somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ পরাজিত

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অফিসের রিসিপশন থেকে আমার কাছে খুব একটা ফোন আসে না । এই শহরে কেবল আমি একাই থাকি । যে বন্ধু বান্ধব আছে তারা আসলে আমাকে আগে ফোন দিয়েই আসে । তাদের অফিস পর্যন্ত আসা লাগে না । আমিই বের হয়ে যাই । তাদের নিয়ে ক্যান্টিনে বসি । কিন্তু আজকে যখন ফ্রন্ট ডেস্ক থেকে আমার কাছে ফোন এল যে আমার কাছে একজন গেস্ট এসেছেন আমি খানিকটা অবাক না হয়ে পারলাম না । এই সময়ে কে এল আবার ?
আমি বললাম
-নাম বলেছে ?
-জি না স্যার । কেবল বলেছে আপনার সাথে দেখা করতে চায় ?

আমি আরও খানিকটা চিন্তা করার চেষ্টা করলাম । কিন্তু মনে করতে পারলাম না । তারপর বললাম
-আচ্ছা পাঠিয়ে দাও ।

ফোনটা রেখে আমি আরও খানিকটা সময় চুপ করে রইলাম । এখনও ঠিক বুঝতে পারছি না আমার কাছে কে আসতে পারে ? গ্রামের বাসায় কি কোন সমস্যা হল ? ফোনে হয়তো পায় নি এই জন্য সরাসরি এখানেই চলে এসেছে । খানিকটা চিন্তাই হল ।

কিন্তু আমার চিন্তাকে ভুল প্রমানিত করে দিয়ে একজন লোক এসে হাজির হল আমার ডেস্কের সামনে । লোক না বলে একজন সুদর্শন যুবক বললেই সম্ভবত ভাল হবে । বয়স আমার মতই হবে । আমি এই যুবককে আগে দেখেছি বলে আমার ঠিক মনে পড়লো না । আমার দিকে হাসি মুখেই এগিয়ে এল । তারপর নিজ থেকে হাত বাড়িয়ে দিল । আমিও খানিকটা হাসার চেষ্টা করলাম কিন্তু মুখে আমার অস্বস্তির ছাপ টা রয়েই গেল । আমি আসলেই যুবককে চিনতে পারছি না ।
যুবককে আমি বসতে বললাম । সে বসতে বসতে বলল
-আমাকে নিশ্চয়ই আপনি চিনতে পারছেন না ?
-আমার কি চেনার কথা ?
-জি না । আপনি আমাকে কোন দিন দেখেন নি । তবে হয়তো আমার ব্যাপারে শুনে থাকবেন কারো কাছ থেকে ?

আমি তবুও কিছু মনে করতে পারলাম না । যুবক বলল
-আসলে আপনার সাথে কিছু কথা বলতে বলতে পারলে ভাল হত । এখন কি একটু সময় দেওয়া যাবে ?
আমি খানিকটা ইতস্তত করে বললাম
-আসলে এখন অফিস থেকে বের হওয়া মুসকিল হয়ে যাবে ! বোঝেনই তো !
যুবক আবারও হাসলো । তারপর বলল
-আপনার ম্যানেজার সাহেবের কাছ থেকে যদি অনুমূতি আনি তাহলে কি সম্ভব হবে ?
আমি এবার খানিকটা অবাক হলাম । আমি এই যুবককে চিনতেই পারছি না । কিন্তু এই যুবক আমার সাথে কি এমন কথা বলতে চাইতে পারে যে ম্যানেজারের কাছ থেকে অনুমুতি নিয়ে আসবে ! আমি কি বলব ঠিক বুঝতে পারলাম না । আমার নিরবতাকে সম্মতি ভেবে যুবক উঠে গেল । তারপর বলল
-আপনারদের ম্যানেজার কেবিন টা কোন দিনে ?
-ডান দিকে সোজা !
-আচ্ছা আমি বলছি তাকে ।

যুবক চলে গেল । আমি বসে রইলাম বোকার মত । বারবার মনে করার চেষ্টা করলাম আসলে এই যুবক টা কে ? কিন্তু কিছুতেই চিনতে পারলাম না । পাঁচ মিনিটের মাথায় ম্যানেজারের কেবিনে আমার ডাক এল । আমি সেখানে যেতে না যেতেই ম্যানেজার সাহেব আমাকে বলে উঠলো
-আরে অপু ! তুমি দেখি মানুষ সুবিধার না !
-কেন স্যার ?
-তুমি রায়হান সাহেবকে চেন আমাকে বলই নি । তুমি কি জানো ওনার বাবা এই ব্যাংকের কত বড় একজন কন্ট্রিবিউটার ।
আমি সামনে বসা রায়হান সাহেবের দিকে তাকালাম । তাহলে এই যুবকের নাম রায়হান । কিন্তু আমি তবুও একে চিনতে পারলাম না । একটু কেবল হাসার চেষ্টা করলাম । ম্যানেজার সাহেব আবারও রায়হান সাহেবের দিকে তাকিয়ে বলল
-তুমি করেই বলি তোমাকে যেহেতু তুমি অপুর বন্ধু ।
-জি আঙ্কেল কোন সমস্যা নেই ।
-সলিম সাহেব কে আমার সালাম জানিও । আর আশা করবো তোমার বাবা যেমন আমাদের ব্যাংকের উপর ভরশা রেখেছেন সামনেও রাখবেন !
রায়হান নামের যুবক হাসলো । তারপর বলল
-তা তো অবশ্যই । আমি কি অপুকে নিয়ে যেতে পারি ?
-হ্যা হ্যা অবশ্যই । আজকে সারাদিন ওর ছুটি !


আমার মুখ থেকে ততক্ষণে হাসি মুছে গেছে । কারন আমি সামনে বসা যুবক টিকে চিনতে পেরেছি । সলিম আহমেদ হচ্ছে বর্তমান সরকারের একজন প্রভাবশালী একজন মন্ত্রী । তার ছেলে হচ্ছে এই রায়হান । অর্থ্যাৎ এই রায়হান হচ্ছে নিতুর স্বামী ! যে মেয়েটিকে আমি প্রাণ দিয়ে ভাল বাসতাম তার সাথেই এই মানুষটার বিয়ে হয়েছে ।




নিতুকে আমি চিনি ইউনিভার্সিটির সময় থেকে । ওদের বাসায় টিউশনীটা ছিল । ওকে পড়ানোর সুযোগ হয় নি তবে ওর ছোট ভাইকে পড়াতাম আমি । নম্র ভদ্র আর আর চাপা স্বভাবের ছিল । আমার থকে দু বছরের ছোট ছিল । যখন ওকে পড়াতে যেতাম তখনই ওর সাথে দেখা হত । প্রায় প্রতিদিনও ও দরজা খুলে দিত । সেই সময়টা ওর সাথে আমার চোখাচোখি হত । কিছুটা সময়ে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে নিতু সরে গিয়ে যাওয়ার জায়গা করে দিত । আমি রোবটের মত হেটে হেরে ওর ছোট ভাইয়ের রুমে ঢুকতাম ।

কিন্তু অনেকটা সময় নিজেকে সুস্থির করতে পারতাম না । মেয়েটার চোখে কি যে এক নেশা ছিল আমি সেটা কোন দিন বুঝতে পারি নি । শেষে একদিন আবিস্কার করলাম যে আমি মেয়েটার প্রেমে পড়েছি । এবং সব থেকে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছ নিতুও আমার প্রেমে পড়ে গেল । আমাকে কিছু বলতে হল না । তবুও কেমন করে যেন ও আমার প্রেমিকা হয়ে গেল ।

ওর আর আমার ক্যাম্পাস একই ছিল । মাঝে মাঝেই ও আমার ডিপার্টমেন্টের সামনে আসতো । তারপর আমরা অনেক টা সময় চুপচাপ বসে থাকতাম । চুপ থেকে কত কথা আমরা বলতাম কে জানে ।

একটা সময় ওর ভাই কলেজ শেষ করলো । আমারও ওদের বাসায় যাওয়া বন্ধ হল তবে নিতুর সাথে দেখা সাক্ষাত ঠিকই হত । পরিকল্পনা ছিল যে চাকরি পাওয়ার সাথে সাথেই আমি ওদের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবো ।

পড়াশুনে শেষ করে চাকরি পেয়েও গেলাম । তারপর বাসায় কথা বলে ওদের বাসাতে বিয়ের কথা বার্তা বলার জন্য আব্বাকে পাঠালাম । আর তখনই ধাক্কাটা খেলাম । নিতুর আব্বা জানালো যে ছেলে হিসাবে আমাকে তাদের তাদের অপছন্দ নয় কিন্তু মাত্র গত সপ্তাহেই নাকি নিতুর বিয়ের জন্য তিনি অন্য একজন কে কথা দিয়ে ফেলেছেন । এখন নিতু এসবের কিছু জানে না । আর সেই ছেলে নাকি অনেক বেশি ভাল । এই ছেলে তারা কিছুতেই হাত ছাড়া করতে পারবে না !


হলও তাই তারা কিছুতেই আর আমার ব্যাপারে রাজি হলেন না । পরে অবশ্য কারনটা আমি নিজেও বুঝতে পেরেছিলাম । নিতু সাথে বিয়ের জন্য যে ছেলেকে ঠিক করা হয়েছে সে হচ্ছে মন্ত্রীর ছেলে । কেবল মন্ত্রীর ছেলে হলেও একটা কথা ছিল ছেলে বাইরে থেকে পড়া শুনা করে এসেছে । দেশে এসে এখন নিজের ব্যবসা দাড় করিয়েছে । ছেলে দেখতেও খুবই সুদর্শন । সেই ছেলে নাকি নিতুকে পছন্দ করেছে ।

আমি কি বলবো খুজে পেলাম না । আমার কিছু বলার ছিল না । তবে নিতু গো ধরেই রইলো যে আমাকেই বিয়ে করবে । আমরা প্লান করেই ফেললাম যে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করলো । কিন্তু পালাতে পারলাম না । কিভাবে যেন ওর বাবা জেনে গেল । নিতুকে আটকে দিল । সেই সাথে আমি যেখানে নিতুর জন্য অপেক্ষা করছিলাম সেখানে কিছু গুন্ডা টাইপের ছেলে এসে আমাকে বেদম মেরে রেখে চলে গেল । আমার বুঝতে কষ্ট হল না যে আমাদের পালিয়ে যাওয়ার খবর নিশ্চয়ই কোন ভাবে নিতুর বাবা জানতে পেরেছে । হয়তো সেই এই ব্যবস্থা করেছে নয়তো মন্ত্রীর ঐ ছেলে এই ব্যাবস্থা করেছে ।

আমার আসলে আর কিছু করার ছিল না । আমি যখন হাসপাতলে তখনই খবর পেয়েছিলাম যে নিতুর বিয়ে হয়ে গেছে ঐ ছেলের সাথে । তারপর নিতু একটা দিন আমার সাথে দেখা করতে এসেছিলো হাসপাতালে । সারা সময় কেবল চেয়ে রইলো আমার দিকে । তারপর উঠে চলে গেল । যাওয়ার আগে কেবল একটা কথা বলে গেল যে আমি যেন আর ওর সাথে দেখা করার চেষ্টা না করি । এটা নাকি ওর আর আমার দুজনের জন্যই ভাল হবে ।

ব্যাস তারপরই আমি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি নিতুর কাছ থেকে । আর কোন দিন ওর সামনে যাই নি । ওর সাথে যোগাযোগ হয়ে যেতে পারে এমন সব মানুষকেও আমি এড়িয়ে চলেছি এতো দিন । তাহলে আজকে কি এমন হয়ে গেল যে নিতুর সেই স্বামী নিজে আমার সাথে দেখা করতে এল ?
নিতু ঠিক আছে তো ?






অফিসের পাশেই একটা রেস্টুরেন্টে আমরা বসেছি । লাঞ্চের তখনও বেশ কিছুটা সময় বাকি ছিল । তাই সেটা ফাঁকাই বলা চলে । আমি কোন কথা বলছি না । আসলে আমার কোন কিছু বলার নেই তো । আমার সাথে যেহেতু রায়হান সাহেব নিয়েই দেখা করতে এসেছে তাই যা বলার উনারই বলা উচিৎ । অন্তত কথাতো উনারই শুরু করা উচিৎ । অনেক সময় চুপ থাকার পরে রায়হান বলল

-আপনি কি আমার উপর রাগ করে আছেন ?
-নাহ ! রাগ কেন করবো ?
-রাগ করার কারন কি নেই ?
-ছিল । কিন্তু সেটা আমি ভাগ্য বলেই মেনে নিয়েছি । আমার দিক থেকে আমি চেষ্টা করেছি । কিন্তু ভাগ্য আমার সহায় ছিল না ।
-আপনি কি জানেন নিতু অনেক জেদি একটা মেয়ে ?

আমি হাসলাম । বললাম
-হ্যা জানি । ওকে আমি খুব ভাল করেই চিনি ।
-আপনার মনে হয় নি ও কেন ও বিয়েতে রাজি হয়ে গেল ?
-হ্যা আমি জানি ও কেন রাজি হয়েছিল । ওকে হয়তো কেউ ভয় দেখিয়েছিল যে বিয়ে না করলে আমার বড় ক্ষতি হয়ে যাবে ।

রায়হান আবারও হাসলো । বলল
-হ্যা । কাজটা আমিই করেছিলাম । কি বোকাই না ছিলাম আমি !
আমি রায়হানের দিকে তাকিয়ে রইলাম কিছুটা সময় । আকজে এতো দিন পরে এই কথা বলার জন্যই সে এখানে এসেছে ? রায়হান আরেকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল
-জানেন অপু সাহেব আমি জীবনে কোন দিন হারি নি । পড়াশুনা থেকে জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে আমি কেবল জিতেই এসেছি । আমি কোন দিন মানতেই পারতাম না যে কোন মেয়ে আমাকে না করতে পারে ? আপনি নিশ্চয়ই আমার পারিবারিক প্রতিপত্তির কথা জানেন সেটা বাদ দিলেও পড়াশুনাতেও আামি বেশ ভাল । আর চেহাটা তো আপনি দেখতেই পাচ্ছেন । নিজের ভেতরে একটা অহংকার আমার ছিল । কিন্তু যখন নিতু আমাকে পাত্তা দিল না আমার মাথায় যেন আগুন ধরে গেল । খোজ নিয়ে যখন আপনার ব্যাপারটা জানতে পারলাম তখন আরও বেশি রাগ হল । আপনার জন্য ও আমাকে বাদ দিচ্ছে ? এটা আমি কিছুতেই মানতে পারছিলাম না ।

আমি চুপচাপ শুনতে লাগলাম । রায়হান আবারও বলল
-তারপরেই উঠে পড়ে লাগলাম । আমি খুব ভাল করেই জানতাম যে নিতু বাদ দিলেই ওর ফ্যামিলি আমাকে গ্রহন করবেই । করলোও তাই । কিন্তু তবুও যেন নিতু আমার হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছিলো । তারপরের ঘটনা আপনি জানেন !
আমি বললাম
-আমি ঠিক বুঝতে পারছি না আপনি আমাকে এসব কেন বলছেন ? ঐদিনের পর তো আপনি নিতুকে পেয়েই গেছেন । তাই না ?
আমি রায়হান সাহেবের চোখে আবারও একটা হতাশা দেখতে পেলাম । সে বলল
-আমিও সেটাই ভেবেছিলাম । ওকে যখন বিয়ে করলাম তখনই মনে হল আমি জিতে গেছি । আমি পেয়ে গেছি নিতুকে ! কিন্তু ...
আমি চুপ করে রইলাম । রায়হান বলল
-বিয়ে করা তার শরীরের উপর কর্তৃত্ব ঠিকই পেয়েছি কিন্তু আমি কোন দিন নিতুর মনের উপর বিন্দু মাত্র স্পর্শ করতে পারি নি। আজও সে আপনাকে ভালবাসে । সেই তীব্র ভাবেই । প্রথম প্রথম ভেবেছিলাম সব মেয়েই এমন করে সময় যাওয়ার সাথে সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে । আমি কি এমন কি করিনি ওর মন পাওয়ার জন্য পারি নি । কিন্তু এই পাঁচ বছর ....
আমি বললাম
-পাঁচ বছর সাত মাস আর এগারো দিন .....।
রায়হান হাসলো । বলল
-আই গেস আপনিও তাকে সেই একই ভাবে ভালবাসেন । তাই না ?
আমি আবারও চুপ করেই রইলাম । রায়হান সাহেব বললেন
-আমি ক্লান্ত হয়ে গেছি । এখন কেবল মনে হয় সেই সময়ের সেই জেদ না ধরলে আজকে তিনটা জীবন অন্য রকম হত । আমি সত্যিই আপনার কাছে পরাজিত হয়ে গেছি ।

তারপর রায়হান নিজের কোর্টের পকেট থেকে একটা কাগজ বের করে আমার সামনে রাখলো । আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-যদিও দেরি হয়ে গেছে তবুও এখনও অতোটা দেরি হয় নি ।
-মানে ?
রায়হান কাগজটা আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল
-এটা আমাদের ডিভোর্স লেটার । গত কালকেই সব কাজ শেষ হয়েছে । জানেন এই ৫ বছর বছরের কেবল গত কালকেই আমি নিতুর চোখে আমার জন্য ঘৃণা দেখতে পাই নি আমার জন্য । এটা আমার জন্য অনেক বড় কিছু ছিল । এতো দিন পরে আমার মনে হল যে আমি একটা সঠিক কাজ করলাম

আমার তখনও ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না । এখনই মনে হচ্ছে রায়হান আমাকে বললাম যে সে এতো সময় মজা করছিলো । রায়হান বলল
-আপনি এখানেই অপেক্ষা করুন । আর কিছু সময় পরেই নিতু এখানে আসবেন ।

আমি কি বলবো খুজে পেলাম না । আসলে আমি তখনও ঠিক ধাক্কাটা কাটিয়ে উঠতে পারছি না । সত্যিই সত্যিই আমি এসব দেখছি তো নাকি স্বপ্ন দেখছি ।
রায়হান উঠে পড়লো । তারপর আর কোন কথা না বলেই দরজার দিকে হাটা দিল । আমি ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম অবাক হয়ে । ওর হাটার ভঙ্গিটা আসলেই একজন পরাজিত মানুষের মতই মনে হল । ওর সব ক্ষমতা দিয়েই ও নিতুকে পাওয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু তবুও নিতুর ভালবাসার কাছে ও পরাজিতই হয়েছে ।

আমি দরজার দিকেই তাকিয়ে রইলাম । এই দরজা দিয়েই একটু পরে নিতু ঢুকবে ...
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৫৪
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×