somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ লাল চুলের মেয়েটি

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



দুর্ঘটনার পর থেকে মিরা কেমন যেন চুপ হয়ে গেছে । আগের মত আর কথা বলে না । সারাক্ষণই কি যেন ভাবে ! আমার সাথেও ঠিক মত কথা বলে না । অবশ্য এই জন্য আমি ওকে কোন দোষ দেই না । ঐদিন আমার কারনেই দুর্ঘটনাটা ঘটেছিলো । মিরা আমাকে বারবার আস্তে চালাতে বলছিলো কিন্তু আমি ওর কথায় কান না দিয়ে নিজের ইচ্ছে মত গতি তুলছিলাম গাড়িতে । তারপর একটা সময়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গাড়িটা সোজা গিয়ে ধাক্কা লাগে পাশের একটা গাছে ।

আর কি ভাগ্য যে আমার দোষে এক্সিডেন্ট টা হল আর আমারই বলতে গেলে কোন ক্ষতি হল না । ধাক্কা লাগার সাথে সাথে আমি কেবল সামনের গ্লাসটা ভেঙ্গে বাইরে বের হয়ে এলাম । সিট বেল্ট বাঁধার অভ্যাস আমার কোন দিনই ছিল না । ভাগ্যিস ছিল না । নয়তো ঐদিন সবার আগে আমি মারা যেতাম । কারন যে গাছ টার সাথে আমার গাড়ির ধাক্কা লেগেছিলো সেটা থেকে বেশ বড় একটা ডাল ভেঙ্গে পড়েছিলো গাড়ির উপর । আমি যদি আর ৩০ সেকেন্ড দেরী করতাম তাহলে হয়তো গাড়ির ভেতরেই চ্যাপ্টা হয়ে যেতাম ।

মিরা গাড়ির ভেতরেই ছিল । ওর জীবন ঠিকই রক্ষা পেয়েছিলো তবে ওর বাঁ পাটা তিন জায়গায় ভাঙ্গেছিলো । আর কাটা ছেড়ার কথা তো বাদই দিলাম । ওরও বেশ বড় ক্ষতি হতে পারতো কিন্তু হয় নি । এবং মিরা এই জন্য আমাকে দায়ী করে । করাই উচিৎ । আমি ওকে দোষ দেই না ।

অফিস থেকে ফিরে এসেই আমি মিরার রুমে গিয়ে হাজির হলাম । মিরা খাটের সাথে হেলান দিয়ে আছে । ও একটা বই কোলের উপর ধরে বসে আছে । তবে আমার কেন জানি মনে হল ও বই পড়ছে না । অন্য কিছু ভাবছে । আমি পাশে বসতেই আমার দিকে তাকালো । আমি একটু হাসলাম । তারপর বললাম
-এখন কেমন লাগছে ?
-ভাল ।
-ব্যাথা এখনও আছে ?
-নাহ । আপাতত সব ঠিক আছে । পায়ের ব্যান্ডেজ টা খুললে আগের মত হয়ে যাবে সব ! তোমার অফিস কেমন ছিল ?
-ওকে !

তারপর আমি ওর কপালে একটা ছোট্ট চুমু খেলাম । তারপর বললাম
-আই এম সরি ।
মিরা একটু শুকনো হাসি দিয়ে বললাম
-তোমাকে আর সরি বলতে হবে না । যা হওয়ার হয়ে গেছে ।
-তবুও আমিই তো দায়ী । সারা জীবন এটা আমার মনকে শান্তি দিবে না !

মিরা কিছুটা সময় আমার দিকে তাকিয়ে থেকে আবার হাসলো । তবে এবারের হাসিতে আমি প্রাণ দেখতে পেলাম । ও বলল
-এতো সরি হতে হবে না । এখন আগে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে নাও । আমি বুয়া কে খাবার দিতে বলি !

আমি বললাম
-তার আগে তোমাকে এক কাপ কফি বানিয়ে দেই । তুমি না বিকেল বেলা কফি খাও !

মিরা কিছু বলতে গিয়েও বলল না । মিরা আমার হাতের বানানো কফি সব সময় পছন্দ করে । যখনই আমাদের এক সাথে কফি খেতে ইচ্ছে করে সেটা আমিই বানিয়ে থাকি । দুর্ঘটনার পরে আমাকে খুব বেশি সময় হাসপাতালে থাকতে হয় নি । কিন্তু মিরাকে অনেকটা সময় সেখানে থাকতে হয়েছে । তারপর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও মিরার বাইরে বের হওয়ার কোন উপায় ছিল না । সারাদিন হয় ল্যাপ্টপ কিংবা বই নিয়েই ব্যস্ত থাকতে ও । প্রথম প্রথম আমি অফিস থেকে বাসা এসে ওর সামনে যেতে লজ্জিত হতাম । বারবার নিজেকে অপরাধি মনে হত । আমার কারনে আজ ওর এই অবস্থা অথচ আমি দিব্যি নিজের পায়ে দাড়িয়ে আছে ।
ডাক্তার আমাকে আরও একটা কথা বলেছে যে যেভাবে ওর পা টা ভেঙ্গেছে পরের জীবনে ও যদিও নিজের পায়ে দাড়াতে পারবে তবে হয়তো একটা স্টিকের সাহায্য ওকে নিতে হতে পারে ।
এই সবই আমার কারনে হয়েছে । বারবার মনে হচ্ছে আমি ঐদিন ওভাবে না গাড়ি টা চালাতাম তাহলে হয়তো আজকে পরিস্থিতি অন্য রকম হত । মিরা হয়তো আজকে এই স্থানে থাকতো না । এই কথাটা মনে হতেই আমার সব কিছু কেমন যেন অলট পালট হয়ে যায় ।

খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি যখন আবার মিরার ঘরে ফিরে এলাম তখন মিরা ল্যাপটপে কি যেন একটা কাজ করায় ব্যস্ত দেখলাম । খুবই মনযোগ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে আছে । আমি যে ঘরের ভেতরে ঢুকেছি সেদিকে ওর কোন লক্ষ্যই নেই । আমি বললাম
-কি ব্যাপার এতো মনযোগ দিয়ে কি দেখছো ?
মিরা আমার কথাতে আমার দিকে ফিরে চাইলো । তারপর বলল
-একটা জিনিস দেখবা এসো তো !

আমি এগিয়ে গেলাম । গিয়ে দেখি ল্যাপটপের সামনে গোগল ম্যাপস খোলা । একটা পয়েন্ট মার্ক করা রয়েছে । আমি বললাম
-এটা কোন জায়গা ?
মিরা বলল
-ভাল করে তাকিয়ে দেখো কোন জায়গা !
আমি আরেকটু মনযোগ দিতেই জায়গাটা চিনতে পারলাম । জায়গাটা হচ্ছে আমরা যেখানে গাড়ি দূর্ঘটনায় পড়েছিলাম সেখানে ।
আমি বললাম
-হ্যা । তো কি সমস্যা ?

মিরা আমার কথার জবাব না দিয়ে এবার গুগল স্টিট ভিউ এ ক্লিক করলো । মাউস এবং কিবোর্ডের সাহায্যে একটা গাছের সামনে নিয়ে এসে দাড় করালো । আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-এই গাছটা চিনতে পারছো ?
আমি মাথা ঝাকালাম । বললাম
-হ্যা । খুব ভাল করে ।
-এবার গাছের ফাঁক দিয়ে একটু ভাল করে তাকিয়ে দেখ । কাকে দেখা যাচ্ছে ?

আমি তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম । হ্যা একটা মেয়েকে দেখা যাচ্ছে । কালো রংয়ের একটা ঢিলঢোলা পোষাক পরা । মাথায় লাল চুল । তবে চেহারা দেখা যাচ্ছে না । নিশ্চয়ই যখন গুগল স্টিট ভিউয়ের জন্য ছবি তুলছিলো তখন মেয়েটার ছবিও উঠে গেছে । আমি এই ছবির মাঝে কোন বিশেষ্যত্ব খুজে পেলাম না । বললাম
-তুমি এই মেয়ের ছবি আমাকে কেন দেখাতে চাচ্ছো ? ছবি যে কারো উঠে যেতেই পারে !
মিরা যেন জানতো আমি এই কথাই বলবো । তারপর বলল
-আমি জানতাম এই কথাই বলবে তুমি ! দাড়াও ।

এই বলে ও একটা অনলাইন পত্রিকা বের করলো । সেখানে বড় বড় একটা দুর্ঘটনার সংবাদ ছাপানো । কাকাড়াইলে একটা স্কুলে সামনে হয়েছে দুর্ঘটনাটা । মিরা আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-এই দুর্ঘটনাটা যেখানে ঘটেছে এইটা হচ্ছে ওদের গুগল ম্যাপের স্থান ।
আমি দেখলাম দেখলাম মিরা গুগল ম্যাপে আরেকটা স্থান দেখাচ্ছেন । তারপর ও সেটারই স্ট্রিট ভিউয়ে ক্লিক করলো । সেই স্কুলটার সামনে এসে হাজির হল । আমি রাস্তা ঘাত দোকান পাট মানুষ সব দেখতে পেলাম । তারপরই আমি চোখ আটকে গেল ।
মিরা ওর মাউসের পয়েন্ট টা একটা মানুষের উপর রেখেছে । কালো ঢিলঢোলা জামা পরা লাল চুলের একটা মেয়ে ! এখনও মেয়েটাকে দেখা যাচ্ছে না । তবে আগের ছবি আর এই ছবির মেয়ে যে একই সেই বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই । কিন্তু কোন ভাবে কি এমন হতে পারে যে এই ছবি যখন তোলা হয়েছিলো তখন এই মেয়েটা এই দুই স্থানেই ছিল । এটা ছাড়া আর কোন কিছু আমার মাথায় এল না । আমি মীরাকে বললাম
-হয়তো এই মেয়েটা গুগল টিমের সদস্য । যখন ছবি তুলতে এসেছিলো তখন মেয়েটারও ছবি উঠে গেছে । এমন তো হতেই পারে ।

মিরার যেন আমার ব্যাখ্যা কিছুতেই পছন্দ হল না । তবে আর কোন কথা খুজে না পেয়ে মিরা বলল
-তাই বলে এই দুই জায়গাতেই থাকবে । অন্য কোন জায়গাতে নেই কেন ?
-আছে হয়তো । থাকবে না কেন ? তুমি হয়তো ভুল জায়গাতে দেখছো । আচ্ছা বাদ দাও ।

এই বলে আমি ল্যাপটপটা বন্ধ করে দিলাম । তারপর ওর কাছে এসে বললাম
-এই যে ম্যাডাম, এখন এসব গুগল ম্যাপ দেখে লাভ নেই । আসুন এবার কিছু আসল ম্যাপ দেখানো যাক আপানকে !
মিরা আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-দুষ্টামি করবা কিন্তু বলে দিলাম ।



দুই
মোবাইলটা বের করে দেখলাম মিরার মোটে ৭টা মিসকল এসেছে । এতো কি দরকার পড়লো হঠাৎ করে । কোন বিপদ হল না তো । আমি এতো সময়ে মিটিং এ ছিলাম তাই টের পাই নি । মিটিং রুম থেকে থেকে বের হয়েই সবার আগে ওকে কল করলাম । আমার ফোন পেয়েই মিরা বলল
-কোথায় ছিলে এতো সময় ?
-মিটিং এ ছিলাম । সকালে তো বলেছিলাম আসার সময় ।
মিরা যেন মনে করার চেষ্টা করলো আমি বলেছিলাম কি না । বলল
-যাক সে কথা । আমি কি পেয়েছি শোন ?
-কি ?
-কালকে ঐ যে ঐ মেয়েটা !
-কোন মেয়েটা ?
-আরে ঐ গুগল স্ট্রিট ভিউয়ের মেয়েটা । কালো গাউন আর লাল চুলের মেয়েটা !
আমি এবার খানিকটা বিরক্ত বোধ করলাম । এই কথা লার জন্য এতোবার ফোন ! আমি তো ভয়ই পেয়েছিলাম । আমি বললাম
-এই কথা বলার জন্য এতো জরূরী ফোন ?
মিরার কন্ঠে একটা বেপরোয়া ভাব ছিল । আমি তাই নিজেকে খানিকা সামলে নিলাম । মেয়েটা কি বলতে চায় আগে শুনে নিই ।
মিরা বলল
-শুনো আমি আজকে সারাটা দিন ধরে দেশে যত জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে সেগুলো সে সব জায়গা গুলো আমি আমি গুগল ম্যামে পয়েন্ট কয়েছি এবং সেই জায়গাট স্ট্রিট ভিউ দেখেছি !
আমি বললাম
-এবং প্রত্যেক স্থানে তুমি ঐ মেয়েকে দেখেছো ? লালা চুলের মেয়েটাকে ?
-হ্যা !
-এটা দিয়ে তুমি কি প্রমান করতে চাইছো ?
-আমার মনে হচ্ছে এর ভেতরে অন্য কিছু আছে !
-কি ? কি মনে হয় ?
-আমার মনে হচ্ছে যে ঐ ছবির মেয়েটা হচ্ছে মৃত্যুদুত ! যেখানে যেখানে মানুষ এক্সিডেন্ট হয়ে মারা গেছে সেখানেই সে হাজির হয়েছে ।
আমি বললাম
-তাহলে আমাদের এক্সিডেন্টের জায়গাতে কেন দেখা গেল ? সেখানে তো মারা যায় নি ।

মিরা অনেকটা সময় চুপ করে রইলো । তারপর বলল
-আমি জানি না এর ব্যাখ্যা কি । কিন্তু আমার কেন জানি ভয় লাগছে ।
-ভয় পেও না । কোনচিন্তা নেই । ঠিক আছে ?

মিরা তারপর বলল
-তুমি সাবধানে থাকবে, কেমন ! আমার এই অনুভূতিটা ভাল লাগছে না ।
-আচ্ছা আমি সাবধানে থাকবো । তুমি একদম চিন্তা করবে না !

আমি ওকে আরও কিছুটা সময় বুঝিয়ে ফোনটা রেখে দিলাম । তারপরই আমার মাথার ভেতরে ঐ লাল চুলের মেয়েটার কথা চিন্তা করতে লাগলাম । গুগল স্ট্রিট ভিউয়ে মেয়েটা কে সব জায়তে দেখা যাওয়াটা আমার নিজের কাছেও খানিকটা অদ্ভুদ লেগেছে । এক দু স্থানে মেয়েটাকে দেখা যেতেই পারে । মেয়েটা যদি গুগল টিমের সদস্য হয়ে থাকে তাহলে এমন কয়েক স্থানে মেয়েটাকে দেখতে পাওয়া অস্বাভাবিক কোন ব্যাপার না । কিন্তু সব দুর্ঘটনার স্থানে দেখতে পাওয়াটা একটু অদ্ভুদই বটে ।
তাহলে আমাদের দূর্ঘটনার স্থানে মেয়েটাকে দেখা গেল কেন ?
মিরা বলল মেয়েটাকে কেবল সেই সেই দুর্ঘটনার স্থানেই দেখা গেছে যেখানে কেউ মারা গেছে । অন্য কোথাও মেয়েটার ছবি সে দেখতে পায় নি ।


আমার আর অফিসে কাজ করতে মন চাইলো না । এর থেকে বরং মিরার কাছে যাওয়া যাক । মিরা বাসায় একা একা এসব নিয়েই ভাবছে । হয়তো ভয় পেতে পারে ও । আমার মনে হল এই সময়ে ওর পাশে থাকা দরকার । বস বলে ছুটি নিয়ে নিলাম । তারপর সোজা বাসার পথ ধরলাম । গাড়ি চলতে চলতে আমার মনে সেই কথাটাই ঘুরপাক খেতে লাগলো । মিরা ফোনে বলল সব দুর্ঘটনার স্থান গুলো সব পয়েন্ট আউট করেছে । কেবল মাত্র যে সব স্থানে মানুষ মারা গেছে সেই সব স্থানেই তাকে দেখা গেছে । মিরার ধারনা যদি সত্যি হয় তাহলে মেয়েটা হতে পারে লেডি অব ডেটথ । যে কিনা মানুষের জান নিতে আসে । তাহলে আমাদের দুর্ঘটনার স্থানে কেন এসেছিলো ? ওখানে তো কেউ মারা যায় নি । নাকি মারা যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু মারা যাই নি ?
আমি ঐদিনের কথা আবার মনে পড়লো । আমার সিট বেল্ট বাধা ছিল না । গাড়িটা ধাক্কা লাগার সাথে সাথেই আমি সামনের গ্লাস ভেঙ্গে বের হয়ে যাই । যদি আমি কাঁচ ভেঙ্গে না বের হতাম তাহলে হয়তো আমি মারাই পড়তাম । কারন আমি কাঁচ ভেঙ্গে বের হওয়ার পরপরই গাছের একটা বড় ডাল ভেঙ্গে নিচে পড়েছিলো । একেবারে গাড়ির উপরে । যদি বের না হতাম তাহলে হয়তো ছাতু হয়ে যেতাম !

তাহলে কি আমার ঐ এক্সিডেন্টে মারা যাওয়ার কথা ছিল ?
এই জন্যই কি লাল চুলের মেয়েটি এসে হাজির হয়েছিলো আমাকে নিতে কিন্তু কোন কারনে সেটা পারে নি !

কথাটা আমি মন থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করলাম কিন্তু বার বার ঘুরে ফিরে সেই একই কথা আমার মনে হতে লাগলো । যদি এই ধারনা সত্যি হয় তাহলে ? আমি কিছু ভাবতে পারলাম না আর । গাড়িতে এসি চলছিলো তারপরেও আমি ঘামতে লাগলাম । এরই মাঝে হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো । আমি চমকে উঠলাম । নাম দেখি মিরা !

মিরার ফোনটা ধরতেই মিরা বলল
-শোনা আমি তোমার ফেরার রুট টা গুগল স্টির ভিউতে দেখছিলাম । আমি ঐ লাল চুলের মেয়েটা দেখেছি । রূপসী বাংলার মোড়ের কাছে । তুমি ঐ রাস্তা দিয়ে আসবা কিন্তু আজকে !

আমার পুরো শরীরটা ঠান্ডা হয়ে গেল । কারন আমি এখন ঠিক রূপসী বাংলার সামনেই রয়েছি । আমি কোন মতে বললাম
-মিরা আমি এখন .....।
আমার লাইন শেষ হল । তার আগেই আমার কানে একটা তীব্র একটা হর্ণের আওয়াজ ভেসে এল । সামনে দিক থেকে একটা ট্রাককে আমার দিকে এগিয়ে আসতে দেখলাম !

ফোনের ওপাশ থেকে মিরার ব্যকুল কন্ঠ শুনতে পেলাম । আমার চোখ তখনও সামনে থেকে এগিয়ে আসা ট্রাকটার দিকে । ট্রাক টা আরও একটু এগিয়ে এসেছে । ড্রাইভিং সিটের দিকে তাকাতেই আমি শেষ ধাক্কাটা খেলাম । লাল চুলের মেয়েটাকে চিনতে আমার মোটেই কষ্ট হল না !


(Horror Story Prompts অবলম্বে)
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:৪৫
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×