somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বর্ষপূর্তি পোস্টঃ ব্লগিং আসলে কেন করি?

১৭ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সত্যি বলতে কী, কোন কিছুর প্রতি আমার খুব বেশি দিন আগ্রহ থাকে না । একটা সময়ের পরেই সেটা হারিয়ে যায় । তবে খুব অল্প কয়েকটা জিনিসের প্রতি আমার দীর্ঘদিন ধরে আগ্রহ টিকে আছে। তাদের ভেতরে একটা হচ্ছে এই সামু ব্লগ । দেখতে দেখতে সামুতে ব্লগিংয়ের বয়স আমার এগারো বছর পার হয়ে গেল । এখন নিজেকে খানিকটা পুরানো ব্লগারদের কাতারে ফেলতে পারি । যদিও ব্লগিং, ব্লগার বলতে আসলেও যা বুঝায় তা আমি কোন দিনই ছিলাম না ।

আপনাদের কাছে যদি প্রশ্ন করা হয় যে আপনি ব্লগিং কেন করেন ?
নানান মানুষ নানান উত্তর দিবে হয়তো । আমার উত্তর আসলে কি দিবো সেটা আমি নিজেই ঠিক মত বলতে পারবো না । আমি কেন ব্লগে লিখি সেটার একটা উত্তরে কেবল বলতে হয় যে লিখতে আসলে ভাল লাগে তাই লিখি । যদিও প্রথমে ব্লগে একাউন্ট খুলেছিলাম অন্য উদ্দেশ্য ।

ছোট বেলা থেকে আমার ডায়রী লেখার অভ্যাস ছিল । ডায়রিতে ঠিক দিন লিপি না লিখতাম না । কারণ মফস্বলের শহরের দিন গুলো সব একই রকম ছিল । বিশেষ করে প্রতিদিন লেখার মত কিছুই ছিল না । আমার ডায়রীতে লেখা থাকতো নানান রকম বানানো ঘটনা । সেই ঘটনা গুলো আমি বিছানায় শুয়ে কিংবা একা বসে বসে চিন্তা করতাম । তারপর সেগুলো খাতা কিংবা ডায়রীতে লিখে রাখতাম । তবে সেগুলো মানুষকে পড়তে দিতাম না কখনই । লজ্জা লাগতো বলে । সেই লেখা গুলোর আরেকটা ব্যাপার ছিল যে গল্প গুলো পুরোপুরি লেখা হত না । একটা কিছু লিখলাম তারপর সেটা বাদ দিয়ে আবার নতুন কিছু লিখলাম । আগের লেখা শেষ হত না । এই অভ্যাসটা আমার এখনও রয়ে গেছে । একটা জিনিস লিখতে লিখতে যদি অন্য আরেকটা লেখা লেখা শুরু করি তাহলে আগের লেখার প্রতি আমার আগ্রহ হারিয়ে যায় । সেটা আর লেখা হয় না বললেই চলে । বেশির ভাগ লেখাই আমার এক বৈঠকে বসে লেখা !

এই ব্লগে প্রথম যখন লেখা শুরু করি তখন কিবোর্ড চাপতাম আসলে দেখে দেখে । তার থেকে আমি ভার্চুয়াল কিবোর্ড ব্যবহার করে মাউস দিয়ে টিপে টিপে পোস্ট লিখতাম । আর তাই পোস্ট গুলো হত একেবারে ছোট ছোট ।

সামুতে দেওয়া আমার প্রথম পোস্টটা দেখুন কত টুকু ছিল ।


কিবোর্ডে লেখা শিখতে আমার বেশ সময় লেগেছে । এরপর আস্তে আস্তে পোস্টের সংখ্যা হাজার পেরিয়ে গেছে ।

লিখতে আমার সব সময়ই ভাল লাগে । কী লিখি সেটা বড় প্রশ্ন না । লিখি এটাই বড় কথা । অনেকে আছেন দেশ সমাজের প্রতি একটা দায়বদ্ধতা থেকে লেখালেখি করেন । আমার লেখালেখি কোন দিনই তেমন কিছুর কারণে ছিল না । আমার এই ব্লগে আসবে সব লেখা একান্তই আমার নিজের মনের ভাল লাগার জন্য । এই কারণে অন্যেরা আমার লেখা পড়ে কী মনে করলো সেটা আমি কোন কালেই চিন্তা করি নি । তবে হ্যা লেখার ভেতরে যেই ভুল ভ্রান্তি থাকে যখন তা কেউ ধরিয়ে দেয় সেটা শুদ্ধ করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি । বিশেষ করে বানান ভুলের ব্যাপার টা । আমি নিশ্চিত যে খুজলে এই লেখার ভেতরেও বানান ভুল থাকবে !
এছাড়া আর কিছু নিয়ে কোন দিন চিন্তা করি নি । অনেক লেখক আছেন যারা নিজেদের লেখা অন্যেরা পড়ে মন্তব্য না করলে রাতের ঘুম হারাম করে ফেলেন । কেউ কেউ আবার লেখাই সরিয়ে ফেলেন কম মন্তব্যের কারণে । আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয় যে লেখালেখি করা উচিৎ কেবল মাত্র নিজের মনকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য । যখন আপনি অন্যের জন্য লেখালেখি করবেন তখন আপনার মাঝে সব সময় অন্যকে সন্তুষ্ট করার একটা প্রবণতা আসবে । তারা যেই ভাবে চাইবে আপনি অবচেতন ভাবে আপনার লেখা কে সেই দিকে নিয়ে যাবেন । এতে আপনার লেখার স্বকীয়তা নষ্ট হয়ে যাবে ।


সামুতে আমার লেখা অল্প কিছু মানুষ পড়েন । অল্প কিছু মানুষ মন্তব্য করেন । যারা মন্তব্য করেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই । আমার লেখা যদি আপনার সময় কাটানোর একটা মাধ্যম হয়ে থাকে আমি আসলে তাতেই খুশি । আপনার কাছে আমার আর কোন কিছু চাওয়ার নেই । আমি আগেই বলেছি লেখালেখি কেবল মাত্র নিজের জন্য । তাই অন্যদের কাছ থেকে আমার চাওয়ার আসলে কিছু নেই। আমার সকল চাওয়া আসলে কেবল নিজের কাছে । কেবল নিজেকে খুশি করতে পারলেই আমি খুশি । এখন লেখালেখির পরিমানটা আগের থেকে অনেক কমে গেছে । প্রতিদিন আমার বাসায় ফিরতে ফিরতে প্রায় এগারোটা বেজে যায় । সেই সময়ে বাসায় ফিরে আসলে প্রতিদিন কিছু লিখতে ইচ্ছে করে না । আবার আমি এমনও দেখেছি যে হাতে অবসর থাকলেও কখনো কখনো লিখতে ইচ্ছে করে না । লেখাটা সম্পূর্ন ভাবে নিজের মন মর্জির উপরে নির্ভর করে । এই হচ্ছে সমস্যা । আবার এমন হয়েছে যখন লিখতে ইচ্ছে করছে অথচ সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না । এটা একটা মানসিক অশান্তির কারণ ! তবে প্রতিদিন যে লিখতেই হবে সেটাও তো না । যখন ইচ্ছে তখনই !

গতকাল রাতে নেওয়া একটা ব্লগ পরিসংখ্যানের একটা স্ক্রিনশট দেওয়া যাক ।



বর্ষপূতি নিয়ে আর কী লিখবো ? আশা করি সামনে বছরেও ঠিক একই ভাবে একটা পোস্ট দিতে পারবো ! ততদিন পর্যন্ত সবাই আবারও ধন্যবাদ ! আশা করি সামনের সময়ে আবারও সবাই এক সাথে এই সামুতে লেখালেখি করে যেতে পারবো ! যতদিন ভাল লাগে ততদিন সামুতে লেখালিখি চলবে আশা করি !


pic source
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫২
৩১টি মন্তব্য ৩১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খালেদার ১টি প্ল্যান ছিলো, মহা-ডাকাতের ১টি প্ল্যান আছে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:২৩



২০১৪ সালের ভোটের আগে খালাদা বলেছিলো যে, তার কাছে ১টা প্ল্যান আছে, যা ১ বছরের মাঝে বেকার সমস্যা ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করে দিবে। তিনি প্ল্যানটি প্রকাশ করেননি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

তোর কথা তুই লিখে সত‍্যতা প্রমান কর।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪১



ব্লগ মনে হয় কারো কারো বাপ দাদার জমিদারি হয়ে গেছে। সব পোস্ট দালাল , রাজাকার, জঙ্গিদের অথবা লালবদরদের স্বপক্ষে হোতে হবে। সত‍্যের আগমনে মিথ্যা বিস্মৃতির অবসান হয় ।আদর্শের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে গুমের ঘটনা: শেখ হাসিনার শাসনকালের একটি কালো অধ্যায়

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৯

বাংলাদেশে গুমের ঘটনা: শেখ হাসিনার শাসনকালের একটি কালো অধ্যায়

গুমের শিকার ব্যক্তিদের অতি ক্ষুদ্র কক্ষের ছবিটি বিবিসি ডটকম থেকে নেওয়া।

পরিচিতি

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপি'র লাখ লাখ কর্মী অপেক্ষা করছে, সর্দারের ১ম নতুন ডাকাতীর খবরের জন্য।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩১



আওয়ামী লীগের সময়, যারা ১৭ বছর ডাকাতী করে যা জমায়েছিলো, বিএনপি'র কয়েক লাখ লোজজন তাদের থেকে একটা বড় অংশ ছিনিয়ে নিয়েছে; সেই প্রসেস এখনো চলছে। তবে, বস... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামপন্থী রাজনীতির বয়ান এবং জামাতের গাজওয়াতুল হিন্দ-এর প্রস্তুতি

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২০


গোরা উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ নিজে ব্রাহ্ম হয়েও, ব্রাহ্ম সমাজের আদর্শের বিপরীতে "গোরা" নামে একটি চরিত্র তৈরি করেন। গোরা খুব কট্টরপন্থী হিন্দু যুবক। হিন্দু পরিচয়ে বড় হলেও, আসলে সে আইরিশ দম্পতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

×