somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কবিরা সাগরে মোতে না...

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৩:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মেডিকেল ফোর্থ ইয়ার। হাইজিন টু্যরের পার্ট হিসেবে আমরা কক্সবাজার। ওই সময় আবার বার্মার সঙ্গে বাংলাদেশের একটা যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা হইছিল। টেকনাফ থাইকা আসতে ভীষণ কষ্ট হইছে। রিজার্ভ বাস বইলা রক্ষা। তো নাফের ওই পার থাইকা ভালো কিছু বোতল ঢুকছিল আমার ব্যাকপ্যাকে।
কক্সবাজার পৌছাইয়া হোটেলে হইহই কইরা একদল জুয়া খেলতে বসল। আরিফ তার ব্যাগ খুইলা বিশাল এক পোটলা গাঞ্জা রাখল টেবিলে। খেলা চলবে আর স্টিক। আধঘণ্টা যাইতে না যাইতে দরজা ঠকঠক। ক্যাডা? দেখি পুলিশ। মোশতাক আমাদের ভিপি। সো নো চিন্তা। কিন্তু দেশের অবস্থা খারাপ। পুলিশরে কইলাম আমরা কার্ড খেলতাছি ভাই। কয় এত চিল্লাইলে তো পুরা কক্সবাজার উইঠা যাইব। কথাসত্য। এরপর তাগো চোখ পড়ল টেবিলে। কয় এগুলান কী! আরিফ বলে ধইন্যা পাতা। ভাত খাইনাই, মুড়ি মাইখা খামু। আইচ্ছা পিয়াজ মরিচ কই পাওয়া যাইব বলতে পারেন। দারোগা কয়, এত রাইতে কই পাইবেন। বেয়ারারে কইয়া দেখেন, ওগো রান্না ঘরে আছে কীনা। কইয়া গেল গা। আমরা হাসিতে কাইত।
পরদিন ফকফকা জোছনা। দুই বোতল বার্মিজ লইয়া গেছি। ইনুকটিন আর যে যায় খায় তা খাইয়া বোতল পার্টি আলাদা হইল। সেইখানে কবি আছে চারজন (আমারে যদি গোনায় ধরেন আর কী! ) তো মাল খাওয়া চলতাছে। একটু দূরে মাইয়ারা ওগো লেসুগো লগে হিহি করতাছে। গান বাজনাও চলে। আমি গিটারে তুলতাছি আজম খান, মিশু গাইতাছে। হঠাৎ মুতা চাপল। কাকতালীয় ভাবে আমরা চার কবিরই। গেলাম সাগর পানে। এরপর ঘুইরা দাঁড়াইলাম। শুরু করলাম, কবিরা সাগরে মোতে না। রোকন বলে না, না মোতেনা, এইভাবে শুরু হইল জ্যামিং, ছন্দের খেলা। মুততাছি আর সিরিয়ালি লাইন আসতাছে। অসাধারণ এক স্মৃতি। পরে অনেক চেষ্টা করছি আমরা চাইর জনেই সেই র্যাপটা আনতে। আসে নাই । তারপরও কবিরা সাগরে মোতে না...(ক্লোজআপহাসি)
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
২৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×