এ কোন অমরাবতী কহ লো কল্পনে
সুধামুখি , কহ শুনি এ কার উদ্দান
মর্ত্ত্যভূমে ? ত্রিদিবের নন্দন-কানন
নহে সমতুল; দেবি, কোন ভাগ্যবান
গড়িয়াছে এ উদ্দান এত সুশ্রী করি
এই স্থানে ? -অই দেখ নয়ন রঞ্জন
কত পুষ্প তরু, কত কুসুম-বল্লরী
শোভিতেছে শ্রেণীমত ; তরু শাখে বসি
কত জাতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাখী মনোহর
আলাপিছে সুধারবে সঙ্গীত মধুর !
স্থানে স্থানে কত মঞ্জু নিকুঞ্জ বীথিকা
শোভিতেছে নানাবর্ণ কুসুমের হারে
অনুপম, কোন স্থানে মর্ম্মর-নির্ম্মিত
উচ্চ নাট্যশালা, নিম্নে অতি বক্রভাবে
হেলিয়া, সোপান-পংত্তি চুম্বিছে সরসী
কোথা বা কৃত্রিম উৎস ঝর্ ঝর্ রবে
ঝরিছে; প্রক্ষিপ্ত জল সূর্য্যের কিরণে
হীরকের পূস্পসম ঝলমল করি
কি এক অপুর্ব্ব শোভা ক'রেছে ধারণ!
অই দেখ কি সুন্দর ঘুরিয়া ফিরিয়া
রজতের হার সম কৃত্রিম তটিনী
শোভিছে এ কুঞ্জবন করিয়া বেষ্টন ।
জলচর পক্ষীগুলি শোভিছে সুন্দর
চক্রাকারে দলে দলে জলের উপরে ।
অসংখ্য ফলের বৃক্ষ সমুন্নত শিরে
বিস্তারিয়া মহাবাহু স্নেহ আলিঙ্গনে
চির বদ্ধ, নিম্নে স্নিগ্ধ সমতল ভূমি
ছায়াময়ী, সুশোভিত প্রস্তর আসনে।
( সেতারা-রাজোদ্যান )
(বি. দ্র. :- এটি প্রমিত বাংলা বানানে লেখা উচিত ছিল কিন্তু আমি নিজেই তা পুরোপুরি মানি না তাছাড়া কায়কোবাদের কলমে হাত দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই )