somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্ম ব্যাপারটা আসলে কী

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ধর্ম হল নিয়ন্ত্রণ। যার বিবেক আছে, সে নিজেকে এমনিতেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, যার বিবেক নাই, তাকে ভয় ভীতি দেখিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।

স্থিতিশীল সমাজের জন্য দরকার নিয়ন্ত্রিত মানুষ। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। যে কোন দুর্বল মুহূর্তে অন্যায় কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। তাই তার ধর্মের দরকার হয়। ধর্ম মানুষকে পরকালের লোভ দেখিয়ে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।
যেমন বিবেকবান মানুষ ঘুষ খেতে পারে না, কিন্তু একজন খারাপ ব্যক্তিকে ঘুষ খাওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য ধর্মের দরকার। বলা দরকার যে ঘুষ খেলে পরকালে জাহান্নামী হবে।

একইভাবে সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য নর নারীর সম্পর্কের ক্ষেত্রেও কিছু বিধি নিষেধ থাকা জরুরী। বিবেকবান মানুষ নিজ উদ্যোগেই নিজেকে অবৈধ নারী সংসর্গ বা পরকীয়া বা ব্যভিচার থেকে দূরে রাখে। কিন্তু কিছু মানুষকে ভয় না দেখালে সমাজে অন্যায়গুলো হতে থাকে। তাই ধর্মের দরকার আছে।
এত কিছুর পরেও ধর্মের মূলবস্তুর দিকে কি আমরা খেয়াল করেছি? করি নাই। ইসলাম ধর্ম হোক আর বৌদ্ধ ধর্মই হোক, সব ধর্মের মূল সুর এক- মানুষে মানুষে ভালবাসা, মায়া মমতার বোধ সৃষ্টি করা।
কিন্তু আমরা কি সেটা সৃষ্টি করতে পেরেছি? পারি নি তো। আমরা সবাই ধর্মটাকে আক্ষরিক অর্থে মেনে চলি। নামাজ পড়া, রোজা রাখা সব ফরজ ঠিক আছে। কিন্তু মানুষে মানুষে ভালবাসা সৃষ্টি করা গেছে কি?

আমার বাসার পাশেই মসজিদ, তার পাশেই একটা বস্তি। গতবছর রোজার সময় মসজিদে ১৬ লাখ টাকা খরচ করে এসি বসানো হয়েছে। এই এসি খুব কম সময়ই প্রয়োজন হয়। এই টাকাটা অনর্থক খরচ গেল। মসজিদে মানুষ বড়জোর সারাদিনে ৪ ঘণ্টা সময় কাটায়। এই সময়টুকু একটু গরমে থাকলে কি খুব কষ্ট হত? ১৬ লাখ টাকা বস্তির মানুষগুলোর মাঝে বিতরণ করা যেত না?
এই জিনিসটা কারো মাথায় আসে নাই কেন? কারণ আমরা ধর্মের ভিতরে প্রবেশ করি না।

আমরা সারাদিন চিন্তা করি মেয়েরা হিজাব পরা শুরু করলে কী না ভালো হত, খুচরা নেকি কামানোর জন্য “আল্লাহ আল্লাহ” তসবি জপি, কিন্তু মানুষ হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালনের প্রশ্নটা এড়িয়ে যাই সযত্নে।

আমাদের ধর্ম পালনের মূল উদ্দেশ্য পরকালে জান্নাতে একটা জায়গা করে নেয়া, এই ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য নেই আমাদের। ধর্মকে আমরা জীবনপ্রেরনা রূপে পাই নি, পেয়েছি শুধু মুখের বুলি রূপে।
আশে পাশের মানুষের জন্য কোন ভালবাসা নেই, বরং কেউ ভিন্ন মত প্রকাশ করা মাত্রই তার উপর চওড়া হওয়া, এটা তো ধর্ম আমাদের শিখায় না


সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪
৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×