somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ নতুন সূর্য

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-কফি খাবা ?

আমি বই থেকে মুখ তুলে তাকিয়ে দেখি তৃষা দরজার সামনে দাড়িয়ে । সবে মাত্র গোসল করেছে । ভেজা চুল এখনও এক পাশে এনে রাখা। কি অদ্ভুদ সুন্দর লাগছে ওকে । মানুষ যে বলে গোসলের পরেই মেয়েদের সব থেকে বেশি সুন্দর আর স্নিগ্ধ লাগে সেটা মোটেই মিথ্যে নয় । আমি কিছুটা সময় কেবল ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম, এক ভাবেই । তৃষা আবার বলল
-কি হল ? এভাবে তাকিয়ে আছো কেন ?
-তোমাকে দেখছি ।
-বুড়ো বয়সে আবার এতো দেখাদেখি কিসের ?

কথাটা বলেই তৃষা হাসলো । আমি বললাম
-তাই ? তুমি বুড়ি, কে বলল ?
তৃষা আবারও হেসে বলল
-আমি আমার বুড়ি হওয়ার কথা বলি নি । তোমার কথা বলেছি ।
-ইস ! আমি মোটেই বুড়ো না মোটেই । বুঝলে ! প্রমাণ চাও ?

লাইন টা বলেই ওর দিকে দুষ্টুমীর চোখে চাইলাম । তৃষা কিছু বলল না । আমি ওকে বললাম
-এতো রাতে গোসল করলে ? ঠান্ডা লাগলে ?
-ভাল লাগছিলো না ।
-কেন ? কিছু হয়েছে ?
আমি এই বলেই বিছানা থেকে উঠে পড়তে চাইলাম । ওকে আমাকে হাত দিয়ে থামিয়ে দিল । তারপর বলল
-না । তুমি এমন কর কেন শুনি ? মানুষের কি এমনিতেই কিছু হতে পারে না ? এমনি এমন হয়েছে । আর আজকে অফিসে চাপ ছিল বেশ।
-ও ! আচ্ছা আচ্ছা। তাহলে আর কফি বানাতে হবে না । তুমি বরং শুয়ে পড় । কাল অফিস আছে না ?

তৃষা কিছু সময় আমার দিকে তাকিয়ে থেকে উঠে গেল । দরজার কাছে গিয়ে আবার ফিরে চাইলো আমার দিকে । তারপর বলল
-তুমিও বেশি রাত জেগো না । কাল তো তোমারও অফিস আছে, নাকি ?
-আচ্ছা !

তৃষাকে দরজা দিয়ে বের হয়ে যেতে দেখলাম । আমি আবারও পড়ায় মন দিলাম । তবে ওর চেহারার দিকে তাকিয়ে মনে হল যে ও কিছু একটা নিয়ে চিন্তিত । অথবা কিছু নিয়ে ভাবছে । মন খারাপ হলে ও লম্বা সময় ধরে বাথটাবে বসে থাকে । আজকেও কি এমন কিছু হল ?


তৃষার সাথে আমার বিয়েটা খুব স্বাভাবিক ভাবে হয় নি । ও আমাকে পছন্দ করেছে, আমি ওকে পছন্দ করেছি তারপর আমাদের বিয়ে হয়েছে, এমন কিছুই আমাদের সাথে হয় নি । এমন কি আমাদের বেলাতে পছন্দের ব্যাপার গুলোও ছিল না । তৃষা হয়তো কোন দিন আমাকে ভালও বাসে নি । অথবা কোন দিন বাসবেও না । হয়তো পুরো সময় ও আমাকে একজন বন্ধুই ভেবে এসেছে আগের মতই । অবশ্য আমার এতে খুব একটা আপত্তি নেই । কিন্তু মাঝে মাঝে যখন ওকে এমন বিষণ্ণ দেখি তখন একটা অদ্ভুদ কষ্ট এসে আমার উপর ভর করে।


বইটা শেষ করে যখন ঘড়ির দিকে তাকালাম তখন অনেক রাত হয়ে গেছে । এতো রাত হয়ে যাবে ভাবতে পারি নি । এ ঘরের লাইট বন্ধ করে আমি শোবার ঘরের দিকে হাটা দিলাম । ঘরে ঢুকে দেখি শোবার ঘরের আলো জ্বলছে । ভেবেছিলাম হয়তো তৃষাও জেগে থাকবে । কিন্তু তৃষা চোখ বন্ধ করেই আছে । পুরো বিছানা জুড়ে চুল ছড়ানো । ভেজা চুল শুকানোর জন্য এমনটা করে রেখেছে ।

শরীরের উপরে একটা বই খোলা অবস্থায় পড়ে আছে । বইটা পড়তে পড়তেই ঘুমিয়ে পড়েছে নিশ্চয়ই । আমি কিছুটা সময় ওর চেহারার দিকে তাকিয়ে রইলাম । আমি মাঝে মাঝেই কাজটা করি । ও যখন ঘুমিয়ে পড়ে কিংবা যখন আমি ওর আগে ঘুম থেকে জেগে উঠি তখন ওর ঘুমন্ত চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকি । কি এক আশ্চর্য শান্তি যে তখন অনুভূত হয় আমি বলতে পারবো না । কেবল মনে হয় পুরোটা জীবনই আমি এভাবে ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে পারবো ।

আস্তে করে ওর হাত থেকে বইটা সরিয়ে নিলাম । তারপর খুব সাবধানে চুল গুলো গুছিয়ে একপাশে সরিয়ে রাখলাম । তারপর আলো বন্ধ করে ওর পাশেই শুয়ে পড়লাম । ওর হাতের উপর হাত পড়তেই মনে হল ওর হাতটা কেঁপে উঠলো । তারপর অনুভব করলাম ওর হাত দিয়ে আমার হাতটা আলতো করে ধরেছে । আমি ওর দিকে পাশ ফিরে বললাম
-ঘুমাও নি ?
-উহু ! ঘুম আসছে না ।
-কেন ?

তৃষা কিছু সময় কোন কথা বলল না । আমার ঠোঁটের কাছে ওর ঠোঁট টা এনে আলতো করে একটা চুমু খেল । তারপর বলল
-সরি ।
-সরি কেন ?
-তোমাকে মিথ্যে বলেছি ।
-কি মিথ্যা বলেছো ?
তৃষা সেই প্রশ্নের জবাব না দিয়ে আমাকে বলল
-তুমি বুঝতে পারো, তাই না ? আমার কিছু হলে ? কি কারনে মন খারাপ ! তাই না ?

তৃষা উত্তর জানার জন্য প্রশ্নটা করে নি । আমি তাই সে প্রশ্নের জবাব দিলাম না । বললাম
-নাদিম ফোন দিয়েছিলো আজ ?
-হুম ।
-তুমি কেন এমন আপসেট হয়ে যাও ? ও এক সময় তোমার বন্ধু ছিল । আমার এখনও বন্ধু আছে !
-তুমি এখনও ওর পক্ষ নিচ্ছো ?
-না । আমি আমাদের পক্ষ নিচ্ছি । তোমার আমার আমাদের ! দেখো তোমাদের মাঝে একটা কিছু ছিল । আমি জানি । কিন্তু ভাগ্যের কারনে সেটা সফল হয় নি । তাই না ?
তৃষা কোন কথা বলল না । আমার কেন যেন মনে এই ব্যাপারটা নিয়ে আর কথা বলা ঠিক হবে না । কিন্তু তৃষা কথা এড়িয়ে যেতে দিল না । বলল
-কিন্তু আমার খারাপ লাগে । মনে হয় যে আমি তোমাকে ঠাকাচ্ছি । তোমাকে তোমার প্রাপ্য ভালবাসা টুকু দিচ্ছি না । আমি কি করবো বল?
ঘরটা পুরোপুরি অন্ধকার হয় নি । চাঁদটাও এখনও পুরোপুরি মেঘের আড়াল হয়ে যায় নি । সেই আলোতে আমি ওর চেহরার দিকে তাকিয়ে রইলাম বেশ কিছুটা সময় । তারপর ওর কপালে আবারও আলতো করে চুমু খেয়ে বললাম
-তুমি চাইলেও কোন দিন এ কাজটা করতে পারবা না । বুঝছো ?

আমি জানি না ওর মনের ভেতরে কি চলছে তবে এই আবছায়া অন্ধকারেই ওর চেহারা দেখে আমার মনে হল ওর যেন আমার কথায় খুশি হল । বলল
-কফি খাবে ?
-এখন ? সকালে অফিস আছে না ? এখন কফি খেলে আর ঘুম আসবে ?
-আসতে হবে না । আর একদিন অফিসে না গেলে কিছু হবে না ।
-মানে কি ?
-কোন মানে নেই । আজকে অফিসে যেতে হবে না । তুমিও না, আমিও না ।

আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই তৃষা উঠে পড়লো । তারপর লাইট জ্বাললো । আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-বারান্দায় গিয়ে বস । আজকে আমরা এক সাথে সূর্য ওঠা দেখবো । তারপর সকালে হাটতে বের হব । কেমন ?


আমি তৃষাকে দরজা খুলে বের হতে দেখলাম । এখন আর কিছু করার নেই । ও যখন বলেছে যে অফিসে যাবে না তখন আজকে আর যাওয়া হবে না । বসের একটা কঠিন দৃষ্টি স হ্য করতে হবে । কিছু করার নেই অবশ্য । তবে আমার কেন জানি চিন্তিত লাগছে না । চিন্তা লাগার কথাও না । এখন তৃষা ছাড়া অবশ্য আমার কাছে আর কিছুই এখন খুব একটা জরূরী নয় । ওকে খুশি করতে সবাই অখুশি করতে আমার কোন সমস্যা নেই ।


ভার্সিটির প্রথম দিন থেকেই তৃষাকে আমি দেখেছিলাম । কি চমৎকার ভাবেই না ও সবার সাথে হেসে কথা বলছিলো । আমার খুব ইচ্ছে করছিলো ও যেন আমার সাথেও ঠিক একই ভাবেই কথা বলে কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠে নি । তারপর একটা সময় আমি কিভাবে জানি ওদের গ্রুপের সাথে যুক্ত হয়ে গেলাম । তখন তৃষা আর নাদিমের যুটি ক্যাম্পাসে বিখ্যাত হয়ে গেছে । বুকের ভেতরে একটা চিনচিনে ব্যাথা করতো কিন্তু সেটা মেনে নেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না আমার । কিন্তু উপরওয়ালা হয়তো আমাদের ভাগ্য অন্য ভাবেই লিখে রেখেছিলো ।

ক্যাম্পাস শেষ করেও তৃষা নাদিমের সাথে আমার বেশ ভাল যোগাযোগই ছিল । বলতে গেলে কেবল ওদের সাথেই নিয়মিত যোগাযোগ রাখতাম । একটা সময় আমি লক্ষ্য করা শুরু করলাম যে আমরা তিনজন এখন আর আগের মত এক সাথে হচ্ছি না । তার বদলে তৃষা আমার সাথে কিংবা নাদিম একা আমার সাথে দেখা করছে । ব্যাপারটা ধরতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছিলো আমার । শেষ যখন নাদিমের বিয়ের কার্ড আমি হাতে পেলাম সেই সময় একটা প্রবল বিস্ময় তাকিয়ে রইলাম সেদিকে । কনের নামের শেষে তৃষার নাম নেই ।

তারপরই আমার সব কিছু পরিস্কার হয়ে গেল কেন ওরা আলাদা আলাদা আমার সাথে দেখা করছিলো । মিথ্যা বলবো না সেদিন আমার সত্যিই মনের ভেতরে একটা সুপ্ত আনন্দবোধ হচ্ছিলো । আমার কেবল যেন মনে হল উপরওয়ালা আমাকে একটা সুযোগ দিয়েছে ।

আমি নাদিমের বিয়েতে গেলাম না । তারবদলে তৃষাকে নিয়ে বেড়াতে গেলাম গাজিপুর । ওর মন বিষণ্ণ ছিল, সর্বাত্তক চেষ্টা করলাম যেন ওর ভাল হয় । অফিস থেকে ছুটি নিয়েই ওর সাথে সময় কাটাতে লাগলো । নাদিম আমাকে ফোন করে কিছু কারন বলেছিলো পরে । এবং আমি যে ওর সাথে আছি এটা জেনেও খুশি হল ও ।

তারপর আস্তে আস্তে তৃষা বুঝতে পারলো যে আমি কিছুতেই ওকে ছেড়ে কোথাও যাবো না । নাদিমের বিয়ের বছর দেড়েক আমাদের বিয়ে হয়ে গেল । আমি ভয়ে ভয়ে কথাটা ওকে বলেছিলাম । ভেবেছিলাম হয়তো ও মানা করে দিবে । কিন্তু দিলো না । আমার স্বপ্নের জীবনটা সেখান থেকেই শুরু হল ।


আমি উঠে গিয়ে বারান্দায় পাতা মাদুরের উপরের গিয়ে বসলাম । আমাদের বাসাটা একেবারে এগারো তলার উপরে । এই ফ্ল্যাটের উপরে আর একটা ফ্লোর আছে মাত্র । গরম কালে একটু কষ্ট গরম বেশি লাগে তবে আর সব দিকেই এই বাসাটা আমাদের জন্য একেবারে পার্ফেক্ট । শোবার ঘরের বারান্দাটা পূবমুখী । বিছানা থেকেই প্রতিদিন সুর্যোদয়টা চমৎকার দেখা । মনে হয় যেন হাজার ইট কাঠের বিল্ডিং ভেদ করে সূর্যটা উপরে চলে আসে ।

তৃষা ফিরে এল কিছু সময় পরেই । ওর হাতে বিশাল বড় সাইজের একটা মগ । আমি মনে মনে হাসি । এটা আমার যৌথ কফি খাওয়ার মগ । প্রায়ই দিনই তৃষা এই মগে করে কফি কিংবা চা বানিয়ে নিয়ে আসে । বিশেষ করে যখন ওর গল্প করার মুড থাকে । আমার শরীরের উপর হেলান দিয়ে তখন গল্প শুরু করে । মগে একটা চুমুক দিয়ে আমার দিকে বাড়িয়ে দেয় । আমিও ঠিক একই কাজ করি । ওর কাজ কর্ম দেখে মনে হয় যেন আমরা সেই ফার্স্ট ইয়ারেই পড়ছি এখনও । আমাদের প্রেমটাও সেই সময়ের ।

তৃষার আমার গায়ের উপরেই খানিকটা উঠে বসলো যেন । আমি দেওয়ালের সাথে হেলান দিয়ে আছি । ওর আমার শরীরের এক পাশটাতে হেলান দিল । তারপর কফিতে একটা চুমুক দিয়ে আমার দিকে বাড়িয়ে দিল ।
-আমি কোন দিন ভাবি নি আমার জীবন টা এমন হবে ।
বললাম
-অনেক কিছুই আমরা ভাবি না । কিন্তু এমন তো হয়ে যায় । এটাই হয়তো জীবন ।
-হুম ।

তৃষা অল্প অল্প করে মগে চুমুক দিচ্ছে । ওর সামনের চেহারাটা দেখা না গেলেও একটা পাশ আমি খুব কাছ থেকে দেখতে পাচ্ছি । আমি মন্ত্র মুগ্ধের মত সেদিকেই তাকিয়ে রইলাম কিছুটা সময় । তারপর হঠাৎই আমার কেন জানি মনে হল কেবল নাদিমের ফোন দেওয়ার জন্যই নয় আজকে অন্য কিছু একটা ঘটেছে । যে কারনে তৃষা কিছুটা অস্থির ।
কি সেই কারন ?

আমার এমনটা মনে হওয়ার কোন কারন নেই । কিন্তু তবুও আমার মনে হল কিছু যেন স্বাভাবিক নয় । তৃষার কাছ থেকে মগ নিতে নিতে বলল
-আজকে আর কিছু হয়েছে ?
-কি হবে ?
-না, আমার কেন মনে হচ্ছে ! বল হয়েছে ?

তৃষা কিছু বলল না । কেবল হাসলো একটু । আমার দিকে আরও একটু হেলান দিল । তারপর বলল
-আজকে নাদিমের সাথে কথা বলার পর খানিকটা সময় মন খারাপ ছিল ।
-তারপর ?
-তারপর এমন কিছু ঘটেছে যে আমি বুঝতে পারলাম যে আমার জীবনে এখন আরও অনেক বড় কিছু ঘটতে যাচ্ছে । এখন আর পেছনে তাকানোর কোন মানে নেই ।
-কখন জেনেছো ? কি হয়েছে ?
-তুমি বই পড়ছিলে, তখন !
-কি হয়েছে ?
-বলব না ।
-আরে বাবা বল !
-না না না ।
-প্লিজ .....

আমি জানি তৃষা একবার যদি বলে যে বলবে না তাহলে তাহলে তাকে দিয়ে সেই কথা বলানো অসম্ভব । আমি আর চেষ্টা করলাম না । তৃষা তখন তাকিয়ে আছে সামনের দিকে । আমি ওর দৃষ্টি লক্ষ্য করে সামনের দিকে তাকালাম । দেখি পূর্ব আকাশে তখন প্রথম সূর্যয়ের কিরন দেখা যাচ্ছে । তৃষা সেদিকে একভাবে তাকিয়ে আছে । তারপর হঠাৎ করেই তৃষা বলল
-দেখো কি চমৎকার সূর্য উঠছে । প্রতিদিন এই সূর্য ওঠা মানেই হচ্ছে সকল কালো আধার মিলিয়ে গিয়ে নতুন প্রাণের সৃষ্টি হয় । তাই না?
-হুম ।
-আমার ভেতরেও এরমন একটা প্রাণের সৃষ্টি হচ্ছে ! সব কালো আধার সেই প্রাণের আলোতে বিলিন হয়ে যাবে !
আমার মনে হল আমি মনে হয় ভুল শুনলাম । তৃষা কি বলল ?
সত্যি ! আমি কেবল অনুভব করলাম আমার বুকের ভেতরে একটা তীব্র আনন্দ হচ্ছে ।
আমি কিছুটা সময় অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম তৃষার দিকে । যদিও তৃষার চোখ দেখা যাচ্ছে না তবুও আমার কেন জানি মনে হচ্ছে তৃষা কাঁদছে । আমার নিজের চোখের পানি জমতে শুরু করেছে ।

আমি আরও একটু শক্ত করে তৃষাকে জড়িয়ে ধরলাম । জীবনের সব থেকে আনন্দের সংবাদটা তৃষা আজকে আমাকে দিয়েছে । নতুন সূর্যের সাথের আমাদের জীবনেই একটা নতুন সূর্য উঠতে শুরু করেছে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রোএক্টিভিটি এবং কম্পাউন্ড ইফেক্ট: আমার গুরুত্বপূর্ণ দুইটি শিক্ষা

লিখেছেন মাহদী হাসান শিহাব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১১



আমার গুরুত্বপূর্ন দুইটা লার্নিং শেয়ার করি। এই দুইটা টুল মাথায় রাখলে দৈনন্দিন কাজ করা অনেক সহজ হয়। টুল দুইটা কাজ করতে ও কাজ শেষ করতে ম্যাজিক হিসাবে কাজ করে।

এক.

স্টিফেন কোভের... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রসঙ্গ রূপান্তরঃ ট্রান্সজেন্ডার, সমকামিতা এবং যৌনতা বিষয়ক কিছু আবশ্যিক আলাপ

লিখেছেন সায়েমার ব্লগ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৩

প্রসঙ্গ রূপান্তরঃ
ট্রান্সজেন্ডার, সমকামিতা এবং যৌনতা বিষয়ক কিছু আবশ্যিক আলাপ

১।
যৌন প্রাকৃতিক, জেন্ডার নয়।জেন্ডার মানুষের সৃষ্টি (social, cultural construction)। যৌনকে বিভিন্ন সমাজ বিভিন্ন সময়ে যেভাবে ডিল করে, তাঁকে ঘিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্মৃতির ঝলক: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনুভূতি এবং মনের শান্তির খোঁজে

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০১



সরল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সংমিশ্রণে একটি ঘূর্ণায়মান পথ জুড়ে ঘুরে বেড়ানোর অবস্থানে আমি খুব শান্তি অনুভব করি। নদীর জল ছুঁয়ে পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সঙ্গে এক আন্তরিক সংযোগ অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×