কক্সবাজার পৌছাইয়া হোটেলে হইহই কইরা একদল জুয়া খেলতে বসল। আরিফ তার ব্যাগ খুইলা বিশাল এক পোটলা গাঞ্জা রাখল টেবিলে। খেলা চলবে আর স্টিক। আধঘণ্টা যাইতে না যাইতে দরজা ঠকঠক। ক্যাডা? দেখি পুলিশ। মোশতাক আমাদের ভিপি। সো নো চিন্তা। কিন্তু দেশের অবস্থা খারাপ। পুলিশরে কইলাম আমরা কার্ড খেলতাছি ভাই। কয় এত চিল্লাইলে তো পুরা কক্সবাজার উইঠা যাইব। কথাসত্য। এরপর তাগো চোখ পড়ল টেবিলে। কয় এগুলান কী! আরিফ বলে ধইন্যা পাতা। ভাত খাইনাই, মুড়ি মাইখা খামু। আইচ্ছা পিয়াজ মরিচ কই পাওয়া যাইব বলতে পারেন। দারোগা কয়, এত রাইতে কই পাইবেন। বেয়ারারে কইয়া দেখেন, ওগো রান্না ঘরে আছে কীনা। কইয়া গেল গা। আমরা হাসিতে কাইত।
পরদিন ফকফকা জোছনা। দুই বোতল বার্মিজ লইয়া গেছি। ইনুকটিন আর যে যায় খায় তা খাইয়া বোতল পার্টি আলাদা হইল। সেইখানে কবি আছে চারজন (আমারে যদি গোনায় ধরেন আর কী! )
তো মাল খাওয়া চলতাছে। একটু দূরে মাইয়ারা ওগো লেসুগো লগে হিহি করতাছে। গান বাজনাও চলে। আমি গিটারে তুলতাছি আজম খান, মিশু গাইতাছে। হঠাৎ মুতা চাপল। কাকতালীয় ভাবে আমরা চার কবিরই। গেলাম সাগর পানে। এরপর ঘুইরা দাঁড়াইলাম। শুরু করলাম, কবিরা সাগরে মোতে না। রোকন বলে না, না মোতেনা, এইভাবে শুরু হইল জ্যামিং, ছন্দের খেলা। মুততাছি আর সিরিয়ালি লাইন আসতাছে। অসাধারণ এক স্মৃতি। পরে অনেক চেষ্টা করছি আমরা চাইর জনেই সেই র্যাপটা আনতে। আসে নাই
। তারপরও কবিরা সাগরে মোতে না...(ক্লোজআপহাসি)
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



