
মাল্টি নিক আমাদের ব্লগে একটা কমন ব্যাপার। বলতে গেলে অনেকের মাল্টি নিক আছে। এমন কি যারা গলা ফাটিয়ে বলে তাদের কোন মাল্টিনিক নাই, তাদেরও আছে।
ব্লগে অনেকেই ব্লগার আর ইউ কে মাল্টি নিক হিসাবে মনে করে। মাল্টিনিক বলতে তারা বুঝে যারা পোস্ট কম করে কিংবা করে না, কেবল মন্তব্য করে বেশি। এই হিসাবে তারা আই ইউকে কোন ব্লগারের মাল্টি হিসাবে চিনে এবং অনেকে আর ইউকে আমার মাল্টি মনে করে।
অনেকের কথা কেন বলছি, মাঝে মাঝে আমার নিজেরই মনে হয় আর ইউ আসলে আমার মাল্টি নিক। কেন সেই কারণ বলছি। ব্লগে নানান মতাদর্শের মানুষ রয়েছে। আমি অনেক পোস্ট পড়ি, সেখানে মাঝে মধ্যে মন্তব্য করি। অনেক কিছু মন্তব্যে বলতে ইচ্ছে করলেও করি না। কিন্তু বেশ অনেক দিন ধরেই আমি খেয়াল করে দেখেছি যে কোন পোস্টে যখন আর ইউ মন্তব্য করে, সেই মন্তব্য পড়লে মনে হয় যে আমি আসলে এই কথাটাই বলতে চেয়েছিলাম। আর ইউ হুবাহু সেই কথাই বলে দিয়েছি।
মারভেলের মুননাইট সিরিজটা দেখে থাকবেন অনেকে। ওখানে দেখা যায় প্রধান চরিত্র মাঝে মাঝে ব্লাক আউটে চলে যায়। সেই ব্লাক আউটে গিয়ে সে ভয়ংকর আর অসম্ভব সব কাজ করে ফেলে কিন্তু যখন ব্লাক আউট থেকে সে ফিরে আসে তখন তার কিছুই মনে থাকে না। আমারো মনে হচ্ছে যে ব্লগার আর ইউ আসলে আমারই মাল্টি নিক। আমি মাঝে মাঝে ব্লাক আউটে চলে যাচ্ছি, আইডি পাস নিউএ লগিন করে মন্তব্য করে আবার আমার ভেতরে ফেরৎ আসছি।
এবার আসি অনেকেই কিন্তু আর ইউ কে আমার মাল্টি নিক মনে করে। বিশেষ কিছুদিন আগে সামুতে যে কপিপেস্ট বিরোধী কাজ শুরু হয়েছে তাতে আমার থেকেও আর ইউ বেশি সোচ্চার ছিল। এবং এখনো সে সোচ্চার আছে। তখন আমরা দুজন একই ধরনের কাজ করাতে অনেকের মনে ধারণা জন্মেছিল যে আর ইউ বুঝি আমারই মাল্টি। এছাড়া আমাদের পছন্দেএ ব্লগার এবং অপছন্দের ব্লগারে নাম যদি বের করে দেখেন তাদের একটা আশ্চর্য মিল খুজে পাওয়া যাবে। অর্থ্যাৎ ব্লগে যাদের যাদের আমি পছন্দ করি দেখা যাবে আর ইউও মোটামুটি তাদের পছন্দ করে, অন্তত মন্তব্য দেখে বোঝা যায় সে তাদের সাথে তার ভাল সম্পর্ক। একজন তো প্রায় সরাসরি আমাকে উদ্দেশ্য কয়েকবার বলেও ছিল যে আর ইউ আমারই মাল্টি।
অবশ্য ব্লগার মিরোরডল কোনদিনই বিশ্বাস করেন না যে আরইউ আমার মাল্টি নিক। মিরোরডল, তানভী ওরা বোকা নাকি আর ইউ আর তানভীর ভেতরে পার্থক্য। হ্যা সত্যি তাই। পার্থক্যও কিন্তু আছে অনেক। যেমন ব্লগে আমি সব সময় গল্প টাইপ পোস্ট বেশি পড়ি। আরইউকে কখনই এসব পোস্টে দেখা যায় না। আমার লেখায় কয়েকটা বানান ভুল থাকে তবে আর ইউ লেখা প্রায় নির্ভুল। আর তার বাংলা শব্দ গঠন আমার থেকে অনেক উন্নত। দুজনের লেখা পাশাপাশি রাখলেও সেটা স্পষ্ট পরিস্কার হয়।
তবে সব বড় পার্থক্য লক্ষ্য করা যাবে শেরজা তপন ভাইয়ের অনুবাদ কয়েকটা পোস্টে আর ইউয়ের মন্তব্য। আর ইউ এর পড়াশোনার ব্যাকগ্রাউন্ড নিঃসন্দেহে আমার থেকে আলাদা। কেবল মন্তব্য গুলো দেখলেই বুঝার কথা। ব্লগে বর্তমানে যে কোন ব্লগারের মন্তব্য দিক টা যদি খেয়াল করে দেখলে দেখা যাবে তা অন্য যে কোন ব্লগারকে থেকে উন্নত, যুক্তিযুক্ত এবং ইনফরমেটিভ। সামুতে খুব কম ব্লগারই এমন মন্তব্য করে থাকেন। আমি নিজে এমন কিছু করতে পারি কিনা সন্দেহ আছে।
যাই হোক তার পরেও কয়েক কাছে মনে এখনো সন্দেহ থাকবে যে আর ইউ হচ্ছে আমারি মাল্টি। আমার অবশ্য এতে কোন আপত্তি নেই। আশা করি আরইউ এরও কোন আপত্তি থাকবে না।
অক্টোবর শেষ হয়ে গেল আজকে। এই মাসের শেষ পোস্ট। অনেকে অবশ্য এই পোস্ট সিরিয়াসলি নিয়ে নিবে। তারপর এরওর ব্লগে গিয়ে মন্তব্য করা শুরু করবে।
পোস্টটি ব্লগার আর ইউ এর আপত্তিতে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে যেহেতু তার অনুমতি ব্যতীত পোস্ট করেছি।
ছবিটি এআই দিয়ে আঁকা
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



