বলা যায় ২০০৮ সালের পরে এই প্রথম আমার মনে হচ্ছে এইবার নিজের ভোট আমি কাউকে দিতে পারব। এক কালে ভোট এলেই টিভিতে একটা স্লোগান চালু প্রায় দেখা যেত। আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এক মাত্র সোল এজেন্টের কারণে বিগত তিনটা নির্বাচনে দেশের মানুষ এই নিজের ভোটটা নিজে দিতে পারে নি, যাকে খুশি তাকে দেওয়া তো অনেক পরের ব্যাপার। তবে সামনের নির্বাচনে আশা করা যাচ্ছে আমার ভোট আমি যাকে ইচ্ছে তাকে দিতে পারব । তবে এই ভোট আমি যাকেই দিই এনসিপিকে দিব না।
বিশেষ করে গত কয়েক দিনে এদের কার্যক্রম দেখে মনে মনে একেবারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়েছি যে সামনের এই নির্বাচনে কোন ভাবেই এনসিপিকে ভোট আমি দিব না। এবং আমার পরিচিত সবাইকেই বলব যেন কোন ভাবেই এনসিপিকে ভোট না দেয়।
আন্দোলন বা এক্টিভিজম চালানো আর রাজনীতি করা দুইটা যে আলাদা ব্যাপার এটা সম্ভবত এখনও এরা বুঝতে পারে নাই। কিছু হইলো আর ফেসবুকে এসে একটা স্টাটাস দিয়ে দিলাম, এটাকে রাজনীতি বলে। ছাত্ররা যখন স্বৈশাসকের পতনের জন্য মাথে নেমেছিল তখন এক ব্যাপার ছিল কিন্তু এখন এরা পুরোদস্ত রাজনৈতিক দল। এই দুটোকে এক করে দেখার কোন সুযোগ নেই।
আমি কোন ভাবেই এনসিপিকে সমর্থন করছি না এইবার। আমার ভোট কোন ভাবেই এনসিপির ভাগে পড়বে না। এমন কি এনসিপি যে এইবার ভোটে দাঁড়াবে এই ব্যাপারটাই আমার পছন্দ হচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের এমন একটা নিয়ম হওয়া অবশ্যই থাকা উচিত যে যেকোন দল নিবন্ধ করার পরের তিন বছর পর্যন্ত সেই দল কোন সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। মানে ব্যাপারটা কি এমন যে আমি আজকে গিয়ে একটা রাজনৈতিক দল খুলে ফেললাম তারপর পরশুদিন গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিলাম। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগে তাদের রাজনীতির মাঠে প্রমান করতে হবে যে তারা আসলেই রাজনীতি করতে এসেছে।
তবে এখন আমি আমার ভোট তাদের দিব না তার মানে কিন্তু এই না যে সামনের কোন নির্বাচনেও আমি তাদের ভোট দিব না। এই সামনের পাঁচ বছর তাদের কার্যক্রম আমি দেখতে চাই। তারা আসলেই যে রাজনৈতিক দল, দেশের জন্য এলাকার জন্য তারা কী কাজ করছে। ক্ষমতায় গেলে দেশের কাজ করব এই বুলি আমরা গত ৫৩ বছর ধরেই তো শুনে আসছি। কোন কাজ কী হয়েছে? আগে দেখি তারা ক্ষমতায় না থেকে কী কাজ করে। দেশের মানুষের কষ্টে তারা কীভাবে কাজ করে সেটা আগে দেখি। এর আগে না।
এনসিপির লোক জন যদি সত্যি প্রজ্ঞাবান হয়ে থাকে তবে এই সামনের নির্বাচনে তাদের অংশই নেওয়া উচিৎ না । রাজনীতির ব্যাপারটা তো এমন না আজকে এলাম আজই সব কিছু জয় করে নিয়ে নিলাম। এভাবে হয় না। রাজনীতিতে চিন্তা করতে হয় সব সময় লম্বা পথের । এইবার যদি তারা সত্যিই তারা নির্বাচনে যায় তাহলে তাদের নামের সাথে কিংস পার্টির যে তকমা লেগে থাকবে তা কোন দিন ঘুচবে না।
সামনের নির্বাচনে কাকে আমি ভোট দিবে সেটা আমি এখনও জানি না। আগে দেখি আমার এলাকায় কে কে নির্বাচনে দাড়ায়। তবে কাকে কাকে ভোট দিবো দিব না সেটা জানি খুব পরিস্কার ভাবে। সেই তালিকাতে তৃতীয় নম্বরে যুক্ত হল এনসিপির নাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




