somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই সব রূপকথার গল্প

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



নীরা হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সময়টা দেখে নিল । মনের ভেতরে একটা চাপা অস্বস্তি কাজ করছে । বারবার কেবল মনে হচ্ছে যে কাজটা করতে যাচ্ছে সেটা কি করা ঠিক হবে ! আদনানের চেহারাটা বারবার নীরার চোখের সামনে চলে আসছে । নীরা যখন ওকে বলেছিলো যে যে রায়হান সাহেব তাকে ডিনারে আমন্ত্রন জানিয়েছে এবং সে না করতে পারে নি, তখন আদনানের চোখে একটা তীব্র কষ্ট দেখতে পেয়েছিলো ! ছেলেটা এতো ব্যকুল হয়ে ওর দিকে তাকিয়েছিলো যে নীরা কিছুতেই সেটা ভুলতে পারছে না ।

-তুই এখনও ভাবছিস ?
নীরা পেছন ঘুরে তাকালো । ওর কলিগ কাম বন্ধু আদিবা হাতে এক কাপ কফি নিয়ে ওর রুমে এসে হাজির হয়েছে । নীরা বলল, না মানে কাজ টা কি ঠিক হচ্ছে?
আদিবা অবাক চোখে বলল, ঠিক হবে না কেন? আজিব ! আদনান কি তোর বয়ফ্রন্ড ? আর বয়ফ্রেন্ড হলেও বা কি !
-না, মানে?
-তুই ওর সাথে কোন কমিটমেন্টে যাস কি তো?
-না এখনও না । তবে তুই জানি ওর সাথে কত ভাল সম্পর্ক !
-ভাল সম্পর্কে কিছু হয় না । অন্য কিছু করিস নি তো । শুয়েছিস ওর সাথে?

নীরা চোখ তুলে তাকালো । তারপর বলল, না অতোদুর যায় নি ব্যাপারটা । তবে ....
-তবে?
-তবে একদিন লিফটের ভেতরে ও আমাকে চুমু খেয়েছিলো ।
-এবং?
-এবং আর কিছুই না । তারপর আমরা এমন একটা ভাব করলাম যে কিছুই হয় নি । ওর সাথে মিশতে আমার ভাল লাগে । কয়েকবার ওর বাসায় আমি গিয়েছি । জানিস তো কাজের কত চাপ । ও আমাকে হেল্প করতো । অফিস ছুটির পরে ওর বাসায় যেতাম মাঝে মাঝে। রাত পর্যন্ত কাজ করতাম, গল্প করতাম । আসলে আমরা দুজন দুজনকে পছন্দ করি অনেক !

আদিবা কাপটা বেড টেবিলের উপরে রেখে বলল, শোন, এই সব পছন্দ ফছন্দ জীবনে অনেক আসবে যাবে । এসব নিয়ে এতো চিন্তা করে লাভ নেই । এর থেকে রায়হান সাহেব কে নিয়ে চিন্তা কর । ছেলেটা এতো কম বয়সে এতো বড় কোম্পানীর জেনারেল ম্যানেজার হয়ে গেছে । ভাবতে পারিস ? এখনই নিজের ফ্ল্যাট আর গাড়ি ! সেখানে আদনানের কী আছে? কিছু না । আমাদের মেয়েদের কেবল মন দিয়ে চিন্তা করলে চলে না । বুঝতে পেরেছিস কি? ভাল থাকা এবং ভাল থাকতে চাওয়ার ভেতরে কোন অন্যায় নেই । রায়হান সাহেব তোর প্রতি ইন্টারেস্টেড । খুব ভাল ভাবেই । যদি বিয়ের প্রস্তাব দেয় আগ বাড়িয়ে না করে দিবি না । রাজি হয়ে যাবি। না হলেও অন্তত বলবি যে একটু সময় লাগবে । হাতে রাখবি । মনে থাকবে তো ?

নীরা মাথা নাড়ালো বটে তবে ওর চোখের সামনে বারবার কেবল আদনানের চেহারাটাই ফিরে ফিরে আসতে লাগলো ।


দুই

আদনান কিছু সময় নিজের ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে রইলো । ওর কোন কিছু ভাল লাগছে না । অন্যান্য শুক্রবার গুলো আদনানের বেশ ভাল কাটে । প্রায় প্রতিটা শুক্রবারই নীরার সাথে সময় কাটে । এক সাথে বসে গল্প করা, কোন রেস্টুরেন্ট বসে খাওয়া দাওয়া করা । নয়তো মুভি দেখা এক সাথে । এই শুক্রবারের জন্যও ও দুটো মুভি টিকেট কেটে রেখেছিলো । ভেবেছিলো যে ওকে বললেই তো ও রাজি হয়ে যায় তাহলে আর আলাদা ভাবে জিজ্ঞেস করার কী দরকার । ওকে নিয়ে গেলেই হবে ।

কিন্তু আজকে নীরা ওর সাথে নেই । অন্য কোন প্লান রয়েছে নীরার । অন্য কোন ব্যাপার হলে আদনান মন থেকে সেটা দুর করে ফেলতো কিন্তু নীরার আজকে ডিনার প্লান রয়েছে ওদের কোম্পানীর ম্যানেজার রায়হান আহমেদের সাথে । এবং আদনান এটা খুব ভাল করেই বুঝতে পারছে না রায়হান সাহেব নীরার প্রতি আগ্রহী । যে কোন মেয়ের সামনে যদি রায়হান আর আদনানকে দাড় করিয়ে দেওয়া যায় তাহলে সব কিছু বিচার করলে সবাই রায়হান সাহেবকেই বেছে নিবে । নীরাও কি তাই করবে?
তাহলে এই যে এতো দিনের পাশাপাশি থাকা, গল্প, ঘুরে বেড়ানো, ভালো লাগা শেয়ার করা, কেয়ার করা এসবের কি কোন দাম নেই !
অবশ্য নীরা ওর কাছে কথাটা বলেছিলো । বলেছিলো যে বস ওকে ডিনার খাওয়ার আমন্ত্রন জানিয়েছে । ও কিছুতেই মানা করতে পারে নি । এভাবে মানা করা যায়ও না সেটা আদনান ভাল করেই জানে । তারপরেও ওর খানিকটা কষ্টই লেগেছে ।

আদনান বারবার কল্পনাতে দৃশ্যটা নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। কল্পনার চোখে দেখতে পাচ্ছে যে নীরা হেসে কথা বলছে রায়হান আহমেদের দিকে । রায়হান আহমেদ হঠাৎ নিজের পকেট থেকে একটা আংটির বাক্স বের করে ওর সামনে হাটু গেড়ে বসে বলল যে উইল ইউ ম্যারি মি । নীরা খুশি হয়ে বলল ইয়েস বলে দিল ! এই দৃশ্যটা বারবার বারবার কেবল ওর চোখের সামনে ভেসে আসছে । মনের ভেতরে শান্তি আসছে না কিছুতেই । কোন কাজে মন বসছে না । বারবার নীরাকে ফোন করতে ইচ্ছে করছে । বারবার বলতে ইচ্ছে করছে যে ''প্লীজ নীরা অন্তত তুমি আমাকে টাকা পয়সার জন্য ছেড়ে যেও না । তাহলে আমি পরাজিত হয়ে যাবো । তোমার উপর আমি যে বিশ্বাস নিয়ে এসেছি সেটা ভেঙ্গে দিও না''

এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে চোখটা লেগে এসেছিলো আদনান নিজেও জানে না । কলিংবেলের আওয়াজে ঘুম ভাঙ্গল । চোখ মেলে দেখলো প্রায় সাড়ে দশটা বাজে । এতো রাতে কে এল আবার । জানালার দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলো যে বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে । একটু ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব আসছে । জানালাটা বন্ধ করলো না । দরজার দিকে এগিয়ে গেল । দরজাটা খুলে বেশ অবাকই হয়ে গেল !
নীরা দাড়িয়ে !

দরজা খুলতেই একটু হাসলো নীরা । তারপর বলল, হাই !
আদনান তখনও খানিকটা বিস্মিত । নীরা এখন এখানে কোন ভাবেই আশা করে নি । যদিও তীব্র ভাবে ওকেই কামনা করছিলো । আদনান বলল, হাই । এখন ?
-ভেতরে আসতে বলবে না? একটু ভিজে গেছি ।
-হ্যা হ্যা এসো । ভিজলে কিভাবে?
আদনানের খুব জানতে ইচ্ছে করছিলো ডিনারের কথা । কী হয়েছে সে কী বলল আর নীরা কি বলল সব কিছু । কিন্তু নিজেকে সামলে নিল । নীরা বলল, আমার একটু চেঞ্জ করা দরকার । ভেজা কাপড়ে অস্বস্তি লাগছে ।
আদনান বলল, আমার টিশার্ট চলবে?
-হ্যা হ্যা চলবে ...

মিনিট পনের পরে নীরা ওয়াশ রুম থেকে বের হল । নীরার পরনে তখন আদনানের একটা টিশার্ট । বেশ লম্বা হয়েছে যদিও । আর নিচে একটা একটা থ্রি কোয়াটার । একটু বড় হয়েছে বটে তবে ঠিক আছে । নীরা বসার ঘরে এসে দেখলো ওর জন্য আদনান কফির কাপ নিয়ে বসেছে । টিভি চলছে মৃদু স্বরে । নীরা সোফার উপরে বসতে বসতে বলল, এতো জলদি ঘুমিয়ে পড়েছিলে যে আজকে ?
-আসলে কোন কাজ ছিল না । তাই একটু শুয়ে ছিলাম । কখন যে চোখ লেগে এসেছিলো!
-আমার কথা ভাবছিলে না ?

আদনান দেখলো নীরা একেবারে ওর চোখের দিকে তাকিয়ে রয়েছে । আদনান চোখের উপরে মিথ্যা কথা বলতে পারে না । আজও বলতে পারলো না । বলল, হ্যা ।
নীরা কফির কাপে একটা ছোট চুমুক দিল । তারপর বলল, কী ভাবছিলে?
-থাকুক সেটা । আমার মনে হয় তুমি জানো !
-হুম জানি। তারপরেও তোমার মুখ থেকে শুনতে চাই ।

নীরার দিকে তাকিয়ে আদনানের মনে হল মেয়েটা যেন একটু একটু হাসছে । মজা পাচ্ছে ওর মুখের ভাব দেখে । আদনান চুপ করে রইলো । এমন কি নীরার দিকে তাকাতে পর্যন্ত পারছিলো না ।
নীরা এবার কফির কাপটা এক পাশে সরিয়ে রেখে আদনানের কাছে এসে বসলো আরও । তারপর ওর মুখটা হাত দিয়ে নিজের দিকে নিয়ে বলল, একটা প্রশ্ন করি ? সরাসরি হ্যা আর না জবাব দেবে । সত্য জবাব শুনতে চাই । ওকে?
আদনান কোন কথা না বলে কেবল তাকিয়ে রইলো নীরার দিকে ।
-আমি যখন গতদিন বললাম যে আমার ডিনার রয়েছে ম্যানেজার সাহেবের সাথে তখন কি তোমার মনে আমাকে হারানোর ভয় এসে জড় হয়েছিলো ?

আদনান তাকিয়ে রইলো নীরার দিকে । নীরা চোখের পলক না ফেলে একেবারে তাকিয়ে রয়েছে ওর দিকে । আদনান অনুভব করলো ওর বুকের ভেতরে একটা তীব্র স্পন্দন শুরু হয়েছে । চোখ সিক্ত হতে শুরু করেছে । আদনান আর নিজের অনুভূতিটা লুকানোর চেষ্টা করলো না । বলল, হ্যা । খুব তীব্র ভাবে তোমাকে হারানোর ভয় এসে জড় হয়েছে আমার বুকে !
-এখনও আছে?

আদনান এই প্রশ্নের জবাবে কী বলবে সে ঠিক কিছুই বুঝলো না । তাকিয়ে রইলো । নীরা কিছু সময় চুপ করে থেকে বলল, ছেলেরা আসলেই গাধাই হয় ! এখনও ভয় পাচ্ছো আমাকে হারানোর ? এই যে আমি এই রাতের বেলাতে তোমার বাসায়, তোমার টিশার্ট পরে তোমার পাশে বসে রয়েছি, এসব দেখেও কী বুঝতে পারছো না কিছু? তুমি...

নীরা আরও কিছু বলতে যাবে তখনও দেখতে পেল যে আদনানের চোখের এক কোন একটু বিন্দু জল গড়িয়ে পড়লো । দৃশ্য দেখে নীরা সত্যিই সত্যিই এমন ভাবে নড়ে উঠলো যে আর কোন কথা বলতে পারলো না কিছু সময়ের জন্য । একজন ছেলে যখন একটা মেয়েকে হারানোর ভয়ে কাঁদে, চোখের পানি ফেলে সেটার থেকে বড় আর কিছু হতে পারে না । নীরার মনে হল যে যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা ভুল না । নীরা আলতো করে আদনানের কপালে একটা চুমু খেল । তারপর ওর নাকের সাথে নিজের নাকটা একটু ঘষলো ।
নীরা বলল, জানো যখন তোমাকে আমি বললাম ডিনারের ব্যাপারটা সেই সময়ে তুমি যদি আমাকে একটু জোর করে বলতে যেও না, যেতে হবে না তাহলে আমি যেতাম না । সত্যি যেতাম না ।
-আমি কিভাবে বলতাম !
-কেন বলতে না? আমাকে হারানোর ভয় কাজ করতে পারে, আমাকে এই সামান্য কথাটা বলতে পারতে না ?

আদনান কোন কথা বলল না । নীরা বলল, তবে পুরোটা সময় আমি কেবল তোমার কথা ভেবেছি । রায়হান সাহেবের সাথে ডিনার খাওয়ার সময়ও । আমার কেবল মনে হচ্ছিলো তুমি কি করছো, কেমন কষ্ট পাচ্ছো!
-তারপর ?
-তারপর রায়হান সাহেব আমাকে বিয়ের কথা বললেন। সরাসরিই বললেন । জানালেন যে আমাকে সে বিয়ে করতে আগ্রহী ।
-তুমি কী বললে?
-আমার তখনও কেবল তোমার কথাই মনে হচ্ছিলো । আমি তখন আরও ভাল করে বুঝতে পারলাম যে তোমাকে আমি কতখানি চাই । তাকে বললাম যে আমি তোমাকে বিয়ের কথা ভাবছি । তোমার নাম নিয়েই বললাম। সে কি বলে জানো?
-কি?
-সে বলল যে সে জানে আমাদের ব্যাপারটা । এটাও জানে যে আমাদের ভেতরে সিরিয়াস কিছু চলছে না । এসব কলিগদের মাঝে চলে । কিন্তু জীবনের প্রশ্ন । এখানে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হয় । তারপর সে নিজের ফিরিস্তি দিতে শুরু করলো । কি করেছে না করেছে কি আছে এই সব ! শুনতে শুনতে এমন মেজাজ গরম হল । অর্ধেক পথে আমি উঠে গেলাম ।
-চলে এলে ?
-হ্যা । আর কি করবো ! বেটা বদের বদ !

নীরা একটু সময় থেমে গেল । কী যেন ভাবলো । তারপর বলল, আমার এতো দামী ফ্ল্যাটের দরকার নেই । এই যে এমন একটা ছোট দুই কামড়ার ভাড়া বাসা হলেই চলবে । শেষ জীবনে নিজেরা টাকা পয়সা জমিয়ে একটা ছোট বাড়ি বানানো তাতেই আমি খুশি । দামী গাড়ির দরকার নেই । আমরা দুজন কাজ করে টাকা জমিয়ে একটা বাইক কিনবো, না হলে অন্তত একটা স্কুটি কিনবো । দুজন মিলে এক সাথে অফিস যাবো ঘুরে বেড়াবো । আমার এতো চাহিদা নেই । যা আছে তা হচ্ছে কেবল ভালোবাসার চাওয়া । এই যে আমাকে হারানোর ভয়ে তুমি ভীত হচ্ছে এই ভয়টা যেন সারাজীবন থাকে আর কিছু চাই না আমি ....

আদনান একভাবে নীরার কথা গুলো শুনছিলো । আর বারবার মনে হচ্ছিলো, অবশেষ আমি পেয়েছি তোমাকে আমি পেয়েছি .।

নীরা আর কিছু বলতে যাচ্ছিল কিন্তু সেটা আর বলতে পারলো না । তার আগেই আদনান ওর ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরলো । এমন ভাবে ওকে চুমু খেতে শুরু করলো যে নীরা প্রথমে একটু থতমতই খেয়ে গেছিলো । তবে সেটা সামলে নিলো । নিজেও সামিল সেই চুমুতে !


তিন

নীরার ঘুম ভাঙ্গলো বেশ বেলা করে । ঘুম ভেঙ্গে প্রথমে ও মনে করার চেষ্টা করলো যে ঠিক কোথায় আছে । তারপরই রাতের কথা মনে হল । সেটা মনে হতেই মনের ভেতরে একটা লজ্জার ভাব ফুটে উঠলো । ঘুরে ফিরে সেই রাতের কথাই মনে হতে লাগলো । আর নিজের মনেই একটা আনন্দময় হাসি ফুটে উঠলো ।

ওর মনে আছে প্রথম যেদিক আদনান ওকে চুমু খেয়েছিলো ! সেদিনও আসলে এমন বৃষ্টিই হচ্ছিলো । অফিসের একটা কাজে দুজন বের হয়েছিলো এক সাথে । ফিরতে ফিরতে বৃষ্টিতে দুজনেই ভিজে গেল বেশ খানিকটা । অফিসের লিফটে যখন উঠলো তখন সেখানে কেউ নেই । নীরা একটু একটু কাঁপছিলো যেন । তখনও দেখতে পেল আদনান ওর দিকে তাকিয়ে আছে কেমন চোখে । তারপর নীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই আদনান ওর ঠোঁটে চুমু খেল । কয়েক সেকেন্ড মাত্র ! তারপর দুরে সরে গিয়েছিলো । ততক্ষনে লিফটের দরজারও খুলে গেল । ওরা এমন একটা ভাব করলো যেন কিছুই হয় নি ।

এরপর ওদের সম্পর্ক আরও ভাল হয়ে গেল । আরও গল্প আর দেখাও করা আর এক সাথে সময় কাটানো । একে অন্যকে ভালোবাসি শব্দটা বলে নি কিন্তু তারপরেও যেন সব কিছু বলে দিয়েছে ওরা !

বিছানা ছেড়ে উঠে দাড়ালো নীরা । ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বের হল । রান্না ঘর থেকে আওয়াজ ভেসে আসছে । সেদিকেই পা বাড়ালো । আদনান সকালের নাস্তা বানাচ্ছে । ওর দিকে তাকিয়ে হাসলো । তারপর বলল, ঠিক সময়ে উঠেছো । কফি চলবে তো !
-হুম চলবে !
-বসে পড় । নিয়ে আসছি ।

নীরার কাছে কেমন যেন স্বপ্নের মতই মনে হল সব । অথচ গতকালকের দিনের শুরুটা কেমন অস্বস্তিকর ভাবে হয়েছিলো । আর আজকে কত প্রশান্তি সে অনুভব করছে । নাস্তা খেতে খেতে নীরা হঠাৎ বলল, তোমার মনে হয় নতুন একটা চাকরি খোজা শুরু করা উচিৎ?
-কেন?
-বুঝছো না কেন ? বসের পছন্দের মানুষকে ছিনিয়ে নিয়েছো তুমি ! বস তোমার উপর খুশি হবে না নিশ্চয়ই !
আদনান হাসলো । বলল, চিন্তা কর না । সে কিছু করতে পারবে না ।
-না পারবে । শুনো পুরুষ মানুষ এই একটা স্থানে পরাজয় কিছুতেই মেনে নিতে পারে না বুঝেছো ! আমি জানি । সে তোমার উপর প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে উঠবেই । চাকরি খেতে পারে সেটা নিয়ে আমি খুব একটা ভাবি না । কিন্তু ধর যদি তোমাকে কোন ঝামেলাতে ফেলে দিল । তখন !
আদনান আবারও বলল, ভয় পেও না । আমি সাবধান থাকবো । এতো চিন্তা করার দরকার নেই ।
আদনান নীরার দিকে তাকিয়ে দেখলো মেয়েটা এখন থেকেই ওর জন্য চিন্তা করছে । আদনানের মনটা ভাল হয়ে গেল । মনে মনে ঠিক করলো যে এই মেয়েটাকে সে কোন ভাবেই আর নিজের জীবন থেকে চলে যেতে দিবে না । যত বাঁধাই আসুক না কেন, এই মেয়েটাকে সে নিজের জীবনের সাথে বেঁধে রাখবে ।

নীরার ধারণাই ঠিক ছিল । পরদিন থেকেই ওরা দুজনেই টের পাওয়া শুরু করলো যে অফিসে ওদের উপরে আলাদা ভাবে একটা চাপ আসা শুরু করেছে । বিশেষ করে আদনানের উপরে । নীরার উপরেও একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে । আদিবা তো নীরার উপরে খুব রেগে গেছে । ওর মতে নীরা খুব বেকুবের মত একটা কাজ করেছে । এতো ভাল সুযোগ ও কিভাবে হাত ছাড়া করলো ! এখন এর ফল ওকে ভোগ করতে হচ্ছে ।

নীরা খানিকটা চিন্তিতবোধ করছে । নতুন চাকরি খোজার চেষ্টা করতে শুরু করলো । আদনানকেও বলে দিল সেও যেন নতুন চাকরি খোজা শুরু করে । নয়তো দেখান খুব বেশি দিন টেকা সম্ভব হবে না । নীরার মনে কোন দুঃখ ছিল না । তবে একটু অশান্তি ছিল । ওর চিন্তা ছিল কেবল আদনান কে নিয়ে । তখনই একটা কথা কানে ওর । সামনের সপ্তাহেই নাকি ওদের কোম্পানির কান্ট্রিহেড আসবে অফিস ভিজিটে । সেখানেই এপ্লোয়ীদের রিপোর্টে আদনানকে স্যাক করা হবে । এমন একটা রিউমার ছড়িয়ে পড়লো অফিসে । নীরার মন বেশ খারাপ হয়ে গেল । মনে মনে ঠিক করে রাখলো যে আদনানকে চাকরিতে না রাখলে ও নিজেও এখানে আর থাকবে না ।
তবে আদনানের এসব নিয়ে খুব একটা মাথা ব্যাথা নেই । সে আপন মনে কাজ কর্ম করে চলেছে । অফিসের পরে নীরার সাথে গল্প ঘুরাঘুরি চলছে।


চার

আজকে সবাইকে সকাল সকাল অফিসে আসতে বলা হয়েছে । কেউ যেন একটু দেরিও না করে । কারণ অফিসের কান্ট্রি হেড আসবে ওদের অফিস পরিদর্শনে । সব কিছু ভাল ভাবে দেখবো তারপর এপ্লোয়ী রিপোর্টে সাইন করে চলে যাবে । নীরা আজকে দ্রুত অফিস আসতে চাইলেও আদনানের কারণে পারলো না । আদনানের ভেতরে একটা গা ছাড়া ভাব । যেন সে জানেই যে ওর চাকরি চলে যাবে তাই এতো ঝামেলার দরকার নেই । পারলে সে আজকে অফিসে না যায় কিন্তু নীরার কারণে সেটা পারলো না । নীরা ওকে ঠিকই নিয়ে হাজির হল অফিসে । কিন্তু ততক্ষনে দেরি হয়ে গেছে । ওরা দুজন যখন অফিসে ঢুকলো তখন টের পেল যে কান্ট্রি হেড মিস্টার জ্যাকনাব সুরোজ অফিসে ঢুকে পড়েছে । সিকিউরিটির কাছ থেকেই জানতে পারলো সে । যখন ওরা ওদের মেইন অফিস রুমে ঢুকলো দেখতে পেল মিস্টার জ্যাকনাব সুরোজ সবাই সাথে টুকটাক কথা বলছে । লিফট দিয়ে ওরা ঢুকতেই অফিসের সবার চোখ চলে গেল ওদের দিকে ।
নীরা রায়হান আহমেদের মুখে একটা হাসি দেখতে পেল । এই যে অফিসে দেরি দেরি করে আসা, তার রিপোর্টটাকে আরও মজবুত করবে । সবার মত মিস্টার জ্যাকনাব সুরোজ চোখ পড়লো ওদের উপরে । নীরা দেখলো ভদ্রলোক চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রয়েছে ওদের দিকে । নীরা ঠিক বুঝতে পারলো না কেন এমন অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছে সে ওদের দিকে ।

নীরা সহ অফিসের সবাইকে তীব্র বিস্ময়ের ভেতরে ফেলে দিয়ে মিস্টার জ্যাকনাব সুরোজ ওদের দিকে দ্রুত পায়ে এগিয়ে আসতে লাগলো । তারপর নীরাকে আরও অবাক করে দিয়ে নিজে হাত টা বাড়িয়ে দিল নীরার পাশে দাড়িয়ে থাকা আদনানের দিকে । ইংরেজিতে বলল, স্যার আপনি এখানে ? এই অফিসে !

নীরার যেন ব্যাপারটা হজম করতে একটু সময় লাগলো । অন্য সবার দিকে তাকিয়ে দেখলো সবাই ই ওর মত অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছে । কিছুই যেন বুঝতে পারছে না কেউ !
আদনান বলল, মিস্টার সুরোজ কেমন আছেন আপনি?
-আপনি এখানে কী করছেন স্যার ?
-কি আর করবো ! কাজ করছি ।
-কত দিন স্যার ? আমি তো ভাবতেই পারছি না । চেয়ারম্যান স্যার কি জানে ?
-না সে জানে না । কেউ জানে না । আর দয়া করে কাউকে জানানোর দরকার নেই । আমি এখানে কাজ করছি আমার ভাল লাগছে ।

মিস্টার জ্যাকনাব সুরোজ কিছু সময় ভাবলেন কি যেন । তারপর ঘুরে তাকালো সবার দিকে । তারপর বলল, ওয়েল, আমার আর এখানে ভিজিটের কোন দরকারই যেনই যখন স্বয়ং মিস্টার আদনান এখানে রয়েছে । আমাদের এই কোম্পানীর মাদার কোম্পানীর চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে হচ্ছে আদনান । উনি যে এভাবে এখানে আছেন এটা জানলে আমি এখানে আসার কোন দরকারই পড়তো না ।

নীরা কেবল চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইলো আদনানের দিকে । এখনও যেন ঠিক ওর বিশ্বাস হচ্ছে না । সবাই হা হয়ে গেল রায়হান আহমেদের মুখ । সে যেন নিজের কান নিজের চোখকে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছে না । পারার কথাও না । মিস্টার জ্যাকনাব সুরোজ আদনানকে নিয়ে অফিস রুমে চলে গেল । নীরা অবাক হয়ে সেদিকে দাড়িয়েই রইলো কেবল ।

সব ঝামেলা শেষ হতে হতে দুপুর হয়ে গেল । মিস্টার জ্যাকনাব সুরোজ চলে যেতেই আদনান এসে হাজির হল নীরার ডেস্কে । ওর দিকে অপরাধির মুখ করে বলল, আমাকে আত্মপক্ষের সমর্থনে কিছু বলার সুযোগ কি দেবে?
নীরা কোন কথা বলল না । কিছু যেন বলার ছিলও না ।


পাঁচ

-তোমাকে আমি কেবল একটা মিথ্যাই বলেছি তা হচ্ছে আমি এফ আর চৌধুরীর ছেলে । আসলে ঠিক মিথ্যাও না । আমি কিছু বলিও নি । তুমিও আমার ফ্যামিলি সম্পর্কে খুব বেশি জিজ্ঞেস কর নি । আমরা দুই ভাই এক বোন সব সত্য । মিথ্যা বলি নি কিন্তু !

কথা গুলো বলে আদনান চুপ করে রইলো । ওরা অফিস থেকে বেরিয়ে সামনের পার্কে এসে বসেছে । নীরার এখনও যেন সব কিছু বিশ্বাস হচ্ছে না । হওয়ার কথাও না । নীরা বলল, আসলে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না । তুমি ...।
-সব বলছি ।

একটা বড় দম নিল সে । তারপর বলল, আসলে আমার মনে সব সময় এই একটা অনভূতি কাজ করতো যে আমি হয়তো কোন সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষ পাবো না । ছোট বেলা থেকেই দেখতাম সব মেয়ে আমার পেছনে ঘুরঘুর করতো । কেন করতো সেটা একটু বড় হয়েই আমি বুঝতে পেরেছি । এই ঘুরঘুর করা এটা আমার বাবার টাকার জন্য । আমার জন্য নয় ।
গ্রাজুয়েশন শেষ করে অফিসে যোগ দিলাম । সেখানেও দেখতাম সবাই কেমন আমার কোল ঘেসা হয়ে আসে । ভাইয়া আপু দুজনেই বিয়ে করে ফেলেছে । আমার বিয়ে হয় নি । বুঝতেই পারছো । আমার এটা কেন জানি পছন্দ হত না । এরই মাঝে একদিন বাবা আমার বিয়ে ঠিক করলেন । অনেকটা ব্যবসায়িক ডিলের মত । আমি রাজি হলাম না । বাবা বলেছিলো যে সমস্যা কোথায় ? কেন আমি রাজি না । তাকে কারণ বললাম । সে তখন বলল যে এমনই হবে । তার টাকার কারণেই এমন । অন্য কোন মেয়ে আমার দিকে ফিরেও তাকাবে না যদি তার টাকা আমি নেই। বাবার সাথে রাগ করে এখানে চলে এলাম । মনে মনে ঠিক করলাম বাবার টাকা দিয়ে ভালোবাসা চাই না আমি । দুই বছর আগের কথা । তার কিছুদিন পরে তোমার সাথে পরিচয় । প্রেম ভালবাসা । বিশ্বাস কর আমার এই অনুভূতি শতভাগ খাটি ! আমি জয়ী হলাম । বাবার টাকার কারণে নয় আমার কারণে তোমার মত কাউকে পেয়েছি । আমার আর কিছুই দরকার নেই । কিছু না । প্লিজ তুমি আমাকে ভুল বুঝো না । আমি তোমাকে কিছুতেই হারাতে চাই না । কিছুতেই না !

নীরা কিছু সময় তাকিয়ে রইলো আদনানের দিকে । তারপর বলল, উঠো বোকা ছেলে । আমি তোমাকে ছেড়ে যাচ্ছি না । তবে একটা কথা জানতে মন চাচ্ছে ।
-কি কথা ?
-যদি ঐদিন আমি রায়হান সাহেবের প্রস্তাবে রাজি হতাম তাহলে তুমি কি করতে? আমি তোমার চোখে সেদিন সত্যিই আমাকে হারানোর ভয় দেখেছিলাম ।
-কারণ আমি ভয় পেয়েছিলাম । সত্যিই যদি চলে যেতে সেদিন বুঝতাম যে বাবার কথা ঠিক ।
-এন্ড দেন?
-দেন বাবার পথেই এগোতাম । নিজের পরিচয় তোমার কাছে দিতাম । এবং সেই ভাবেই তোমাকে পাওয়ার চেষ্টা করতাম ।
-মানে আমাকে পাওয়াই লাগতো ?
-হুম ! যে কোন ভাবেই ।
-তোমার ফ্যামিলি যদি আমাকে না মানে?
-না মানলে না মানবে ! এই দুই বছর ফ্যামিলি ছাড়া আছি খারাপ আছি কি?
-তা নেই । তবুও !
-ভয় নেই । বাবা রাজি হবে । এবং তাকে বলতে পারবো যে দেখো তোমার নাম টাকা ছাড়াই একজে ঠিক ঠিক পটিয়ে ফেলেছি ।
-ইস কী ভাষা ! পটিয়ে ফেলা ! সুন্দর করে বল ।
-আচ্ছা সুন্দর করেই বলবো । বলবো যে দেখো বাবা, এই মেয়েটি ফ্ল্যাট গাড়ির লোভ ছেড়ে আমাকেই পছন্দ করেছে, আমার সাথে কঠিন পথ পাড়ি দেওয়ার সংকল্প করেছে । আমার মা যেমন করে তোমার হাত ধরেছিলো যখন তোমার কিছু ছিলনা ঠিক তেমন ভাবে । এই মেয়েটিকে ছাড়া আমি আর কাউকে বিয়ে করবো না । কাউকে না !

নীরার চোখ হঠাৎ করেই ভিজে উঠলো । জীবন আসলে আপনাকে কখন কোথায় নিয়ে যাবে তার কোন ঠিক আছে ? কোন ঠিক নেই !



(গল্প লেখার ধারণা একটা চাইনিজ নোভেলার মত । অনেক আগে ওয়াটপ্যাডে এই গল্পটি পড়েছিলাম । যেখানে কোম্পানীর মালিকের ছেলে এপ্লোয়ী সেজে অফিসে যোগ দেয় এবং একটি মেয়ের সাথে প্রেম হয় । এই গল্পের উৎস সেখান থেকেই)
গল্পটি লিখেছিলাম গত বছর । নিজেস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছিলো তখন।

pic source
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৩৩
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৈয়দ কুতুবের পোষ্ট: ভারতের করণীয় কি কি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৩



বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য ভারতের করণীয় কি কি?

০) শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো।
১) বর্ডার থেকে কাঁটাতারের ফেন্চ তুলে নেয়া।
২) রাতে যারা বর্ডার ক্রস করে, তাদেরকে গুলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বদেশ প্রত্যার্বতন : আমি আশাবাদী হতে চাই

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৩৪

স্বদেশ প্রত্যার্বতন : আমি আশাবাদী হতে চাই
আজ ২৫ তারিখ, ২৫শে ডিসেম্বর ২০২৫ সাল (প্রকৃতির এক অদ্ভূদ খেয়াল) ।



৬ হাজার ৩১৪ দিন পর তারেক জিয়া বীরের বেশে অসংখ্য মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

খাম্বার পরবর্তী অধ‍্যায় ,নাকি ১০% বদল হবে‼️অমি খোয়াব ভবনে ঘুমিয়ে , হাওয়া ভবনের আতঙ্কে আতঙ্কিত॥

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৮



খালেদা জিয়ার অসুস্থতার নাটক ছিল তারেক জিয়ার দেশে ফেরার রাজনৈতিক ট্রাম্পকার্ড। কথায় আছে,' দুষ্টু লোকের মিষ্টি ভাষা '। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দূর্নীতিবাজ ও মাফিয়া গডফাদার তারেক রহমানের দেশে ফেরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

খালেদার ১টি প্ল্যান ছিলো, মহা-ডাকাতের ১টি প্ল্যান আছে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:২৩



২০১৪ সালের ভোটের আগে খালাদা বলেছিলো যে, তার কাছে ১টা প্ল্যান আছে, যা ১ বছরের মাঝে বেকার সমস্যা ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করে দিবে। তিনি প্ল্যানটি প্রকাশ করেননি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে গুমের ঘটনা: শেখ হাসিনার শাসনকালের একটি কালো অধ্যায়

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৯

বাংলাদেশে গুমের ঘটনা: শেখ হাসিনার শাসনকালের একটি কালো অধ্যায়

গুমের শিকার ব্যক্তিদের অতি ক্ষুদ্র কক্ষের ছবিটি বিবিসি ডটকম থেকে নেওয়া।

পরিচিতি

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×