আবার চলে আসলাম ব্যবচ্ছেদ নিয়ে
যদি কারো নামের ব্যবচ্ছেদ করার ইচ্ছে থাকে তবে সে কমেন্ট এ জানাতে পারেন ।
গেম চেঞ্জারঃ ইনি সেই ব্যক্তি যার ধৈর্য কম । ছোট বেলা থেকে ই এনার এই অবস্থা । যদিও সবাই মিলে তাকে ধৈর্য দেয়ার চেস্টা চলছে ।মজার কথা হচ্ছে । ইনি এক কাজ এ বেশি দিন থাকেন না । আর গেম খেলা তার নেশা । কিন্ত এক গেম বেশি সময় ধরে খেলতে পারেন না । তার এভাবে বড় হওয়ায় অভ্যাস টা রয়ে গেছে । সব সময় চেঞ্জ এড় ঊপর থাকেন । এর প্রভাব তার প্রেম ভালবাস তেও পরছে । এখন পর্্যন্ত তার কোন গার্ল ফ্রেন্ড ঈ ঠিকে নাই । লাস্ট তার পৌনে ৩৫ নাম্বার গার্ল ফ্রেন্ড সাড়ে তিন ঘন্টা ঠিকেছে ।
কাল্পনিক ভালবাসাঃ ব্লগারদের মধ্যে ইনি একজন পরিচিত মুখ । কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে নামের সাথে ভালবাসা আছে কিন্তু জীবনে নাই । তাই কল্পনাতে ভালবাসা খুজিয়া বেরায় । সবাই কল্পনাতে সুপারম্যান হয় । কিন্তু এনি ভালবাসা করেন কল্পনাতে । একবার ভিঞ্চি দাদার মোনালিসার মত এনার কল্পনায়ও সত্য হইয়া যাইত যদি মেয়েটি বিবাহিত না হইত ।
নীলপরিঃ জ্বী ইনি মানুষ । পরি ভাবিয়া ভুল করিবেন না । কারণ পরিরা বগ্ল চালায় না । যাই হোক গোপন সংবাদ এই যে এনার পরিদের নাকি ভাল লাগে নাকি পরিদের এনাকে ভাল লাগে তা জানা না গেলেও নীল রং এর প্রতি এনার দুর্বলতা আছে । যদিও পরিদের নাকি সুন্দর ছেলে দেখলে উঠাইয়া নিয়া যায় । কিন্তু ছেলে উঠানোতে ইনি আজো সফল হন নাই ।
দিশেহারা রাজপুত্রঃ শোন যায় এক সময় নাকি এনার পূর্ব পুরুষ রাজ রাজাদের বংশ ছিল । কিন্তু বান্দর থেকে মানুষের বিবর্তন এর মত এনাদের বিবর্তন এ আজ রাজ্য নাই । কিন্তু অভ্যাস রয়ে গেছে । তিনি নিজেকে এখন ও রাজপুত্র মনে করেন । জানা গেছে ইনি নাকি পাবনার পাগলা গারদে ছিলে সাড়ে দু ঘন্টা । আর রাজকন্যা খুজে পাননি এখন ও তাই চারদিকে দিশেহারা হয়ে ঘুরে ফেরেন । সব শেষে তাকে নাকি গাইবান্ধা দেখা গিয়েছে ।
রূপক বিধৌত সাধুঃ এনার নামের মাঝে ই এনাকে খুঝে পাবেন । যদিও এইনি নিজেকে সাধু ভাবেন । কিন্তু আসলে ব্যাপার অন্য । ইনি নিজের বউয়ের কাছ থেকে এই উপাধি পেয়েছেন । এনার কাজ হচ্ছে প্রতি শুক্রবার বৌদি কে নিয়ে ঘুরে বেরানো । যদিও তিনি এই কাজ পছন্দ করেন না । তবুও করতে হয় । কারন এক সময় বাঘ থাকলেও বাঘও তার বউ কে ভয় পায় । যদিও এনার আনাগোনা আপাতত দেখাই যায় না । মনে হচ্ছে সংসার ধর্ম ত্যাগ করে সত্যিকার অর্থেই সাধু হয়ে যাচ্ছেন ।
সেলিম আনোয়ারঃ ইনি সামুর অন্যতম সিনিয়র ব্লগার । তবে ব্লগ ছাড়াও এনার অন্য পরিচয় আছে । আমাদের হাওয়া খবর অনুযায়ী ইনি সম্রাট আকবর এর বংশের কেউ । কারন নামের সাথে সেলিম যুক্ত থাকায় গবেষনায় উঠে এসেছে । আবার সূত্রমতে ইনিও নাকি আনারকলির প্রেমে মজেছেন । ইদানীং নাকি অনেক বিরহে আছেন সেই আনার কলির জন্য । তবে আনোয়ার নামটাও কিন্তু সেই নবাব সিরাজউদ্দৌলা থেকে এসেছে । কারন বাংলাদেশের প্রথম নবাবের চরিত্রটা আনোয়ার সাহেবের করা । তবে আপাতত তিনি আনার খাওয়াতে এবং গোলাপের কলি ফুটাতে ব্যবস্থা । মানে বাড়ির ছাদের বাগান আরকি ।
ধলা বিলাইঃ নাম শুনে তো বুঝতেই পারতেছেন ইনি কে। তবে তারও একটু বর্ননা না দিলেই নয় । কারন ইনিও সিনিওর । তবে পোস্ট করার চেয়ে পড়েন বেশি । আর নামের পিছনে আছে সুদীর্ঘ ইতিহাস । যতটুকু জানা যায় ইনি বিড়াল প্রিয় মানুষ । ওনার একটা ধলা মানে সাদা বিড়াল ছিল । কিন্তু বিড়ালটা অনেক দুষ্ট ছিল । সেই বিড়াল ছ্যাকা খেয়ে , তারপর টুথপেস্ট খেয়ে আত্মহত্যা করে বলে জানা যায় । তাই ব্লগে এসে স্মৃতি ধরে রাখার জন্যই এই নাম ।
রাজীব নুরঃ ভাববেন না ইনি মারিয়া নুরের ভাই । যদি ভেবে থাকেন তবে গেছেন । আর মারিয়া নুর কে ভেবে যদি এনাকে তেল মারেন তবে ধরে নিবেন পকেট খালাস । রেস্টুরেন্ট এর বিল দিতে দিতে জান চলে যাবে । মারিয়া নুরের দেখা পাবেন না । ইনি হচ্ছেন সেই বিখ্যাত বাংলা ছবির ভিলেন রাজীব । নুর লাগিয়েছেন যাতে ব্যাপারটাতে নুরানী ভাব থাকে । তবে এই ব্লগারের লেখার শক্তি দেখলে আমার হিংসে হয় । আমি কেন লিখতে পারি না । ভাইজান আমিও লাইনে আছি । মারিয়া নুরের সাথে একটা সেলফি তুলাইয়া দেন । স্টারে কাচ্চি খাওয়াবো ।
হাসান মাহবুবঃ ইনি সামুর ব্লগারদের মধ্যে পরিচিত মুখ । অনেক গুলো বই লেখা হয়ে গিয়েছে । তিনি সব সময় মানুষ কে হাসান মানে হাসাতে পারেন । তাই নামের শুরুতেই দিয়েছেন হাসান । তবে তিনি নিজে কম হাসেন । এর কারন খুজে গিয়ে উনার মেহেবুবার খবর পাওয়া গিয়েছে । যদিও এটা গোপব খবর । সেই মেহেবুবা এখন কোথায় আছে তা আমাদের ভুয়া খবর জার্নালিস্টরা বের করতে পারেনি । সেই মেহেবুবার স্মৃতি হিসেবে মাহাবুব চলে এসছে ।
আর্কিওপটেরিক্সঃ আমাদের প্রোগ্রামার । ইনি সামুতে প্রোগামার হিসেবে পরিচিত হলেও ওনি আপাতত অন্য কাজে নিজেকে মনোনিবেশ করেছেন । এখন প্রোগ্রাম রেখে কবিতায় মনোযোগ দিচ্ছেন । ওনার নাম থেকে যতদূর জানা যায় ইনি ঐতিহাসিক রেক্স মানে ডাইনোসোর রেক্স এর ডিএনএ নাকি পাওয়া গিয়েছে তার শরীরে । কিভাবে এসেছে তা আজও বিজ্ঞানের জন্য রহস্য । তবে প্রোগ্রামার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রেমে মজেছেন । এখন প্রোগ্রামিং বাদ দিয়ে কবিতা লেখেন ।
ক্লে ডলঃ যত দূর জানা যায় ডল ওনার খুব প্রিয় । ছোট বেলা থেকেই পুতুলের প্রতি এটা ভালবাসা আছে । ওনার প্রিয় ছবি হচ্ছে এনাবেল । যেটা হরর মুভি হিসেবে বিখ্যাত । তবে আপাতত এখনো জানা যায়নি ইনি এত ডল দিয়ে আসলে কি করেন । তার বাসায় পান্ডা থেকে ষান্ডা থুক্কু পান্ডা থেকে হাতি , বাঘ থেকে হরিন সব ধরনের পতুলের দেখা পাওয়া যায় ।
আহমেদ জী এসঃ কি বলব ভাবতেছি । এনারে নিয়ে কি লিখব । সব দিক থেকে দক্ষ । তবে গবেষনাতে বেশি দক্ষ আমার মনে হয় । নামের শেষে জীএস আছে দেখে ভাইবেন না কোন কলেজের জিএস হিসেবে ছিল । উনি আসলে জিএস ছিলেন চির কুমার সংঘের । তবে উনি রেলমন্ত্রীর মতো ছিলেন কি না জানা যায়নি । গোপন সংবাদ হচ্ছে, বিবাহের পর নাকি তিনি এখনো ভাবি কে নিয়ে কষ্টের মধ্যে আছেন । মানে বন্দি জীবন । তাই মহাপুরুষ অপুর পরামর্শে তিনি আপাতত মৌন ব্রত পালন করছেন । যদি আগে বুঝতেন তবে বিবাহ নামক জিনিশ থেকে দূরে থাকতেন ।
নীল আকাশঃ আকাশ তো নীল আমরা সবাই জানি । তবে এনার আকাশ সব সময় নীল থাকে । বেদানার মত লাল সরি । বেদনার রং তো নীল । তবে এই বেদনা কিসের বেদনা তা জানা যায়নি । তবে মনে হচ্ছে বিয়ে করে ফেসে গেছেন । তাই নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা খুজে বেড়ান । তবে ভাবী ওনার মনে হয় চাপের উপর রাখেন । তাই গল্প শুধু বেদনা বের হয় । তবে আমরা আশা রাখি উনি আমাদের জন্য হাসির গল্প লিখবেন । আর ভাবি ওনাকে আলু পেয়াজ থেকে মুক্তি দিবেন ।
সাঞ্জি স্রেঃ এই নামের কি কারন তা আমরা অনেক কষ্ট করে উদ্ধার করেছি । উদ্ধার করতে যেয়ে আমার মাথার ইলেক্ট্রন নিউট্রেন চলে গিয়েছে । পরে এইচ২ও তে ঠান্ডা করতে হয়েছে । মানে হলো পেটপূর্তি করতে হয়েছে ধানমন্ডিতে । এতে অনেক খরচ হয়েছে সেটা খুব শীঘ্রই পেইড করে দিবেন । যাই হোক নামের ব্যাপারে বলি ওনার এক প্রেমিকা ছিল সানজানা । সেই প্রেমিকা তাহাকে পৌনে ছাব্বিশ বার ছ্যাকা দেয়ার পর সামু তে এই নামে কবিতা লিখে সময় পার করছেন । তার কবিতায় দেখবেন দুঃখ বস্তায় বস্তায় ঝরে পরে । তাই মহাপুরুষ অপু তার জন্য বানী দিয়েছেন, " বৎস জীবনে অনেক কিছুই পাইবা, তবে সামু পাইবা না । সামু কেই প্রেমিকা বানাও । সুখি হও । "
আখেনাটেনঃ মিশরের রাজা । আপাতত তিলের খাজার ব্যবসা ধরেছেন । শুনেছি ব্যবসা নাকি ভালই চলছে । কিন্তু সামুতে ট্রিট এখনো দেননি । ওনার বেশির ভাগ ক্রেতাই এই সামুর কিন্তু তিনি রাজা নামে খাজার ব্যবসা করছেন বলে অনেকেই অস্বন্তুষ্ট । তবে এতে এনার কোন মাথা ব্যাথা নেই । কারন অর্থ পরম ধর্ম । টাকা পয়সা থাকলে সব আছে । মিশরে রাজত্ব করা রাজার আজ এই হাল কেন হলো জানতে চোখ রাখুন আমাদের ভাঙ্গা টিভি তে । আসছি একটা ব্রেকের পর ।
জুনঃ জুন নামের পিছনে বিস্তর এক কাহিনী আছে । সে সব বলতে গেলে অনেক সময় ব্যয় হবে । তবে সংক্ষেপে যদি বলি তবে সেটা হচ্ছে জন্ম জুন মাসে । এই মাস নাকি তার পরিবারের জন্য অনেক লাকি । তার দাদার দাদার দাদার ....... চলবে । এই মাসেই নাকি প্রথম প্রেম পরেছিলেন । সবার বিয়ে নাকি ঠিক এই মাসেই হয় । কেউ এই মাসে বিয়ে করতে না চাইলে জোর করে বিয়ে দেয়া হয় । যাইহোক আপাতত, তার নাম জনু হয়েছে এই মাসেই তিনি সামুতে পদার্পন করেন ।
বিঃদ্রঃ এই পোস্ট সিরিয়াস কিছুই নয় ।
ব্লগারদের নামের ব্যবচ্ছেদ - ১ম পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৭