সকাল সকাল ভূমিকম্প হল। পুরো ঢাকা শহর কেপে উঠেছে। আমি নিজেও বেশ ভয় পেয়েছি। যদিও এত দিনে আমার অভ্যাস হলেও রিফ্লেক্স বলে যেই জিনিস আছে সেটার জন্য একটু হলেও কেপে উঠেছি। এর আগে এক রাতের বেলা টের পেয়েছি যে খাট নড়ছে। তখন সবাই ঘুমে। তাই জাগিয়ে তুলিনি।
আজকে যেটা হয়েছে সেটা হচ্ছে কুমিল্লার ৫০/৫৫ কিলোমিটার দূরে এর উৎপত্তি স্থল। বাসায় আমি, আম্মু আর খালাত ভাই ছিলাম। ভুমিকম্পের পর সবাই যোগাযোগ করেছে। বেচে আছি জেনে সবাই আলাহামদুল্লিলাহ বলেছে। কুশলাদি বিনিময় হল। আমিও কয়েকজনের খোজ খবর নিলাম।
ভূমিকম্পের সাথে যেন যোগাযোগের একটি আলাদা সম্পর্ক আছে। বলা যায় অনেকের সাথে কথা না হলেও তারা খোজ নিয়েছেন। জানিয়েছেন তাদের খবর। এটা বেশ ভাল হয়েছে। তবে এর মাঝে একটা বাজে জিনিস হয়েছে যে আমি তখন টয়লেটে ছিলাম।
সকালে অফিসে যাবার আগে আমি গোসল না করে যাই না। তাই বাথরুমে ঢুকে ব্রাশ শেষ করে। প্রকৃতির ডাকে সারা দিচ্ছি। এমন সময় পুরো বাড়ি নড়ে উঠেছে। আমি বুঝতে পেরেছি যে ভূমিকম্প হচ্ছে। এটা ৫/৬ সেকেন্ডের বেশি স্থায়ী হবেও না। কিন্তু ওই যে রিফ্লেক্স। এমন পরিস্থিতে পরব ভাবিনি।
তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে বাইরে এসে দেখি আম্মু আর ছোট ভাই ছাদে চলে গিয়েছে। আমরা ছয় তলায় থাকি। তাই ছাদ আমাদের উপরেই। যেহেতু দ্রুত নিচে যাবার মত উপায় নেই। সেজন্য ছাদে চলে যাওয়া উত্তম মনে হয়েছে।
তারপর টিভিতে খবর দেখলাম। ভূমিকম্প হয়েছে। সেটা কুমিল্লার অদূরে কোন এক জায়গাতে। আমি সব কিছু সেরে অফিসে আসার পর জানতে পারলাম অনেকেই টের পেয়েছেন আর অনেকে রাস্তায় ছিলেন বলে টের পাননি।
এই ভূমিকম্প আমাদের জন্য একটি অশনি সংকেত। আমাদের ভূমিকম্পের আগাম বার্তা এবং ভূমিকম্পের পর করনীয় কি সেসব বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা জরুরী।
ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৪