নক্ষত্রমন্ডল ( Constellation )
মেঘমুক্ত অন্ধকার রাতে আকাশ তারায় তারায় ছেয়ে থাকে থাকে । তারাগুলো যেন একেকটা উজ্জ্বল বিন্দু ।
প্রাচীণ কাল থেকেই মানুষ আকাশের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়েছে । কল্পনা করেছে, তারার ওই সব উজ্জ্বল বিন্দু একটার সঙ্গে আরেকটা যোগ করলে ছবি পাওয়া যায় । এভাবে আকাশে অনেক ছবি কল্পনা করা হলো । এসব ছবিগুলোকে বলা হলো তারকামন্ডল বা Constellation ।
প্রাচীণ গ্রীকদের কাছে কোন কোন তারকামন্ডল হারকিউলিস, পার্সিয়ুস, এন্ড্রমিডা প্রভৃতি নায়ক নায়িকার চেহারার কথা মনে করিয়ে দেয় । আবার কোন কোনটি দেখতে যেন ড্রাগন, সারমেয়, বক, বীণা ইত্যাদি জীবজন্তু ও জিনিসের মতো ।
বর্তমানে বিজ্ঞানীরা তারা ভরা আকাশটাকে এধরনের নাম দিয়ে ৮৮ টা তারকামন্ডল বা Constellation - এ ভাগ করেছেন । রাশিফলে ব্যবহৃত তারকামন্ডলগুলোর সাথে আমরা কমবেশী সবাই পরিচিত । এগুলো হলো - মেষ,বৃষ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃশ্চিক, ধনৃ, মকর, কুম্ভ, মীন ।
এখন ফেব্রুয়ারী মাস । কিছু দিন আগে ৮ ফেব্রুয়ারী পশ্চিম আকাশের দিকে তাকালাম । স্পষ্ট দেখলাম মানুষ আকৃতির এক তারকামন্ডল । এর নাম Orion । বাংলা নাম কালপুরুষ বা আদমসুরত । আমি আমার ভাগ্নে-ভাগ্নে-ভাইপোদের এসব তারকামন্ডল চিনতে সাহায্য করলাম । আর ঢাকার নভোথিয়েটারে নিয়ে গেলাম । তারা জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে জেনে ভীষণ খুশি হলো । আর একজন তো বলেই ফেল্লো : চাচু আমি বড় হয়ে চাঁদে আর মঙ্গল গ্রহে বাড়ি বানাবো ।
আচ্ছা, আপনারা আপনাদের অণুজদের ঢাকার নভোথিয়েটার আর বিজ্ঞান জাদুঘরে নিয়ে গিয়েছেন কি ? না নিয়ে গেলে নিয়ে যান । তাদের বিজ্ঞানমনস্ক করুন । তাদের কল্পনাশক্তি বৃদ্ধি করুন ।