ছিলো যে উনি কিছু একটা নিয়ে চিন্তিত এবং সেটা যে আমার সাথে সম্পর্কিত সেটাও আমি বুঝতে পারছিলাম । আমার দিকে চিন্তিত ভাবে তাকিয়ে রইলেন কিছুটা সময় । আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না যে কি এমন কাজ করে ফেললাম আমি যে আমার কাছে এভাবে আসা দরকার পরে গেল । তবে ওনার চেহারা দেখে আমার কেবল মনে হল যে কথাটা উনি বলতে এসেছেন সেটা বলতে উনি খানিকটা দ্বিধা বোধ করছেন । আমি তাকে বললাম
-আপনাকে চিন্তিত মনে হচ্ছে ? কিছু বলার ছিল ?
উনি মাথা ঝাকালেন । কিছু বলার আছে । কিন্তু সেটা ঠিক বলতে পারছেন না কোন কারনে । আমি বললাম
-কোন সমস্যা নেই । বলে ফেলেন !
-কিভাবে যে বলি ?
-বলুন ! আপনি আমার বাবার বয়সী । কোন সমস্যা নেই বলুন !

বাড়িওয়ালা আঙ্কেল আরও একটু সময় চুপ করে থেকে বলল
-গতকাল সন্ধ্যা বেলা কি তুমি কোন মেয়ের সাথে ঘুরে বেরিয়েছিলে ?
আমি খানিকটা অবাক হলাম । আঙ্কেলের এমন প্রশ্ন করার কথা না মোটেও । আমি বললাম
-বাইরে বলতে, এখানেই ছিলাম । মোড়ের ফুচকার দোকানটা আছে, ওখানে !
-আসলে তোমার এটা নিজেস্ব ব্যাপার । তবুও জানতে চাইছি । মেয়েটা কে বাবা ?
-আমার ফ্রেন্ড ! আমরা একই সাথে পড়াশুনা করি । আর ওর বাসাও এই যে এই গলির মাথায় ! ওর সাথে তো প্রায়ই দেখা হয় বিশেষ করে ছুটির দিনে যেদিন আমার টিউশনী থাকে না সেদিন ওর সাথে সন্ধ্যার সময় গল্প গুজব করি । আমার আরও বন্ধুরা আসে । কেন হঠাৎ এই কথা ?

আমার এই প্রশ্ন শুনে তিনি আরও একটু অপ্রস্তুত হয়ে গেলেন !


দুই
সুপ্তিদের বাসার এই চিলেকোঠায় আমি উঠে এসেছি খুব বেশিদিন হয় নি । খানিকটা অদ্ভুদ ভাবেই । তবে এই ওঠার ভেতরে সুপ্তির যে প্রত্যক্ষ হাত ছিল সেটা আমি জানি । আমি এটা ভাল ভাবে টেরও পাই । মানুষ ভালবাসার অনুভুতি গুলো খুব ভাল করেই টের পায় । আমিও পাই । বিশেষ করে সুপ্তির চোখের দিকে তাকালেই সেটা আমি বুঝতে পারি । আমারও যে ইচ্ছে করে না সেটা আমি বলব না তবে নিজের অবস্থান আমি খুব পরিস্কার ভাবেই জানি । মা বাবা ছাড়া একটা এতিম ছেলের জন্য চাঁদের দিকে হাত বাড়ানোটা মানায় না ।

সুপ্তিতে আমি চিনতাম আমাদের সামনের বাসার বাড়িওয়ালার মেয়ে হিসাবে । কেবল আমি কেন আমাদের এলাকার মোটামুটি সবাই সুপ্তিকে চেনে । মেয়েটার খুব অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছিলো । এসএসসির পরপরই । এবং বছর খানেকের মাথায় আবার সেটা তালাকে রূপ নেয় । এলাকার সবাই মেয়েটাকে নিয়ে কথা বলব । কিছুটা ভাল আবার কিছুটা খারাপ । আমি সুপ্তির কথা শুনলাম দিদির কাছ থেকে, দিদি মানে যার বাসায় আমি সাবলেট থাকতাম ।

যাই হোক, মাঝে মাঝেই মেয়েটার সাথে দেখা হয়ে যেত । কোন দিন কথা হত না । মেয়েটা মাথা নিচু করে রিক্সা করে যেত আর আসতো । সব সময় কেমন একটা গুমট ভাব নিয়ে থাকতো । আমার কেন জানি মনে হত মেয়েটা নিজেকে নিয়ে খানিকটা হীন্যমন্যতা ভোগে । আমাদের দেশে ডিভোর্সী মেয়েদেরকে কেন জানি ভাল চোখে দেখা হয় না, এমন একটা ভাব যেন সব দোষ ঐ মেয়েটারই ।

আমি হয়তো মেয়েটার সাথে কোন দিন কথা বলার সুযোগও পেতাম না তবে একদিন সুযোগ চলে এল । খানিকটা সিনেমাটিক ভাবেই । আমি নীলক্ষেতে গিয়েছিলাম বই কিনতে । বই কিনে ফেরৎ আসছি এমন সময় জটলা দেখতে পেলাম । আমি খুব একটা এসবের দিকে মনযোগ দেই না তবে কি হয়েছে সেটা দেখতে এগিয়ে গেলাম । একটা বাস একটা রিক্সাকে ধাক্কা দিয়েছে । খুব বড় কিছু না হলেও কিছু একটা হয়েছে ।

ভীড়ের ভেতরে যেতেই আবিস্কার করলাম রিক্সার যাত্রী আর কেউ না, সুপ্তি । মেয়েটার কপালে কেটে গেছে । কেবল ভীত চোখে তাকিয়ে আছে । অনেক কষ্ট কান্না আটকে রেখেছে । আমার দিকে চোখ পড়তেই দেখলাম মেয়েটার চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গেল ।

তাকিয়ে দেখি ওর মোবাইলটা রাস্তায় পড়ে আছে । ভাঙ্গা । আমি সবাই সরিয়ে সুপ্তির কাছে এসে ওর হাত চেপে ধরলাম । ওর ব্যাগটা খোজার চেষ্টা করলাম তবে মনে হল সেটা এই ভীড়ের ভেতরে কেউ মেরে দিয়েছে । ভাঙ্গা মোবাইলটা হাতে তুলে নিলাম তারপর সবাই বললাম মেয়েটা আমার পরিচিত । সবাই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো । সুপ্তি নাকি কারো সাথে যেতে চাচ্ছিলো না ।
ওকে প্রথমে পপুপালে নিয়ে এসে ওর ক্ষত স্থানে পট্টি মেরে তারপর বাসার দিকে রওনা দিলাম ।

এই সারাটা সময় সুপ্তি আমার হাত শক্ত করে ধরে ছিল । যেন মেলার ভিড়ে হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে আমার হাত চেপে ধরেছে । আসলে ও খানিকটা শকে ছিল । তাই এমন করেছে । দুর্ঘটনা ঘটলে এমন হতেই পারে ।

ওকে যখন বাসায় পৌছে দিলাম তখনও খানিকটা শকের ভেতরে ছিল । আমি ওকে বাসায় রেখে নিজের বাসায় চলে এলাম । পরদিন সুপ্তির বাবা আমাকে পাকড়াও করলেন । এক প্রকার জোর করেই বাসায় নিয়ে গেলেন । দুপুরে পেট ভরে খাওয়ালেন আর বারবার ধন্যবাদ দিতে লাগলেন । আমি ওকে সাহায্য করেছি এটার জন্য উনি আমার উপর খুব বেশি কৃতজ্ঞ !
-আসলে মেয়েটা এমন নরম যে কি বলব ! তুমি না থাকলে কি যে হত !
সুপ্তি তখন টেবিলেই ছিল । মাথা নিচু করে খাচ্ছিলো !
-এটা আঙ্কেল সবাই করতো । আর আমি তো এমন কিছু করি নি !
-এটাই কে করে ! বল ! আরে তুমি তো নিচ্ছোই না । নাও ।
-এই তো নিচ্ছি !
-তা বাবা তোমার বাসায় কে কে আছে ? কিসে পড় ?
এই কথাটা আমার কেন জানি বলতে ইচ্ছে করে না । বললেই মানুষ কেমন করুনার চোখে তাকায় ! আমি এই প্রশ্নের উত্তর প্রাঐ এড়িয়ে যাই । তবে আজকে কেন জানি গেলাম না । বললাম
-তেমন কেউ নেই । আমি একাই !
এই লাইনটা বলতেই সুপ্তি চোখ তুলে আমার দিকে তাকালো । সুপ্তির বাবা আমাকে বলল
-একা মানে ? বাবা মা ?
-মা নেই । মারা গেছে অনেক আগেই । বাবা আবার বিয়ে করে নতুন সংসার করছে । সেখানে আমার ঠিক জায়গা হয় নি । মামাদের বাসায় ছিলাম কিছু দিন তারপর ঢাকা এসে নিজের পথ নিজেই দেখি ।

আমি সুপ্তির দিকে তাকিয়ে মেয়েটা খাওয়া বন্ধ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে । ঠিক সেই সময়ই আমি বড় রকমের একটা ধাক্কা খেলাম । সুপ্তির কাছ থেকে যে জিনিসটা আশা করেছিলাম সেটার বদলে অন্য কিছু সেখানে দেখতে পেলাম । আমার কেন জানি মনে হল আমার কষ্টে মেয়েটা নিজে কষ্ট পেতে শুরু করেছে । আমার মা নেই, বাবা থেকেও নেই এটা মেয়েটাকে কষ্ট দিচ্ছে । করুনা না, সমব্যাথী !
কেন জানি সুপ্তিকে তখনই খুব পছন্দ হয়ে গেল ।

তারপর থেকেই মাঝে মাঝেই আমার ডাক পড়তো ওদের বাসায় । দুপুর কিংবা রাতের খাওয়ার দাওয়াত । সুপ্তির সাথে টুকটাক কথা হত । ও খুব আস্তে আস্তে আর নরম স্বরে কথা বলত । আমার শুনতে বেশ লাগতো !


তার আরও কিছুদিন পরে হঠাৎ করে আমাদের বাড়িওয়ালা আমাদের বাসা ছেড়ে দিতে বললেন । আমরাও চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকলাম । এটা আমাদের জন্য খুব একটা বড় ব্যাপার ছিল না । কিন্তু সুপ্তিকে এই কথা বলতেই ও খুব রিএক্ট করে বলসো । কেন যাবো এটা শুনে । ওকে বললাম এটা তো আমার কোন ডিসিশন না। বাড়িওয়ালা বাসা ছেড়ে দিতে বলেছে তাই চলে যাবো ।

রাতের বেলা যখন ওদের বাসায় আমার ডাক পড়লো তখনও আমার ধারনা ছিল না আসলে কি জন্য আমাকে ডাকা হয়েছে । আমি ভেবেছিলাম অন্য দিনের মত এইদিনও রাতের খাবারের জন্যই ডাকা হয়েছে । আমি হাজির হয়ে গেলাম । কিন্তু গিয়ে দেখি অন্য ব্যাপার । খানিকটা অবাক হলাম তবে খুশিও হলাম ।
ওদের চিলেকোঠাটা আমাকে ভাড়া দিতে চায় । আমি যদি চাই তবে সেটা ভাড়া নিতে পারি ! আমি তো যেন আকাশের চাঁদ খুজে পেলাম হাতে । অনেক দিন ধরে আমার একা থাকার শখ । একটা ফ্ল্যাট তো আর ভাড়া নেওয়া সম্ভব ছিল না তাই একটা চিলেকোঠা খুজছিলাম অনেক দিন ধরে । এভাবে পেয়ে যাবো ভাবি নি ।
এভাবেই চমৎকার চলছিল আজকে আবার কি হয়ে গেল !


তিন
বাড়িওয়ালা আঙ্কেল আরও কিছুটা সময় চুপ করেই বসে রইলো । তারপর হঠাৎ করেই বলল
-আসলে আমি ছাড়া ওর আর কেউ নেই । তার মনের ভেতরে একটা ভয় ছিল যে যদি আমি হঠাৎ করেই মরে টরে যাই তাহলে আমার মেয়েটার কি হবে ! কে দেখবে ? তাই একটু ছোট থাকতেই মেয়ে বিয়ে দিলাম । ভেবেছিলাম এই বার মরেও শান্তি পাবো । কিন্তু কদিন পরেই মেয়ে আমার কাঁদতে কাঁদতে বাসায়ি ফিরে এল । যে ছেলেকে আমি পছন্দ করে বিয়ে দিয়েছিলাম সে ছেলের নাকি অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক আছে । ওকে নাকি মারধোরও করেছে । ওকে এই বাসায় ফেরৎ পাঠিয়েছে যাতে করে এই বাসাটা তার নামে লিখে দেই নয়তো সে আর ওকে নেবে না ।
একটু দম নিলেন ! তারপর আবারও বলা শুরু করলো
-নিজের হাতে মেয়ের জীবনটা এভাবে নষ্ট করলাম বলে মনের ভেতরে আমার কষ্ট ছিল অনেক । মনে ভেতরে ভয় ছিল আবার কার সাথে বিয়ে দেব সেও এমন কিছু করবে ! আমার মেয়েটা তো কোন দিন প্রতিবাদও করতে পারবে না ! তারপর ....

আমি বললাম
-তারপর ?
-তারপর তোমার সাথে ওর পরিচয় হল । বিশেষ করে তোমার মা নেই, এটা জানার পর থেকে ও তোমার জন্য আলাদা একটা অনুভুতি ধারন করছিলো । আমার মেয়েটাও তো তোমার মতই, মা নেই । আমি মরে গেলে আর কেউ থাকবেও না । আমার মেয়ে কোন দিন আমার কাছে মুখ ফুটে কিছু চায় নি । কেবল তোমাকে চেয়েছিলো । কিন্তু একবার বিয়ে হওয়া মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার কথা কিভাবে বলব বুঝতে পারছিলাম না । ভেবেছিলাম আস্তে ধীরে সময় করে বলব । কিন্তু গতকাল তোমার সাথে তোমার ঐ বন্ধুকে দেখে আমার মেয়েটা বড় ভেঙ্গে পড়েছে । রাতে ঠিক মত ঘুমাতেও পারে নি । সকালে ওর গায়ে বেশ জ্বর ছিল । এখন একটু শান্ত হয়েছে !

আমি খানিকটা সময় চুপ করে রইলাম । বাড়িওয়ালা আঙ্কেলও চুপ করে রইলো ।


চার
সুপ্তি চোখ মেলেই আমাকে দেখে খানিকটা অবাক হল । তার পরপরই আমার দিক থেকে চোখ সরিয়ে অন্য দিকে নিয়ে গেল । যেন আমার উপর খুব বেশি অভিমান করেছে । আমি কিছু না বলে বসেই থাকলাম । আমি কোন কথা বলছি না দেখে সুপ্তি আবারও আমার দিকে ফিরে তাকালো । আমি তখনও ওর দিকেই তাকিয়েই আছি !
-আমার দিকে তাকিয়ে কেন আছেন ? যান আপনার ঐ প্রেমিকার দিকে তাকিয়ে থাকেন গিয়ে !
আমি খুব অবাক হয়েছি এমন ভাব করে বললাম
-কোন প্রেমিকা ?
-ঢং ! জানেন না ?
-আমার জানা মতে আমার একটা সম্ভাব্য প্রেমিকা আছে ।

লাইনটা বলার সাথে সাথে সুপ্তি আবার আমার দিকে ফিরে চাইলো । আবারও যেন কান্না করে দিবে ! আমি বললাম
-হ্যা ! সত্যি
-কে ?
-গেস কর কে হতে পারে ?
-সত্যি করে বলেন !
আমি কোন কথা না বলে সুপ্তির হাত ধরলাম ! কিছু বলতেও হল না ! কেবল তাকিয়ে রইলাম ওর দিকে ! আমার চোখের ভাষা ওর বুঝে ফেলার কথা !
সুপ্তি কিছু বলতে গিয়েও বলল না । তাকিয়ে রইলো আমার দিকে । ওর চোখে কেমন পানি টলমল করছিলো । বিশেষ কোন মুহুর্তে প্রিয় মানুষের চোখের পানি দেখতে বড় মধুর লাগে !
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:২৪
১৪টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×