somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ ভবিষ্যৎ লেখক

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-তুমি কি জহির ফকিরকে চিনো ?

ক্লাসে মিতু সব সময় শেষের দিকেই বসে। যখন সিডিউল ক্লাস অফ থাকে কিংবা স্যার আসতে দেরি করে তখন মিতু অন্যান্য স্টুডেন্টের মত গল্প গুজব করে সময় কাটায় না । তখন হয় সে গল্পের বই নিয়ে বসে নয়তো নতুন কোন গল্প নিয়ে ভাবে, মাঝে মাঝে মোবাইল বের খানিকটা লিখেও রাখে । আজকেও সে তেমন ভাবেই একটা বই পড়ছিলো তখনই ওর ক্লাসের একটা ছেলে মিতুকে এই প্রশ্নটা করলো ।

মিতু মুখ তুলে তাকালো ছেলেটার দিকে । ক্লাসে খুবই পরিচিত মুখ সে । তারপরেও নামটা বেশ খানকটা সময় চিন্তা করার পরে তারপর মনে করতে পারলো । ছেলেটার নাম শামস । ছেলেটা বেশ ছটফটে স্বভাবের । ক্লাসের সবাই ওকে চেনে ! সবে মাত্র ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হয়েছে তাই অনেকেই সে চিনে । অনেকের মুখ চেনে কিন্তু নাম জানে না। আর বেশির ভাগ ছেলের সাথেই মিতুর কোন কথা হয় না । এমন কি মেয়েদের সাথেও খুব একটা কথা হয় না । মিতু সব সময় নিজের মাঝেই থাকতে পছন্দ করে । মানুষের সঙ্গ থেকে বইয়ের সঙ্গ ওর বেশি পছন্দ ।

শামস আবারও প্রশ্নটা করলো
-জহির ফকিরকে তুমি চিনো ?
মিতু প্রশ্নটা বুঝতে পারলাম না । ওর কি কোন ভাবে জ হির ফকির নামে কাউকে চেনার কথা ? মিতু ঠিক বুঝতে না পেরে বলল
-কোন জহির ফকির ?
-আরে আজিব ! তুমি ঐদিন একটা গল্প লিখলে না ? মনে নেই ?

ক্লাসের মানুষজনকে মিতু না চিনলেও অনেকেই তাকে চিনে। তাকে চেনে তার গল্পের কারনে । তারা মিতু লেখা গল্প প্রায়ই পড়ে । কেবল তারাই না, অনেকেই ওর গল্প পড়ে । লেখালেখির হাত সেই ছোট বেলা থেকেই ছিল । কিন্তু সেটা ছিল কেবলই মিতুর নোট বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ । কাউকে দেখাতে পারে নি লজ্জার কারনে । কিন্তু ঢাকায় এসে অন্তর্জলের সাথে যুক্ত হওয়ার পরে সেটা আর কেবল নোট বইয়ের মধ্যে সীমা বদ্ধ থাকে নি । লেখা গল্প গুলো খুব সহজেই বাইরের মানুষের কাছে পৌছে গেছে । এবং নিজের ফেসবুক ফলোয়ারের সংখ্যা নেহত কম নয় ওর । পার্সোনাল ব্লগে ভিজিটের সংখ্যাটাও বেশ বড় । ইদানিং কয়েকটা গল্প পত্রিকাতেও বের হয়েছে । মিতুর ইচ্ছে আছে সামনের বই মেলাতে একটা বই সে বের করবে ।

মিতু ঠিক বুঝতে পারলো না শাসম ওকে এই প্রশ্ন কেন করছে । শামসের দিকে তাকিয়ে বলল
-এই প্রশ্ন কেন করছো ?
শামস বলল
-কেন তুমি সত্যি চেন না জহির ফকির কে ?
-সে কেবলই একটা গল্পের চরিত্র !
-তুমি মিথ্যা বলছো ।
-আমার কি লাভ মিথ্যা বলে শুনি ? আমি যদি তাকে চিনি তাতেই বা কি যায় আসে !
-তুমি গত মাসে যে গল্প টা পোস্ট করেছো জহির ফকিরকে নিয়ে ! ঐ যে বজ্রপাতে সে মারা যায় তারপর আবার ফিরে আসে ! সেই গল্পটা !
-হ্যা ! কি সমস্যা তাতে ?


শামস কিছুটা সময় চুপ করে তাকিয়ে রইলো মিতুর দিকে । পকেট থেকে নিজের মোবাইলে কি যেন টেপাটেপি করতে লাগলো । তারপর মোবাইলের স্ক্রিনটা মিতুর দিকে এগিয়ে দিল ।
মিতু মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখলো তাকিয়ে একটা পেপার কাটিংয়ের ছবি । সেখানে হেডলাইন লেখা "বজ্রপাতে মৃত্যুর পর ফিরে এল জহির ফকির"
মিতু আস্তে আস্তে সংবাদটা পড়তে লাগল । কেমন একটা অদ্ভুদ অনুভুতি হতে লাগলো ওর ! ওর গল্পের সাথে আসলেই মিলে যাচ্ছে । পড়ার পরে মোবাইলটা শামসকে ফেরৎ দিতে দিতেই শামস বলল
-আমি গত সপ্তাহে গিয়েছিলাম আমার গ্রামের বাড়ি । আমাদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে একটা অদ্ভুদ ঘটনা আমার কানে এল । আমাদের গ্রাম থেকে কয়েক গ্রাম দুরেই এই জহির ফকিরের বাসা ! সেই নাকি কদিন আগেই বজ্রপাতে মারা গিয়েছিলো তারপর ঠিক তাকে করবে নেওয়ার আগেই সে জেগে ওঠে । আমি খুবই কৌতুহল বোধ করি । সেটা সপ্তাহ তিনেক আগের কথা । এই ঘটনা এখন পুরো এলাকার মুখে মুখে । আমি কৌতুহল জাগছিল কারন আমি তোমার গল্পটা পড়েছিলাম । এবং বিশ্বাস করবে না যে যখন আমি জহির ফকিরকে দেখলাম তখন আমার মনে হল এই চেহারা আমি আগে থেকেই চিনি । তার বাসায় যখন গেলাম তখন আমার কেবল মনে হল আমি এই বাসায় কোথায় কি আছে সেটা আমি জানি !

মিতু চোখ বড় বড় করে কিছুটা সময় শামসের দিকে তাকিয়ে রইলো । ছেলেটা কি বলছে সেটা ঠিক ওর মাথায় আসছে না ।
-আমার গল্পের সাথে একদম মিলে যায় ?
-পুরোপুরি ! বাসার পাশে বড় একটা আমগাছ সেটা থেকে একটা দোলনা ঝুলছে, সব !

মিতুর মাথাটা কেমন করে উঠলো । মিতুর একবার মনে হল এই ছেলেটা মিতুর সাথে মশকরা করছে । এমন কিছু হতেই পারে না । মিতু গত চার পাঁচ বছরে ঢাকার বাইরে যাই নি একবারও । ওর নিজের ঘর ছেড়ে কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না । বাস্তব জগত থেকে বইয়ের জগতেই হারিয়ে যেতেই মিতুর পছন্দ বেশি । শামস বলল
-তবে সব থেকে শকিং ব্যাপারটা কি জানো ?
-কি ?
-আমি প্রথমে ভেবেছিলাম যে হয়তো এই জহির ফকিরের ঘটনাটা আগে ঘটেছে আর তুমি সেটা কোন ভাবে পরে জানতে পেরেছো । সেটা নিয়ে গল্প লিখেছো । খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার কিন্তু ব্যাপারটা সেরকম হয় নি ।

মিতুর কেন জানি মনে হল শামস এর পর কি বলবে সেটা সে আগে থেকেই জানে । শামস বলল
-আমি খুব ভাল করে খোজ নিয়ে দেখেছি । কোন ভাবেই সেটা ভুল হওয়ার কথা না । তুমি যেদিন গল্প লিখে পোস্ট করেছো তার পরে জহির ফকিরের উপরে বজ্রপাত হয়েছে । এর মানে তুমি বুঝছো ?
মিতু খুব ভাল করেই জানে শামস কি বুঝাতে চাইছে । কিন্তু মিতু সেটা মোটেই বুঝতে চাচ্ছে না । এমনটা কোন ভাবেই হতে পারে না । সে বলল
-এটা কাকতালীয় ব্যাপার । এমনটা হতেই পারে না । কখনই না !

শামস এতোটা সময় মিতুর সামনে দাড়িয়ে কথা বলছিলো । এবার সে মিতুর পাশে এসে বসলো । তারপর বলল
-দেখো, আমি জানি না সত্যি কি কিংবা কি হয়েছে ! কিন্তু আমার কেন জানি মনে হচ্ছে এটার ভেতরে কোন রহস্য আছে । চল আমরা একটু খোজ নিয়ে দেখি !
মিতু বলল
-কি খোজ নিবা ?
-কালকের গল্পটার কথা মনে আছে তোমার ? মানে কালকে যেটা পোস্ট করেছো ?

মিতুর বুকটা কেঁপে উঠলো । গতকালকে ও একটা গল্প পোস্ট করেছে । পুরান ঢাকায় ঘটে যাওয়া একটা কাহিনী । সেখানে একটা ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটা ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে । ছেলেটা একটা মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরি খেয়েছিলো । শামস বলল
-চল আজকে আমরা পুরান ঢাকাতে যাই ! খোজ নিয়ে দেখি ।
মিতু কি বলবো খুজে পেল না । এসব কিছুই বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করছে না ওর । কিন্তু যদিন সত্যি হয়ে যায় তাহলে ?

মিতু বলল
-না আমি যাবো না ।
শামস একটু জোর দিয়ে বলল
-আরে চল না । প্লিজ চল ! আরে চল ! দেখাই যাক না ।
-আমি যাবো না ।

মিতুর সত্যি সত্যিই ভয় ভয় লাগতে শুরু করলো । সত্যিই যদি এমন কিছু হয়ে থাকে । মিতু নিজের মনকে বারবার বুঝ দেওয়ার চেষ্টা করে গেল । বারবার বুঝাতে চাইলো যে এমনটা কোন ভাবেই হতে পারে না । কেউ একটা গল্প লিখলো আর অমনি সেটা সত্যি হয়ে যাবে ? এমন কোন হয় নাকি ?

অবশ্য শামসের কথা মিতু ফেলেও দিতে পারছে না । মিতু জহির ফকির কে নিয়ে যে গল্পটা লিখেছিল সেটা কি কোন ভাবে সত্যি হয়ে গেছে ? এমনটা অবশ্য হতেই পারে । মানুষ বজ্রপাতের পরেও আবার বেঁচে যেতে পারে কিন্তু সেটার সাথে ওর গল্পের কোন সম্পর্ক নেই ।

শামস বলল
-দেখো আমি সত্যিই জানি না আমি যা বললাম তার সাথে এটার কোন সম্পর্ক আছে কি না তবে যদি এমন কিছু থেকেই থাকে তাহলে সেটা পরীক্ষা করতে দোষ কোথায় বল ? আছে কি ?
খানিকটা মাথা নাড়িয়ে মিতু ভাবতে লাগলো । সত্যিই এমন যদি কোন অলৌকিক ব্যাপার থেকেই থাকে তাহলে সেটা খুজে বের করার মধ্যে কোন সমস্যা নেই । তবে বললাম
-আচ্ছা । কখন যাবো ?
-ক্লাস শেষেই বের হই ! ঠিক আছে ?
-হুম ।


পরের ক্লাস গুলোতে মিতু স্যারের লেকচারের কোন মনযোগই দিতে পারলো না । বারবার কেবল সেই একটা ব্যাপারই মনে হতে লাগলো । পেপার কাটিংয়ের ছবিটা না থাকলে হয়তো মনে হত শামস ওর সাথে ইয়ার্কি করছে কিন্তু ওরই বা মিতুর সাথে ইয়ার্কি করেকি লাভ !

গল্পের বর্ণনা অনুযায়ী এলাকাতেই ওরা গিয়ে হাজির হল । ওরা যখন পুরান ঢাকার পৌছালো তখন আসরের আযান দিচ্ছে । মিতু ভেতরে ভেতরে উত্তেজিত হয়ে উঠছে কিন্তু সেটা প্রকাশ করছে না । শামস সেই শুরু থেকে মিতুর সাথে নানা বিষয় নিয়ে গল্প করে যাচ্ছে । কিন্তু মিতুর সেদিকে কোন লক্ষ্য নেই । ক্ষণে ক্ষনে শামসের একটা দুইটা কথা কানে যাচ্ছে আর সে মাথা ঝাকাচ্ছে । ব্যাস আর কিছু না ।

ঠিক এমন সময় মিতু আর শামস দুজনেই চমকে গেল । কারন আযান থেমে গেছে । আযানের পরেই একটা ঘোষনা এল মাইক থেকে । সুমন নামের একজনের নামাজে যানাজা পড়ানো হবে নামাজের পড়েই । সকল কে নামাজে থাকার আহবান জানানো হল ।

শামস আর মিতুর দুজনের চেহারা বদলে গেল মুহুর্তেই । বিশেষ করে মিতুর বুক ধকধক করতে লাগলো । কারন গতকালকে লেখা গল্পে ছেলেটার নাম সুমন । সবে মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠেছে ।

মিতু কাঁদো কাঁদো শামসের দিকে তাকিয়ে বলল
-এটা কি হচ্ছে ? সত্যিই কি হচ্ছে ?
শামস ততক্ষণে নিজেকে সামলে নিয়েছে । ও নিজেও খানিকটা চমকে গিয়েছিলো মাইকের এই ঘোষণা শুনে । সত্যিই কি মিতুর মধ্যে কি এমন কোন অলৌকিক ক্ষমতা আছে যে সে যাই লিখবে তাই সত্য হয়ে যাবে ? এই যুগে এমনটা বিশ্বাস করা কঠিন ।
শামস বলল
-আচ্ছা আমরা আরও একটু খোজ খবর নেই । কেমন ! তুমি এখনই এমন কেন করছো ?
-কিন্তু নাম টা ! কিভাবে মিলে গেলো ?

শামস সেটা নিজেও বুঝতে পারছে না । সত্যি বলতে কি জহির ফকিরের ঘটনাটার খোজ খবর নেওয়ার সময় ও একটু অবাকই হয়ছিল । এমনটা কি আসলেই হতে পারে ? একটা কৌতুহল ছিল ওর নিজের মাঝেও । তাই পরবর্তি গল্পটা পোস্ট করার সাথে সাথেই ওর নিজেরও মনে হল যে এবার এইটার সত্যতা যাচাই করা যায় । যদি সত্যিই এমন কিছু থেকে থাকে মেয়েটার ভেতরে তাহলে এই গল্পেই সেটা প্রমাণিত হয়ে যাবে । কিন্তু এখানে এসে সত্যি সত্যিই যে সুমন নামের মৃত্যু সংবাদ শুনতে পাবে সেটা ও ভাবতেও পারে নি ।

শামস মিতুকে গাড়িতে রেখেই শামস বেরিয়ে গেল । যাওয়ার আগে বলে গেল যে ও খোজ খবর নিয়ে আসছে । আর মিতুকে চিন্তা করতে মানা করে গেল । কিন্তু মিতু এদিকে ঘামতে লাগলো । কোন লজিক কাজছে ওর । যদি সুস্থ্য মস্তিস্কে চিন্তা করে দেখা যায় তাহলে ব্যাপারটা খুবই হাস্যকর শোনাবে । কিন্তু মিতু এখন সেদিন দিয়ে চিন্তা করতে পারছে না । ভাবতে পারছে না যে মেয়ে এমন কিছু আসলেই সম্ভব না কোন ভাবেই । বারবার কেবল একটা কথাই মনে হচ্ছে যে যদি এমন কিছু হয় তাহলে ও নিজেকে কোন দিন ক্ষমা করতে পারবে না । তখন ওর কেবল মনে হবে যে ওর লেখার ফলেই ঐ মানুষটা মারা গেছে !

শামসের আসতে আরও আধা ঘন্টা সময় লাগলো । যখন গড়িতে উঠে বসলো তখন শামসের সে কি হাসি !
মিতু না থাকতে পেরে বলল
-হাসছো কেন ? কি হয়েছে ?
-আরে কি আর হবে ! আমিও যেমন গাধা তুমিও ! এমন কি হয় কোন দিন !
-সত্যিই হয় নি তো !
-আরে না । তোমার সিরিয়াসনেস আমি নিজেও কনফিউজড হয়ে গেছিলাম । আগের ঐ জহির ফকিরের ঘটনা আসলেই কাকতালীয় ব্যাপার হবে । ভাগ্য গুনে মিলে গেছে । তবে এইটা মিলে মিলে নাই !
-কিন্তু নাম যে একই ।
-আরে ওরা সুমন আলী নামের এক ভ্যান চালক মারা গেছে । দুর্ঘটনাতে । তাও দুইদিন আগে । আজকেই হাসপাতাল থেকে লাশ রিলিজ দিয়েছে । বুঝেছো ?
মিতুর মাথা থেকে যেন একটা বড় পাথর নেমে গেল । শামসের দিকে তাকিয়ে বলল
-তার মানে গল্পের সাথে কোন মিল নেই ।
-আরে না বাবা !
-কি যে শান্তি লাগছে তোমাকে কিভাবে বোঝাবো !
-যাক চল এবার আরেকটা কাজ করা । যখন চলেই এলাম এতো দুর, নান্নার বিরিয়ানী খাওয়া যাক !

মিতু নিজেও হেসে উঠলো । ওর এখন সব কিছু ভাল লাগছে । একটু আগেও ও যতখানি চিন্তিত ছিল এখন সেটার ছিটে ফোটাও নেই ওর চেহারাতে । মিতু বলল
-চল আজকে আমি তোমাকে বিরিয়ানী খাওয়াচ্ছি !


পরিশিষ্টিঃ

ওদের সময়টা বেশ ভাল কাটলো । বিরিয়ানী খাওয়ার পর ওর লালবাগ কেল্লাতে ঘুরতে গেল । যখন আবার বাসার ফিরতি পথ ধরলো তখনই সন্ধ্যা পার হয়ে গেছে ।

গল্পের সেই রাস্তাতেও তখন সন্ধ্যা নেমেছে । স্ট্রিট লাইট একটাও নেই এখানে । হঠাৎ একটা চলন্ত রিক্সাকে থামালো কয়েকটা যুবক । যুবক গুলোর চোখে খুনের নেশা । তারপর ঘটতে লাগলো সেই গল্পের প্লট অনুযায়ী ঘটনা ! যারা যারা গল্পটা পড়েছে গতকাল রাতে তারা জানে এখনই সাইকেলে চড়ে একজন সুন্দর ফর্সা মত ছেলে যাবে এই পথ দিয়ে । ছেলেটির নাম সুমন !
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২২
৮টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×